মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“হে আমাদের রব, তাদের মধ্যে তাদের থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যে তাদের প্রতি আপনার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করবে এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবে আর তাদেরকে পবিত্র করবে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”। [সূরা : আল-বাকারা: ১২৯]
“তিনিই উম্মীদের (উম্মী দ্বারা আরবের লোকদেরকে বুঝানো হয়েছে) মাঝে একজন রাসূল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে, যে তাদের কাছে তেলাওয়াত করে তাঁর আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করে এবং তাদেরকে শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত। যদিও ইতঃপূর্বে তারা স্পষ্ট গোমরাহীতে ছিল”। [সূরা : আল্-জুমু‘আ: ২]
এগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সম্মানিত সাহাবীদের [বিশুদ্ধ মতে, সাহাবী হলেন, যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ঈমান এনেছেন, তাঁর সাহচর্য পেয়েছেন, যদিও সামান্য সময়ের জন্য এবং এর উপর মৃত্যু বরণ করেছেন। তবে দীর্ঘ সাহচর্যের মর্যাদা অনেক বেশী।] মাঝে সুসম্পর্কের ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যে মিশন নিয়ে আল্লাহ তা‘আলা প্রেরণ করেছেন তা এখানে সুস্পষ্ট ভাবে বর্ণিত হয়েছে। আর এটা হলো তাঁর উপর শরয়ী‘ ওয়াজিব ও তাঁর উপর অর্পিত রিসালাতের প্রজ্ঞা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দেয়া দায়িত্ব উত্তমরূপে আদায় করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দ্বারা মানুষকে শিরক ও কুফরের স্পষ্ট ভ্রষ্টতা থেকে ঈমান ও তাওহীদের দিকে মুক্তি দিয়েছেন।
হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের মাঝে বসবাস করেছেন। আল্লাহ তাদের মধ্য থেকেই তাকে নবী হিসেবে প্রেরণ করেছেন। কুরাইশদের এমন কোন গোত্র নাই যার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আত্মীয়তার সম্পর্ক পাওয়া যাবে না। এমনকি মদীনার আনসারদের সাথেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মধ্যে বনু নাজ্জার গোত্র আব্দুল মুত্তালিবের মামার বংশধর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নানার গোত্র।
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ رَسُولٗا مِّنۡهُمۡ ١٢٩ ﴾ [ البقرة : ١٢٩ ]
“তিনিই (উম্মীদের মাঝে) একজন রাসূল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে”। [আল-বাকারাহ: ১২৯]
হ্যাঁ, আল্লাহ তা‘আলা মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোত্তম বংশধর থেকে নির্বাচিত করেছেন। তিনি তাকে ইবরাহীম আলাইহিস সালামের বংশধর থেকে পাঠিয়েছেন। তাকে পৃথিবীর সর্বোত্তম ভূমি মক্কা মুকাররমায় প্রেরণ করেছেন। নবী আলাইহিস সালাম তাঁর পিতা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের দু‘আর সফল। তিনি আদম আলাইহিস সালামের শ্রেষ্ঠ সন্তান। মাকামে মাহমুদ, হাউসে কাওসার, কিয়ামতের দিন শাফা‘আতের অধিকারী ও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী। সব উম্মতের ঐক্যমতে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বোত্তম মানব ও সমস্ত নবী রাসূলদের নেতা। তাই সব প্রশংসা মহান আল্লাহর ও তাঁরই অনুগ্রহ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর মহান আল্লাহর পূর্ণ নি‘আমত হলো তিনি জ্ঞান গরিমা, সাহসিকতা ও বীরত্বে শ্রেষ্ঠ মানুষদেরকে তাঁর সাহাবী নির্বাচিত করেছেন। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই, যেহেতু তাঁরা তাঁরই আত্মীয় স্বজন ও গোত্রীয়। বংশ হিসেবে তাঁরা শ্রেষ্ঠ মানুষ, চরিত্রের বিবেচনায় সর্বোত্তম। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“মানুষ খনি বিশেষ, জাহিলিয়্যাতের যুগে যারা তাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি ছিল, ইসলামেও তাঁরা সর্বোত্তম ব্যক্তি, যদি তারা ইসলামী জ্ঞান লাভ করে”। [বুখারী, হাদীস নং ৩৩৮৩।]
একথা সকলের কাছেই স্পষ্ট যে, আল্লাহ তা‘আলা ইসমাঈল আলাইহিস সালামের সন্তানদের থেকে কিনানকে নির্বাচিত করেছেন। আর কিনান থেকে কুরাইশ, কুরাইশ থেকে বনী হাশিমকে নির্বাচিত করেছেন, যারা তাদের মধ্য থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওতের কারণে সুমহান সম্মান ও উচ্চ মর্যাদা লাভ করেছেন। তারা রাসূলের গোত্রীয় লোক যাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বন্দি করে রেখেছিল। তারা এমন মর্যাদাবান যাদের জন্য সদকা গ্রহণ করা জায়েয ছিল না। তাদের মধ্য থেকেই ছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবার পরিজন, তাদের থেকেই আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিশ্ববাসীর জন্য নবী হিসেবে প্রেরণ করেছেন।
সম্মানিত পাঠক পাঠিকা, একটু চিন্তা গবেষণা করুন!
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ وَيُزَكِّيهِمۡ ٢ ﴾ [ الجمعة : ٢ ]
“তাদেরকে পবিত্র করে”। [সূরা : আল্-জুমু‘আ: ২] তাঁরা ছিলেন সর্বোত্তম মানুষ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন ও পবিত্র করেছেন। সুতরাং তাদের ব্যাপারে কোন ধরনের অপবাদ কল্পনা করা যায়? তাযকিয়াকে শিক্ষার উপরে অগ্রাধিকার দেয়ার ব্যাপারে একটু চিন্তা করুন! এটা অর্থের দিক থেকে বিশেষ তাত্পর্য বহন করে।
“এবং তাদেরকে শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত।”। [সূরা : আল্-জুমু‘আ: ২] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে আদায় করেছেন। অতঃএব, আল্লাহকে ভয়কারী ন্যায়পরায়ণ বিবেকবান কেউ কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিষ্যদেরকে (সাহাবাদেরকে) অজ্ঞ ভাবতে পারে?!
হে সম্মানিত পাঠক!
তাড়াহুড়া না করে এ আয়াতের প্রতি বিশেষ নজর দিন, এর অর্থের প্রতি একটু চিন্তা ভাবনা করুন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তিনিই উম্মীদের (উম্মী দ্বারা আরবের লোকদেরকে বুঝানো হয়েছে) মাঝে একজন রাসূল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে, যে তাদের কাছে তেলাওয়াত করে তাঁর আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করে এবং তাদেরকে শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত। যদিও ইতঃপূর্বে তারা স্পষ্ট গোমরাহীতে ছিল”। [সূরা : আল্-জুমু‘আ: ২]
“এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি তা দান করেন”। [সূরা : আল্-জুমু‘আ: ৪]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্য মহান আল্লাহ তা‘আলার বিরাট নি‘আমত ও অনুগ্রহ। হ্যাঁ, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে দান করেন। আর সাহাবায়ে কিরামগণ এ অনুগ্রহ লাভ করেছেন এবং অন্যদের থেকে তাঁরা অগ্রগামী হয়েছেন।
হ্যাঁ, এটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথে বসবাসকারী তাঁর সম্মানিত সাহাবীদের মাঝে এক গভীর বন্ধন।
তাদের অগ্রভাগে রয়েছেন তাঁর পবিত্র পরিবার বর্গ, মু’মিনদের মাতা তাঁর স্ত্রীগণ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুন্না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে উঠা বসায় হাসি খুশি ও আনন্দ করতেন। তাঁরা ছিলেন তাঁর সেনাবাহিনী, সহযোগী ও তাঁর যোগ্য শিষ্য যারা তাঁর থেকে ইলম গ্রহণ করেছেন। তাদের মাঝে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবন অতিবাহিত করেছেন এবং তাদের মাঝেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
হ্যাঁ, নিশ্চয় যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসেন, তাকে অনুসরণ করেন তাঁরা বিশ্বাস করেন যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আমানত যথাযথ ভাবে আদায় করেছেন এবং রিসালাত সঠিকভাবে পৌঁছেছেন। আল্লাহ তাকে যা আদেশ দিয়েছেন তা তিনি পালন করেছেন। এভাবেই তিনি তাঁর সাহাবীদেরকে ইলম পৌঁছেছেন এবং তাদেরকে পুতঃপবিত্র করেছেন। তাঁরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে সরাসরি কুরআন ও সুন্নহ গ্রহণ করেছেন। আবার তাদের থেকে তাবেয়ী‘গণ গ্রহণ করেছেন। দ্বীনের ব্যাপারে তাদের সততা, ন্যায়পরায়ণতার হুকুম দেয়া এবং এ সাক্ষ্য দেয়া যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ যা নির্দেশ দিয়েছেন তা তিনি সঠিকভাবে পালন করেছেন।
তাদের ব্যাপারে অপবাদ দেয়া মানে তাদের ইমাম, নেতা ও শিক্ষক সাইয়্যেদুল মুরসালিন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অপবাদ দেয়া। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ।
চিন্তা করুন ও ভাবুন
কেননা এখানে ব্যাপারটা অত্যাবশ্যকীয়ভাবে একটি অপরটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এজন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের দোষ অন্বেষণ ও ভুলত্রুটি খোঁজা বা এ সব দোষত্রুটি বর্ণনা করা সব জ্ঞানবানদের ঐক্যমতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরই দোষত্রুটি খোঁজার নামান্তর। নিম্নে এ ব্যাপারে সংক্ষিপ্তভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/426/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।