মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
শিয়াদের তাফসির গ্রন্থে মসজিদে আকসা সম্পর্কে যেরূপ বলা হয়েছে, তাদের প্রামাণ্য অন্যান্য গ্রন্থসমূহে মূলত তারই দ্বিরুক্ত হয়েছে, যেমন:
১. বিহারুল আনওয়ার:
মাজলিসি বর্ণনা করেন: আবু আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি তাকে ফজিলতপূর্ণ মসজিদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বলেন: মসজিদে হারাম ও মসজিদুর রাসূল। আমি বললাম: আপনার ওপর আমি উৎসর্গ মসজিদে আকসা? তিনি বললেন: মসজিদে আকসা আসমানে, সেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসরা হয়েছিল। আমি বললাম: মানুষেরা বলে বায়তুল মাকদিসই মসজিদে আকসা? তিনি বললেন: মসজিদে কুফা তার থেকে উত্তম? [বিহারুল আনওয়ার: (৯৭/৪০৫), লি মুহাম্মদ বাকের আল-মাজলিসি, তৃতীয় প্রকাশ ১৪০৩হি. ১৯৮৩ইং. দারু ইহইয়াউত তুরাসিল আরাবি।]
২. মুনতাহাল আমাল:
আব্বাস আল-কুম্মি “মুনতাহাল আমাল” গ্রন্থে বলেন: “প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী বায়তুল মাকদিস-ই মসজিদে আকসা, কিন্তু অধিকাংশ হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় মসজিদে আকসার অর্থ বায়তুল মামুর, যা চতুর্থ আসমানে বিদ্যমান। বায়তুল মামুরই সবচেয়ে দূরের মসজিদ”। [মুনতাহাল আমাল লি আব্বাস আল-কুম্মি: (পৃ.৭০)] [আকসা অর্থ দূরবর্তী]
৩. কামেলুয যিয়ারাত:
ইব্ন কুলুব “কামেলুয যিয়ারাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেন, আবু আব্দুল্লাহ সাদেক আলাইহিস সালাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: জনৈক ব্যক্তি আমিরুল মুমেনিন আলাইহিস সালামের নিকট আগমন করে, তিনি তখন কুফার মসজিদে। সে বলল: “আস্সালামু আলাইকুম হে আমিরুল মুমেনিন, তিনি তার উত্তর দিলেন। অতঃপর বলল: আমি আপনার ওপর উৎসর্গ, আমি মসজিদে আকসার ইচ্ছা করেছি, তাই প্রথমে আপনাকে সালাম করে যাত্রা আরম্ভ করব। তিনি বললেন: তোমার উদ্দেশ্য কি? সে বলল: ফজিলত অর্জন করা, আমি আপনার ওপর উৎসর্গ। তিনি বললেন: তোমার উট ও সকল আসবাব-পত্র বিক্রি করে দাও। তুমি এ মসজিদে সালাত আদায় কর, এ মসজিদে ফরয সালাত একটি মবরুর হজের সমান, এ মসজিদে নফল সালাত একটি মবরুর ওমরার সমান। এখান থেকে বারো মাইল পর্যন্ত বরকতে পরিপূর্ণ। এ মসজিদের ডান পাশে বরকত ও বাম পাশে ষড়যন্ত্র। এর মধ্যবর্তী রয়েছে তেলের নহর, দুধের নহর ও পানির নহর যা মুমিনদের জন্য সুপেয়। অপর একটি পানির নহর মুমিনদের পবিত্রকারী। এখান থেকে নূহের নৌকা যাত্রা আরম্ভ করেছিল। এখানেই ছিল নাসর, ইয়াগুস ও ইয়াউক। এখানে সত্তুর জন নবী ও সত্তুর জন অসি সালাত আদায় করেছেন, আমি তাদের একজন। তিনি হাত দ্বারা নিজের বুকের দিকে ইশারা করলেন। এখানে যদি কোন মুসিবতগ্রস্ত তার প্রয়োজন সম্পর্কে আল্লাহর নিকট দরখাস্ত পেশ করে, আল্লাহ অবশ্যই তার ডাকে সাড়া দিবেন ও তার মুসিবত দূর করবেন”। [কামেলুয যিয়ারাত: (পৃ.৮০), বিহারুল আনওয়ার: (৯৭/৪০৪), আল-ওয়াসায়েল: (৩/৫২৯), ফুরুল উল কাফি, লি আবু জাফর আল-কুলাইনি: (৩/৪৯১)]
৪. “আস-সাহিহ মিন সিরাতির রাসূলিল আ’যম”:
“আস-সাহিহ মিন সিরাতির রাসূলিল আ’যম” গ্রন্থে জাফর আল-আমেলি প্রমাণ করেছেন: মসজিদে আকসা মূলত আসমানের একটি মসজিদ। তিনি এর স্বপক্ষে কতক হাদিস পেশ করেছেন, যার সনদ ও মাত্ন (ভাষা) কোনটিই বিশুদ্ধ নয়, তবুও তিনি সেসব কথাগুলো নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সম্পৃক্ত করে বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমাকে যখন আসমানে নিয়ে যাওয়া হল, দেখলাম আরশে লিখা: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ, আমি এ কালিমাকে আলি আলাইহিস সালাম দ্বারা শক্তিশালী করেছি”। [“আস-সাহিহ মিন সিরাতির রাসূলিল আ’যম”: (৩/১০১)]
তিনি নিজ গ্রন্থে “মসজিদে আকসা কোথায়” শিরোনামে বিকৃতির অপপ্রয়াস চালান এভাবে: “অভিধানে الأقصى অর্থ দূরবর্তী, কুরআনের ভাষায় এর সুন্দর উদাহরণ:
“পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা”। [সূরা ইসরা: আয়াত নং: (১)]
ইসরা অর্থ রাতের সফর, হোক জমিনে কিংবা আসমানে। আকসা অর্থ দূরত্ব ও দূরবর্তী। যদি মেনে নেয়া হয় বায়তুল মাকদিস মসজিদে আকসা, তাহলে তা হিজায থেকে দূরবর্তী সন্দেহ নেই, কিন্তু শাম থেকে নিকটবর্তী। তাই আকসা অর্থ সব মানুষ থেকে সমান দূরত্বে অর্থ নেয়া অধিক যুক্তিযুক্ত, বরং ওয়াজিব। আমরা পূর্বে প্রমাণ করেছি মাসজিদে আকসা চতুর্থ আসমানে অবস্থিত বায়তুল মামুরে!
৫. আল-কাফি:
আল-কাফির এক বর্ণনায় এসেছে: আমি তাকে বললাম: আমাকে বলা হয়েছে যে, আপনার নিকট আল্লাহর একটি ইসম রয়েছে, যার দ্বারা প্রতি রাত-দিনে বায়তুল মাকদিসে পৌঁছেন ও বাড়িতে ফিরে আসেন। তিনি বললেন: তুমি কি বায়তুল মাকদিস জান? আমি বললাম: আমি শুধু শামে অবস্থিত বায়তুল মাকদিস-ই জানি। তিনি বললেন: সেটা বায়তুল মাকদিস নয়, প্রকৃত বায়তুল মাকদিস মুহাম্মদ ও তার পরিবারের ঘর। আমি তাকে বললাম: আপনি কি আজকের পূর্বে কখনো এ কথা শুনেননি? তিনি বললেন: এ হচ্ছে নবীদের মেহরাব। পূর্বে এ স্থানের নাম ছিল হাযিরাতুল মাহারিব, কিন্তু যখন মুহাম্মদ ও ঈসা আলাইহিমুস সালামের মধ্যবর্তী যুগে আহলে শিরকের ফিতনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় ও দুষ্কৃতকারী শয়তানদের যুগে বিভিন্ন ধ্বংস সংগঠিত হয়, তখন তাদের দ্বারা এসব নামে পরিবর্তন, বিকৃতি ও সংস্কার ঘটে। এ কথাই আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: [আল-কাফি লিল কুলাইনি: (১/৪৮১)]
“এগুলো কেবল কতিপয় নাম, যে নামগুলো তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষেরা রেখেছ। এ ব্যাপারে আল্লাহ কোন দলীলÑপ্রমাণ নাযিল করেননি”। [সূরা আন-নাজম: (২৩)]
৬. ইলালুশ শারায়ে:
ইলালুশ শারায়ে গ্রন্থের লেখক নিজ সনদে বর্ণনা করেন, আলি ইব্ন সালেম তার পিতা থেকে, তিনি সাবেত ইব্ন দিনার থেকে। তিনি বলেছেন: “আমি জয়নুল আবেদিন আলি ইব্ন হুসাইন ইব্ন আলি ইব্ন আবি তালেব আলাইহিমুস সালামকে আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি কি কোন স্থানের সাথে নির্দিষ্ট? তিনি বললেন: আল্লাহ স্থান থেকে পবিত্র। আমি বললাম: তাহলে কেন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আসমানে নিয়ে যাওয়া হল? তিনি বললেন: আসমানের রাজত্ব, তাতে বিদ্যমান আশ্চর্য সৃষ্টি ও অদ্ভুত জগত দেখানোর জন্য তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে...”। [ইলালুশ শারায়ে, মুহাম্মদ বাবুইয়াহ আল-কুম্মি: (১/১৬০), প্রথম প্রকাশ ১৪০৮হি. ১৯৮৮ইং।]
তাকিউদ্দিন আল-কাফ‘আমি লিখিত “আল-মিসবাহ ফিল আদইয়াতি, ওয়াস সালাওয়াতি ওয়ায যিয়ারাত” গ্রন্থে মিরাজের রাতের দোয়ার টিকায় রয়েছে: “এ দোয়ার মর্যাদা ও ফজিলত অনেক বেশী, আমিরুল মুমেনিন আলি আলাইহিস সালাম নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, যার সারাংশ: যখন আমাকে আসমানে নিয়ে যাওয়া হল, আমি এক এক পর্দা অতিক্রম করতে লাগলাম, এভাবে আমি সত্তুর হাজার পর্দা অতিক্রম করি। প্রতি দু’পর্দার মধ্যবর্তী দূরত্ব পূর্ব-পশ্চিমের ন্যায় সত্তুর হাজার গুণ বড়...। [“আল-মিসবাহ ফিল আদইয়াতি, ওয়াস সালাওয়াতি ওয়ায যিয়ারাত, ওয়াল আহরায, ওয়াল আউযাত”। লি তাকিউদ্দিন ইবরাহিম ইব্ন আলি আল-আমেলি আল-কাফ‘আমি, মৃত: (৯০০হি.), সংস্কারক ও প্রকাশক হুসাইন আমালি: (পৃ.৩৬৩), দ্বিতীয় প্রকাশ ১৪২৪হি. ২০০৩ইং।]
৮. তাফসিলু ওয়াসায়েলুশ শিয়াহ:
মুহাম্মদ ইব্ন হাসান আল-হুর আমেলি (মৃত: ১১০৪হি.) “তাফসিলু ওয়াসায়েলুশ শিয়াহ” গ্রন্থে একটি অধ্যায় কায়েম করেছেন, যার শিরোনাম: “মক্কা, মদিনা ও কুফার সম্মান করা ওয়াজিব, সেখানে অবস্থান করা, তার জন্য সদকা করা, সেখানে অধিক সালাত আদায় করা ও তার উদ্দেশ্যে সফর করা মুস্তাহাব”। [“তাফসিলু ওয়াসায়েলুশ শিয়াহ ইলা তাহসিলে মাসায়েলিশ শারিয়াহ”। লেখক মুহাম্মদ ইব্ন হাসান আল-হুর আমেলি: (১৪/৩৬০), প্রথম প্রকাশ: ১৪১৩হি. ১৯৯৩ইং, তাহকিক মুয়াসসাসাতু আহলুল বায়েত আলাইহিমুস সালাম লি ইহয়াইত তুরাস, বইরুত, লেবানন।]
এ কিতাবে আরো বর্ণনা রয়েছে, যার সারাংশ: “মক্কা আল্লাহর হারাম, মদিনা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হারাম এবং কুফা আমিরুল মুমেনিন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর হারাম। ক্ষমতাধর যে কেউ এখানে অনিষ্টের ইচ্ছা করবে আল্লাহ তাকে টুকরো টুকরো করে ফেলবেন”!
মুহাম্মদ ইব্ন আলি ইব্ন হুসাইন “মা‘আনিল আখবার” গ্রন্থে তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, সে মুহাম্মদ ইব্ন ইয়াহইয়া থেকে, সে আহমদ ইব্ন মুহাম্মদ ইব্ন খালেদ থেকে, সে আবু আব্দুল্লাহ রাযি থেকে, সে হাসান আলি ইব্ন আবু উসমান থেকে, সে মুসা ইব্ন বকর থেকে, সে আবুল হাসান মুসা ইব্ন জাফর থেকে, সে তার পূর্বপুরুষ থেকে বর্ণনা করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ চারটি শহর গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন:
“কসম ‘তীন ও যায়তূন এর। কসম ‘সিনাই পর্বতের, কসম এই নিরাপদ নগরীর”। [সূরা তীন: (১-৩)]
তীন অর্থ মদিনা, জয়তুন অর্থ বায়তুল মাকদিস, তুরে সিনিন অর্থ কুফা এবং এ নিরাপদ শহর অর্থ মক্কা। [“তাফসিলু ওয়াসায়েলুশ শিয়াহ ইলা তাহসিলে মাসায়েলিশ শারিয়াহ”: (১৪/৩৬১)]
আবু জাফর আলাইহিস সালাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমিরুল মুমেনিন আলাইহিস সালাম বলেছেন:
“এবং আমি তাদেরকে আবাসযোগ্য ও ঝর্নাবিশিষ্ট এক উঁচু ভূমিতে আশ্রয় দিলাম”। [সূরা মুমিনুন: (৫০)]
রাবওয়াহ অর্থ কুফা, কারার অর্থ মসজিদ, মুঈন অর্থ ফুরাত। [“তাফসিলু ওয়াসায়েলুশ শিয়াহ ইলা তাহসিলে মাসায়েলিশ শারিয়াহ”: (১৪/৩৬২)]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/707/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।