hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সঠিক ইসলামী মতবাদ [আর-রিসালাতুশ শামিয়্যাহ]

লেখকঃ আব্দুল আযীয ইবন মারযূক আত-ত্বারীফী

১২
নবম অধ্যায়: শরী‘আত (বিধানপ্রবর্তন) একমাত্র আল্লাহর
শরী‘আত (বিধানপ্রবর্তন) একমাত্র আল্লাহর, তিনি জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অনুযায়ী যা ইচ্ছে হালাল করেন, আর যা ইচ্ছে হারাম করেন। আর তাঁর শরী‘আত আগত হয়েছে দীন ও দুনিয়ার কল্যাণার্থে। তাঁর নির্দেশনা ব্যতীত, কোনো মুকাল্লাফ (তথা আদেশ-নিষেধের আওতাধীন ব্যক্তি) এর ওপর থেকে কোনো নির্দিষ্ট সময় বা স্থানে তাঁর আদেশ ও নিষেধ রহিত হয়ে যাবে, এমনটি হতে পারে না।

আমরা আল্লাহর শরী‘আতের ক্ষেত্রে দীন ও দুনিয়ার মধ্যে পার্থক্য করি না, বরং তা সবই দীনী এবং দুনিয়াবী তাকলীফ বা অবশ্য পালনীয় নির্দেশনা:

দীনী তাকলীফ: যেমন, সালাত, সাওম, হজ, যিকির, মসজিদ আবাদকরণ।

দুনিয়াবী তাকলীফ: যেমন, বেচা-কেনা, বিয়ে-শাদী, তালাক, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিধান।

যে কেউ এতদুভয়ের মধ্যে পার্থক্য করবে: দীনী ব্যাপারে আল্লাহর হুকুম নির্ধারণ করবে, আর দুনিয়ার ব্যাপারে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও বিধান প্রদান করবে- সে অবশ্যই কাফির হয়ে যাবে। কারণ, শরী‘আত সম্পূর্ণটি কেবল আল্লাহরই। যে ব্যক্তি এটিকে অন্য কারও হক বা অধিকার বানাবে, সে যেন সিজদাকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের দিকে ফিরালো।

﴿إِنِ ٱلۡحُكۡمُ إِلَّا لِلَّهِ أَمَرَ أَلَّا تَعۡبُدُوٓاْ إِلَّآ إِيَّاهُۚ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلۡقَيِّمُ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ﴾ [ يوسف : ٤٠ ]

“বিধান দেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র আল্লাহরই। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন শুধু তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ‘ইবাদাত না করতে।” [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৪০]

বনী ইসরাঈল তথা ইয়াকূবের বংশধররা মূলতঃ এভাবেই কাফির হয়ে গেছে।

﴿ٱتَّخَذُوٓاْ أَحۡبَارَهُمۡ وَرُهۡبَٰنَهُمۡ أَرۡبَابٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَٱلۡمَسِيحَ ٱبۡنَ مَرۡيَمَ وَمَآ أُمِرُوٓاْ إِلَّا لِيَعۡبُدُوٓاْ إِلَٰهٗا وَٰحِدٗاۖ لَّآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ سُبۡحَٰنَهُۥ عَمَّا يُشۡرِكُونَ ٣١﴾ [ التوبة : ٣١ ]

“তারা আল্লাহ ব্যতীত তাদের পণ্ডিত ও সংসার-বিরাগিদেরকে তাদের রবরূপে গ্রহণ করেছে এবং মারইয়াম-পুত্র মসীহকেও। অথচ এক ইলাহের ‘ইবাদাত করার জন্যই তারা আদিষ্ট হয়েছিল; তিনি ব্যতীত অন্য কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তারা যে শরীক করে তা থেকে তিনি কত না পবিত্র!” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৩১] সুতরাং আল্লাহ তাদের এ কাজকে শির্ক হিসেবে অভিহিত করেছেন।

আর আল্লাহ তাঁর কিতাব নাযিল করেছেন, তাঁর শরী‘আত প্রবর্তন করেছেন, আর তিনি জানেন যে, সামনে কি অবস্থা আসতে যাচ্ছে, আর পিছনে কি ঘটনা চলে গেছে, যেমনিভাবে তিনি যে সময় ও অবস্থায় রাসূলের ওপর শরী‘আত নাযিল হয়েছে তা সম্পর্কে যথার্থভাবে জানেন ও দেখেন। পূর্ব সময়ে সংঘটিত হওয়ার কারণে কিংবা পরবর্তী সময়ে ঘটার কারণে কোনো ঘটনার জ্ঞান তার জ্ঞানে কমতি হয় না, আর বর্তমানে ঘটার কারণে কোনো ঘটনার জ্ঞান তাঁর জ্ঞানকে বর্ধিত করে না। মোটকথা, পূর্ব ও পর, উপস্থিত ও অনুপস্থিতের জ্ঞান আল্লাহর কাছে সমান, তিনি কতই না পবিত্র ও মহান!

আর যদি কেউ মনে করে যে, আল্লাহর বিধান কেবল সে যুগের জন্যই উপযোগী যে যুগে তা নাযিল হয়েছে, অন্য যুগের মানুষ নিজেরা যা উপযোগী মনে করে তা প্রবর্তন করার অধিকার রয়েছে, আল্লাহর বিধানের বিরোধী হলেও এ রকম বিশ্বাস কুফুর। কারণ, এ কথার প্রবক্তা দেখে যে, মানুষের উপস্থিত ও অনুপস্থিত বিষয়াদির জ্ঞান বিভিন্নরূপ হয়ে থাকে, আর তা অনুসারে তাদের বিচার-বিবেচনাতেও ভিন্নতা আসে। তারপর সে মনে করে যে, আল্লাহর জ্ঞানও হয়তো এরকমই। এভাবে মানুষ তার বর্তমানের জ্ঞানকে অহী নাযিলকালীন আল্লাহর গায়েবী জ্ঞানের ওপর প্রাধান্য দেয়। বস্তুতঃ যা কুফুরী ও শির্ক। আল্লাহর জ্ঞান তো উপস্থিত ও অনুপস্থিত সর্ব ব্যাপারেই সমান।

﴿عَٰلِمِ ٱلۡغَيۡبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ فَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِكُونَ ٩٢ ﴾ [ المؤمنون : ٩٢ ]

“তিনি গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী। সুতরাং তারা যা কিছু শরীক করে তিনি তার উর্ধ্বে।” [সূরা মুমিনূন, আয়াত: ৯২]

আর উপস্থিত বিষয়াদির ব্যাপারে আল্লাহর দেওয়া বিধান, অনুপস্থিত বিষয়াদিতে তাঁর বিধানের মতোই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُلِ ٱللَّهُمَّ فَاطِرَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ عَٰلِمَ ٱلۡغَيۡبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ أَنتَ تَحۡكُمُ بَيۡنَ عِبَادِكَ فِي مَا كَانُواْ فِيهِ يَخۡتَلِفُونَ ٤٦ ﴾ [ الزمر : ٤٦ ]

“বলুন, হে আল্লাহ, আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, গায়েব ও উপস্থিত বিষয়াদির জ্ঞানী, আপনিই আপনার বান্দাদের মধ্যে সে বিষয়ের ফয়সালা করে দিবেন যাতে তারা মতবিরোধ করছে।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৪৬] তিনি তাঁর উপস্থিত ও অনুপস্থিত সকল বান্দার মধ্যেই ফয়সালা দিয়ে থাকেন।

আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার বিধি-বিধানকে দীনী বিধি-বিধান থেকে পৃথক করে; আল্লাহকে শুধু দীনের জন্য শরী‘আত প্রবর্তনকারী এবং মানুষদেরকে দুনিয়ার জন্য শরী‘আত বা বিধান প্রবর্তনকারী বানায়; যেমনটি তথাকথিত উদারপন্থীরা (!) বলে থাকে, বাস্তবে এর মাধ্যমে সে একাধিক শরী‘আত প্রণেতা সাব্যস্ত করে, অথচ শরী‘আত প্রদানের একমাত্র অধিকার আল্লাহর।

﴿أَفَتُؤۡمِنُونَ بِبَعۡضِ ٱلۡكِتَٰبِ وَتَكۡفُرُونَ بِبَعۡضٖۚ﴾ [ البقرة : ٨٥ ]

“তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে ঈমান আন এবং কিছু অংশে কুফুরী কর?” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ৮৫] সুতরাং কেউ যদি কিতাবের কোনো অংশের সাথে কুফুরী করে, সে পুরোটার সাথেই কুফুরী করল।

আর আল্লাহ তাঁর রাসূলের কাছে কুরআন ও সু্ন্নাহ থেকে যা নাযিল হয়েছে তা দ্বারা মানুষের মধ্যে বিচার-ফয়সালা করার নির্দেশ দিয়েছেন:

﴿وَأَنِ ٱحۡكُم بَيۡنَهُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَهُمۡ وَٱحۡذَرۡهُمۡ أَن يَفۡتِنُوكَ عَنۢ بَعۡضِ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ إِلَيۡكَۖ ﴾ [ المائ‍دة : ٤٩ ]

“আর আপনি আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী বিচার নিষ্পত্তি করুন ও তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না এবং তাদের ব্যাপারে সতর্ক হোন, যাতে আল্লাহ আপনার প্রতি যা নাযিল করেছেন তারা এর কোনো কিছু হতে আপনাকে ফেতনায় না ফেলে।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৪৯] এখানে উদ্দেশ্য: ঝগড়া-বিবাদে এবং তাদের মধ্যকার সংঘটিত মতপার্থক্যের ক্ষেত্রে বিচার-ফয়সালা। আর ফিতনা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, আল্লাহর বিধান থেকে বিচ্যুত হয়ে যাওয়া।

আর যে বিষয়ে অহী বিস্তারিত কিছু বর্ণনা করে নি, সেখানে ইজতিহাদ করার অধিকারীগণের অধিকার রয়েছে বিস্তারিত বর্ণনা করার; তবে শর্ত হচ্ছে, আল্লাহর কোনো প্রমাণিত হুকুম বা বিধানের সাথে তা সাংঘর্ষিক হতে পারবে না।

আর আল্লাহর হুকুম বা বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক মানুষের হুকুম বা বিধি-বিধান ও তাদের পছন্দকে কোনোভাবেই অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে না। যদি জনগণ প্রদত্ত বিচারই প্রাধান্য পেত, তবে নাবীগণ হকের বাইরে ছিলেন -এ-কথা আবশ্যক হয়ে পড়ে। কারণ, তারা তো এমন জাতির মধ্যে বড় হয়েছেন যারা বাতিলের ওপর একমত ছিল অথবা তাদের অধিকাংশ বাতিল মতের ওপর ছিল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন