মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
অনেকেই তাদের ইবাদত ও আমল নিয়ে গর্ব ও অহংকার করে। সে মনে করে মানুষের কর্তব্য হলো, তারা তাকে সম্মান করবে, সব কাজে তাকে অগ্রাধিকার দিবে এবং তার তাকওয়া, তাহারাত ও বুজুর্গি নিয়ে বিভিন্নভাবে আলোচনা করবে। আর সে মনে করে সব মানুষ ধ্বংসের মধ্যে আছে, শুধু সে একাই নিরাপদ। এ কারণে সে মাঝে মধ্যে বলে থাকে সব মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে। অথচ, কোনো একজন মানুষের জন্য সবাই ধ্বংস হয়ে গেছে বলা কোনো ক্রমেই উচিৎ নয়।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যখন কোনো লোক বলে মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে, মূলত: সেই তাদের মধ্যে সবচেয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্যক্তি। আল্লামা আবু ইসহাক বলেন, আমি জানি না أَهلَكُهُمْ শব্দটি যবর বিশিষ্ট যার অর্থ ‘সে তাদের ধ্বংস করল’, নাকি পেশ বিশিষ্ট যার অর্থ ‘সেই তাদের চেয়ে অধিক ধ্বংসের মধ্যে আছে’।
ইমাম নববী রহ. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী - إذا قال الرجل هلك الناس فهو أهلكهم এর দু’টি প্রসিদ্ধ অর্থ আছে। এক হলো, কাফ-এর উপর পেশ, আর একটি হলো, কাফ-এর উপর যবর। পেশ হওয়াটা অধিক প্রসিদ্ধ ও যুক্তিযুক্ত। অর্থাৎ তাদের মধ্য হতে সে নিজেই অধিক ধ্বংসপ্রাপ্ত। আর যখন যবর বিশিষ্ট হবে, তখন অর্থ হবে, সে তাদের ধ্বংস হয়ে গেছে বলে ঘোষণা দিল, বাস্তবে তারা ধ্বংস হয় নেই। উলামারা এ বিষয়ে একমত যে, এখানে যে দূষণীয় বিষয়টি আলোচনা করা হয়, তা সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যে মানুষকে নিকৃষ্ট জেনে, নিজেকে তাদের ওপর প্রাধান্য দেয়, আর তাদের মন্দ মনে করে এবং তাদের ওপর বড়াই করে, এ ধরনের কথা বলে। কারণ, সে কাউকে ভালো বা মন্দ বলার অধিকার রাখে না। এ তো হলো কেবল আল্লাহর বৈশিষ্ট্য। তবে যদি তার নিজের মধ্যে ও বর্তমান মুসলিমদের মধ্যে দ্বীনের ব্যাপারে যে দুরবস্থা বিদ্যমান তার ওপর আফসোস ও দুঃখ প্রকাশ করে এ ধরণের কথা বলে, তখন তাতে কোনো ক্ষতি নেই।
যেমনটি বলেছিল উম্মে দারদা। তিনি বলেন, একদিন আবু দারদা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঘরে প্রবেশ করে, আমি তাকে বললাম, তোমাকে কিসে ক্ষুব্ধ করল? তখন সে বলল, আমি মুহাম্মাদের উম্মতের বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছি না, তারা সবাই জাহান্নামে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। ইমাম মালেক রহ. হাদীসটি ব্যাখ্যা এ রকমই করেছেন এবং অন্যান্য লোকেরাও তার অনুকরণ করেছেন। [ইমাম নববী রহ.-এর শরহে মুসলিম ১৭৫/১৬।]
আর আল্লামা ইবন যাওজী রহ. বলেন, কতক অসতর্ক ছুফী আছে, যারা তাদের নিজেদের মনে করে, তারা আল্লাহর মাহবুব ও মকবুল বান্দা আর অন্যরা সবাই নিকৃষ্ট ও পাপি বান্দা। তারা আরও ধারণা করে, তার মান-মর্যাদা অতি উচ্চে, তাই সবাই তাকে সম্মান করে, তার মান মর্যাদা যদি উচ্চে না হত তাহলে তাকে কেউ সম্মান করত না। আবার কখনো কখনো সে এ ধারণা করে, সে যমিনের কুতুব, সে যে মর্যাদায় পৌঁছেছে তার এ আসন পর্যন্ত পৌঁছার মতো আর কেউ দুনিয়াতে নেই। [সাইদুল খাতের ১৩৫।]
আল্লামা খাত্তাবী রহ. তার আযলা কিতাবে বর্ণনা করেন, আবদুল্লাহ ইবন মুবারক খোরাসানে পৌছলে, মানুষের মুখে শুনতে পেলেন, এখানে একজন লোক আছে যিনি তাকওয়া ও পরহেজগারিতে প্রসিদ্ধ ও বিখ্যাত। এ কথা শোনে আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক রহ. তাকে দেখতে গেলেন। তিনি তার ঘরে প্রবেশ করেন, কিন্তু লোকটি তার দিকে একটুও তাকাল না এবং তার প্রতি বিন্দু পরিমাণও ভ্রুক্ষেপ করেনি। তার অবস্থা দেখে আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক কাল ক্ষেপণ না করে তার ঘর থেকে বের হয়ে চলে আসেন। তারপর তার সাথীদের থেকে এক লোক তাকে বলল, তুমি কি জান এ লোকটি কে? সে বলল, না। তখন সে বলল, এ হলো আমীরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক, এ কথা শোনে লোকটি হতভম্ব ও নির্বাক হলো এবং দৌড়ে আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক রহ.-এর নিকট গেল, তার নিকট ক্ষমা চাইল এবং তার আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করল। তারপর বলল, হে আবু আব্দুর রহমান! তুমি আমাকে ক্ষমা কর এবং উপদেশ দাও!
আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক বলল, যখন তুমি ঘর থেকে বের হও, তখন যাকেই দেখ, মনে করবে সে তোমার থেকে উত্তম, আর তুমি তাদের চেয়ে অধম ও নিকৃষ্ট। তাকে এ উপদেশ দেওয়ার কারণ হলো, লোকটি নিজেকে বড় মনে করত এবং অহংকার করত। এ ছিল ধোঁকায় নিমজ্জিত একজন অহংকারীর অবস্থা। সালফে সালেহীন ও আমাদের পূর্বসূরিদের অবস্থা হলো, এ লোকটি হতে সম্পূর্ণ বিপরীত। তারা কখনোই এ ধরনের আচরণ করত না। তাদের থেকে একজন লোকের কথা বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ‘আরাফায় অবস্থান কারীদের নিকট তাকিয়ে দেখি, আমার মত পাপিষ্ঠ ও গুনাহগার লোক যদি না থাকত, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা সকল আরাফাবাসীকে ক্ষমা করে দিত।
একজন মুমিন সব সময় নিজেকে ছোট ও নিকৃষ্ট মনে করবে এটাই স্বাভাবিক। তার আমল, ইবাদত ও বন্দেগী যতই বেশি হোক না কেন, সে তার যাবতীয় সব ইবাদতকে খুব কমই বিবেচনা করবে। উমার ইবন আব্দুল আজীজ রহ. কে বলা হলো, যদি তুমি মারা যাও তবে আমরা তোমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কামরায় দাফন করব, তখন তিনি বললেন, একমাত্র শিরক ছাড়া আর বাকী সব গুনাহ নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করা, আমার নিকট রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘরে দাফনের যোগ্য মনে করা হতে উত্তম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/717/17
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।