hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সঠিক ইসলামী মতবাদ [আর-রিসালাতুশ শামিয়্যাহ]

লেখকঃ আব্দুল আযীয ইবন মারযূক আত-ত্বারীফী

প্রথম অধ্যায়: আল-ইসলাম
আল-ইসলাম: আল্লাহর একমাত্র দীন, তিনি তাঁর বান্দা, চাই সে মানুষ হোক বা জিন্ন, কারও কাছ থেকে এটি ব্যতীত আর কিছু গ্রহণ করবেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ﴾ [ ال عمران : ٨٥ ]

“আর কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫] আরও বলেন,

﴿إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلۡإِسۡلَٰمُۗ ﴾ [ ال عمران : ١٩ ]

“নিশ্চয় আল্লাহর কাছে একমাত্র দীন হচ্ছে ইসলাম।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯]

আর ইসলাম হচ্ছে সকল নাবীর দীন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَآ أَرۡسَلۡنَا مِن قَبۡلِكَ مِن رَّسُولٍ إِلَّا نُوحِيٓ إِلَيۡهِ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱعۡبُدُونِ ٢٥﴾ [ الانبياء : ٢٥ ]

“আর আপনার পূর্বে আমরা যে রাসূলই প্রেরণ করেছি তার কাছে এ অহীই পাঠিয়েছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ‘ইবাদাত কর।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২৫]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿إِنَّآ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ كَمَآ أَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ نُوحٖ وَٱلنَّبِيِّ‍ۧنَ مِنۢ بَعۡدِهِۦۚ وَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰٓ إِبۡرَٰهِيمَ وَإِسۡمَٰعِيلَ وَإِسۡحَٰقَ وَيَعۡقُوبَ وَٱلۡأَسۡبَاطِ وَعِيسَىٰ وَأَيُّوبَ وَيُونُسَ وَهَٰرُونَ وَسُلَيۡمَٰنَۚ وَءَاتَيۡنَا دَاوُۥدَ زَبُورٗا ١٦٣ وَرُسُلٗا قَدۡ قَصَصۡنَٰهُمۡ عَلَيۡكَ مِن قَبۡلُ وَرُسُلٗا لَّمۡ نَقۡصُصۡهُمۡ عَلَيۡكَۚ وَكَلَّمَ ٱللَّهُ مُوسَىٰ تَكۡلِيمٗا ١٦٤ رُّسُلٗا مُّبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى ٱللَّهِ حُجَّةُۢ بَعۡدَ ٱلرُّسُلِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمٗا ١٦٥﴾ [ النساء : ١٦٣، ١٦٥ ]

“নিশ্চয় আমরা আপনার নিকট অহী প্রেরণ করেছিলাম, যেমন নূহ ও তার পরবর্তী নাবীগণের প্রতি অহী প্রেরণ করেছিলাম। আর ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তার বংশধরগণ, ঈসা, আইউব, ইউনুস, হারূন ও সুলাইমানের নিকটও অহী প্রেরণ করেছিলাম এবং দাউদকে প্রদান করেছিলাম যাবূর। আরও অনেক রাসূল, যাদের বর্ণনা আমরা আপনাকে পূর্বে দিয়েছি এবং অনেক রাসূল, যাদের বর্ণনা আমরা আপনাকে দেই নি। আর অবশ্যই আল্লাহ মূসার সাথে কথা বলেছেন। সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী রাসূল প্রেরণ করেছি, যাতে রাসূলগণ আসার পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোনো অভিযোগ না থাকে। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৬৩-১৬৫]

তাছাড়া আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নাবীর নিকট নূহ, ইবরাহীম, ইসহাক, ইয়াকূব, দাঊদ, সুলাইমান, আইয়্যূব, ইউসুফ, মূসা, হারূন, যাকারিয়া, ইয়াহইয়া, ঈসা, ইলিয়াস, ইসমাঈল, আল-ইয়াসা‘, ইউনুস ও লূত আলাইহিমুস সালামের কথা বর্ণনা করার পর বলেন,

﴿أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ هَدَى ٱللَّهُۖ فَبِهُدَىٰهُمُ ٱقۡتَدِهۡۗ﴾ [ الانعام : ٩٠ ]

“এরাই তারা, যাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত করেছেন, কাজেই আপনি তাদের পথের অনুসরণ করুন।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৯০]

নাবীগণের দীন মৌলিক নীতিমালার ক্ষেত্রে ঐকমত্য পোষণ করে; আর কোনো কোনো শাখা-প্রশাখায় তাতে ভিন্নতা থাকে, সবগুলোতে নয়। শাখা-প্রশাখা পরিবর্তিত হয়, মৌলিক নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন নেই। আল্লাহ তা‘আলা বনী ইসরাঈলের জন্য মূসা ও ঈসা নাবীদ্বয়কে পাঠালেন। মূসা আলাইহিস সালামের ওপর নাযিলকৃত তাওরাতের কিছু বিধান তিনি ঈসা আলাইহিস সালামের কাছে নাযিলকৃত ইঞ্জীলের মাধ্যমে রহিত করেন। ঈসা আলাইহিস সালাম তার জাতিকে বলেন,

﴿وَمُصَدِّقٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيَّ مِنَ ٱلتَّوۡرَىٰةِ وَلِأُحِلَّ لَكُم بَعۡضَ ٱلَّذِي حُرِّمَ عَلَيۡكُمۡۚ وَجِئۡتُكُم بِ‍َٔايَةٖ مِّن رَّبِّكُمۡ فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ٥٠﴾ [ ال عمران : ٥٠ ]

“আর আমার সামনে তাওরাতের যা রয়েছে তার সত্যায়নকারীরূপে এবং তোমাদের জন্য যা হারাম ছিল তার কিছু হালাল করে দিতে, আর আমি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট নিদর্শন নিয়ে এসেছি। কাজেই তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৫০] মূসা ও ঈসা আলাইহিমাস সালাম তো এমন দু’জন নাবী, যাদেরকে একই জাতির কাছে পাঠানো হয়েছিল; তারপরও তাদের কিছু শাখা-প্রশাখাজনিত মাসআলা ভিন্ন প্রকৃতির হয়েছিল, তাহলে তাদের দু’জন ছাড়া অন্যদের ব্যাপারে তা কেমন হতে পারে?!

তারপর আরও একটি কথা প্রণিধানযোগ্য, তা হচ্ছে, পূর্বেকার যত শরী‘আত ছিল, তাতেই বিকৃতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿وَإِنَّ مِنۡهُمۡ لَفَرِيقٗا يَلۡوُۥنَ أَلۡسِنَتَهُم بِٱلۡكِتَٰبِ لِتَحۡسَبُوهُ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَمَا هُوَ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَيَقُولُونَ هُوَ مِنۡ عِندِ ٱللَّهِ وَمَا هُوَ مِنۡ عِندِ ٱللَّهِ وَيَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلۡكَذِبَ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ ٧٨﴾ [ ال عمران : ٧٨ ]

“আর নিশ্চয় তাদের মধ্যে একদল আছে যারা কিতাবকে জিহবা দ্বারা বিকৃত করে, যাতে তোমরা সেটাকে আল্লাহর কিতাবের অংশ মনে কর; অথচ সেটা কিতাবের অংশ নয়। আর তারা বলে, সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে; অথচ সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়। আর তারা জেনে-বুঝে আল্লাহর ওপর মিথ্যা বলে।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৭] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿يُحَرِّفُونَ ٱلۡكَلِمَ عَن مَّوَاضِعِهِ﴾ [ النساء : ٤٦ ]

“তারা বাণীগুলো স্থানচ্যুত করে বিকৃত করে।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৪৬]

এভাবেই সাধারণ মানুষের এবং হক্ব-সত্যে পৌঁছানোর মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল, যেমনটি আল্লাহর ইচ্ছা করেছিলেন। আর সেটাকে বিশুদ্ধ করার একমাত্র পথ: নতুন নবুওয়াত। ঠিক সে কারণেই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর হক্ব দীনকে নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে পুনরায় ফেরত দেন। সুতরাং সে নাবীর দীন ব্যতীত কোনো ইসলাম নেই, কোনো হক্ব দীন নেই:

﴿وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٨٥ ﴾ [ ال عمران : ٨٥ ]

“আর কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।” [সূরা আলে-ইমরান, আয়াত: ৮৫]

আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রিসালাতকে করেছেন সকল জাতির জন্য সর্বজনীন- হোক তা মানুষ বা জিন্ন, আরব বা অনারব:

﴿وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ إِلَّا كَآفَّةٗ لِّلنَّاسِ بَشِيرٗا وَنَذِيرٗا وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ ٢٨﴾ [ سبا : ٢٨ ]

“আর আমরা তো আপনাকে সমগ্র মানুষের জন্যই সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।” [সূরা সাবা, আয়াত: ২৮]

সহীহ হাদীসে এসেছে, আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَا يَسْمَعُ بِي أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ يَهُودِيٌّ، وَلَا نَصْرَانِيٌّ، ثُمَّ يَمُوتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ، إِلَّا كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ»

“যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, তাঁর শপথ! এ উম্মতের মধ্য থেকে যে কেউ, চাই সে ইয়াহূদী হোক বা নাসরানী, আমার সম্পর্কে শুনবে, তারপর আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার ওপর ঈমান না এনে মারা যাবে, সেই আগুনের অধিবাসী হবে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৩।]

আর আল্লাহ তা‘আলা কুরআনুল কারীমকে সকল প্রকার বিকৃতি, পরিবর্তন-পরিবর্ধন থেকে হিফাযত করেছেন:

﴿إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩﴾ [ الحجر : ٩ ]

“নিশ্চয় আমরাই কুরআন নাযিল করেছি এবং আমরা অবশ্যই তার সংরক্ষক।” [সূরা আল-হিজর, আয়াত: ৯]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন