মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইবনে সাদ বলেন- আবদুল আজীজ ইবনে মারওয়ান যখন ওমরের মাকে বিবাহ করতে ইচ্ছা করেন, তখন তিন তার সচিবকে ডেকে বললেন, আমর পবিত্র আমদানী থেকে চারশত দিনার সংগ্রহ করুন, আমি পণ্যবান ও উচ্চ ঘরে একটি বিবাহ করতে ইচ্ছা করেছি। (তাবাকাতে ইবনে সাদ, ৫ম খণ্ড, পৃ.৩৪৫)
ইবনুল জাওযিও ইবনে সাদের উদ্বৃতি দিয়ে তার কিতাবে এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন। (ইবনে জওযি ৫ম খণ্ড)
ইবনুল জাওযি বলেন- এ পূণ্যবান উচ্চ ঘর ছিল হযরত ওমর ফারুক (রা)-এর বংশ। উম্মে আসেম ছিলেন হযরত ওমর ফারুক (রা)-এর পুত্র হযরত আসেম (রা)-এর কন্যা। তারপর তিনি আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ থেকে একটি মৌখিক ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছেন। মিশরের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনুল হাকাম এ ঘটনাটি আবদুল্লাহ ইবনে ওয়াহহাব থেকে বর্ণনা করেছেন। ঘটনাটি হল-
হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা) তাঁর খেলাফতের সময় দুধে পানি মিশানো নিষেধ করে একটি আদেশ জারি করেছিলেন। এক রাত্রে তিনি মদীনার ওলি-গলি ঘুরে দেখতে বের হলেন। তখন একটি স্ত্রীলোক তার মেয়েকে বলছিল, সকাল হয়ে গেল, তুমি দুধে পানি মিশাও না কেন? বালিকা উত্তর করল, আমি কিভাবে দুধে পানি মিশাব? খলীফঅ ওমর (রা) যে দুধে পানি মিশাতে নিষেধ করেছেন! মা বলল, লোকে পানি মিশায়, তুমিও মিশিয়ে নাও। খলীফা কিভাবে জানবেন? বালিকা বলল, ওমর (রা) যদিও না জানে, কিন্তু ওমরের আল্লাহর নিকট এটা গোপন থাকবে না। খলীফা হযরত ওমর (রা) যে কাজ করতে নিষেধ করেছেন, আমি কখনও তা করব না।
ইবনে আবদুল হাকাম বলেন- খলীফা হযরত ওমর (রা) এ কথোপকথন শুনতে পেয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলেন। পরদিন সকালে তিনি তার পুত্র আসেমকে ডেকে এনে বললেন, বৎস! অমুক স্থানে গিয়ে এ বালিকাটির সন্ধান করে আস। তিনি সে বালিকার গুণাবলি বলে দিলেন। আসেম সেখানে গিয়ে অনুসন্ধান করে জানতে পারলেন যে, উক্ত বালিকাটি হেলাল গোত্রের কোন একজন বিধবার কন্যা। আসেম ফিরে এসে পিত হযরত ওমর (রা)-এর নিকট বিস্তারিত বর্ণনা করলেন। হযরত ওমর (রা) তাকে এ বালিকাকে বিবাহ করতে নির্দেশ দিয়ে বললেন, হয়তঃ এ বালিকার গর্ভেই এমন এক মনীষী জন্মগ্রহণ করবেন, যার জন্মে সমস্ত আরব গর্ববোধ করবে, যিনি আরবেমর মান-মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং সমস্ত আরবের নেতৃত্ব দিবে।
আসেম এ বালিকাকে বিয়ে করে স্ত্রীরূপে বরণ করে নিলেন। এ বালিকাই পববর্তীকালে মুসলিম জাহানের গৌরব হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজীজ (র)-এর মাতা উম্মে আসেমকে গর্ভে ধারণ করে বিশ্বে অমর হয়ে রয়েছেন। আবদুল আজীজ উম্মে আসেমকে বিবাহ করলেন, তাঁর গর্ভেই জন্মগ্রহণ করলো ইতিহাসে আলোড়ন সৃষ্টিকারী শাসক হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজীজ (র)।
ইবনে আবদুল হাকাম এ ঘটনা বর্ণনা করার পর লিখেছেন, মিশরের রাজা আজীজ মিশর হযরত ইউসুফ (রা) কে দেখে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন পরবর্তীকালে তা অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হয়েছিল। আর হযরত ওমর ফারুক (র) এ বালিকাকে দেখে মন্তব্য প্রকাশ করেছিলেন, পরবর্তীকালে তাও অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হয়েছিল।
ইবনে আবদুল হাকামের টীকায় এ বালিকার নাম ‘রাইলা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু শায়খুল কবীর মুহিউদ্দীন আল-আরাবী তার নাম ‘কাবীরা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ইবনুল জাওযির বর্ণনাও প্রায় একই ধরনের। অবশ্য তার এ বর্ণনাটি কিছুটা ভিন্ন ধরনের এবং প্রসঙ্গে সাথে সর্বাধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাহল-
তারপর হযরত ওমর (রা) তদীয় খাস খাদে আসলামকে বললেন, সেস্থানে গিয়ে দেখ, যারা এ ধরনের কথোপকথন করেছিল, তারা কে? তাদের কোন পুরুষ লোক আছে কিনা।
আসলাম বলেন, আমি সেস্থানে এসে এদিক ওদিক খোঁজ নিয়ে দেখলাম একটি কুমারী বালিকা এবং তার বিধবা মাতা ছাড়া তাদের সংসারে আর কোন পুরুষ নেই। আমি তাদের এ অবস্থা দেখে হযরত ওমর (রা) –এর নিকট বিস্তারিত বিবরণ দিলাম। তখন খলীফা হযরত ওমর (রা) তদীয় পুত্রগণকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের কারও স্ত্রীর প্রয়োজন আছে কি যে, আমি এ বালিকার সাথে তার বিবাহ দিব? আবদুল্লাহ বললেন, আমার স্ত্রী আছে, সুতরাং আমর দ্বিতীয় স্ত্রীর কোন প্রয়োজন নেই। আবদুর রহমানও অনুরূপ উত্তর করলেন। তখন আসেম নিবেনদ করলেন, পিতা! আমার কোন স্ত্রী নেই, আমার নিকট তাকে বিবাহ দিন। তারপর ওমর (র) সে বালিকাকে ডেকে আনালেন এবং আসেমের সাথে তাকে বিবাহ দিলেন।
আমরা এজন্য এ বর্ণনাটি উদ্ধৃত করলাম, যেহেতু এটা পূর্বোক্ত বর্ণানার চেয়ে অধিকসামঞ্জস্যপূর্ণ ও যুক্তিসঙ্গত। তদুপরি এটা হযরত ওমর (রা)-এর খাস খাদেম স্বয়ং আসলামের মৌখিক বর্ণনা। মা ও মেয়ের কথোপকথনের সময় আসলামও হযরত ওমর (রা)-এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি তাঁকেই এটা অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, আসেমকে দেননি।
এ বালিকা যাকে হযরত ওমর (রা) তার পুত্র বধুরূপে গ্রহণ করলেন, তিনি ছিলেন হেলাল গোত্রের এক বিধবার কন্যা। মা-মেয়ে দুধ বিক্রয় করে জীবিকা চালাতো। সম্পূর্ণ দৈবক্রমেই হযরত ওমর (রা) এ ঘটনার সাথে পরিচিত হয়েছিলেন।
ইবনুল জাওযির বর্ণনা অনুযায়ী এ বালকার গর্ভে আসেমের ঔরসে দু’জন কন্যা জন্মগ্রহণ করেন, তাদের একজনকে আবদুল আজীজ বিবাহ করেন এবং তার গর্ভেই জন্মগ্রহণ করেন হযরত ওমর ইবনুল আবদুল আজীজ (র)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/441/14
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।