hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্তরের আমল ইখলাস

লেখকঃ মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জেদ

ইখলাসের আদেশ কুরআনে করীমে ইখলাস:
আল্লাহর তা‘আলা তার কিতাবের একাধিক জায়গায় তার বান্দাদের ইখলাস অবলম্বন করার নির্দেশ দেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَآ أُمِرُوٓاْ إِلَّا لِيَعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مُخۡلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ حُنَفَآءَ وَيُقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَيُؤۡتُواْ ٱلزَّكَوٰةَۚ وَذَٰلِكَ دِينُ ٱلۡقَيِّمَةِ ٥﴾ [ البينة : ٥ ]

“আর তাদেরকে কেবল এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর ‘ইবাদাত করে তারই জন্য দীনকে একনিষ্ঠ করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়; আর এটিই হল সঠিক দীন”। [সূরা আল-বায়্যিনাহ, আয়াত: ৫]

আল্লাহ তা‘আলা তার নবী মুহাম্মাদ সা. কে ইবাদতে মুখলিস বলে দাবী করার নির্দেশ দেন এবং বলেন-

﴿ قُلِ ٱللَّهَ أَعۡبُدُ مُخۡلِصٗا لَّهُۥ دِينِي ١٤ ﴾ [ الزمر : ١٤ ]

বল, ‘আমি আল্লাহর-ই ইবাদত করি, তারই জন্য আমার আনুগত্য একনিষ্ঠ করে’। [সূরা যুমার, আয়াত: ১৪]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿ قُلۡ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحۡيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٦٢ لَا شَرِيكَ لَهُۥۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرۡتُ وَأَنَا۠ أَوَّلُ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ١٦٣ ﴾ [ الانعام : ١٦٢، ١٦٣ ]

বল, নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু আল্লাহর জন্য, যিনি সকল সৃষ্টির রব। তার কোনো শরীক নেই এবং আমাকে এরই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আর আমি মুসলিমদের মধ্যে প্রথম’। [সূরা আনআম, আয়াত: ১৬১, ১৬২]

আল্লাহ তা‘আলা তার নিজের সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, তিনি মানুষের হায়াত ও মওতকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তিনি মানুষকে পরীক্ষা করেন, তাদের মধ্যে উত্তম ও সুন্দর আমলকারী কে? আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ٱلَّذِي خَلَقَ ٱلۡمَوۡتَ وَٱلۡحَيَوٰةَ لِيَبۡلُوَكُمۡ أَيُّكُمۡ أَحۡسَنُ عَمَلٗاۚ وَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡغَفُورُ ٢﴾ [ الملك : ٢ ]

“যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল”। [সূরা মুলুক, আয়াত: ২]

ফুদাইল ইবনু আয়াদ্ব রহ. সুন্দর আমল সম্পর্কে বলেন, “সেটা হচ্ছে, বেশি ইখলাস অবলম্বনকারী ও সঠিক আমলকারী। লোকেরা তাকে জিজ্ঞাসা করল, হে আবু আলী! বেশি ইখলাস অবলম্বনকারী ও সঠিক আমলকারী’ এ কথার অর্থ কি? উত্তরে তিনি বললেন, “আমল যদি খালেসভাবে একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে হয়, কিন্তু তা সঠিক না হয়, তা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যদি সঠিক হয় কিন্তু খালেসভাবে একমাত্র আল্লাহর জন্য না হয়, তবে তাও গ্রহণযোগ্য হবে না। আমল অবশ্যই খালেস ও সঠিক হতে হবে। কেবল আল্লাহর জন্য জন্য আমল করাকে খালেস বলে। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত অনুযায়ী আমল করাকে সঠিক বলে”। ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. ফুদাইলের কথার সাথে যোগ করে বলেন, এ হল, আল্লাহ তা‘আলার বাণী,

﴿فَمَن كَانَ يَرۡجُواْ لِقَآءَ رَبِّهِۦ فَلۡيَعۡمَلۡ عَمَلٗا صَٰلِحٗا وَلَا يُشۡرِكۡ بِعِبَادَةِ رَبِّهِۦٓ أَحَدَۢا ١١٠﴾ [ الكهف : ١١٠ ]

“সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে।” [সূরা কাহাফ, আয়াত: ১১০] [মাজমুউল ফাতওয়া ৩৩৩/১।] এ আয়াতের বাস্তবায়ন।

আমীর আস-সানআনী রহ. বলেন,

تقَضَّتْ بكَ الأَعْماُر في غَيْرِ طَاعَةٍ سِوَى عَمَل تَرْضَاُه وَهْوَ سَرابُ

إذِا لَم يَكنْ للهِ فعِلُكَ خَالِصاً فَكلُّ بنَاءٍ قَدْ بنيَتَ خَرابُ

فَلِلْعَمَلِ الِإخْلَاصُ شَرْطٌ إذَِا أَتَى وَقَدْ وَافَقَتْهُ سُنَّةٌ وَكِتَابُ

অর্থ, তোমার সারা জীবন আল্লাহর নাফরমানিতে অতিবাহিত হল। কেবল এমন কিছু আমল যা তোমার সন্তুষ্টি বিধান করে, আসলে তা মরিচিকা,

যখন তোমার কর্ম খালেসভাবে আল্লাহর জন্য হবে না তখন তুমি যত ঘরই বানাও না কেন, তা বিরান ঘর।

আমলের জন্য তো ইখলাস শর্ত। যখন তুমি আমলে ইখলাস নিশ্চিত করার সাথে তা কুরআন ও সূন্নাহ অনুযায়ী কর।

আল্লাহর জন্য সর্বাঙ্গিন আত্মসমর্পন এবং ইহসান তথা আল্লাহর রাসূলের সুন্নতের অনুসরণ করাকে আল্লাহ তা‘আলা ‘সর্বাধিক সুন্দর দ্বীন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন,

﴿وَمَنۡ أَحۡسَنُ دِينٗا مِّمَّنۡ أَسۡلَمَ وَجۡهَهُۥ لِلَّهِ وَهُوَ مُحۡسِنٞ وَٱتَّبَعَ مِلَّةَ إِبۡرَٰهِيمَ حَنِيفٗاۗ وَٱتَّخَذَ ٱللَّهُ إِبۡرَٰهِيمَ خَلِيلٗا ١٢٥﴾ [ النساء : ١٢٥ ]

“আর দীনের ব্যাপারে তার তুলনায় কে উত্তম, যে সৎকর্ম পরায়ণ অবস্থায় আল্লাহর কাছে নিজকে পূর্ণ সমর্পণ করল এবং একনিষ্ঠ ভাবে ইবরাহীমের আদর্শ অনুসরণ করল? আর আল্লাহ ইবরাহীমকে পরম বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন।” [সূরা নিসা, আয়াত: ১২৫] এখানে আল্লাহর জন্য পূর্ণাঙ্গ আত্মসমর্পন বা আনুগত্য করার অর্থ ইখলাস, আর এহসান অর্থ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নতের অনুসরণ।

আল্লাহ তা‘আলা তার স্বীয় নবী ও তার উম্মতকে মুখলিসদের সাথে থাকার নির্দেশ দেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَٱصۡبِرۡ نَفۡسَكَ مَعَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ رَبَّهُم بِٱلۡغَدَوٰةِ وَٱلۡعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجۡهَهُۥۖ وَلَا تَعۡدُ عَيۡنَاكَ عَنۡهُمۡ تُرِيدُ زِينَةَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ ٢٨﴾ [ الكهف : ٢٨ ]

আর তুমি নিজকে ধৈর্যশীল রাখ তাদের সাথে, যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের রবকে ডাকে, তার সন্তুষ্টির উদ্দেশে এবং দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে। [সূরা কাহাফ, আয়াত: ২৮]

আর যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেন, তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “অবশ্যই তারা সফলকাম”। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَ‍َٔاتِ ذَا ٱلۡقُرۡبَىٰ حَقَّهُۥ وَٱلۡمِسۡكِينَ وَٱبۡنَ ٱلسَّبِيلِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ لِّلَّذِينَ يُرِيدُونَ وَجۡهَ ٱللَّهِۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٣٨﴾ [ الروم : ٣٨ ]

“অতএব আত্মীয়-স্বজনকে তাদের হক দিয়ে দাও এবং মিসকিন ও মুসাফিরকেও। এটি উত্তম তাদের জন্য, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চায় এবং তারাই সফলকাম।” [সূরা রুম, আয়াত: ৩৮]

আর আল্লাহ তা‘আলা মুখলিসকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেয়া ও কিয়ামতের দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের প্রতিশ্রুতি দেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَسَيُجَنَّبُهَا ٱلۡأَتۡقَى ١٧ ٱلَّذِي يُؤۡتِي مَالَهُۥ يَتَزَكَّىٰ ١٨ وَمَا لِأَحَدٍ عِندَهُۥ مِن نِّعۡمَةٖ تُجۡزَىٰٓ ١٩ إِلَّا ٱبۡتِغَآءَ وَجۡهِ رَبِّهِ ٱلۡأَعۡلَىٰ ٢٠ وَلَسَوۡفَ يَرۡضَىٰ ٢١ ﴾ [ الليل : ١٧، ٢١ ] “তারা তা থেকে দূরে রাখা হবে পরম মুত্তাকীকে। যে তার সম্পদ দান করে আত্ম-শুদ্ধির উদ্দেশ্যে, আর তার প্রতি কারো এমন কোন অনুগ্রহ নেই। যার প্রতিদান দিতে হবে। কেবল তার মহান রবের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায় আর অচিরেই সে সন্তোষ লাভ করবে। [সূরা লাইল, আয়াত: ১৭-২১]

আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতিদের গুণাগুণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “তারা দুনিয়াতে মুখলিস।” আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّمَا نُطۡعِمُكُمۡ لِوَجۡهِ ٱللَّهِ لَا نُرِيدُ مِنكُمۡ جَزَآءٗ وَلَا شُكُورًا ٩﴾ [ الانسان : ٩ ]

“তারা বলে, ‘আমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদেরকে খাদ্য দান করি। আমরা তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান চাই না এবং কোন শোকরও না।” [সূরা ইনসান, আয়াত: ৯]

আর আল্লাহ তা‘আলা মুখলিসদের কিয়ামতের দিন মহা বিনিময় দেয়ার ঘোষণা দেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ ۞لَّا خَيۡرَ فِي كَثِيرٖ مِّن نَّجۡوَىٰهُمۡ إِلَّا مَنۡ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوۡ مَعۡرُوفٍ أَوۡ إِصۡلَٰحِۢ بَيۡنَ ٱلنَّاسِۚ وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ ٱبۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ ٱللَّهِ فَسَوۡفَ نُؤۡتِيهِ أَجۡرًا عَظِيمٗا ١١٤ ﴾ [ النساء : ١١٤ ]

“তাদের গোপন পরামর্শের অধিকাংশে কোনো কল্যাণ নাই। তবে [কল্যাণ আছে] যে নির্দেশ দেয়, সদকা কিংবা ভালো কাজ অথবা মানুষের মধ্যে মীমাংসার। আর যে তা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করবে তবে অচিরেই আমি তাকে মহা পুরস্কার দান করব।” [সূরা নিসা, আয়াত: ১১৪]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿مَن كَانَ يُرِيدُ حَرۡثَ ٱلۡأٓخِرَةِ نَزِدۡ لَهُۥ فِي حَرۡثِهِۦۖ وَمَن كَانَ يُرِيدُ حَرۡثَ ٱلدُّنۡيَا نُؤۡتِهِۦ مِنۡهَا وَمَا لَهُۥ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِن نَّصِيبٍ ٢٠﴾ [ الشورى : ٢٠ ]

“যে আখিরাতের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্য তার ফসলে প্রবৃদ্ধি দান করি, আর যে দুনিয়ার ফসল কামনা করে, আমি তাকে তা থেকে কিছু দেই এবং আখিরাতে তার জন্য কোন অংশই থাকবে না”। [ সূরা শূরা, আয়াত: ২০]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন