hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সঠিক ইসলামী মতবাদ [আর-রিসালাতুশ শামিয়্যাহ]

লেখকঃ আব্দুল আযীয ইবন মারযূক আত-ত্বারীফী

১৫
দ্বাদশ অধ্যায়: একতাবদ্ধ থাকা ওয়াজিব। আর ইমাম তথা শাসক ব্যতীত একতাবদ্ধ থাকার সুযোগ নেই।
মুসলিমদের ইমামদের আনুগত্য করা যাবে আল্লাহর আনুগত্যের কারণে:

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ وَأُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنكُمۡۖ ﴾ [ النساء : ٥٩ ]

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর, আরও আনুগত্য কর তোমাদের মধ্যকার ক্ষমতাশীলদের।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫৯] এখানে আল্লাহ তা‘আলা “তোমাদের মধ্যকার” দ্বারা ‘মুসলিমদের মধ্যকার’ উদ্দেশ্য নিয়েছেন।

কাফিরের ইমামতি বা কাফিরকে শাসক বানানো সঠিক হবে না, যেমনিভাবে তার হাতে বাই‘আত হওয়াও ঠিক হবে না। তবে যে আনুগত্য দ্বারা সাধারণ মানুষের জাগতিক প্রয়োজন মিটবে (উক্ত শাসকের নয়), শুধু সেখানেই কাফির শাসকের আনুগত্য করতে হবে।

যদি মুসলিমদের শাসক আলিম বা দীনী জ্ঞানে জ্ঞানী না হন, তবে তিনি আলিমদেরকে পরামর্শক হিসেবে গ্রহণ করবেন, যাতে দীন ও দুনিয়ার কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালিত হয়:

﴿وَإِذَا جَآءَهُمۡ أَمۡرٞ مِّنَ ٱلۡأَمۡنِ أَوِ ٱلۡخَوۡفِ أَذَاعُواْ بِهِۦۖ وَلَوۡ رَدُّوهُ إِلَى ٱلرَّسُولِ وَإِلَىٰٓ أُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنۡهُمۡ لَعَلِمَهُ ٱلَّذِينَ يَسۡتَنۢبِطُونَهُۥ مِنۡهُمۡۗ﴾ [ النساء : ٨٣ ]

“আর যখন শান্তি বা শঙ্কার কোনো সংবাদ তাদের কাছে আসে তখন তারা তা প্রচার করে থাকে। যদি তারা তা রাসূল এবং তাদের মধ্যে যারা নির্দেশ প্রদানের অধিকারী তাদেরকে জানাত, তবে তাদের মধ্যে যারা তথ্য অনুসন্ধান করে তারা সেটার যথার্থতা নির্ণয় করতে পারত।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৮৩] কারণ, মাসআলার তথ্য অনুসন্ধান করে বের করা কেবল আলিমদেরই কাজ।

আর শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েয নেই, যেমনিভাবে তার সাথে ক্ষমতা নিয়ে ঝগড়া করাও বৈধ নয়; বরং তার অত্যাচারের ওপর ধৈর্য ধারণ করতে হবে; যদি-না সে সুস্পষ্ট প্রকাশ্য কুফুরী না করে বসে। কারণ সহীহ হাদীসে রয়েছে, উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِنَّهُ يُسْتَعْمَلُ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ، فَتَعْرِفُونَ وَتُنْكِرُونَ، فَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ بَرِئَ، وَمَنْ أَنْكَرَ فَقَدْ سَلِمَ، وَلَكِنْ مَنْ رَضِيَ وَتَابَعَ»، قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ، أَلَا نُقَاتِلُهُمْ؟ قَالَ : «لَا، مَا صَلَّوْا»

“তোমাদের ওপর কিছু শাসক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে, তাদের কর্মকাণ্ড কিছু কিছু তোমাদের কাছে পছন্দনীয় হবে, আবার কিছু কিছু খারাপ লাগবে; সুতরাং যে ব্যক্তি অন্তর দিয়ে অপছন্দ করবে সে দায়িত্বমুক্ত হবে, আর যে ব্যক্তি তাদের অন্যায় অস্বীকার করবে, সে নিরাপদ হবে, কিন্তু যে মেনে নিবে এবং অনুসরণ করবে সে ব্যতীত (সে নাজাত পাবে না)।” সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না? তিনি বললেন, “না, যতক্ষণ তারা সালাত কায়েম করবে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৫৪।]

আর শাসকদেরকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সাথে নসীহত করা হবে, যাতে করে তার ক্ষতি দূরীভূত হয় অথবা ক্ষতির পরিমাণ কমে আসে, তার ওপর প্রতিশোধস্পৃহ হয়ে অন্তরের ঝাল মিটানোর জন্য নয়। কারণ, সহীহ হাদীসে এসেছে, তামীম আদ-দারী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«الدِّينُ النَّصِيحَةُ» قُلْنَا : لِمَنْ؟ قَالَ : «لِلَّهِ وَلِكِتَابِهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ»

“দীন হচ্ছে নসীহত তথা কল্যাণ কামনার নাম।” আমরা বললাম, কার জন্য? তিনি বললেন, “আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য, মুসলিম শাসকদের জন্য এবং সর্বসাধারণের জন্য।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৫।]

আর শাসকের গোপন তথ্য খুঁজে বেড়ানো, তার ব্যক্তিগত বিশেষ পদস্খলনকে ফলাও করে প্রচার করা, তার দোষ-ত্রুটি ও অপরাধসমূহ প্রসার করা জায়েয নেই। বরং তাকে একান্তভাবে এ ব্যাপারে নসীহত করা হবে।

যদি কোনো খারাপ কিছু সে মানুষের মধ্যে চালু করে বা বিধান হিসেবে দেয় এবং সেটাকে প্রচার-প্রসার করে, তবে যদি এটা জানা যায় যে তাকে একান্তভাবে এ বিষয়টি বর্ণনা করা হলে সে ফিরে আসবে, প্রত্যাবর্তন করবে এবং সঠিক হয়ে যাবে তাহলে নির্দিষ্টভাবে তা-ই করতে হবে। আর যদি তা না হয়, তবে সেই খারাপ-প্রচলনটি মানুষের সামনে বর্ণনা করা হবে। কারণ, এটিই হচ্ছে তাদের প্রতি আবশ্যক নসীহত ও কল্যাণ কামনা, আর তার ও তাদের দীনী অধিকার; যাতে করে আল্লাহর শরী‘আত পরিবর্তিত না হয়ে যায়, আল্লাহর দীন নষ্ট না হয়ে যায়। এটা মূলত “আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য, মুসলিম শাসকদের জন্য এবং সর্বসাধারণের জন্য নসীহত” –এর অন্তর্ভুক্ত। আর তা অন্য অধিকারের ওপর প্রাধান্য পাবে।

কোনো আলিম সাধারণ মানুষদের অবস্থা ও তাদের কল্যাণকর বিষয়কে বাদ দিয়ে নিজেকে নিয়ে একাকীত্ব অবলম্বন করবে না। দুনিয়ার বুকে প্রশংসিত যুহদ তথা দুনিয়াবিমুখিতা হচ্ছে তা-ই, যা মানুষ একান্তভাব নিজের অংশে সাধন করে; কিন্তু মানুষের অংশে তাদের দুনিয়াবী প্রয়োজনে এগিয়ে না আসা প্রশংসিত নয়। সুতরাং তার উচিত হবে এক দিরহাম দিয়ে হলেও অত্যাচারিতকে সাহায্য করা, একটি খেজুর দিয়ে হলেও ক্ষুধার্তকে খাবার দেওয়া। কারণ, আলিমেরও রয়েছে অভিভাবকত্ব, আর মানুষের দুনিয়াবী কর্মকাণ্ড ঠিক করে দেওয়া তাদের দীনকে ঠিক করে দেওয়ার একটি দরজা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ার সম্পদের দিকে মাথা তুলে তাকান নি, কিন্তু সামান্য কিছু টাকার ব্যাপারে বারীরা ও অন্যান্যদের পক্ষ নিয়েছিলেন এবং মানুষের মধ্যে এ ব্যপারে খুৎবা বা ভাষণ দিয়েছিলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন