hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সঠিক ইসলামী মতবাদ [আর-রিসালাতুশ শামিয়্যাহ]

লেখকঃ আব্দুল আযীয ইবন মারযূক আত-ত্বারীফী

চতুর্থ অধ্যায়: ঈমান ও কুফুরী
ঈমান ও কুফুরী: দু’টি নাম, দু’টি বিধান; যা কেবল আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকেই নাযিল হয়। সুতরাং কাউকে দলীল-প্রমাণ ব্যতীত কাফির বলা যাবে না। আর পৃথিবীর বুকে মানুষ দু’ভাগে বিভক্ত, তৃতীয় কিছু নেই। তারা হয়ত মুমিন, নয়ত কাফির। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿هُوَ ٱلَّذِي خَلَقَكُمۡ فَمِنكُمۡ كَافِرٞ وَمِنكُم مُّؤۡمِنٞۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِيرٌ ٢﴾ [ التغابن : ٢ ]

“তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ হয় কাফির এবং তোমাদের মধ্যে কেউ হয় মুমিন। আর তোমরা যে আমল কর আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।” [সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত: ২]

আর এ দু’টি বিধান (কুফুরী ও ঈমান) প্রদানের ক্ষেত্রে নির্ভর করতে হবে তার ওপর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন তাঁর কিতাবে বা তার রাসূলের সুন্নাতে।

আর মুনাফিকরা: তারা:

হয় কাফির, কুফুরীকে গোপন করেছে এবং ঈমানকে প্রকাশ করেছে। যেমন, কেউ আল্লাহ, তাঁর কিতাব, তাঁর রাসূলের ওপর ঈমানের কথা প্রকাশ করল, অথচ গোপনে সে এগুলোর ওপর মিথ্যারোপকারী। আর এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় নিফাক।

অথবা তারা মুসলিম, অপরাধ গোপন করেছে, আনুগত্য প্রকাশ করেছে। যেমন, কেউ অঙ্গীকার পালনের কথাটি প্রকাশ করল, কিন্তু চুক্তিভঙ্গের বিষয়টি গোপন করল। অনুরূপ কথাবার্তায় সত্যবাদিতা প্রকাশ করল, কিন্তু এর বিপরীতটি গোপন রাখল। এটিই হচ্ছে, ছোট নিফাক।

আর মুনাফিকের সাথে আচরণ হবে মুসলিমদের আচরণ, তার প্রকাশ্য রূপের ওপর ভিত্তি করে ও যেমনটি সে প্রকাশ করে সে রকম।

ঈমানদারের সম্পদ ও জানের ব্যাপারে মূলনীতি হচ্ছে, তা নিষিদ্ধ বা সম্মানিত। আর কাফিরের ক্ষেত্রে, তা নিষিদ্ধ নয়। তবে এ বিধান শর্তহীন নয়; বরং কখনও কখনও কাফিরের জান-মালও নিরাপদ থাকবে, হয় সে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকার কারণে অথবা তাকে নিরাপত্তা প্রদানের কারণে অথবা তার দায়-দায়িত্ব মুসলিম সরকার গ্রহণ করার কারণে। আর মুমিনকে তার হত্যাযোগ্য অপরাধের কারণে হত্যা করা যাব। যেমন, হত্যা কিংবা বিয়ের পরও ব্যভিচার করা।

আর তাকে ব্যতীত অন্য কাউকে কাফির বলা যাবে না, যাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কাফির বলেছেন:

যেমন, যে আল্লাহ অথবা তাঁর নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর মিথ্যারোপ করল।

অথবা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥ لَا تَعۡتَذِرُواْ قَدۡ كَفَرۡتُم بَعۡدَ إِيمَٰنِكُمۡۚ إِن نَّعۡفُ عَن طَآئِفَةٖ مِّنكُمۡ نُعَذِّبۡ طَآئِفَةَۢ بِأَنَّهُمۡ كَانُواْ مُجۡرِمِينَ ٦٦﴾ [ التوبة : ٦٥، ٦٦ ]

“বলুন, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে বিদ্রূপ করছিলে? তোমরা ওজর পেশ করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফুরী করেছ। আমরা তোমাদের মধ্যে কোনো দলকে ক্ষমা করলেও অন্য দলকে শাস্তি দেব, কারণ তারা অপরাধী” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬৫-৬৬]

অথবা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশনাকে একগুঁয়েমি বা গোয়ার্তুমির মাধ্যমে মেনে নিতে অস্বীকার করল, তাদের অনুগত হল না।

অথবা ইসলামের কোনো অকাট্য বিধানকে অস্বীকার করল।

অথবা আল্লাহর ওপর মিথ্যা বলল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّمَا يَفۡتَرِي ٱلۡكَذِبَ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِ‍َٔايَٰتِ ٱللَّهِۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَٰذِبُونَ ١٠٥﴾ [ النحل : ١٠٥ ]

“যারা আল্লাহর আয়াতসমূহে ঈমান আনে না, তারাই তো শুধু মিথ্যা রটনা করে, আর তারাই মিথ্যাবাদী” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ১০৫]

তিনি আরও বলেন,

﴿وَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّنِ ٱفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا أَوۡ كَذَّبَ بِٱلۡحَقِّ لَمَّا جَآءَهُۥٓۚ أَلَيۡسَ فِي جَهَنَّمَ مَثۡوٗى لِّلۡكَٰفِرِينَ ٦٨﴾ [ العنكبوت : ٦٨ ]

“আর যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর মিথ্যা রটনা করে অথবা তাঁর কাছ থেকে সত্য আসার পর তাতে মিথ্যারোপ করে, তার চেয়ে বেশি যালিম আর কে? জাহান্নামের মধ্যেই কি কাফিরদের আবাস নয়?” [সূরা আল-‘আনকাবূত, আয়াত: ৬৮] এ আয়াতে বর্ণিত যুলুম শব্দটিকে কুফুর অর্থে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

অথবা কোনো ইবাদত আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও জন্য করল। আল্লাহ বলেন,

﴿وَمَن يَدۡعُ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ لَا بُرۡهَٰنَ لَهُۥ بِهِۦ فَإِنَّمَا حِسَابُهُۥ عِندَ رَبِّهِۦٓۚ إِنَّهُۥ لَا يُفۡلِحُ ٱلۡكَٰفِرُونَ ١١٧﴾ [ المؤمنون : ١١٧ ]

“আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ্‌কে ডাকে, এ বিষয়ে তার নিকট কোনো প্রমাণ নেই। তার হিসাব তো তার রব-এর নিকটই আছে। নিশ্চয় কাফিররা সফলকাম হবে না।” [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ১১৭]

এ বিধান নিম্নোক্ত সব অবস্থাকেই সমভাবে শামিল করে:

তার ইবাদত পুরোপুরিই আল্লাহ ব্যতীত অন্যের জন্য করেছে অথবা অন্যান্য উপাস্যগুলোকে মাধ্যম সাব্যস্ত করেছে। এ সবই কুফুরী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَيَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمۡ وَلَا يَنفَعُهُمۡ وَيَقُولُونَ هَٰٓؤُلَآءِ شُفَعَٰٓؤُنَا عِندَ ٱللَّهِۚ قُلۡ أَتُنَبِّ‍ُٔونَ ٱللَّهَ بِمَا لَا يَعۡلَمُ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ سُبۡحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِكُونَ ١٨﴾ [ يونس : ١٨ ]

“আর তারা আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর ‘ইবাদাত করছে যা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। আর তারা বলে, ‘এগুলো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী।’ বলুন, ‘তোমরা কি আল্লাহকে আসমানসমূহ ও যমীনের এমন কিছুর সংবাদ দেবে যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরীক করে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে।” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১৮]

অথবা, যা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট, তা অন্যের জন্য নির্ধারণ করেছে। যেমন, শরী‘আতপ্রবর্তন ও বিধি-বিধান দেওয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহর। সুতরাং তা অন্য কাউকে এমনভাবে দেওয়া যে, তারা হালাল কিংবা হারাম করে। কারণ; শরী‘আতপ্রবর্তন ও বিধি-বিধান দেওয়াকে আল্লাহ তা‘আলা ইবাদত হিসেবে নামকরণ করেছেন। তিনি বলেন,

﴿إِنِ ٱلۡحُكۡمُ إِلَّا لِلَّهِ أَمَرَ أَلَّا تَعۡبُدُوٓاْ إِلَّآ إِيَّاهُۚ ﴾ [ يوسف : ٤٠ ]

“বিধান দেওয়ার অধিকার শুধু মাত্র আল্লাহরই। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন শুধু তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ‘ইবাদাত না করতে।” [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৪০]

অথবা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও জন্য গায়েবী ইলমের দাবী করল। যেমন, জাদু ও জ্যোতিষবিদ্যা।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُل لَّا يَعۡلَمُ مَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ ٱلۡغَيۡبَ إِلَّا ٱللَّهُۚ ﴾ [ النمل : ٦٥ ]

“বলুন, ‘আল্লাহ্ ব্যতীত আসমান ও যমীনে কেউই গায়েব জানে না।” [সূরা আন-নামল, আয়াত: ৬৫]

অথবা জগতে বা জীবনে অথবা মৃত্যুতে সৃষ্টি বা নিয়ন্ত্রণ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও জন্য সাব্যস্ত করেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَمۡ جَعَلُواْ لِلَّهِ شُرَكَآءَ خَلَقُواْ كَخَلۡقِهِۦ فَتَشَٰبَهَ ٱلۡخَلۡقُ عَلَيۡهِمۡۚ قُلِ ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَيۡءٖ وَهُوَ ٱلۡوَٰحِدُ ٱلۡقَهَّٰرُ ١٦ ﴾ [ الرعد : ١٦ ]

“তবে কি তারা আল্লাহর এমন শরীক করেছে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির মত সৃষ্টি করেছে, যে কারণে সৃষ্টি তাদের কাছে সদৃশ মনে হয়েছে? বলুন, ‘আল্লাহ্ সকল বস্তুর স্রষ্টা; আর তিনি এক, মহা প্রতাপশালী।” [সূরা আর-রা‘দ, আয়াত: ১৬]

অনুরূপভাবে যারা মুমিনদেরকে নয় বরং কাফিরদেরকে ভালোবাসা ও সাহায্য-সহযোগিতার জন্য বন্ধু ও অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمۡ فَإِنَّهُۥ مِنۡهُمۡۗ﴾ [ المائ‍دة : ٥١ ]

“আর তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে নিশ্চয় তাদেরই একজন।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৫১]

আর যে ব্যক্তির পক্ষে ইসলাম জানা সম্ভব, তারপরও সে তা বাদ দিল এবং ইচ্ছা করে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল- সে কাফির হিসেবে বিবেচিত হবে, যদিও সে বাস্তবে অজ্ঞ থাকে। কারণ, সে এমন অজ্ঞতার দোষে দুষ্ট, যা তার পক্ষে দূর করা সম্ভব ছিল, কিন্তু সে তা দূর করল না। আর এজন্যই আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের সম্পর্কে বলেছেন,

﴿بَلۡ أَكۡثَرُهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ ٱلۡحَقَّۖ فَهُم مُّعۡرِضُونَ ٢٤﴾ [ الانبياء : ٢٤ ]

“কিন্তু তাদের বেশিরভাগই প্রকৃত সত্য জানে না, ফলে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২৪] এখানে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন যে, তারা অজ্ঞ, কিন্তু তারা ইচ্ছা করেই অজ্ঞ থেকে গিয়েছিল।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ عَمَّآ أُنذِرُواْ مُعۡرِضُونَ ٣ ﴾ [ الاحقاف : ٣ ]

“আর যারা কুফুরী করেছে, তাদেরকে যে বিষয়ে ভীতিপ্রদর্শন করা হয়েছে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে আছে।” [সূরা আল-আহকাফ, আয়াত: ৩] আর হক্ব শোনার সময় তা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকার ফলে হক্বের বিষয়ে বিস্তারিত না জানা কখনও ওযর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। এটাই মূলতঃ জাতিসমূহের ভ্রষ্টতার বড় কারণ। কেননা তারা হক্বের একাংশ শোনে, তারপর তার বিস্তারিত জানা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে অজ্ঞ থাকতে, মুখ ফিরিয়ে থাকে।

বস্তুতঃ জাগতিক ও শর‘ঈ দলীল-প্রমাণাদির প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করা অধিকাংশ কাফিরদের স্বভাব। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿وَكَأَيِّن مِّنۡ ءَايَةٖ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ يَمُرُّونَ عَلَيۡهَا وَهُمۡ عَنۡهَا مُعۡرِضُونَ ١٠٥﴾ [ يوسف : ١٠٥ ]

“আর আসমান ও যমীনে অনেক নিদর্শন রয়েছে; তারা এ সবকিছু দেখে, কিন্তু তারা এসবের প্রতি উদাসীন।” [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ১০৫] তিনি আরও বলেন,

﴿بَلۡ أَتَيۡنَٰهُم بِذِكۡرِهِمۡ فَهُمۡ عَن ذِكۡرِهِم مُّعۡرِضُونَ ﴾ [ المؤمنون : ٧١ ]

“বরং আমরা তাদের কাছে নিয়ে এসেছি তাদের ইজ্জত ও সম্মান সম্বলিত যিকির, কিন্তু তারা তাদের এ যিকির (কুরআন) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।” [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ৭১]

সুতরাং কোনো বিষয়ে সামান্য জানা থাকার সাথে সাথে সেটা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখার মাধ্যমে মানুষের মধ্যকার হক বিনষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং এর দ্বারা আল্লাহর হক কীভাবে বিনষ্ট হবে?!

আল্লাহর (জাগতিক ও শর‘ঈ) আয়াতসমূহের কাছে বিবেক যদি চিন্তাশীল হয়ে অবস্থান না করে, তাহলে সে আয়াতগুলোর উদ্দেশ্য বুঝা থেকে সে বঞ্চিত হয়ে যাবে, যেমনিভাবে সেগুলো তাড়াতাড়ি পার করা দ্বারাও সে অনুরূপ উপকার অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। ফলে সে তা দ্বারা উপকৃত হতে পারে না, যদিও সে প্রমাণটি শক্তির দিক থেকে প্রবল ও প্রত্যহ দৃশ্যমান হয়ে থাকে:

﴿وَجَعَلۡنَا ٱلسَّمَآءَ سَقۡفٗا مَّحۡفُوظٗاۖ وَهُمۡ عَنۡ ءَايَٰتِهَا مُعۡرِضُونَ ٣٢ ﴾ [ الانبياء : ٣٢ ]

“আর আমরা আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ; কিন্তু তারা আকাশে অবস্থিত নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ৩২]

মানুষ তার এ ধারণায় ভুল করে থাকে, যখন সে মনে করে যে, হক্ব সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা এবং তাকে পৃষ্ঠদেশের দিকে ছেড়ে রাখা- সেটার ফলাফল ভোগ করা থেকে তাকে ছাড় দিয়ে দিবে।

আর মুখ ফিরিয়ে থাকার কারণ: হয় অহঙ্কার নতুবা অমনোযোগিতা ও ভোগমত্ততা। আর এ কারণেই যখন বিপদাপদ নাযিল হয়, তখন তা তার অহঙ্কার দূর করে দেয়, তার ভোগের আনন্দ হারিয়ে যায়। ফলে সে হক্ব দেখতে পায় এবং সেটার দিকে ফিরে আসে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন