মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আট, গরীব, মিসকিন, অসহায় ও দুর্বল লোকদের সাথে উঠা বসা করা হতে বিরত থাকা:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/717/35
একজন অহংকারী যাকে ধন-সম্পদ, বংশ মর্যাদা ও সামাজিক অবস্থানের দিক দিয়ে তার থেকে দুর্বল মনে করে, তার সাথে উঠবস করাকে ঘৃণার চোখে দেখে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে অনেক মুশরিকদের ইসলামে প্রবেশ না করার কারণও এটি ছিল, তারা যখন দেখত যে, অনেক লোক যারা ইসলামে প্রবেশ করেছে, তারা ধন-সম্পদ, বংশ মর্যাদা ও সামাজিক অবস্থানের দিক দিয়ে তাদের থেকে দুর্বল, তারা যদি ইসলামে প্রবেশ করে তাদেরও তাদের সাথে উঠবস করতে হবে, এ আশংকায় তারা ইসলামে প্রবেশ হতে বিরত থাকে।
সায়াদ ইবন আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كنا مع النبي صلى الله عليه و سلم ستة نفر فقال المشركون للنبي صلى الله عليه و سلم اطرد هؤلاء لايجترئون علينا، فوقع في نفس رسول الله صلى الله عليه و سلم ما شاء الله أن يقع فحدث نفسه فأنزل الله عز وجل» ﴿وَلَا تَطۡرُدِ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ رَبَّهُم بِٱلغَدَوٰةِ وَٱلعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجهَهُۥۖ مَا عَلَيكَ مِنۡ حِسَابِهِم مِّن شَيۡءٖ وَمَا مِنۡ حِسَابِكَ عَلَيهِم مِّن شَيۡءٖ فَتَطۡرُدَهُمۡ فَتَكُونَ مِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ﴾ ] الأنعام : ٥٢ [
“আমরা ছয় ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মজলিশে উপস্থিত ছিলাম, তখন মুশরিকরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, তাদেরকে দূরে সরিয়ে দাও, যাতে তারা আমাদের ওপর প্রাধান্য বিস্তার না করে। তাদের কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্তরে যা জাগার জন্য আল্লাহ চাইল, তা জাগল এবং তিনি নমনীয় হলেন। তারপর সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন,
“আর তুমি তাড়িয়ে দিও না তাদেরকে, যারা নিজ রবকে সকাল সন্ধ্যায় ডাকে, তারা তার সন্তুষ্টি চায়। তাদের কোনো হিসাব তোমার ওপর নেই এবং তোমার কোনো হিসাব তাদের ওপর নেই যে, তুমি তাদেরকে তাড়িয়ে দিবে, এরূপ করলে তুমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৫২]
আল্লাহ তা‘আলার উল্লিখিত বাণী সম্পর্কে খাব্বাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একদিন আকরা ইবন হাবেস আত-তামীমি ও উয়াইনা ইবন হিসন আল ফাযারী উভয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এসে দেখেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দরবারে উপস্থিত ছিল, সুহাইব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বিলাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ও খাব্বাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু। তাদের ছাড়াও আরও কতক দুর্বল মুমিনদের নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসা ছিল। তারা যখন তাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে দেখল, তাদের অপছন্দ করল, তারপর তারা তার নিকট উপস্থিত হয়ে, একান্তে বলল, আমরা চাই তুমি আমাদের বিশেষ একটি মজলিশ নির্ধারণ করবে, যাতে আরবরা আমাদের বিশেষ মর্যাদা সম্পর্কে জানতে পারবে। কারণ, আমরা আরবরা যখন তোমার নিকট উপস্থিত হই, তখন আরবরা আমাদেরকে এসব গোলাম ও নিকৃষ্ট লোকদের সাথে দেখাকে আমরা আমাদের জন্য অপমান বোধ করছি। আমরা যখন উপস্থিত হই, তখন তাদেরকে তোমার দরবার থেকে দুরে সরিয়ে দিবে। আর যখন আমরা তোমার সাথে আলোচনা শেষ করব, তখন তুমি ইচ্ছা করলে তাদের সাথে বসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের প্রস্তাবে সম্মতি জ্ঞাপন করলেন এবং বললেন, হাঁ। তখন তারা বলল, ঠিক আছে তাহলে এ বিষয়ের ওপর একটি চুক্তি সাক্ষরিত হোক, বর্ণনাকারী বলেন, তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাগজ কলম নিয়ে আসার জন্য বলেন এবং চুক্তি লিপিবদ্ধ করার জন্য আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে ডেকে পাঠালেন, আমরা সবাই এক কোনে বসা ছিলাম, তারপর জিবরীল ‘আলাইহিস সালাম যমীনে এসে এ আয়াত নাযিল করেন:
“আর এভাবেই আমরা এককে অন্যের দ্বারা পরীক্ষা করেছি, যাতে তারা বলে, ‘এরাই কি, আমাদের মধ্য থেকে যাদের ওপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন? আল্লাহ কি কৃতজ্ঞদের ব্যাপারে পূর্ণ জ্ঞাত নয়? [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৫৩] তারপর আল্লাহ বলেন,
“আর যারা আমাদের আয়াতসমূহের ওপর ঈমান আনে, তারা যখন তোমার কাছে আসে, তখন তুমি বল, ‘তোমাদের ওপর সালাম’। তোমাদের রব তাঁর নিজের ওপর লিখে নিয়েছেন দয়া। নিশ্চয় যে তোমাদের মধ্য থেকে না জেনে খারাপ কাজ করে তারপর তাওবা করে এবং শুধরে নেয়, তবে তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৫৪] তিনি বলেন, তারপর আমরা তার একে বারে কাছাকাছি গেলাম এমনকি আমাদের হাঁটু তার হাঁটুর ওপর রাখলাম এ অবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে বসে থাকতো। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উঠতে চাইত, আমরা তাকে ছেড়ে দিতাম। তারপর আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন,
“আর তুমি নিজকে ধৈর্যশীল রাখ তাদের সাথে, যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের রবকে ডাকে, তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশে এবং দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে। তোমার দু’চোখ যেন তাদের থেকে ঘুরে না যায়। আর ওই ব্যক্তির আনুগত্য করো না, যার অন্তরকে আমরা আমাদের যিকির থেকে গাফেল করে দিয়েছি এবং যে তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে এবং যার কর্ম বিনষ্ট হয়েছে।” সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ২৮]
খাব্বাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বসে থাকতাম। আর যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিশ থেকে উঠার সময় হত, তখন আমরা উঠে যেতাম এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ছেড়ে দিতাম, যাতে তিনি উঠতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/717/35
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।