মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা”। [সূরা ইসরা: আয়াত নং: (১)]
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন: “অর্থাৎ [তার ইসরা হয়েছিল] আসমানে বিদ্যমান মসজিদে আকসা পর্যন্ত, বিভিন্ন বর্ণনা থেকে এটাই প্রমাণিত হয়”। [“ফায়েদ আল-কাশানি” লিখিত “তাফসিরে সাফি”: (৩/১৬৬)]
এ সিদ্ধান্তের পশ্চাতে উল্লেখ করেছেন: “কুম্মি বর্ণনা করেন একদা বাকের আলাইহিস সালাম মসজিদে হারামে বসে ছিলেন। একবার আসমানের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন, আরেকবার কাবার দিকে। অতঃপর বলেন:
“পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত”। [সূরা ইসরা: আয়াত নং: (১)]
এ আয়াত তিনি তিনবার পাঠ করলেন, অতঃপর ইসমাইল জুফি-র দিকে তাকিয়ে বলেন: হে ইরাকি, ইরাকিরা এ আয়াত সম্পর্কে কি বলে? তিনি বলেন: তারা বলে: তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মসজিদে হারাম থেকে বায়তুল মাকদিস পর্যন্ত। তিনি বললেন: তারা যেরূপ বলে সেরূপ নয়। তবে তাকে এখান থেকে ওখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তিনি হাত দ্বারা আসমানের দিকে ইশারা করলেন এবং বললেন: উভয়ের মধ্যবর্তী স্থান হারাম”। [“ফায়েদ আল-কাশানি” লিখিত “তাফসিরে সাফি”: (৩/১৬৬)]
২. তাফসিরে নুরুস সাকলাইন:
শিয়া আলেম “হুওয়াইযি” [সম্পূর্ণ নাম: আব্দুল আলি ইব্ন জাম‘আ আল-আরুসি আল-হুওয়াইযি, মৃত: (১১১২)হি.] রচিত “নুরুস সাকলাইন” তাফসির গ্রন্থে সূরা ইসরার প্রথম আয়াতের তাফসিরে প্রাগুক্ত বর্ণনাগুলো উল্লেখ করে সমর্থন স্বরূপ বলেন: সালেম আল-হান্নাত থেকে বর্ণিত, তিনি জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি আবু আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম সূত্রে বলেন: আমি তাকে ফজিলতপূর্ণ মসজিদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বললেন: মসজিদে হারাম ও মসজিদুর রাসূল। আমি বললাম: আপনার ওপর আমি উৎসর্গ মসজিদে আকসা? তিনি বললেন: মসজিদে আকসা আসমানে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি বললাম: মানুষেরা মনে করে মসজিদে আকসা বায়তুল মাকদিস? তিনি বললেন: “কুফার মসজিদ তার থেকে উত্তম”! [তাফসিরে নুরুস সাকলাইন, আব্দুল আলি আল-হুওয়াইযি। হাশেম আল-মহল্লাতি কর্তক সংস্কৃত ও টিকা সংযোজিত: (৩/৯৭), প্রথম প্রকাশ: ১৪২৪হি. দারুদ তাফসির- কুম, ইরান।]
হুওয়াইযি নিজ তাফসির গ্রন্থে যোগ করেন: আলি ইব্ন ইবরাহিম বলেন, আমাকে বলেছে খালেদ হাসান ইব্ন মাহবুব, তিনি মুহাম্মদ ইব্ন সাইয়ার থেকে, তিনি আবু মালেক আযদি থেকে, তিনি ইসমাইল জুফি থেকে, তিনি বলেন: আমি মসজিদে বসে ছিলাম, আবু জাফর অপর প্রান্তে ছিলেন। তিনি একবার আসমানের দিকে মাথা তুলছেন, আরেকবার কাবার দিকে। অতঃপর বললেন:
“পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত”। [সূরা ইসরা: আয়াত নং: (১)]
এ আয়াত তিনি তিনবার পাঠ করলেন। অতঃপর আমার দিকে ফিরে বললেন: হে ইরাকি, ইরাকিরা এ আয়াত সম্পর্কে কি বলে? আমি বললাম: তারা বলে তাকে মসজিদে হারাম থেকে বায়তুল মাকদিস পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন: তারা যেরূপ বলে সেরূপ নয়, কিন্তু তাকে এখান থেকে ওখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তিনি হাত দিয়ে আসমানের দিকে ইশারা করেন, এবং বলেন: উভয়ের মধ্যবর্তী হারাম”। [তাফসিরে নুরুস সাকলাইন: (৩/৯৮)]
৩. তাফসিরুল আইয়াশি:
শিয়া মুফাসসির ‘আইয়াশি’ নিজ তাফসির গ্রন্থে সূরা ইসরার শুরুতে কতক বর্ণনা উল্লেখ করেছেন, যার থেকে প্রতিয়মান হয় মসজিদে আকসা আসমানে অবস্থিত একটি মসজিদ। তিনি বলেন: সালেম আল-হান্নাত থেকে বর্ণিত, তিনি জনৈক ব্যক্তি থেকে, তিনি আবু আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন। আমি তাকে ফজিলতপূর্ণ মসজিদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বলেন: মসজিদে হারাম ও মসজিদুর রাসূল। আমি বললাম: আপনার ওপর আমি উৎসর্গ মসজিদে আকসা? তিনি বললেন: মসজিদে আকসা আসমানে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসরা সেখানেই হয়েছে। আমি বললাম: মানুষেরা বলে বায়তুল মাকদিসই মসজিদে আকসা? তিনি বললেন: মসজিদে কুফা তার থেকে উত্তম? [তাফসিরুল আইয়াশি, লি মুহাম্মদ ইব্ন আইয়াশ আস-সালামি, আস-সামারকান্দি। তাহকিক করেছেন হাশেম আল-মুহাল্লাতি: (২/৩০২), প্রথম প্রকাশ ১৪১১হি.]
৪. আল-বুরহান ফি তাফসিরিল কুরআন:
বাহরানি “আল-বুরহান ফি তাফসিরিল কুরআন” গ্রন্থে এবং অপর শিয়া মুফাসসির তাবাতাবায়ি “তাফসিরুল মিযান” গ্রন্থে শিয়াদের অধিকাংশ তাফসির গ্রন্থে বর্ণিত বর্ণনাগুলো উল্লেখ করেছেন, যা থেকে প্রতিয়মান হয় মসজিদে আকসা আসমানে অবস্থিত একটি মসজিদ। সালেম আল-হান্নাত থেকে বর্ণিত, তিনি জনৈক ব্যক্তি থেকে, তিনি আবু আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন। আমি তাকে ফজিলতপূর্ণ মসজিদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বলেন: মসজিদে হারাম ও মসজিদুর রাসূল। আমি বললাম: আপনার ওপর আমি উৎসর্গ মসজিদে আকসা? তিনি বললেন: মসজিদে আকসা আসমানে, সেখানেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসরা হয়েছিল। আমি বললাম: মানুষেরা বলে বায়তুল মাকদিসই মসজিদে আকসা? তিনি বললেন: মসজিদে কুফা তার থেকে উত্তম? [আল-বুরহান ফি তাফসিরিল কুরআন, লি হাশেম আল-বাহরানি: (৪/৫২২), প্রথম প্রকাশ: ১৪১৯হি. ১৯৯৯ইং]
৫. বায়ানুস সাআদাহ:
সুলতানুল জানাবাযি “বায়ানুস সা‘আদাহ ফি মাকামাতিল ইবাদাহ” গ্রন্থে সূরা ইসরার প্রথম আয়াতের তাফসির সংক্রান্ত বাণীগুলো জমা করে বলেন:
“পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত”। [সূরা ইসরা: আয়াত নং: (১)]
মসজিদে আকসা বায়তুল মাকদিসে মজুদ, অথবা চতুর্থ আসমানে মজুদ, যার নাম বায়তুল মামুর। মসজিদে আকসা তার পার্থিব অবস্থান, বায়তুল মামুর তার ঊর্ধ্বলোকের অবস্থান। যেমন মসজিদে হারাম তার বাহ্যিক রূপ, বায়তুল মামুর তার ঊর্ধ্বলোক”। [“বায়ানুস সা‘আদাহ ফি মাকামাতিল ইবাদাহ”: (২/৪৩১), লি সুলতান মুহাম্মদ আল-জানাবাযি, উপাধি সুলতান আলি শাহ। দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৪০৮হি. ১৯৮৮ইং.]
ٱلَّذِي بَٰرَكۡنَا حَوۡلَهُۥ [যার চারপাশে আমি বরকত দান করেছি] এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন: বায়তুল মাকদিসের দু’পাশে রয়েছে শাম ও মিসর। উভয় দেশই বিভিন্ন নিআমতের কারণে অন্যান্য দেশ থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ও বরকতময়। অনুরূপ চতুর্থ আসমানে বিদ্যমান বায়তুল মামুরের চারপাশও বরকতে পরিপূর্ণ”। [“বায়ানুস সা‘আদাহ ফি মাকামাতিল ইবাদাহ”: (২/৪৩১)]
এসব বর্ণনা থেকে আমরা জানলাম শিয়াদের অধিকাংশ তাফসির গ্রন্থের ভাষ্যমতে মসজিদে আকসা, যেখানে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসরা হয়েছিল আসমানে অবস্থিত বায়তুল মামুরে একটি মসজিদ। যার নাম মসজিদে আকসা, মসজিদে কুদসের নামের ন্যায়!
পাঠকদের নিয়ে এখন শিয়াদের অন্যান্য প্রামাণ্য গ্রন্থের দিকে মনোযোগ দিব, তাহলে আমাদের নিকট তাদের বিশ্বাসে মসজিদে আকসার প্রকৃত স্বরূপ আরো স্পষ্ট হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/707/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।