মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইহুদিরা বিভিন্নভাবে মসজিদে আকসার মর্যাদার হানি ও তার পবিত্রতা সম্পর্কে মুসলিমের অন্তরে সন্দেহ সৃষ্টির নানা কৌশলে লিপ্ত। চরম মুসলিম বিদ্বেষী ইহুদিদের কোন লেখা, কিতাব ও গবেষণা পাওয়া যাবে না, -মসজিদে আকসা সম্পর্কে- যেখানে তারা কুদস শহরের পবিত্রতার ব্যাপারে সন্দেহের সৃষ্টি করেনি। বিভিন্ন আকার-ইঙ্গিত ও লেখার মাধ্যমে এ হীন-কাজে তারা লিপ্ত, যদিও প্রত্যেক গবেষণায় তার উপাদান নেই।
তাদের অপচেষ্টার অন্যতম হল মসজিদে আকসার ফজিলত সম্বলিত কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করা, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে সন্দেহ সৃষ্টি করা, যার বিশুদ্ধতার ওপর সকল আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত একমত। তাদের ধারণা মসজিদে আকসা আসমানে অবস্থিত একটি মসজিদ, মসজিদে কুদস নয়, যা মুসলিমদের নিকট প্রসিদ্ধ। আকসা শব্দই প্রমাণ করে আসমানে অবস্থিত সালাতের একটি স্থানের নাম মসজিদে আকসা, অর্থাৎ পবিত্র ঊর্ধ্ব জগত। তাদের কতক শিয়াদের উল্লেখ করা বর্ণনা, বাণী ও হাদিস দেখে তা লুফে নিয়েছে, যেখানে স্পষ্ট রয়েছে মসজিদে আকসা আসমানে অবস্থিত একটি মসজিদ। মসজিদে কুদসের নামের ন্যায়ই তার নাম! তাদের লেখা থেকে কতক উদাহরণ পেশ করছি:
বুহেল ও কুদস ধাতু:
ইসলামিক ইনসাইক্লোপিডিয়াতে (Al-Kudse) শব্দের আলোচনায় আছে, যা লিখেছেন ইহুদি বুহেল (Buhl F) [ইহুদি প্রাচ্যবিদ ইসলামিক ইনসাইক্লোপিডিয়াতে “কুদস” ধাতুর ওপর লিখিছেন।]: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কখনো মনে হত মসজিদে আকসা আসমানে একটি জায়গার নাম”!
এরপর তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথম থেকে জানতেন আয়াতে উল্লেখিত মসজিদ আসমানে একটি স্থানের নাম, বায়তুল মাকদিসে নির্মাণকৃত মসজিদ নয়”। [ড. মাহমুদ ইবরাহিম লিখিত “ফাদেয়েলে বায়তুল কুদস”: (পৃ.৪৭), জামেয়া উর্দুনিয়া, প্রকাশক: إصدار معهد المخطوطات العربية : ( المنظمة العربية للتربية والثقافة والعلوم ) الطبعة الأولى 1985م.]
ইসহাক হাসুন:
আবু বকর মুহাম্মদ ইব্ন আহমদ আল-ওয়াসেতি লিখিত “ফাদায়েলে বায়তুল মাকদিস” গ্রন্থের সংস্করণের ভূমিকায় “জামেয়া ইবরিয়াতে” এশিয়া ও আফ্রিকা বিষয়ক অনুষদের সদস্য, ইহুদি গবেষক ইসহাক হাসুন বলেন: “প্রসিদ্ধ আছে শিয়াদের একটি গ্রুপ অন্যান্য মসজিদের ওপর বায়তুল মাকদিসের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে না”। [আবু বকর আল-ওয়াসেতি লিখিত: “ফাদায়েলে বায়তুল মাকদিস”: (পৃ.৩৫), তাহকিক: ইসহাক হাসুন, معهد الدراسات الآسيوية والأفريقية- الجامعة العبرية، القدس .]
দলিল হিসেবে পেশ করেছে মাজলিসি রচিত “বিহারুল আনওয়ার” ও কান্দুজি রচিত “ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ” গ্রন্থের হাদিস। হাসুন তার পরবর্তী লেখায় লিখেন: “মুসলিমদের সকল আলেম এ বিষয়ে একমত নয় যে, মসজিদে কুদস-ই মসজিদে আকসা। কারণ তাদের কারো মতে মসজিদে আকসা আসমানে, যা সরাসরি কুদস অথবা মক্কার ওপরে”। [ড. মাহমুদ ইবরাহিম রচিত “ফাদায়েলে কুদস ফি মাখতুতাতিন আরাবিয়াতিন কাদিমাতিন”: (পৃ.৪১)]
এভাবে সে আসমানের কুদস ও জমিনের কুদসের মাঝে পার্থক্য নির্ধারণের চেষ্টা করেছে।
হাওয়া লা-তাসরুস ইয়াফাহ:
প্রাচ্যবিদ লেখিকা “হাওয়া লা-তাসরুস ইয়াফাহ” একটি গবেষণা পত্র লিখেছেন, তাতে তিনি প্রমাণ করেছেন: “শুরু থেকে মনে করা হত আয়াতে ইসরায় উল্লেখিত মসজিদ অনেক দূরে অবস্থিত একটি আসমানি মসজিদ। মসজিদে আকসার অর্থ কখনো উমাইয়াদের যুগে নির্মাণ করা মসজিদে কুদস নয়”।
লা-তাসরুস নিজ গবেষণার সমর্থনে “জুযিফ হুরুফিতাশ” এর লেখা পেশ করেছেন, একই বিষয়ে জুযিফ লিখেছে: “আয়াতে ইসরায় যে মসজিদের কথা বলা হয়েছে, তা মূলত আসমানে সালাতের একটি স্থানের নাম, যা ঊর্ধ্বাকাশের কুদস নামক স্থানে অবস্থিত। তিনি আরো বলেন: “আমাদের প্রয়োজন পূর্বযুগের মুফাসসিরদের ব্যাখ্যা বুঝা, তারা মসজিদে আকসা দ্বারা বায়তুল মাকদিস বুঝতেন। তার মতে তারা কুদস দ্বারা ঊর্ধ্বাকাশের কুদস-ই বুঝতেন, তবে যুগের পরিবর্তনের কারণে পরিভাষায় পরিবর্তন এসেছে। ফলে তারা ঊর্ধ্বাকাশে অবস্থিত মসজিদে আকসা দ্বারা বর্তমানে কুদসে অবস্থিত মসজিদ বুঝতে আরম্ভ করেছে”। [“আল-কুদস দিরাসাত ফি তারিখিল মদিনা”, লেখক: আমনুন কুহিন, (পৃ.৩৯), প্রকাশক: ইয়াদ ইয়াতিসহাক ইব্ন তিসফি।]
ইয়াহুদা লিতানি:
লেখক “ইয়াহুদা লিতানি” একটি প্রবন্ধ লিখেছেন “ইয়াদিউত আহরুনুত” পত্রিকায়, যার শিরোনাম: “মসজিদে আকসা সম্পর্কে চিন্তার লড়াই”। সেখানে তিনি “মুসলিমদের ঐক্যমত্যে মসজিদে আকসা নিশ্চিতভাবে মসজিদে কুদস” সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করেছেন”। তিনি বাড়িয়ে বলেন: মসজিদে আকসার ইসলামী অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে, যা থেকে বুঝা যায় মসজিদে আকসা অন্য কোথাও, একটি মতে মদিনার নিকটেই মসজিদে আকসা”! [“ইয়াদিউত আহরুনুত”: (৩/৩/২০০৫ইং)]
কিস্তার এম.জে, (Kister M.J):
কিস্তার এম.জে লিখেছেন: “মুসলিমদের মাঝে মসজিদে আকসার শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে”। [“ফাদায়েলে বায়তুল মাকদিস ফি মাখতুতাত আরাবিয়াতিন কাদিমাতিন”: (পৃ.৪০)]
তিনি মুসলিমদের নিকট মসজিদে আকসার অবস্থান সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টির জন্য কয়েকটি বর্ণনার আশ্রয় নিয়েছেন, যার বর্ণনাকারী প্রত্যেকেই শিয়া”। [প্রাগুক্ত: (পৃ.৪০)]
এ হল ইহুদিদের লেখার বিন্দু মাত্র, যা তারা মুসলিমের অন্তরে মসজিদে আকসার শ্রেষ্ঠত্ব ও সম্মানকে হেয় করার নিমিত্তে লিখেছে। তাদের জোর দাবি মসজিদে আকসা আসমানে অবস্থিত একটি মসজিদের নাম”। [আরো জানার জন্য দেখুন: ড. মাহমুদ ইবরাহিমের লেখা “ফাদায়েলে বায়তুল মাকদিস”। আব্দুল লতিফ জাকি আবু হাশেম এর তাহকিক করা: “আদাবু ফাদায়েলিল মুদান ফি দিরাসাতিল মুস্তাশরিকিনিল ইয়াহুদ”। জামেয়াতুল কুদসের অধীন আদব অনুষদের ডিন ড. হাসান আব্দুল হামিদ সালওয়াদি লিখিত: المستشرقون اليهود ومحاولة التهوين من قدسية القدس ومكانتها في الإسلام . এবং প্রফেসর আমনুন কুহিন লিখিত: القدس دراسات في تاريخ المدينة .]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/707/15
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।