hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিয়া ও মসজিদে আকসা

লেখকঃ তারেক আহমদ হিজাযী

১৬
প্রাচ্যবিদদের লেখায় মসজিদে আকসা?!
প্রাচ্যবিদরা কুদস, মসজিদে আকসা ও মুসলিমদের নিকট তার মর্যাদা সম্পর্কে কয়েকটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এসব বিতর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্য ইসলামের দৃষ্টিতে কুদসের কোন বৈশিষ্ট্য নয় প্রমাণ করা। কিংবা রণকৌশল ও প্রশাসনিক দিক থেকে তার কোন আলাদা বিশেষত্ব নেই দেখানো। এ ব্যাপারে তাদের প্রসিদ্ধ কতিপয় অভিমত:

জুলদ তিসহির:

প্রাচ্যবিদ লেখক জুলদ তিসহির (১৮৫০-১৯২০ইং) বংশগত দিক থেকে ইহুদি। কুদস ও মসজিদে আকসা সম্পর্কে গবেষণাকারী অনেক গবেষক তাকে গুরু ও মৌলিক গ্রন্থ প্রণেতা জ্ঞান করেন। পাশ্চাত্যের প্রাচ্যবিদ ছাত্রদের জন্য তার লেখা মৌলিক রচনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনিই সর্বপ্রথম মসজিদে আকসা ও তাতে বরকত সম্পর্কিত হাদিসগুলোতে সন্দেহ করেন। তার ধারণায় আব্দুল্লাহ ইব্‌ন জুবায়ের এর বিদ্রোহের সময় আব্দুল মালিক ইব্‌ন মারওয়ান মানুষদেরকে হজ থেকে বারণ করেন। তিনি মসজিদে আকসায় পাথরের একটি গম্বুজ তৈরি করেন, যেন মানুষেরা কাবার পরিবর্তে তার হজ ও তাওয়াফ করে!

তিনি আরো মনে করেন: আব্দুল মালিক চেয়েছেন মানুষ যেন দীন হিসেবে মসজিদে আকসার হজ করে। এ জন্য তিনি জুহরিকে [ইমাম জুহরির পুরো নাম: আবু বকর মুহাম্মদ ইব্‌ন মুসলিম ইব্‌ন উবাইদুল্লাহ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ ইব্‌ন শিহাব আল-কুরাশি আয-যুহরি। ৫১হি.তে জন্ম গ্রহণ করেন। বড় ও প্রখ্যাত তাবেয়ীনদের অন্যতম তিনি। তিনি দশজন সাহাবীর সাক্ষাত লাভ করেছেন, তন্মধ্যে আনাস ইব্‌ন মালেক, ইব্‌ন ওমর, জাবের, সুহাইল ইব্‌ন সাদ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার উস্তাদ ছিল সায়ীদ ইব্‌নুল মুসাইয়্যীব। ইমাম আহমদ তার সম্পর্কে বলেন: “যুহরি মানুষের মধ্যে সুন্দর হাদিস বর্ণনাকারী ও উত্তম সনদের অধিকারী”। ইব্‌ন হাজার তার সম্পর্কে তাহযিবুত তাহযিব গ্রন্থে বলেন: “তিনি ফকিহ, হাফেজ ও মাদানী ছিলেন। প্রখ্যাত আলেমদের অন্যতম এবং হিজায ও শামের বড় আলেম ছিলেন”।ইমাম যাহাবি তার সম্পর্কে বলেন: “তিনি ইমাম, হাফেয ও হুজ্জত। অধিক হাদিস বর্ণনাকারী এবং হিযাজ ও শামে অধিক যাতায়াতের কারণে তাকে হিজায ও শামের আলেম বলা হয়। আমর ইব্‌ন দিনার বলেছেন: “আমি যুহরি থেকে হাদিসের ওপর অধিক পারদর্শী কাউকে দেখিনি”।হাদিসের ইমাম, হাফেয ও সার্টিফাইকারী আলেমগণ তার আমানতদারী, শ্রেষ্ঠত্ব ও বড়ত্বের স্বীকৃতিতে একমত। প্রাচ্যবিদ কট্টরপন্থী ইহুদি জুলদ তিসহিরের পূর্বে কাউকে শুনিনি হাদিসের মহান ইমামের সততা ও আমানতদারী সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তুলেছেন।শুধু জুলদ তিসহির-ই অপবাদ দিলেন যে, তিনি উমাইয়াদের জন্য হাদিস রচনা করেছেন। কোন বিবেক সূলভ নয় যে, সাহাবী, তাবেয়ী, ইসলামের ফকিহ ও হাদিসের ইমামগণ তেরো শতাব্দি যাবত ইব্‌ন শিহাব যুহরি সম্পর্কে ধোঁকায় পতিত থাকবেন!তারা কেউ ইব্‌ন শিহাবের হাদিস রচনা ও উমাইয়াদের খুশি করার জন্য মিথ্যা বলার সাহস সম্পর্কে জানলেন না! শুধু জুলদ তিসহিরই জানলেন!] পেয়ে যান। তিনি উম্মতে মুসলিমার মধ্যে বিরাট ব্যক্তিত্বের অধিকারী ও হাদিস রচনায় পারঙ্গম ছিলেন, যেমন তিনি রচনা করেন: “তিনটি মসজিদ ব্যতীত কোথাও সফর করা যাবে না”। তার ধারণায় বায়তুল মাকদিস সম্পর্কে বর্ণিত হাদিসগুলো শুধু যুহরি সূত্রেই বর্ণিত! [দেখুন: ড. মুস্তফা সাবেয়ী লিখিত: “আস-সুন্নাহ ওয়া মাকানাতুহা ফিত তাশরিঈল ইসলামী”: (পৃ.১৮৯-১৯৯), আল-মাকতাবাতুল ইসলামী, চতুর্থ প্রকাশ: ১৪০৫হি.-১৯৮৫ইং.]

রিজেস বেলাশীর:

ফ্রান্সের প্রাচ্যবিদ “রিজেস বেলাশীর” [“রিজাশ বেলাশীর” (১৯০০-১৯৭৩ইং) বিংশ শতাব্দির ফ্রান্সের প্রসিদ্ধ প্রাচ্যবিদ। দিমাশকের ইলমী আরবী কমপ্লেস্কের সদস্য! তিনি ১৯৫৭ইং সনে ফ্রান্সের ভাষায় কুরআনের অর্থানুবাদ করেন। ১৯৬৬ইং পুনরায় প্রকাশ করেন। তার তাফসির ভুল, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যে ভরপুর। তিনি পাঠকদের বুঝাতে চেয়েছেন যে, কুরআন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রচনা।] ফ্রান্সের ভাষায় তার নিজের কুরআন অনুবাদে বলেন:

﴿ سُبۡحَٰنَ ٱلَّذِيٓ أَسۡرَىٰ بِعَبۡدِهِۦ لَيۡلٗا مِّنَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ إِلَى ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡأَقۡصَا ١ ﴾ [ الاسراء : ١ ]

“পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতেনিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকেআল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত”। [সূরা ইসরা: আয়াত নং: (১)]

“যেসব মুসলিমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে ছিল, তারা মনে করত মসজিদে আকসা আসমানের একটি মসজিদ। আর ইসরা অর্থাৎ মিরাজ হয়েছে আসমানে। কিন্তু উমাইয়াদের যুগে মক্কা মক্কাকে ইসলামের একক রাজধানীর বৈশিষ্ট্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা চলেছে। সে ধারাবাহিকতায় মসজিদে আকসাকে আসমানি মসজিদ স্বীকার করা হয়নি, তবে পরিণতিতে তা ইসলামী রাজ্যের রাজধানী না হয়ে ইহুদি রাজ্যের একটি শহরে রূপান্তর হয়েছে! [রিজাশ বেলাশীর কর্তৃক ফ্রান্সের ভাষায় কুরআনের অর্থানুবাদ, (পৃ.৩০৫)]

এসব ইহুদি ও প্রাচ্যবিদরা কেন আমাদেরকে বললেন না কোথা থেকে এগুলো সংগ্রহ করেছেন?! তারা কোন তথ্য ও উৎসের ওপর নির্ভর করে বলেছেন যে, মসজিদে আকসা আসমানের একটি মসজিদ এবং তার স্থান সন্দেহযুক্ত?!

সারাংশ:

আমাদের নিকট প্রমাণিত যে, ইহুদিরা তাদের মতের সমর্থনে শিয়াদের বানোয়াট বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। শিয়ারা যার ওপর ভিত্তি করে উমাইয়া খলিফাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে ও তাদের পবিত্র স্থানগুলোর মর্যাদা মসজিদে আকসার ঊর্ধ্বে প্রমাণ করেছে। ইহুদিরা ফিলিস্তিন থেকে মসজিদে আকসার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য শিয়াদের মিথ্যা ও বানায়োট বর্ণনাগুলো লুফে নিয়েছে। শিয়াদের সুরে তারা বলে ইসলামের দৃষ্টিতে কুদসের কোন মর্যাদা নেই। ইসলাম ও কুদসের মাঝে কোন সম্পর্ক নেই। মসজিদে আকসা প্রকৃত পক্ষে কুদস ব্যতীত অন্য কোন মসজিদ। [জামেয়া কুদস ফিলিস্তিনের দাওয়া ও উসুলে দীন অনুষদের ফিকাহ ও উসূলের উস্তাদ ড. হুসামুদ্দিন ‘আফানাহকে “শিয়াদের নিকট মসজিদে আকসার মর্যাদা” সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি উত্তরে বলেন: “মুদ্দাকথা আহলে সুন্নাহ যেভাবে পবিত্র মসজিদে আকসাকে দেখে শিয়ারা সেভাবে দেখে না। শিয়াদের নিকট মসজিদে আকসা আসমানে। তাদের যারা বায়তুল মাকদিসে মসজিদে আকসাকে স্বীকার করে, তাদের নিকট মসজিদে কুফা মসজিদে আকসা থেকে উত্তম। সন্দেহ নেই এ মন্তব্য আল্লাহর দীনের ওপর মিথ্যাচার, কারণ মসজিদে কুফার কোন ফজিলত কুরআন বা হাদিসে নেই”। দেখুন: ড. হুসামুদ্দিন ‘আফানার ওয়েব সাইট: www.yasaloonak.net আরো দেখনু: www.haqeeqa.com]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন