hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিয়া ও মসজিদে আকসা

লেখকঃ তারেক আহমদ হিজাযী

কাবা ও মসজিদে আকসা থেকে কারবালা উত্তম!
শিয়ারা কিছু জায়গাকে পবিত্র জ্ঞান করে, আল্লাহর কিতাব ও তার রাসূলের সুন্নতে যার কোন ফজিলত নেই। তন্মধ্যে কারবালা অন্যতম, বিশেষ করে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর কবর। আবু আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “যদি তুমি হজের ইচ্ছা কর, কিন্তু তার তাওফিক লাভ না হয়, তাহলে হুসাইনের কবরে আস, তোমার জন্য হজ লিখা হবে। যদি তুমি ওমরার ইচ্ছা কর, কিন্তু তোমার তার তাওফিক না হয়, তাহলে হুসাইনের কবরে আস, তোমার জন্য ওমরা লিখা হবে”। [ওয়াসায়েলুশ শিয়াহ: (১০/৩৩২)]

বিহারুল আনওয়ার গ্রন্থে রয়েছে: “বায়তুল্লাহর মাটি সৃষ্টি ও তাকে হারাম ঘোষণার চব্বিশ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহ তা‘আলা কারবালাকে নিরাপদ, বরকতময় ও পবিত্র হারাম হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আল্লাহর মখলুক সৃষ্টি করার পূর্ব থেকে কারবালা পবিত্র ও বরকতময় ছিল, অনুরূপ বিদ্যমান থাকবে। অবশেষে আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোত্তম ভূমি, সর্বোত্তম বাড়ি ও সর্বোত্তম আবাস্থল আখ্যা দিবেন। জান্নাতে সেখানে তার ওলীগণ বাস করবেন”। [বিহারুল আনওয়ার: (১০১/১০৭)]

বরং হুসাইনের কবরের ফজিলত সম্পর্কে তাদের গোঁড়ামি এতটাই কঠিন আকার ধারণ করেছে যে, কারবালায় অবস্থিত হুসাইনের কবর যিয়ারত করা তাদের নিকট আল্লাহর ঘরের হজ করার চেয়ে অধিক ফজিলত পূর্ণ! আবু আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আরাফার দিন যে ব্যক্তি হুসাইনের কবর যিয়ারত করল, আল্লাহ তার জন্য কায়েম আলাইহিস সালামের সাথে হাজার হাজার হজের সাওয়াব, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে হাজার হাজার ওমরার সাওয়াব, এক হাজার ব্যক্তি আজাদ করা ও আল্লাহর রাস্তায় এক হাজার ঘোড়া সজ্জিত করার সমপরিমাণ সাওয়াব লিখবেন। আল্লাহ তার সম্পর্কে বলেন আমার বান্দা সিদ্দিক, আমার ওয়াদার ওপর ইমান এনেছে। ফেরেশতাগণ বলেন: অমুক বান্দা সিদ্দিক, আল্লাহ আরশের ওপর থেকে তার পবিত্রতার ঘোষণা দিয়েছেন। জমিনে তাকে কারুবি বলা হয়”। [ওয়াসায়েলুশ শিয়াহ: (১০/৩৬০)]

তাদের নিকট হুসাইনের কবর যিয়ারত শুধু হজ থেকে উত্তম নয়, বরং তা সর্বোত্তম আমল। তাদের বর্ণনায় এসেছে হুসাইনের কবর যিয়ারত করা সর্বোত্তম আমল। অপর বর্ণনায় এসেছে: “হুসাইনের কবর যিয়ারত করা অধিক পছন্দনীয় আমল”। [কামেলুযযিয়ারাত: (পৃ.১৪৬), বিহারুল আনওয়ার: (১০১/৪৯)] মাজলিসি এ শিরোনামে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন, তাতে এ জাতীয় অনেক বর্ণনা উল্লেখ করেছেন তিনি। [শিরোনাম: “অধ্যায়: হুসাইনের কবর যিয়ারত সর্বোত্তম আমল”। দেখুন: বিহারুল আনওয়ার: (১০১/৪৯)]

শিয়াদের শায়খ আল-ফায়দুল কাশানি হুসাইনের কবর যিয়ারতের ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত বর্ণনাসমূহের টিকায় বলেন: “আল্লাহ যাকে মুমিনদের ইমাম বানিয়েছেন তার জন্য এসব ফজিলত বেশী নয়, তার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে আসমান ও জমিনসমূহ। তাকে আল্লাহ স্বীয় সিরাত, রাস্তা, চোখ, দলিল ও দরজা বানিয়েছেন, যা দিয়ে প্রবেশ করা হয়। তিনি রব ও বান্দার মাঝে যোগসূত্র, হোক সে বান্দা রাসূল, নবী, হুজ্জত ও ওলী। অধিকন্তু তার কবরে দান করা, উদ্দেশ্য হাসিলের আশা করা, কুরবানি পেশ করা, হিজরত করা, কষ্ট সহ্য করা, ওয়াদা করা, কবর দর্শন করা ও উৎসবে অংশ গ্রহণ করা অধিক সাওয়াবের কাজ”। [আল-ওয়াফি: (খ.২), (৮/২২৪)]

শিয়াদের দৃষ্টিতে মসজিদে কুফা ও কারবালার ফজিলত থেকে সামান্য উল্লেখ করলাম, অনেক কিছু ছেড়ে দিয়েছি যেন দীর্ঘ না হয়। আরো জানার যার ইচ্ছা রয়েছে, তিনি ইমামিয়াদের ফিকাহ, মাযার ও তাদের হাদিসের কিতাবগুলো দেখুন।

এতে সন্দেহ নেই যে, শিয়ারা বনু উমাইয়াদের প্রতি বিদ্বেষ ও হিংসা থেকে মসজিদে আকসার ওপর অন্যান্য স্থানকে অধিক ফজিলতপূর্ণ মনে করে ও তার ফজিলত অস্বীকার করে। কারণ উমাইয়া খলিফারাই মসজিদে আকসার পুনঃ নির্মাণ ও তার আবাদ করেন নতুনভাবে। গোঁড়ামির আতিশয্যয় শিয়ারা নিজেদের পবিত্র ভূমিগুলোকে ফজিলতপূর্ণ তিনটি মসজিদ থেকে উত্তম দাবি করে, যে তিনটি মসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করা বৈধ, বরং সাওয়াবের কাজ। তারা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের নিকট ফজিলতপূর্ণ স্থানসমূহের মানহানিতে কোন কসুর করে না। তারা কুরআন ও সুন্নায় বর্ণিত মসজিদে আকসার ফজিলত অস্বীকার করে।

কিভাবে তারা বায়তুল মাকদিসের মর্যাদা অন্তরে স্থান দিবে, যা বিজয় করেছেন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু, স্বাধীন করেছেন সালাহুদ্দিন আইয়ূবী –রাহিমাহুল্লাহ-। যে মসজিদ দীর্ঘকাল ইলম, আলেম ও আহলে সুন্নাহর তীর্থ ভূমি হিসেবে স্বীকৃত ছিল!

উপরন্তু মসজিদে আকসার ফজিলত ও তার অবস্থান নির্ণয়ে- আসমানে না জমিনে- শিয়াদের বর্ণনাগুলো সিদ্ধান্তহীন। তাদের কারো নিকট ফিলিস্তিনে অবস্থিত মসজিদই মসজিদে আকসা। তারা এর ফজিলত বর্ণনা করেছেন: যেমন তুসি “আল-খিলাফ” গ্রন্থে, হুলি “তাহরিরুল আহকাম” ও তাযকিরাতুল ফোকাহা গ্রন্থে। তবে শিয়াদের অধিকাংশ আলেমের মতে মসজিদে কুফা মসজিদে আকসা থেকে উত্তম! [এদত সত্যেও তারা প্রচার করে যে, কুদস-ই তাদের প্রথম বিষয় এবং তারা দুর্বল ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। তারা মসজিদে আকসাকে মুক্ত করার জন্য যুদ্ধ করবে। এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল। তারা কুদসকে সাহায্য করার জন্য একটি দিন নির্ধারণ করে তার নাম রেখেছে ‘কুদস দিবস’। কুদসকে মুক্ত করার জন্য একটি বাহিনীর নাম রেখেছে “জায়শুল কুদস” ও “ফায়লাকুল কুদস”। কুদসের জন্য একটি সম্প্রচার সংস্থা করেছে, যার নাম “কুদস সম্প্রচার সংস্থা”। কুদসের জন্য তাদের নির্দিষ্ট একটি পথ রয়েছে, যার নাম “তারিকুল কুদস”। অথচ আমরা দেখছি সে পথ মোড় ঘুরিয়ে ইরাক ও আফগানিস্তানের দিকে দাবিত হচ্ছে! আমরা দেখার অপেক্ষায় আছি, ইরানের কে কুদসকে মুক্ত করার জন্য জীবন দেয়!]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন