মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যে সব বস্তু নিয়ে অহংকার করে তাতে চিন্তা ফিকির করা এবং মেনে নেওয়া যে তার জন্য এসব বস্তু নিয়ে অহংকার করা উচিত নয়। কেউ যদি তার বংশ মর্যাদা নিয়ে অহংকার করে, তখন তাকে বুঝতে হবে যে এটি একটি মূর্খতা বৈ কিছুই হতে পারে না। কারণ, সে তো তার নিজের ভিতরের কোনো যোগ্যতা নিয়ে অহংকার করছে না। সে অহংকার করছে অন্যদের যোগ্যতা নিয়ে, যা একেবারেই বিবেক ও বুদ্ধিহীন কাজ।
উবাই ইবন কা‘আব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«انتسب رجلان على عهد رسول الله صلى الله عليه و سلم فقال أحدهما : أنا فلان بن فلان فمن أنت لا أُمَّ لك، فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم انْتَسَب رجلان عَلى عَهْدِ مُوَسى عَلَيْهِ السَّلام فَقَالَ أَحَدهَما : أَنَا فُلَانُ بنُ فُلَانٍ حَتى عَدَّ تسعَةً فَمَنْ أَنْتَ لَا أُمَّ لَكَ، قَالَ : أَنَا فُلَانُ بنُ فُلَانٍ ابْنُ الْإِسْلَامِ، قَالَ : فَأْوحَى الله إلَى مُوَسى عَلَيْهِ السَّلَام أَنَّ هَذَيْنِ المُنْتَسَبيْن أَمَّا أَنْتَ أَيُّهَا المُنْتَمِي أَوْ المُنْتَسِبُ إلِى تسْعَة فِي النَّارِ فَأَنْتَ عَاشُرهمْ، وََأمَّا أَنْتَ يَا هَذَا المُنْتَسِبُ إِلَى اثْنيَن في الجَنَّةِ فَأنتَ ثَالثِهُمَا فِي الجَنَّةِ»
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে দুই লোক বংশ নিয়ে বিবাদ করে। অতঃপর তাদের একজন বলল, আমি অমুকের ছেলে অমুক তুমি কে? তোমার মাতা নেই। তাদের বিবাদ শোনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মুসা ‘আলাইহিস সালামের যুগে দুই ব্যক্তি বংশ নিয়ে ঝগড়া করে। তখন তাদের একজন অপর জনকে বলে, আমি অমুকের ছেলে অমুক, অমুকের ছেলে অমুক, এভাবে সে তার নয় পুরুষ পর্যন্ত গণনা করে, আর বলে তুমি কে? তোমার মা নেই। তখন সে বলল, আমি অমুকের ছেলে অমুক, আর অমুক হলো ইসলামের ছেলে। তিনি বলেন, তাদের বিতর্কের কারণে আল্লাহ তা‘আলা মুসা ‘আলাইহিস সালাম কে ওহী দিয়ে পাঠান যে, আপনি এ দুই ব্যক্তি যারা বংশ নিয়ে বিবাদ করছে তাদের বলেন, হে নয় পর্যন্ত গণনাকারী! তুমি যে নয় জনের নাম উল্লেখ করছ, তারা সবাই জাহান্নামে, আর তুমি হলে তাদের দশম ব্যক্তি। আর অপর ব্যক্তিকে বলেন, হে দুই পুরুষ পর্যন্ত গণনাকারী তুমি যে দুইজনের নাম নিলে তারা উভয়ে জান্নাতে যাবে আর তুমি হলে তৃতীয় ব্যক্তি”। [আহমদ, হাদীস নং ২০৬৭৪। আলবানি হাদীসটিকে সহীহ বলেন।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের থেকে জাহেলি যুগের কুসংস্কার ও বাপ-দাদাদের নিয়ে অহংকার করাকে দূর করে দিয়েছেন। মানুষ দু’ধরনের : একজন ঈমানদার মুত্তাকী ব্যক্তি, আর একজন দূরাচার দুর্ভাগা ব্যক্তি। সমগ্র মানুষ আদম ‘আলাইহিস সালামের সন্তান, আর আদম ‘আলাইহিস সালাম হলো, মাটির তৈরি। আল্লাহর শপথ করে বলছি, এমন এক সম্প্রদায়ের আগমন ঘটবে যারা তাদের বংশের লোকদের নিয়ে অহংকার করবে। মনে রাখবে তারা জাহান্নামের কয়লা হতে একরকম কয়লা অথবা তারা আল্লাহ তা‘আলার নিকট নাকের থেকে শিন নিক্ষেপ করার নেকড়ার চেয়ে আরও অধিক নিকৃষ্ট। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৫১১৬। আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেন।]
হাদিসের ব্যাখ্যা:
عبية الجاهلية এ শব্দের অর্থ হলো, জাহিলি যুগের অহংকার, বড়াই ও কুসংস্কার। مومن تقي و فاجر شقي এ কথাটির অর্থ সম্পর্কে আল্লামা খাত্তাবী রহ. বলেন, মানুষ দুই ধরনের হতে পারে। এক ধরনের মানুষ হলো, মুমিন মুত্তাকী সে হলো, উত্তম ব্যক্তি যদিও সে তার সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানী ব্যক্তি নয়। আর একজন ব্যক্তি হলো, ফাজের বদখত যদিও সে তার সমাজে সম্মানী ও প্রসিদ্ধ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
আবার কেউ কেউ বলেন, অহংকারী হয় মুমিন হবে, তাহলে তার জন্য কারো ওপর অহংকার করা উচিত নয়। অথবা সে ফাজের গুনাহগার, সে এমনিতেই আল্লাহর নিকট নিকৃষ্ট তার অহংকার করার অধিকারই নেই। সুতরাং অহংকার সর্বাবস্থায় রহিত। অহংকার করার কোনো সুযোগই নেই।
أنتم بنو آدم و آدم من تراب আর তোমরা হলে আদম সন্তান আর আদম ‘আলাইহিস সালাম কে সৃষ্টি করা হয়েছে, মাটি থেকে। সুতরাং যার মুল হলো মাটি, তার জন্য অহংকার করা কোনো ক্রমেই উচিৎ নয়।
আবু রাইহানা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে ব্যক্তি তার বংশের নয়জন লোকের কথা উল্লেখ করে এবং তা দ্বারা তার উদ্দেশ্য হলো, ইজ্জত সম্মান লাভ করা, তারা সবাই জাহান্নামে যাবে আর লোকটি তাদের দশম ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হবে”। [বর্ণনায় আহমদ, হাদীস নং ১৬৭৬১। হাফেয ইবন হাজার রহ. ফাতহুল বারীতে বলেন, হাদীসটির সনদ বিশুদ্ধ।]
যে ব্যক্তি ইলমের কারণে অহংকার করে, তাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যারা আহলে ইলম তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার পাকড়াও আরও অধিক কঠিন। আর যে ব্যক্তি ইলম থাকা সত্বেও আল্লাহর নাফরমানি করে তাকে মনে রাখতে হবে তার অপরাধ খুবই মারাত্মক।
আর একজন অহংকারীকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, অহংকার কেবল আল্লাহ তা‘আলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর কারো জন্য অহংকার প্রযোজ্য নয়। যখন কোনো ব্যক্তি অহংকার করে, তখন সে আল্লাহর নিকট ঘৃণিত ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হবে। এসব চিন্তা যদি একজন মানুষ করে তাহলে তার মধ্যে অহংকার থাকতে পারে না। তাকে বিনয়ের দিকে টেনে নিয়ে যাবে।
একটি কথা মনে রাখতে হবে, ইবাদত বন্দেগী ও নেক আমল নিয়ে অহংকার করা মানুষের জন্য একটি বড় ধরনের ফিতনা। এ বিষয়ে হাদীসে একটি ঘটনা বর্ণিত, আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন,
“বনী ইসরাইলের মধ্যে দুইজন লোক ছিল, তারা একে অপরের বন্ধু। তাদের একজন গুনাহ করত আর অপরজন ইবাদতে লিপ্ত থাকত। যে লোকটি ইবাদতে লিপ্ত থাকতো সে সব সময় দেখত তার অপর ভাই গুনাহে মগ্ন। তখন সে তাকে বলত, তুমি গুনাহের কাজ ছেড়ে দাও! কিন্তু সে তার কথা শুনত না। তারপর একদিন তাকে গুনাহ করতে দেখে বলল, তুমি গুনাহ করো না গুনাহ হতে বিরত থাক! সে তার কথায় কোনো ভ্রুক্ষেপ করল না এবং বলল, তুমি আমাকে আমার মত করে চলতে দাও। আমি এবং আমার রবের মাঝে আমাকে ছেড়ে দাও। তুমি কি আমার দায়িত্বশীল হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরিত? তখন সে রাগ হয়ে তাকে বলল, আল্লাহর শপথ করে বলছি আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে ক্ষমা করবে না। অথবা বলল, আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে না। তারপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের উভয়ের রুহকে কবজ করল, তারা উভয়ে আল্লাহ তা‘আলার দরবারে একত্র হলো, আল্লাহ তা‘আলা ইবাদতে যে লোকটি লিপ্ত থাকতো তাকে বলল, তুমি কি আমার সম্পর্কে জানতে অথবা বলল, তুমি কি আমার হাতে কি আছে তা করার ক্ষমতা রাখতে? আর অপরাধীকে বলল, তুমি আমার রহমতের বদৌলতে জান্নাতে প্রবেশ কর! আর অপরজনের বিষয়ে ফিরিশতাদের ডেকে বলল, তোমরা তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাও এবং তাতে তাকে নিক্ষেপ কর। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি ঐ সত্ত্বার কসম করে বলছি, তুমি এমন একটি কথা বলে থাক, যার দ্বারা দুনিয়া ও আখিরাতকে বরবাদ করে দাও”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৯০১। আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেন।]
আবু ইয়াযীদ আল-বুসতামী বলেন, যখন কোনো মানুষ মনে করে যে, মানুষের মধ্যে কোনো মানুষ তার থেকে খারাপ আছে, তা হলে সে অবশ্যই অহংকারী।
আর আল্লাহ তা‘আলা যারা কল্যাণের প্রতি অগ্রগামী তাদের বিষয়ে বলেন, তারা হলেন, যারা ইবাদত ও আমলে সালেহ করেন আর ভয় করেন যে, তা তাদের থেকে কবুল করা হবে না। আল্লাহ তা‘আলা তাদের বিষয়ে বলেন,
“আর যারা যা দান করে তা ভীত-কম্পিত হৃদয়ে করে থাকে এজন্য যে, তারা তাদের রবের দিকে প্রত্যাবর্তনশীল। তারাই কল্যাণসমূহের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এবং তাতে তারা অগ্রগামী।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«سألت رسول الله صلى الله عليه و سلم عن هذه الآية قالت أهم الذين يشربون الخمر ويسرقون؟ قال : لا يا بنْتَ الصِّديقِ وَلَكنِهَّمْ الَّذِينَ يَصومُونَ وَيُصَلُّونَ وَيَتَصَّدقُونَ وَهُمْ يَخاُفوَن أَْن لَا يُقْبَلَ مِنهْمْ أُولَئكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الَخيْراتِ»
“আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ আয়াত... সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে বলি তারা ঐ সব লোক যারা মদ পান করে এবং চুরি করে? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন না, হে সিদ্দিক কন্যা! তারা হলো, যারা রোজা রাখে, সালাত আদায় করে এবং সদকা করে তবে তারা আশংকা করে যে, তাদের আমল আল্লাহ তা‘আলা কবুল করবে না। এরা তারাই যারা কল্যাণকর কাজে অগ্রসর।” [তিরমিযী, হাদীস নং ৩১৭৫। আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেন।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/717/46
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।