hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ওমর ইবনে আবদুল আজীজ

লেখকঃ রশীদ আখতার নদভী

২৮
হযরত আলী (রা)-এর গোত্র
হযরত ফাতেমার কথাই ছিল এর সাক্ষ্য, তিনি বলেন ওমর ইবনে আবদুল আজিজের খেলাফতের যুগে একদা আমি তাঁর নিকট গমন করছিলাম। তিনি তাঁর কক্ষ হতে পরিষদ ও প্রহরী সকলকে বের করে দিলেন, শুধু তার কক্ষে তিনি ও আমি ছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, হে আলীর কন্যা! আল্লাহর কস! দুনিয়ায় তোমার বংশের চেয়ে আমার নিকট অধিক প্রিয় আর কোন বংশ নেই, এমনকি তোমার পরিবার আমার পরিবার পরিজন হতেও আমার নিকট বেশি প্রিয়।

তিনি ফাতেমার নিকট মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত কিছুই বলেননি। তাঁর নিকট এ বংশ বাস্তবিকই তাঁর বংশের চেয়েও বেশি প্রিয় ছিল। খেলাফত লাভের পর তারা আরও অধিক প্রিয়তর হয়েছিল। তিনি তাঁদের সাথে সকল প্রকার যোগ-সূত্র রক্ষা করে তাঁদের কসল প্রকার অধিকার আদায় করে দিলেন। এমনকি ফাতাকে বাগানটিও তাদের ফিরিয়ে দিলেন- যার আমদানী ছিল বার্ষিক দশ হাজার দীনার। আর সবসময় আহলে বাইতের সদস্যগণ এটা লাভ করতে আশান্বিত ছিলেন। এর জন্যই হযরত ফাতেমা (রা) হযরত আবু বকর (রা)-এর সাথে মনোমালিন্য হয়েছিল। অবশ্য হযরত আবু বকর (রা) এ বাগান তাদেরকে অর্পন না করে তার কর্তৃত্ত্বাধিনে রাখলেন এবং মহানবী (ﷺ) যে প্রকারে এর আমদানী ব্যয় করতেন তিনি তাই করলেন।

হযরত ফাতেমা (রা)-এর পর আহলে বাইতগণ এ ফাদাক নামক বাগানটি তাদের অধিকার বলেই মনে করতেন।

বাইতুল মাল হতে ভাতা নির্ধারণ প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে যে, হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ খলীফার পদে আসীন হয়েই দশ হজার দীনার মদীনায় পাঠিয়ে দিলেন এবং মদীনার শাসনকর্তা ইবনে হাজমকে সমুদয় অর্থ হাশিম বংশীয়দের জন্য ব্যয় করতে নির্দেশ দিলেন।

পূর্বে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্ত্রী-পুরুষ, বালক-বৃদ্ধ নির্বিশেষে বনু হাশিমের প্রত্যেক ব্যক্তিই এ দশ হাজার দীনার হতে ৫০ দীনার করে পেয়েছিলেন।

হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ যখন তাঁদের প্রতি এরূপ দয়ার হাত প্রসারিত করলেন, তখন হযরত হুসাইন (রা)-এর কন্যা হযরত ফাতেমা খলিফাকের লিখলেন, আপনি আল্লাহর রাসূলের পরিবার পরিজনকে সাহায্য করে এ উপকার করেছেন যে, তাদের যার খাদেম ছিল না, সে খাদেমের ব্যবস্থা করেছে, যার কাপড়ের ব্যবস্থা ছিল না সে কাপড় খরিদ করেছে এবং যার নিকট ব্যয় করার কোন অর্থই ছিল না, এটা দিয়ে সে তার দৈনন্দিন খরচের ব্যবস্থা করেছে।

ইবনে সাদের অপর এক বর্ণনায় আছে যে, হযরত ফাতেমার এ চিঠি নিয়ে বাহক যখন হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজের দরবারে আসল তখন তিন কাসেদকে দশ দীনার পুরস্কার দিলেন এবং ফাতেরম প্রয়োজনীয় খরচের জন্য আর পাঁচশত দীনার কাসেদের নিকট দিয়ে দিলেন।

হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজের সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ এটাই যে, তিনি বনু হাশিম ও বনু উমাইয়াদের পারিবারক গোত্রীয় গোঁড়ামীর বিষময় প্রতিক্রিয়া দূর করে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে চেষ্ট করেছিলেন এবং বনু হাশিমগণকে সে জাতির শ্রেষ্ঠতর সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন।

এ অর্থ ছাড়াও প্রত্যেক হাশিম বংশীয়গণ পঞ্চাশ দীনার ভাতা পেতেন। হযরত যুল কুরবার (রাসূলের নিকট আত্মীয়) নির্ধারিত পঞ্জমাংশ হতে এ ব্যবস্থা করে তাদের দীর্ঘদিনের অভাব দূর করে তাদেরকে বিত্তশালী করে দিয়েছিলেন।

ইবনে সাদ বলেন, হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ যখন তাদের প্রতি এরূপ অনুগ্রহের হস্ত প্রসারিত করলেন, তখন বনু হাশিমগণ এক সাধারণ সমাবেশের ব্যবস্থা করে হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজের এ সব কাজের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে খলিফার নিকট একজন দূত প্রেরণ করলেন।

হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ তাদেরকে উত্তরে লিখলেন, আমি যদি জীবিত থাকি তবে তোমাদের সকল অধিকার ফিরিয়ে দেব।

এটা বাস্তব সত্য যে, হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ তাদের সমস্ত অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এবং তাঁদের উপর কোন প্রকার জোর-জুলুম করেননি, এমনকি তাদের অল্প বয়স্ক বালকদের অধিকারের প্রতিও সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন