hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্তর বিধ্বংসী বিষয়সমূহ অহংকার

লেখকঃ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জেদ

১৮
চার. বংশ:
কতক লোক আছে তারা উচ্চ বংশীয় হওয়ার কারণে অন্যদের ওপর বংশ নিয়ে গর্ব ও অহংকার করে। সে অহংকার বসত মানুষের সাথে মিশতে চায়না, তাদের সাথে মিশতে অপছন্দ করে এবং মানুষকে ঘৃণা করে। অনেক সময় অবস্থা এমন হয়, তার মুখ দিয়েও অহংকার প্রকাশ পায়। ফলে সে মানুষকে বলতে থাকে, তুমি কে? তোমার পিতা কে? তুমি আমার মতো লোকের সাথে কথা বলছ?!!

ইসলামের আদর্শ হলো, বংশ মর্যাদা না থাকার কারণে কাউকে হেয় প্রতি-পন্ন করা যাবে না। একজন লোক সে যে বংশেরই হোক না কেন, তার পরিচয় ঈমান ও আমলের মাধ্যমে। এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হাবশী গোলাম বেলাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর মূল্য মক্কার কাফির সরদার আবু জাহল থেকে বেশি। একমাত্র ঈমানের কারণে হাবশী গোলাম বিলাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে খলিফাতুল মুসলিমীন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার নিজের সরদার বলে আখ্যায়িত করেন।

যেমন, হাদীসে বর্ণিত, যাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«كان عمر يقول أبو بكر سيدنا وأعتق سيدنا ] يعني بلالًا»

“উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলতেন, আবু বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আমাদের সরদার এবং তিনি আমাদের সরদার বিলাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে দাসত্ব ও গোলামী থেকে মুক্ত করেন।”

মা‘রুর ইবন সুয়াইদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«رأيت على أبي ذر بُرْدًا وعلى غلامه بُرًدا فقُلت : لو أخذت هذا فلبسته كانت حلة وأعطيته ثوبا آخر فقال كان بيني وبين رجل كلام وكانت أمه أعجمية فنلت منها فذكرني إلى النبي صلى الله عليه و سلم فقال لي : أَسَابَبْتَ فُلَانًا قلت : نعم، قال : أَفَنلْتَ مِنْ أُمِّهِ قلت : نعم، قال : إِنَّكَ امْرُؤٌ فيِكَ جَاهِلِيَّةٌ قلت : على حين ساعتي هذه من كبر السن قال : نَعْم هُم إِخْوَاُنكُمْ جَعَلهُمْ الله تْحَت أَيْدِيكْم فَمنْ جَعَلَ الله أَخَاهُ تَحت يَدِهِ فَلْيُطْعِمهُ مِماَّ يَأْكُلُ، وَْليُلبسِهُ مِّما يَلْبَسُ، وَلَا يَكلُّفُه مِن الْعَمِل مَا يَغْلبُهُ، فَإنْ كَلَّفَهُ ما يَغْلبُهُ فَلْيُعِنهُْ عَلَيْهِ»

“আমি আবু যর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে একটি চাদর পরিহিত অবস্থায় দেখি এবং তার গোলামকেও ঠিক একই চাদর পরিহিত অবস্থায় দেখি। আমি তাকে বললাম, যদি তুমি এ চাদরটি নিতে এবং তা পরিধান করতে, তাহলে তোমার জন্য একটি সেট হয়ে যেত! আর গোলামকে তুমি অন্য একটি কাপড় পরতে দিতে পারতে। তখন তিনি বললেন, আমি ও অপর এক লোকের সাথে আমার কথাবার্তা, আলাপ আলোচনা হত। তার মা ছিল একজন অনারবী মহিলা। ঘটনা ক্রমে আমি তার সাথে মেলামেশা করি। তারপর আমার বিষয়টি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আলোচনা হলে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডেকে বলল, তুমি কি অমুককে বন্দী করছ? আমি উত্তর দিলাম হাঁ, তারপর তিনি বললেন, তুমি কি তার মায়ের সাথে মেলামেশা করছ? আমি বললাম হাঁ, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি এমন এক লোক, তোমার মধ্যে এখনও জাহেলিয়াত রয়ে গেছে। আমি বললাম, আমি এখন বুড়ো হয়ে গেছি, তা সত্ত্বেও আমার মধ্যে জাহেলিয়াত! তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তারা তোমাদের ভাইয়ের মতো, আল্লাহ তা‘আলা তাদের তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন। মনে রাখবে, যদি আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের কোনো ভাইকে তোমাদের অধীনস্থ করে দেয়, সে যেন নিজে যা খায় তাকেও তা খেতে দেয়, আর সে যা পরিধান করে তাকেও যেন তা পরিধান করতে দেয়। তার ওপর এমন কোনো কাজ চাপিয়ে দিবে না, যা তার কষ্টের কারণ হয় ও তাকে পরাহত করে। আর যদি এ ধরনের কোনো কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে সে যেন তাকে সহযোগিতা করে।

আল্লামা ইবন হাজার রহ. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী তারা তোমাদের ভাই এ কথার অর্থ হলো, তোমাদের চাকর ও খাদেম। অর্থটি এ জন্য করা হলো, যাতে যারা কৃতদাস নয় তারাও বিধানের অন্তর্ভুক্ত থাকে। এখানে একটি কথা স্পষ্ট হয়, চাকর, খাদেম ও গোলামদের গাল দেওয়া একেবারেই নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত কাজ। কারণ, এতে একজন মুসলিমের ইজ্জত সম্মানের ওপর আঘাত করা হয়। আর ইসলামের আদর্শ হলো, মুসলিমদের মাঝে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করা। কে গোলাম আর কে আজাদ বা স্বাধীন, তা ইসলাম কখনোই বিবেচনা করে না, মুসলিম হিসেবে সবাই ভাই ভাই। কেউ কারো পর নয়। ইসলামে কারোর ওপর কারো কোনো প্রাধান্য নেই একমাত্র প্রাধান্য হলো, তাকওয়ার ভিত্তিতে। সুতরাং একজন উচ্চ বংশের লোক তার মধ্যে যদি তাকওয়া না থাকে, তা হলে তার উচ্চ বংশীয় মর্যাদা কোনো কাজে আসবে না। আর একজন লোক সে নিম্ন বংশের, কিন্তু তার মধ্যে তাকওয়া আছে, তাহলে সে তার তাকওয়ার কারণে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّا خَلَقۡنَٰكُم مِّن ذَكَرٖ وَأُنثَىٰ وَجَعَلۡنَٰكُمۡ شُعُوبٗا وَقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوٓاْۚ إِنَّ أَكۡرَمَكُمۡ عِندَ ٱللَّهِ أَتۡقَىٰكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٞ﴾ [ الحجرات : 13[

“হে মানুষ, আমি তোমাদেরকে এক নারী ও এক পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছি আর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি। যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া সম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ তো সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত”। [সূরা আল-হুজরাত, আয়াত: ১৩] [ফাতহুল বারী ৪৬৮/১০।]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إنِّك امِرُؤٌ فيِك جَاهِليَّة»

“তোমার মধ্যে এমন একটি স্বভাব রয়ে গেছে, যা জাহেলি যুগে তোমাদের মধ্যে ছিল।” এখানে একটি কথা মনে রাখতে হবে, আবু যর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার কারণ হলো, তিনি বিষয়টি যে, হারাম করা হয়েছে, তা এখনও জানতেন না। অন্যথায় তার মো একজন বিশিষ্ট সাহাবী থেকে এ ধরণের একটি অনৈতিক কাজ প্রকাশ পাওয়ার কোনো অবকাশ দেখি না। তিনি বিষয়টি জানতেন না বলেই জাহিলি যুগের এ স্বভাবটি এখনো পর্যন্ত তার কাছে অবশিষ্ট ছিল। এ কারণেই তিনি বলেন,

قلت : على ساعتي هذه من كبر السن؟ قال : نَعَمْ

“বুড়ো হয়ে যাওয়ার পরও। তার কাছে বিষয়টি জানা না থাকায় সে আশ্চর্য বোধ করল। তারপর তাকে জানিয়ে দেওয়া হলো যে, কাজটি শরী‘আতের বিধান অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ।” [ফাতহুল বারী ৮৭/১।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন