hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্য

লেখকঃ শাইখ সালেহ ইবন আবদিল্লাহ আদ-দারওয়ীশ

সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা:
প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনার মহান নেতার ব্যাপারে একটু চিন্তা গবেষণা করুন। তিনি সৃষ্টিজগতের সবার আদর্শ ও মডেল। তাঁর সাহচর্য লাভ করেছেন অসংখ্য সহচর ও সাহায্যকারী। প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য, যুদ্ধ, শান্তি, অভাব অনটন ও সাচ্ছন্দ্যতা সব অবস্থায় তারা তাঁর সাথে ছিলেন। তাঁর সাথে শত্রুর সব ধরনের কঠিন পরীক্ষার মোকাবেলায় সঙ্গী ছিলেন। বিপদাপদ ও কষ্ট ক্লেশ এতই কঠিন ছিল যে, মনে হতো প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এ সত্ত্বেও তারা তাঁর থেকে পিছপা হননি বা তাঁকে ছেড়ে যাননি, বরং সর্বাবস্থায় তাকেই অনুসরণ করেছেন।

হ্যাঁ, তাঁরা তাঁর পবিত্র জবান থেকে সরাসরি তাঁর বাণী গ্রহণ করেছেন। প্রতিটি মিনিট ও সেকেন্ড তথা সর্বাবস্থায় তাঁর সাথে ছিলেন। কখনও তাঁর মজলিস ছেড়ে যান নি, বরং তারা তাঁর চুল, থুথু মোবারক পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করতেন। তাদের এ মহান মুরব্বী নিজেই তাদের উপদেশ ও শিক্ষা দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। কখনও সম্মিলিত ভাষণের মাধ্যমে, আবার কখনও ব্যক্তিগত ভাবে উপদেশ প্রদান করেছেন। ভুল ভ্রান্তিকারীর ভুলের সংশোধন করেছেন, আর সৎকর্মশীলের প্রশংসা করেছেন ও উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি তাঁর সর্বাত্মক শক্তি ব্যয় করেছেন। তাদের সুশিক্ষায় তাঁর সব প্রচেষ্টা ও সময় ব্যয় করেছেন। যেসব জিনিসে তাদের কল্যাণ ও স্বার্থ রয়েছে সেসব জিনিস তিনি নিজে করেছেন ও তাদেরকে করতে উৎসাহিত করেছেন, আর যাতে অকল্যাণ ও ক্ষতি আছে সে সব কিছু সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। কোন কিছুই বর্ণনা করতে বাদ দেন নি।

হ্যাঁ, এ মহান অভিভাবক, তাঁর সঙ্গী-সাথী ও তাদের মহব্বতকারীদের সম্পর্ক এবং তাদের মধ্যকার ভালবাসা সম্পর্কে আলোচনা করতে কলম অক্ষম। তারা তাঁর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই পালন করেছেন, তাকে অনুসরণ করেছেন। তাঁর কার্যকলাপ অবলোকন করেছেন, বাণী ও উপদেশ শ্রবণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করেছেন। তারা কোন মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি বিশুদ্ধ উৎস থেকে ইলম গ্রহণ করেছেন।

এত গুণাবলির পরেও কেউ কি বলবে যে, অল্প কিছু সংখ্যক ব্যতীত তাদের অনেকেই পশ্চাদপসরণ করেছে। অর্থাৎ তাঁর শিক্ষা ও উপদেশের দ্বারা অধিকাংশই উপকৃত হয় নি!! সেসব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, তারা অর্থের বিনিময়ে দ্বীনকে বিক্রয় করেছে!! তাহলে সে অর্থ কে নিয়েছে?? কেই বা প্রদান করেছে??

আপনি বলবেন, না, এরূপ কখনও হয় নি, বরং তারা সম্মান ও মর্যাদার কারণে কখনও এরূপ করেননি। তাদের মহান ইমামের সাহচর্যের সম্মান ও খিদমত কি কোন কিছুর সমান হতে পারে? তাহলে তারা কেন পশ্চাদপসরণ করেছে? এর উত্তর আমার জানা নাই।

মূলকথা হলো, নিন্দুকেরা তাদের ন্যায়পরায়নতার ব্যাপারে সমালোচনা করে, তারা মনে করেন, তারা মুত্তাকী নয়। সমালোচকদের সবচেয়ে নিকৃষ্ট সমালোচনা হলো, যারা এ মহান নেতার স্বহস্তে শিক্ষালাভ করল তারা নাকি দূর্বল ঈমানের অধিকারী!! হ্যাঁ, এটা সবচেয়ে মারাত্মক নিন্দা।

আল্লাহর কসম করে আমাকে বলতে পারবে কার মধ্যে দোষ? সে মহান অভিভাবক ও নেতার মধ্যে নাকি যাদের শিক্ষার জন্য তিনি সব কিছু ব্যয় করেছেন, তাদের প্রশংসা করেছেন, তাদেরকে পবিত্র করেছেন ও শিক্ষা দান করেছেন তাদের মধ্যে??

নাকি সে নিন্দুক সমালোচকের মধ্যে দোষ??

উত্তর দিতে তাড়াহুড়া করবেন না, চিন্তা ভাবনা ও গবেষণা করুন!!

মুজাহিদদের ইমামের সাথে তাদের জিহাদের কথা চিন্তা করুন। তাঁর সাথে তারা কিভাবে ধৈর্যধারণ করেছেন! তারা তাদের ধন সম্পদ সব কিছুই ব্যয় করেছেন। এমনকি আল্লাহর কালিমাকে সুউচ্চ করতে তারা নিজেদের নিকটতম আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করেছেন। জিহাদের ময়দান হলো হাতে কলমে শিক্ষার প্রশস্ত ময়দান। তারা তাদের ইমামের সাথে সব ধরনের জিহাদের ময়দানে অংশগ্রহণ করেছেন। নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ, সম্পদের বিরুদ্ধে জিহাদ, দাওয়াতের ক্ষেত্রে জিহাদ ইত্যাদি। সব কল্যাণের কাজে পরস্পর প্রতিযোগিতা করেছেন। পরিশেষে তারা মহান আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন। আল্লাহ তাদের সকলের উপর সন্তুষ্ট। এর পরেও কি তারা আবার পিছনে ফিরে গেছে?? সুবহানাল্লাহ!!

প্রিয় ভাইয়েরা!

ব্যতিব্যস্ত হবেন না, আমার সাথে একটু ধৈর্য ধরে থাকুন। চিন্তা ভাবনার পরে আপনিই ফয়সালা দিন। আপনার জানা শুনার পরে আপনার মতামত সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। আমরা ইনশাআল্লাহ পরবর্তী সংস্করণে আপনার মতামতের ভিত্তিতে আমাদের ভুল হলে ফিরে আসব, কম হলে বাড়াবো আর বেশি হলে মুছে দিব। আমার সাথে আপনার পড়া চালিয়ে যান। চিন্তা ভাবনার পরে ফয়সালা দিন।

আপনি আমার সাথে এ ব্যাপারে একমত যে, এ মহান ইমাম, নেতা, নমুনা, শিক্ষক ও অভিভাবকের ব্যাপারে কোন রূপ অপবাদ বা ত্রুটি দেয়া যায় না, বা তিনি এ সবের ঊর্ধ্বে। এখন যদি ভুল ত্রুটি, গরমিল ও দুর্বলতা তার অনুসারীদের ব্যাপারে বলি, আর যদি বলি যে, তাদের অধিকাংশই খিয়ানতকারী ছিলেন এবং নেতার দ্বারা কোন উপকৃত হয় নি ইত্যাদি অপবাদ যা আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি, তাহলে নিঃসন্দেহে তাদের এসব অপবাদ পক্ষান্তরে তাদের মহান নেতার উপরই বর্তাবে। বিশেষ করে যখন তারা বলে যে, নেতার বিশেষ সান্নিধ্যপ্রাপ্ত ও যারা তাঁর মজলিসে বসত তাদের মাঝে অজ্ঞতা ও খিয়ানত ছিল। তারা তাকে দেয়ালের মতো চারিদিকে ঘিরে রাখত, তারাই ছিল তাঁর পরিবার পরিজন ও উপদেষ্টামন্ডলী।

আর যখন আমরা সমালোচনা বর্ণনাকারীর সনদ বা সরাসরি সমালোচকদের প্রতি দোষ ত্রুটি নিক্ষেপ করব তখন দেখব এটাই সঠিক। তারাই প্রকৃত দোষী ও অপরাধী। বিষয়টি স্পষ্ট করতে নিন্মে এ ব্যাপারে কিছু উদাহরণ পেশ করলাম।

ঐতিহাসিকদের সর্বসম্মত মতানুসারে, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর বিরুদ্ধে তাঁর দলের মধ্য থেকে একদল লোক বের হয়েছিল, যাদেরকে “আল-খাওয়ারিজ” নামে অভিহিত করা হয়। তাদের সাথে আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর দীর্ঘ আলোচনা ও পর্যালোচনার পরেও তারা যখন নিরপরাধ মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঁড়ালো এবং আব্দুল্লাহ ইবন খাব্বাবকে হত্যা করল তখন তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন।

সুতরাং এ দলটির কারণে আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে কি দোষারোপ করা যাবে? যারা তার কাছে বাই‘য়াত গ্রহণ করেছেন এবং তাকে মুসলমানদের খলিফা হিসেবে মেনে নিয়েছেন, অতঃপর তার সাথে যুদ্ধে শরিক হয়েছেন তাদেরকে কি ঐ সীমালঙ্ঘনকারী দলের কারণে দোষারোপ করা যাবে?

একথা কি বলা যাবে যে, আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কাছে যারা বাই‘য়াত গ্রহণ করেছে তারা সকলেই কাফির বা ফাসিক বা অজ্ঞ বা আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর মৃত্যুর পরে তার সাথে খিয়ানত করেছেন ইত্যাদি দোষে দোষী তো শুধু এমন একটি দলের জন্য, যাদের বের হওয়া সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগেই সতর্ক করেছেন, তাদের মধ্যে সুস্পষ্ট আলামত ছিল এবং তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বেরিয়ে গেছে যেমনভাবে ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়।

প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা:

আপনি আমার সাথে একমত হবেন যে, আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে সমালোচনার মাধ্যমে উপদেশ দেয়া এখানে সম্ভব নয়, এমনিভাবে যারা তার কাছে বাই‘য়াত গ্রহণ করেছেন তাদেরকে সত্য ও ন্যায়ের পথ থেকে দূরে সরে যাওয়ার অপবাদ দেয়া ও তারা মারাত্মক বিদ‘আতে লিপ্ত হয়েছেন একথা বলাও সম্ভব নয়। বরং আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাতে বাই‘য়াত নেয়া ছিল সর্বসম্মত বিষয়, এ ব্যাপারে কোন বিতর্ক নেই। সুতরাং যারা ইমাম আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বা তার হাতে বাই‘য়াত গ্রহণকারীদের ব্যাপারে সমালোচনা করবে পক্ষান্তরে তাদের সমালোচনা তাদের দিকেই ফিরবে এবং তারাই সঠিক পথ থেকে সরে যাবে। এরপরেও যারা লৌককতা ও নিজেকে বিখ্যাত করার মানসে সমালোচনা করতে চান তাদের উচিত আগে ঘটনার সনদের দিকে খেয়াল করা। কেননা ইসলামের এ মহান ইমাম আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর বিরুদ্ধে যে সব সমালোচনা করা হয় তা সবার মতে মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসা রটনা। এটা সকলের কাছেই একেবারেই স্পষ্ট।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন