মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ঈমান ও কুফুরী: দু’টি নাম, দু’টি বিধান; যা কেবল আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকেই নাযিল হয়। সুতরাং কাউকে দলীল-প্রমাণ ব্যতীত কাফির বলা যাবে না। আর পৃথিবীর বুকে মানুষ দু’ভাগে বিভক্ত, তৃতীয় কিছু নেই। তারা হয়ত মুমিন, নয়ত কাফির। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ হয় কাফির এবং তোমাদের মধ্যে কেউ হয় মুমিন। আর তোমরা যে আমল কর আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।” [সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত: ২]
আর এ দু’টি বিধান (কুফুরী ও ঈমান) প্রদানের ক্ষেত্রে নির্ভর করতে হবে তার ওপর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন তাঁর কিতাবে বা তার রাসূলের সুন্নাতে।
আর মুনাফিকরা: তারা:
হয় কাফির, কুফুরীকে গোপন করেছে এবং ঈমানকে প্রকাশ করেছে। যেমন, কেউ আল্লাহ, তাঁর কিতাব, তাঁর রাসূলের ওপর ঈমানের কথা প্রকাশ করল, অথচ গোপনে সে এগুলোর ওপর মিথ্যারোপকারী। আর এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় নিফাক।
অথবা তারা মুসলিম, অপরাধ গোপন করেছে, আনুগত্য প্রকাশ করেছে। যেমন, কেউ অঙ্গীকার পালনের কথাটি প্রকাশ করল, কিন্তু চুক্তিভঙ্গের বিষয়টি গোপন করল। অনুরূপ কথাবার্তায় সত্যবাদিতা প্রকাশ করল, কিন্তু এর বিপরীতটি গোপন রাখল। এটিই হচ্ছে, ছোট নিফাক।
আর মুনাফিকের সাথে আচরণ হবে মুসলিমদের আচরণ, তার প্রকাশ্য রূপের ওপর ভিত্তি করে ও যেমনটি সে প্রকাশ করে সে রকম।
ঈমানদারের সম্পদ ও জানের ব্যাপারে মূলনীতি হচ্ছে, তা নিষিদ্ধ বা সম্মানিত। আর কাফিরের ক্ষেত্রে, তা নিষিদ্ধ নয়। তবে এ বিধান শর্তহীন নয়; বরং কখনও কখনও কাফিরের জান-মালও নিরাপদ থাকবে, হয় সে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকার কারণে অথবা তাকে নিরাপত্তা প্রদানের কারণে অথবা তার দায়-দায়িত্ব মুসলিম সরকার গ্রহণ করার কারণে। আর মুমিনকে তার হত্যাযোগ্য অপরাধের কারণে হত্যা করা যাব। যেমন, হত্যা কিংবা বিয়ের পরও ব্যভিচার করা।
আর তাকে ব্যতীত অন্য কাউকে কাফির বলা যাবে না, যাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কাফির বলেছেন:
যেমন, যে আল্লাহ অথবা তাঁর নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর মিথ্যারোপ করল।
অথবা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“বলুন, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে বিদ্রূপ করছিলে? তোমরা ওজর পেশ করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফুরী করেছ। আমরা তোমাদের মধ্যে কোনো দলকে ক্ষমা করলেও অন্য দলকে শাস্তি দেব, কারণ তারা অপরাধী” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬৫-৬৬]
অথবা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশনাকে একগুঁয়েমি বা গোয়ার্তুমির মাধ্যমে মেনে নিতে অস্বীকার করল, তাদের অনুগত হল না।
“আর যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর মিথ্যা রটনা করে অথবা তাঁর কাছ থেকে সত্য আসার পর তাতে মিথ্যারোপ করে, তার চেয়ে বেশি যালিম আর কে? জাহান্নামের মধ্যেই কি কাফিরদের আবাস নয়?” [সূরা আল-‘আনকাবূত, আয়াত: ৬৮] এ আয়াতে বর্ণিত যুলুম শব্দটিকে কুফুর অর্থে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
অথবা কোনো ইবাদত আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও জন্য করল। আল্লাহ বলেন,
“আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ্কে ডাকে, এ বিষয়ে তার নিকট কোনো প্রমাণ নেই। তার হিসাব তো তার রব-এর নিকটই আছে। নিশ্চয় কাফিররা সফলকাম হবে না।” [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ১১৭]
এ বিধান নিম্নোক্ত সব অবস্থাকেই সমভাবে শামিল করে:
তার ইবাদত পুরোপুরিই আল্লাহ ব্যতীত অন্যের জন্য করেছে অথবা অন্যান্য উপাস্যগুলোকে মাধ্যম সাব্যস্ত করেছে। এ সবই কুফুরী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর তারা আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর ‘ইবাদাত করছে যা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। আর তারা বলে, ‘এগুলো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী।’ বলুন, ‘তোমরা কি আল্লাহকে আসমানসমূহ ও যমীনের এমন কিছুর সংবাদ দেবে যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরীক করে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে।” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১৮]
অথবা, যা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট, তা অন্যের জন্য নির্ধারণ করেছে। যেমন, শরী‘আতপ্রবর্তন ও বিধি-বিধান দেওয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহর। সুতরাং তা অন্য কাউকে এমনভাবে দেওয়া যে, তারা হালাল কিংবা হারাম করে। কারণ; শরী‘আতপ্রবর্তন ও বিধি-বিধান দেওয়াকে আল্লাহ তা‘আলা ইবাদত হিসেবে নামকরণ করেছেন। তিনি বলেন,
“তবে কি তারা আল্লাহর এমন শরীক করেছে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির মত সৃষ্টি করেছে, যে কারণে সৃষ্টি তাদের কাছে সদৃশ মনে হয়েছে? বলুন, ‘আল্লাহ্ সকল বস্তুর স্রষ্টা; আর তিনি এক, মহা প্রতাপশালী।” [সূরা আর-রা‘দ, আয়াত: ১৬]
অনুরূপভাবে যারা মুমিনদেরকে নয় বরং কাফিরদেরকে ভালোবাসা ও সাহায্য-সহযোগিতার জন্য বন্ধু ও অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে নিশ্চয় তাদেরই একজন।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৫১]
আর যে ব্যক্তির পক্ষে ইসলাম জানা সম্ভব, তারপরও সে তা বাদ দিল এবং ইচ্ছা করে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল- সে কাফির হিসেবে বিবেচিত হবে, যদিও সে বাস্তবে অজ্ঞ থাকে। কারণ, সে এমন অজ্ঞতার দোষে দুষ্ট, যা তার পক্ষে দূর করা সম্ভব ছিল, কিন্তু সে তা দূর করল না। আর এজন্যই আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের সম্পর্কে বলেছেন,
“কিন্তু তাদের বেশিরভাগই প্রকৃত সত্য জানে না, ফলে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২৪] এখানে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন যে, তারা অজ্ঞ, কিন্তু তারা ইচ্ছা করেই অজ্ঞ থেকে গিয়েছিল।
“আর যারা কুফুরী করেছে, তাদেরকে যে বিষয়ে ভীতিপ্রদর্শন করা হয়েছে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে আছে।” [সূরা আল-আহকাফ, আয়াত: ৩] আর হক্ব শোনার সময় তা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকার ফলে হক্বের বিষয়ে বিস্তারিত না জানা কখনও ওযর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। এটাই মূলতঃ জাতিসমূহের ভ্রষ্টতার বড় কারণ। কেননা তারা হক্বের একাংশ শোনে, তারপর তার বিস্তারিত জানা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে অজ্ঞ থাকতে, মুখ ফিরিয়ে থাকে।
বস্তুতঃ জাগতিক ও শর‘ঈ দলীল-প্রমাণাদির প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করা অধিকাংশ কাফিরদের স্বভাব। মহান আল্লাহ বলেন,
“বরং আমরা তাদের কাছে নিয়ে এসেছি তাদের ইজ্জত ও সম্মান সম্বলিত যিকির, কিন্তু তারা তাদের এ যিকির (কুরআন) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।” [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ৭১]
সুতরাং কোনো বিষয়ে সামান্য জানা থাকার সাথে সাথে সেটা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখার মাধ্যমে মানুষের মধ্যকার হক বিনষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং এর দ্বারা আল্লাহর হক কীভাবে বিনষ্ট হবে?!
আল্লাহর (জাগতিক ও শর‘ঈ) আয়াতসমূহের কাছে বিবেক যদি চিন্তাশীল হয়ে অবস্থান না করে, তাহলে সে আয়াতগুলোর উদ্দেশ্য বুঝা থেকে সে বঞ্চিত হয়ে যাবে, যেমনিভাবে সেগুলো তাড়াতাড়ি পার করা দ্বারাও সে অনুরূপ উপকার অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। ফলে সে তা দ্বারা উপকৃত হতে পারে না, যদিও সে প্রমাণটি শক্তির দিক থেকে প্রবল ও প্রত্যহ দৃশ্যমান হয়ে থাকে:
“আর আমরা আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ; কিন্তু তারা আকাশে অবস্থিত নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ৩২]
মানুষ তার এ ধারণায় ভুল করে থাকে, যখন সে মনে করে যে, হক্ব সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা এবং তাকে পৃষ্ঠদেশের দিকে ছেড়ে রাখা- সেটার ফলাফল ভোগ করা থেকে তাকে ছাড় দিয়ে দিবে।
আর মুখ ফিরিয়ে থাকার কারণ: হয় অহঙ্কার নতুবা অমনোযোগিতা ও ভোগমত্ততা। আর এ কারণেই যখন বিপদাপদ নাযিল হয়, তখন তা তার অহঙ্কার দূর করে দেয়, তার ভোগের আনন্দ হারিয়ে যায়। ফলে সে হক্ব দেখতে পায় এবং সেটার দিকে ফিরে আসে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/61/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।