মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
-নিয়তে সত্যবাদিতা ও ইখলাসের গুরুত্ব সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিক হাদিস বর্ণনা করেন এবং তিনি আমলের ভিত্তি এ দুটিকেই নির্ধারণ করেন। যেমন- ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনুহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
অর্থ, সমস্ত আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল, প্রতিটি মানুষ যা নিয়ত করে, সে তাই পাবে। [বুখারি, হাদিস নং ১ মুসলিম, হাদিস: ১৯০৭।] হাদিসটি রাসূলের হাদিসসমূহ হতে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস। কারণ, শরয়ী বিধানের জন্য এটি একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক হাদিস। যাবতীয় সব ইবাদত এরই অন্তর্ভুক্ত, কোন ইবাদত এ হাদিসের বাহিরে নয়। যেমন- সালাত, সাওম, জিহাদ, হজ ও সদকা ইত্যাদি সব ইবাদত বিশুদ্ধ নিয়ত ও ইখলাসের মুখাপেক্ষী।
মনে রাখবেন, ‘মানুষের সব আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল’ এ হাদিসটিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু গুরুত্বপূর্ণ কায়দাটির কথা বলেই থেমে যাননি, বরং নিয়ত ও ইখলাসের গুরুত্ব বিবেচনা করে, তিনি কতক আমলের কথা উল্লেখ করেন এবং নিয়তকে বিশুদ্ধ করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। আমলসমূহ নিম্নরূপ: তাওহীদ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« مَا قَالََ عَبْدٌ : لا إلَهَ إلِا الله قَطُّ مُخلصًا إلا فُتحتْ لَهُ أَبْوَابُ الَّسَماءِ حَّتى تُفْضِي إِلَى العَرْشِ مَا اجْتَنَب الكَبَائِرَ »
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে যখনই কোন বান্দা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে, তার জন্য আসমানের দরজাসমূহ আরশ পর্যন্ত খুলে দেয়া হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে কবিরা গুনাহ না করবে। [তিরমিযি, হাদিস: ৩৫৯০, আল্লামা আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলেন।]
মসজিদসমূহে গমন করা: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
জামাতে সালাত আদায় করলে, স্বীয় ঘরে বা দোকানে সালাত আদায় করা হতে, পঁচিশগুণ বেশি সাওয়াব দেয়া হবে। কারণ, যখন কোন ব্যক্তি সুন্দর করে ওজু করে, সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে মসজিদের দিক রওয়ানা হয়, প্রতিটি কদমে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং তার থেকে গুনাহগুলো ক্ষমা করা হয়। আর যখন সালাত আদায় করে, ফেরেশতারা সর্বদা তার উপর রহমত বর্ষণ করতে থাকে। ফেরেশতারা বলতে থাকে, হে আল্লাহ তুমি তার উপর দয়া কর, তাকে তুমি রহম কর। যখন কোন ব্যক্তি সালাতের অপেক্ষায় থাকে, সে সালাতেই থাকে। [বুখারি: ৬২০।][সালাত আদায় করার সাওয়াব পেতে থাকে]
রোজা রাখা: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে ব্যক্তি বিশ্বাস ও সাওয়াবের আশায় রমযান মাসে রাত জেগে আল্লাহর ইবাদত করে, তার ভবিষ্যৎ জীবনের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে”। [বুখারি: ২৬৮৫, মুসলিম: ৭৫৯।]
সদকা: আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনুহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« سَبْعَةٌ يُظلُهُمْ الله تَعَالَى فِي ظِلِّهِ يَوَْم لاَ ظلَِّ إلِا ظلهُ : إمام عَادِلٌ، وشَابٌّ نشَأ في عِبادَِة الله، وَرجل قْلبُهُ مُعلَّقٌ فِي المَسَاجِدِ، وَرُجلَاِن تَحابَّا فِي الله اجْتَمَعا علَيْهِ وَتَفَرََّقا عَلَيْه، وَرُجٌل دَعته امْرَأَةٌ ذَاُت مَنصبٍ وَجَمَالٍ فَقَالَ : إنِي أََخافُ الله، وَرجلٌ تَصَدقَ فَأَخْفَاهَا حتَّى لا تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ، وَرَجلٌ ذَكَرَ الله خَالِياً ففَاضت عَيْنَاه»
“আল্লাহ তা‘আলা সাত ব্যক্তিকে কিয়ামতের দিন তার ছায়া তলে ছায়া দেবেন, যেদিন আল্লাহর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না। এক- ন্যায় পরায়ণ বাদশাহ। দুই- যে যুবক তার যৌবনকে আল্লাহর ইবাদতে কাটিয়েছেন, তিন- ঐ ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত। চার- ঐ দুই ব্যক্তি যারা একে অপরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসেন, তারই ভিত্তিতে একত্র হন এবং তারই ভিত্তিতে পৃথক হন। পাঁচ- ঐ ব্যক্তি যাকে কোন সুন্দর ও বংশীয় যুবতী মহিলা অপকর্মের প্রতি আহ্বান করলে, সে বলে আমি আল্লাহকে ভয় করি। ছয়- ঐ ব্যক্তি যে আল্লাহ রাহে এত গোপনে দান করে, তার বাম হাত টের পায় না, ডান হাত কি দান করল। সাত- ঐ ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহর জিকির করল এবং তার চোখ থেতে অশ্রু নির্গত হল। [বুখারি: ৩১৩৮, আহমদ: ২২৭৪৪, আল্লামা আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন।]
“যে ব্যক্তি কোন মুসলিম ভাইয়ের জানাজায় ঈমান ও সাওয়াবের আশায় শরিক হয় এবং জানাজার সালাত আদায় ও দাফন করা পর্যন্ত মুর্দার সাথে থাকে, সে দুই কিরাত সাওয়াব নিয়ে বাড়ি ফিরবে। প্রতিটি ক্বিরাত অহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি তার উপর সালাত আদায় করে এবং দাফন করার পূর্বে ফেরত আসে, তাহলে সে এক কিরাত সাওয়াব নিয়ে বাড়ি ফিরবে”। [বুখারি: ৪৭।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/551/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।