hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিয়া ও মসজিদে আকসা

লেখকঃ তারেক আহমদ হিজাযী

শিয়াদের গ্রন্থসমূহে মিথ্যাচার
“মসজিদে আকসা কোথায়?” শিয়াদের আল্লামা ‘জাফর মুরতাযা আল-আমেলি’ লিখিত কিতাবের একটি শিরোনাম। [জাফর মুরতাযা আল-আমেলি ১৯৪৫ইং সনে দক্ষিণ লেবাননে জাবালে আমেল অঞ্চলে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি নাজাফ ও কুম শহরে জ্ঞানার্জন করেন। তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ “আস-সাহিহ মিন সিরাতিন নাবীয়্যীল আ’যম”।] এ শিরোনামে তিনি লিখেছেন: “আমাদের সামনে মসজিদে আকসা সম্পর্কে অনেক সত্যতা প্রকাশ পেয়েছে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে মসজিদে আকসা ফিলিস্তিনে নেই”! তিনি প্রচুর বাণী ও বর্ণনার উল্লেখ করে মিরাজের ঘটনার অপব্যাখ্যা করেন। শিয়াদের মৌলিক গ্রন্থ, ইতিহাস ও তাফসিরের বরাত দিয়ে তিনি স্পষ্ট ঘোষণা করেন: মসজিদে আকসা আসমানে!

তিনি আরো স্পষ্ট করেন, মসজিদে আকসা আসমানের একটি মসজিদ! মসজিদে কুদস মসজিদে আকসা নয়, যেমন সাধারণ মানুষের ধারণা!

আমেলি “আস-সাহিহ মিন সিরাতিন নাবীয়্যীল আ’যম” [এ কিতাব লিখে তিনি “লেখকদের জন্য বরাদ্দ ইরানী পুরষ্কার” লাভ করেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদি নেজাদ নিজে তাকে সম্মানিত করেন! অথচ মিথ্যাচার, অপব্যাখ্যা, মসজিদে আকসা সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও আসমানে মসজিদে আকসা বলার কারণে বইটি নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত হওয়ার উপযুক্ত ছিল!] গ্রন্থে বলেন: “ওমর যখন বায়তুল মাকদিসে প্রবেশ করেন, তখন সেখানে কোন মসজিদ ছিল না, আকসা নাম তো ছিলই না”। মসজিদে আকসা- যেখানে ইসরার ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল- এবং যার চারপাশে আল্লাহ বরকত দান করেছেন, প্রকৃত পক্ষে তার ওজুদ আসমানে”! [“আস-সাহিহ মিন সিরাতিন নাবীয়্যীল আ’যম”: (৩/১০৬)]

“আমেলি” আরো যোগ করেন: “মসজিদে আকসা আসমানে, সেখানে ইসরা হয়েছে, তার চারপাশে আল্লাহ বরকত দান করেছেন”। [“আস-সাহিহ মিন সিরাতিন নাবীয়্যীল আ’যম”: (৩/১২৮, ১২৯)]

সূরা ইসরায় বর্ণিত জমিনে [ফিলিস্তিনে] ইহুদিদের দু’বার ফ্যাসাদ সৃষ্টির ঘটনা ও মসজিদে কুদসই মসজিদে আকসার দলিল উল্লেখ করে বলেন: “এসব ধারণা প্রসূত”। এরপর বলেন: এসব তাদের প্রচারণা যারা মনে করে মসজিদ অর্থ বায়তুল মাকদিসে মজুদ মসজিদে আকসাই। [“আস-সাহিহ মিন সিরাতিন নাবীয়্যীল আ’যম”: (৩/১৩৯)]

তিনি যে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বলেছেন মসজিদে আকসা আসমানে বিদ্যমান, তার একটি মাজলিসি লিখিত “বিহারুল আনওয়ার” [বিহারুল আনওয়ার লিল মাজলিসি: (২২/৯০)] গ্রন্থের বর্ণনা: “আবু আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি তাকে ফজিলতপূর্ণ মসজিদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন: মসজিদে হারাম ও মসজিদুর রাসূল। আমি বললাম: আমি আপনার ওপর উৎসর্গ মসজিদে আকসা? তিনি বললেন: মসজিদে আকসা আসমানে, যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিরাজ সংগঠিত হয়ে ছিল। আমি বললাম: মানুষেরা মনে করে বায়তুল মাকদিসই মসজিদে আকসা? তিনি বললেন: কুফার মসজিদ তার চেয়ে উত্তম”!

এখানে আমাদের জিজ্ঞাসা: মসজিদে আকসা সম্পর্কে আমেলির বক্তব্য শিয়াদের দৃষ্টিতে উদ্ভট ও বিদআত, না এটাই তাদের দৃঢ় ও প্রতিষ্ঠিত আকিদা?! এ প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধানে আমরা তাদের তাফসির গ্রন্থগুলো দেখব, মসজিদে আকসা কোথায়?!

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন