hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্তর বিধ্বংসী বিষয়সমূহ অহংকার

লেখকঃ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জেদ

১৬
ইলম নিয়ে অহংকার করার কারণ দু’টি:
প্রথম কারণ:

ইলম হলো, আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্ক কায়েমের মাধ্যম। ফলে যাদের মধ্যে ইলম আছে তারা আল্লাহর একে বারেই কাছের লোক। তারা কখনোই তাদের ইলম দ্বারা গর্ব বা অহংকার করতে পারে না। যে ইলম মানুষের মধ্যে অহংকার সৃষ্টি করে তা হলো, তথাকথিত ইলম বা জ্ঞান। এ ধরনের ইলম নিয়ে ব্যস্ত থাকার কোনো অর্থ হতে পারে না। কারণ, বাস্তব ও সত্যিকার ইলম হলো, যে ইলম বা জ্ঞান দ্বারা বান্দা তার প্রভুকে চিনতে পারে এবং নিজেকে জানতে পারে। সত্যিকার ইলম একজন বান্দার মধ্যে আল্লাহর ভয় ও বিনয়কে সৃষ্টি করে, অহংকার সৃষ্টি করে না। একজন মানুষের মধ্যে যখন সত্যিকার ইলম বা জ্ঞান থাকবে, তখন সে সর্বাধিক বিনয়ী হবে এবং আল্লাহকেই ভয় করতে থাকবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّمَا يَخۡشَى ٱللَّهَ مِنۡ عِبَادِهِ ٱلۡعُلَمَٰٓؤُاْۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ غَفُورٌ﴾ [ فاطر :28[

“বান্দাদের মধ্যে কেবল জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে। নিশ্চয় আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল। [সূরা ফাতির, আয়াত: ২৮]

দ্বিতীয় কারণ:

ইলম বা জ্ঞান হলো, পবিত্র আমানত, যা পবিত্র পাত্রেই মানায়, অপবিত্র পাত্রে তা কখনোই মা-নায়না। আর এমন ব্যক্তির ইলম নিয়ে মগ্ন হওয়া, যার অন্তর নাপাকিতে ভরপুর ও চারিত্রিক দিক দিয়ে সে অত্যন্ত নিকৃষ্ট, তা কখনোই শুভ হয় না। এ লোকটি যখন কোনো কিছু শিখে, তা নিয়ে সে অহংকার করা আরম্ভ করে এবং যত বেশি শিখে তার অহংকার আরও বাড়তে থাকে। ফলে তার জ্ঞান মানুষের জন্য অশান্তির কারণ হয়।

যেমনটি বলেছিল, মুয়াররি, যে তার নিজের প্রশংসা নিজেই করেছিল, অথচ তার মধ্যে কোনো ভালো গুণ আছে বলে কখনোই দেখা যায়নি!

وإني وإن كنتُ الأخيرَ زمانُهُ

لآتٍ بما لم يَأْتِ به الأوائلُ

“যুগের দিক দিয়ে যদিও আমি সবার শেষে, তবে আমি এমন কিছু নিয়ে আসবো, যা আমার পূর্বের লোকেরা নিয়ে আসতে পারে নি”।

অহংকারের আরেকটি প্রকার হলো, বর্তমানে অনেক ছোট ছোট তালিবে ইলমকে বড় বড় আলিমদের সমকক্ষ বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে দেখা যায়। কোনো মাসআলাতে বড় আলিমদের মতামতকে উপেক্ষা করে তারা নিজেরা মতামত দেয় এবং বলে, তারাও মানুষ আমরাও মানুষ!! এ ধরনের উক্তি তাদের জন্য কখনোই উচিৎ নয়।

আইউব আল আততার বলেন, আমি বিশির ইবনুল হারেসকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমাকে হাম্মাদ ইবন যায়েদ হাদীস বর্ণনা করেন। তারপর তিনি বলেন, আসতাগফিরুল্লাহ! সনদ উল্লেখ করার কারণে অন্তরে অহংকার জন্মেছিল। অর্থাৎ সনদ বর্ণনা করে হাদীস বর্ণনাতে তার মধ্যে অহংকার সৃষ্টি হয়, তাই সে সাথে সাথে তা হতে বিরত থাকে। কারণ, যখন একজন মানুষ সনদসহ হাদীস বর্ণনা করে, তখন মানুষ মনে করে লোকটি হাদীসের সনদসহ মুখস্থ করেছে। এতে হাদীস বর্ণনা কারীর অন্তরে অহংকার আসতে পারে, তাই তিনি সনদ বর্ণনা করাকে পরিহার করেন। বর্তমানে অনেক আলিমকে দেখা যায়, তারা হাদীসের সনদ বর্ণনা করেন, যাতে মানুষ তাকে বড় আলিম মনে করে। এ উদ্দেশ্যে হাদীস সনদসহ বর্ণনা না করাই উত্তম। কিন্তু যদি কেউ হাদীসটিকে মজবুত বলে প্রমাণ করার জন্য সনদসহ বর্ণনা করে তাতে কোনো অসুবিধা নেই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন