hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ওমর ইবনে আবদুল আজীজ

লেখকঃ রশীদ আখতার নদভী

৩০
অমুসলিম সংখ্যালঘু
ঐতিহাসিক ইবনে সা’দ বলেন-

রাবিকাশ শাওমি বলেন যে, একবার আমি হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি ডাকের ঘোড়ায় আরোহণ করে যাত্রা করলাম। পথিমধ্যে সিরিয়ার কোন এক স্থানে আসার পর উক্ত ঘোড়াটি মারা গেল। আমি কোন এক নাবতির নিকট হতে বিনা ভাড়ায় একটি ঘোড়া নিয়ে খানাজেরায় এসে হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের নিকট হাজির হলাম।

তিনি আমাকে জিজ্ঞাস করলেন যে, মুসলমানদের পালকের খবর কি? আমি জিজ্ঞেস করলাম, পালক দিয়ে আপনি কি বুঝাচ্ছেন? তিনি বললেন ডাক। আমি বললাম, অমুক স্থানে এসে ডাকের ঘোড়াটি মারা গিয়েছে। তিনি জিজ্ঞাস করলেন, তাহলে তুমি কিভাবে এসেছো? আমি বললাম, এক নাবতীর কাছে হতে বিনা ভাড়ায় একটি ঘোড়া নিয়ে এসেছি। হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ বললেন, আমার রাজত্বে তোমরা বেকার খাটাও? এরপর তিনি আমাকে চল্লিশটি বেত্রঘাত করতে নির্দেশ দিলেন এবং আমাকে চল্লিশটি বেত্রাঘাত করা হলো।

এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, সমস্ত নাবতীর কথা উক্ত ঘটনায় উল্লেখ করা হয়েছে- তারা যিম্মি বা কোন অমুসলিম ছিল না।

তার নিকট হতে বিনা ভাড়ায় ঘোড়া নেয়ার অপরাধে হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ তার একজন বিশ্বস্ত কর্মচারীকে চল্লিশটি বেত্রাঘাত করলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে যা পেশ করতে সক্ষম নয়। কিন্তু হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের শাসনামলে এ জাতীয় দৃষ্টান্তের অভাব নেই।

তিনি রাষ্ট্রের সর্বত্রই শুধু বেকার প্রথাই বাতিল করেননি বরং শুধু জিযিয়া ও খেরাজ অবশিষ্ট রেখে তিনি কর রহিত করে দিয়েছিলেন এবং জিযিয়া আদায়েও চুড়ান্ত ইনসাফের প্রতি লক্ষ্য রেখেছিলেন। শুধু এ জাতীয় লোকদের নিকট হতেই এ উভয় প্রকার কর আদায় করা হত যারা এটা আদায় করতে সম্পূর্ণ সক্ষম ছিল। অর্থাৎ যারা স্বাস্থ্যবান, উপার্জনক্ষম তারাই জিযিয়া দিত। আর একমাত্র শষ্য উৎপাদন উপযোগী জমিরই ভূমিকর গ্রহণ করা হত।

শষ্য উৎপাদন অনুপযোগী অথবা আনাবাদী জমি আবাদ উপযোগী হওয়ার পূর্বে ভূমিকর আদায় করা হতো। এ ব্যাপারে হযরত ইবনে আব্দুল আজিজ একটি বস্তবাধর্মী নির্দেশ দিয়ে সে অনুযায়ী কর্মতৎপরতা গ্রহণ করার জন্য শাসকদেরকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং সে নির্দেশ এটা স্পষ্ট ব্যক্ত করেছিলেন যে, এমন কোন জমি হতে কর আদায় করা যাবে না, যা শষ্য উৎপাদনে উপযোগী নয়।

শষ্য উৎপাদনে অনুপযোগী জমি সরকারী ব্যয়ে সংস্কার করে শষ্য উৎপাদন উপযোগী হলে পর তা হতে কর আদায় করা হত এবং কর আদায়েও কোন প্রকার জুলুম নির্যাতনের নাম গন্ধ থাকত না। ইবনে সাদ বলেন, তিনি ইরানের শাসনকর্তা আদী ইবনে আরতাতকে লিখেছিলেন, যিম্মি অথবা অমুসলিম প্রজাদের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করবে।

তাদের যদি কেউ বার্ধক্যে উপনীত হয় এবং তার কোন মাল না থাকে তাহলে সরকারী কোষাগার হতে তাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে।

যে সকল যিম্মি রুগ্ন, আতুর, পঙ্গু বা অন্য কোন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতো তাদের সম্পর্কে এরূপ নির্দেশ ছিল।

হযরত ওমর ইবনে আব্দুর আজিজ কখনও ইসলামের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। আল মাওয়ারিদের ভাষ্য অনুযায়ী জিযিয়া সম্পর্কে তার সিদ্ধান্ত ছিল যে, যে সমস্ত লোক সুস্থ, সামর্থবান, বুদ্ধিমান এবং স্বাধীন তাদের নিকট হতেই শুধু জিযিয়া আদায় করা হবে।

দরিদ্র বা যে কোন কাজ করতে অসমর্থ বা যারা কাজ পায় না বেকার তারা জিযিয়া হতে মুক্ত ছিল। অন্ধ, খঞ্জ এবং অন্যান্য রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে জিযিয়া হতে রেহাই দেওয়া হয়েছিল। গীর্জার পাদ্রিদের নিকট হতে কোন জিযিয়া আদায় করা হত না।

কাজী আবু ইউসুফ এবং ইয়াহইয়া ইবনে আদাম বলেন যে, জিযিয়া ধার্য্য এবং তা আদায়ের জন্য নাগরিকদেরকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছিল।

সাধারণ নাগরিক- বার্ষিক ১২ দেরহাম (বর্তমান হিসেবে মাসিক চার বা আট আনা)। মধ্যম- ২৪ দেরহাম বার্ষিক (মাসিক আট আনা বা এক টাকা)।

ধনী ব্যক্তি- বার্ষিক ৪৮ দেরহাম (মাসিক একটাকা বা দুই টাকা)।

হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের নির্দেশক্রমে ইসলামের বুনিয়াদি মূলনীতি রাষ্ট্রে সর্বত্রই অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালিত হয়েছিল। ইবনে সাদের ভাষ্য অনুযায়ী শুধু একটি স্থানের লোক হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের নিকট অভিযোগ করেছিল যে, তার একজন কর্মকর্তা তাদের প্রতি কঠোর ব্যবহার ও অত্যাচার শুরু করেছে।

খলীফা তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, আমার এই চিঠি পাওয়া মাত্রই লোকের উপর সকল প্রকার নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ করে দিবে- আমি এটা পছন্দ করি না।

কোন যিম্মি অমুসলিম নাগরিকের প্রতি কোন প্রকার অন্যায় অবিচারও তিনি পছন্দ করতেন না। যদি কোন মুসলমান কোন যিম্মির উপর কোন প্রকার জুলুম করত অথবা কোন নৈতিক অপরাধ করত তখণ তিনি ইসলামের বিধান অনুযায়ী তার শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করতেন।

এখানে উল্লেখযোগ্য যে, একবার তিনি জানতে পারলেন যে, হিরার কোন মুসলমান একজন যিম্মিকে অনর্থক হত্যা করেছে। তিনি সেখানকার শাসকেকে নির্দেশ দিলেন যে, হত্যাকারীকে নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসদের নিকট সোপর্দ করে দাও এবং তাদেরকে এ অধিকার দাও “তার সাথে তারা যা ইচ্ছা করতে পারবে। ইসলামের দন্ডবিধি যে, প্রত্যেক হত্যাকারীকে নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসদের নিকট হাজির করা হবে যদি তারা ইচ্ছা করে তাহলে তাকে হত্যা করতে পারে বা নগদ রক্তপণ গ্রহণ করে ক্ষমাও করে দিতে পারে। অতএব উক্ত ঘটনায় যিম্মিগণ হত্যাকারী ব্যক্তিকেও হত্যা করেছিল।

হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের নিকট মুসলমান অমুসলমান আইনের দৃষ্টিতে সকলই সমান ছিল। এমনকি তাঁর ছেলে অথবা নিকট আত্মীয় যদি অপরাধী এবং কোন অমুসলিম প্রজা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করত কখন তিনি আত্মীয় হিসেবে তার প্রতি কোন গুরুত্ব দিতেন না উভয়কে একই কাতারে দাঁড় করাতেন।

একবার তাঁর স্ত্রীর ভাই এবং সিংগ পুরুষ খলিফা আব্দুল মালেকের পুত্র মুসলিমার সাথে এক ঈসায়ীর ঝগড়া হয়েছিল তারা উভয়ে হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের নিকট অভিযোগ করতে আসল। মুসলিম তার পদ-মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য করেই আসনে উপবেসন করল।

ইবনে জাওযি বলেন, তখন হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ বললেন, তোমার প্রতিপক্ষ আমার সামনে দন্ডায়মান, আর তুমি আসনে উপবিষ্ট! তুমি ইচ্ছা করলে তোমার পক্ষে উকীল নিযুক্ত করতে পার, কিন্তু বসার অধিকার পাবে না। এ কথা বলে তিনি মুসলিমাকে উঠিয়ে দিলেন। মনে হয় মুসলিমা তার দরবারে আসলে প্রথা অনুযায়ী স্বাভাবিক ভাবে তিনি তাকে বসতে দিয়েছিলেন।

কিন্তু যখন যে মুকদ্দমা দায়ের করল, তখন তিনি তাকে উঠিয়ে দিলেন। কারণ ইসলামের বিধানানুসারে বাদী-বিবাদী উভয়ে সমান। কারোও কোন আলাদা বৈশিষ্ট্য নেই।

ইবনে জওযি বলেন, মুসলিমা উঠে গিয়ে অভিযোগের প্রতি পক্ষের বিরুদ্ধে একজন উকীল নিযুক্ত করল। উকীল বিবাদীর মত তার সামনে দাঁড়িয়ে তার বক্তব্য পেশ করল। খলিফা উভয়ের বক্তব্য শুনলেন এবং যেহেতু মুসলিমার প্রতিপক্ষের দাবীতে যুক্তি ছিল কাজেই তিনি তার শ্যালকের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করলেন।

ইবনে জওযি আরও বলেন, হেমছের এক বৃদ্ধ যিম্মি খলিফার নিকট উপস্থিত হয়ে খলিফার ভ্রাতুস্পুত্র আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করল যে, সে তার জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ আব্বাছের নিকট এর কারণ জিজ্ঞাস করলে সে বলল যে, আমি এ দলিলের মাধ্যমে তার মালিক হয়েছি।

হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ব্যতীত অন্য কোন শাসকর্তা হলে হয়ত এ দলিলের সম্মান করে সেটা আইন সিদ্ধ মনে করত এবং যিম্মিকে ফিরিয়ে দিত। কিন্তু ন্যায়পরায়ণ খলিফা প্রকৃত তথ্য জেনে যিম্মিকে নিরাশ করলেন না বরং উক্ত জমি আব্বাছের নিকট হতে ফেরত নিয়ে যিম্মিকে প্রদান করলেন। ইবনে জওযি এ ঘটনা ব্যক্ত করার পর বলেন যে, তাঁর বা তাঁর পরিবারবর্গের নিকট জুলুমের যে সমস্ত মালামাল ছিল, তিনি তা সব কিছুই প্রকৃত মালিকদেরকে ফেরত দিয়েছিলেন।

ইবনে জাওযি আরও বলেন, একবার জনৈক যিম্মি কৃষক এসে তাঁর নিকট অভিযোগ করল যে, তার এক সৈন্য বাহিনী তার শষ্যক্ষেতের উপর দিয়ে অতিক্রম করার ফলে তার সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ তাকে দশ হাজার দেরহাম ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে আদেশ করলেন এবং নির্দেশ দিলেন, যাতে এই জুলুম আর কখনও না হয়।

ঐতিহাসিক বালুজুরী এ প্রসঙ্গে আরও দু‘ একটি উদাহরণ পেশ করেছেন, তার মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছিল যখন দামেস্কের খৃষ্টানরা অভিযোগ করল যে, বনু নছর বংশের দখলকৃত সমস্ত গীর্জাই তাদের সম্পত্তি। এগুলো তারা ফেরত পেতে চায়। আর তার প্রমাণ হিসেবে হযরত খালেদ (রা) এর ঐতিহাসিক চুক্তিপত্র দাখিল করল। হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ এ চুক্তিপত্র দেখে বুঝলেন যে, তাদের অভিযোগ যথার্থ। সুতরাং তিনি এ গীর্জাসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট জমিও তাদেরকে দিয়ে দিলেন। অনুরূপ অপর একটি জায়গীর গীর্জার বলে দাবী করা হল, এবং এটা গীর্জার সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ এ ক্ষেত্রে ঈসায়ীদের দাবী মেনে নিয়ে মুসলমান জায়গীরদারের নিকট হতে জায়গীরটি খৃষ্টানদেরকে ফেরত দেওয়ার আদেশ দিলেন।

হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ঈসায়ীও অন্যান্য যিম্মিদেরকে যে সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছিলেন এতে তারা বিশেষভাবে আবিভূত হয়ে পড়েছিল। তারা তার নিকট এমন কতগুলি সমস্যা তুলে ধরল, যেগুলো তাঁর পূর্ববর্তী খলিফাগণ চুড়ান্ত মীমাংসা করেছিলেন। যেমন দামেস্কের ইউহান্না গীর্জার ব্যাপারেও খৃষ্টানরা নতুন করে হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের নিকট দাবী উত্থাপন করল। ব্যাপারটি খুবই জটিল ছিল। বিচার-বিশ্লেষণে খৃষ্টানদের দাবী যথাযথ প্রমাণিত হল। ওয়ালিদ গীর্জার যে অংশে মসজিদ নির্মাণ করেছিল তা হযরত খালেদ কর্তৃক বিজয়ের সময় যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল সেই অনুযায়ী তা খৃষ্টানদের অধিকারে ছিল। মুসলমান জনসাধারণ হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের ইনছাফের কথা বিবেচনা করে তাদের উকীল দাঁড় করাল। উকীলরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল যে, দামেস্কের বাইরে সমস্ত গীর্জাই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নয়। যেমন দায়ের মারানের গীর্জা, তুমা রাহেব ইত্যাদি গীর্জা সমূহ হযরত খালেদ ইবনে ওয়ালিদের সাথে খৃষ্টানদের সম্পাদিত চুক্তিতে উল্লেখিত হয়নি। মুসলমান উকীলগণ আরও বললেন, যদি চুক্তি কার্যকরী করতেই হয় তাহলে আমরা সমস্ত গীর্জাই ফেরত দিব, তোমরা এই ইউহান্না গীর্জার যে অর্ধেকের উপর মসজিদ নির্মিত হয়েছে তার দাবী ত্যাগ কর। কথাটি খুব যুক্তি সঙ্গত ছিল। হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ খৃষ্টানদের নিকট এ প্রস্তাব করলেন। তারা তিন দিনের সময় চেয়ে নিল এবং চতুর্থ দিনে এসে এ শর্তে তাদের দাবী পরিত্যাগ করল যে, বাইরের সমস্ত গীর্জায় তাদের অধিকার স্বীকৃত হবে এবং এ ব্যাপারে একটি লিখিত চুক্তিও সম্পাদন করতে হবে।

হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ তাদেরকে একটি চুক্তিপত্র লিখে দিলেন, সমস্যা সমাধান হয়ে গেল। যদি এভাবে এই সমস্যার সমাধান না হত তাহলে তিনি অনর্থক মসজিদ ধ্বসিয়ে দিতেও কোন প্রকার ইতস্ততঃ করতেন না।

যিম্মিদের সম্পর্কে তিনি খুরাসানের শাসনকর্তা উকবার নিকট যে পত্র লিখেছিলেন, তা দিয়ে যিম্মিদের সম্পর্কে তার অনুসৃত নীতি স্পষ্ট হয়ে যায়। আমরা পাঠকদের অবগতির জন্য নিম্নে উক্ত পত্রের মর্মার্থ উল্লেখ করলাম। ভূমিকর আদায়ের ভদ্রতা ও ন্যায়ের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। কখনও বাড়াবাড়ি করবে না। যদি এরূপ কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান করার মত অর্থ আদায় হয়ে যায় তবেই যথেষ্ট। আর তা না হলে আমার কাছে পত্র পাঠাবে আমি কেন্দ্র হতে অর্থের ব্যবস্থা করব।

লক্ষণীয় বিষয় হলো, তার পূর্বকার উমাইয়া শাসনকর্তাগণ যেখানে কর বৃদ্ধি করতে প্রশাসকদেরকে নির্দেশ দিতেন এবং এটা সুলায়মান পর্যন্তই পালিত হয়ে আসছিল এবং অত্যন্ত অন্যায়ভাবে কর বৃদ্ধি করা হত। যিম্মিদের প্রতি তাদের কোন সহানুভূতিই ছিল না। সে ক্ষেত্রে হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ সে আমদানী এ পরিমাণ হৃাস করতেও রাজি ছিলেন যাতে কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও চলত না। তার মতে দেশে ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করাই সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য, অর্থ উপার্জন বা আমদানী বৃদ্ধি নয়। যেসব শাসক ও আদর্শ অনুসারণ করেন তারা আমদানীর হ্রাস বৃদ্ধির প্রতি লক্ষ্য করেন না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন