মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
প্রথমে অহংকারী নিজেকে চিনতে হবে, তারপর তাকে তার প্রভুকে চিনতে হবে। একজন মানুষ যখন নিজেকে ভালোভাবে চিনতে পারবে এবং আল্লাহ তা‘আলা বড়ত্ব ও মহত্বকে সঠিকভাবে বুঝতে পারবে তখন তার মধ্যে বিনয় ও নম্রতা ছাড়া আর কিছুই থাকতে পারে না, অহংকার তার থেকে এমনিতেই দুর হয়ে যাবে। আল্লাহ তায়ালাকে যখন ভালোভাবে চিনবে, তখন সে অবশ্যই জানতে পারবে বড়ত্ব ও মহত্ব একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারো জন্য প্রযোজ্য নয়।
মানুষ তাকে চেনার জন্য প্রথমে তাকে তার নিজের সৃষ্টির মধ্যে চিন্তা করতে হবে। সে নিজে প্রথমে কি ছিল, তারপর দুনিয়াতে আসার পর মাঝখানে তার অবস্থা কেমন ছিল এবং তার পরিণতি কি হবে?
এসব নিয়ে চিন্তা করলে তার মধ্যে অহংকার থাকতেই পারে না। কিভাবে অহংকার করবে? আল্লাহ তা‘আলা তাকে প্রথমে এক ফোটা নিকৃষ্ট পানি থেকে বীর্য হিসেবে তৈরি করেন তারপর তিনি বীর্যকে আলাকায় রূপান্তরিত করেন তারপর আলাকাকে গোশতের টুকরা তারপর গোশতের টুকরাকে হাঁড়ে পরিণত করেন। তারপর আবার হাঁড়কে গোশতের আবরণ দিয়ে সাজান।
এ ছিল তার সৃষ্টির সূচনা আল্লাহ তা‘আলা তাকে প্রথমেই পরিপূর্ণ মাখলুক রূপে সৃষ্টি করেন নি, বরং আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে তার হায়াতের পূর্বে মৃত্যু দিয়েই শুরু করেন। অনুরূপভাবে শক্তির পূর্বে দুর্বলতা, ইলমের পূর্বে অজ্ঞতা, হিদায়াতের পূর্বে গোমরাহী এবং সম্পদশালী হওয়ার পূর্বে অভাব ও দরিদ্রতা দিয়ে মানুষকে সৃষ্টি করেন। এতদসত্ত্বেও তার কিসের অহংকার, বড়াই, গৌরব ও অহমিকা?!!
তারপর যখন লোকটি দুনিয়াতে বসবাস করতে থাকে তখন সে তার নিজের ইচ্ছায় বেঁচে থাকতে পারে না, সে যে রকম চায় সবকিছু তার মনের মত হয় না। সে চায় সুস্থ থাকতে কিন্তু পারে না, চায় ধনী ও অভাব মুক্ত থাকতে কিন্তু তা হয় না। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার ওপর বিপদ-আপদ আসতেই থাকে। সে পিপাসিত, ক্ষুধার্ত ও অসুস্থ হতে বাধ্য হয়, কোনো কিছু তাকে বিরত রাখতে পারে না। কোনো কিছু মনে রাখতে চাইলে সে পারে না, ভুলে যায়। আবার কোনো কিছু ভুলতে চাইলে তা ভুলতে পারে না এবং কোনো কিছু শিখতে চাইলে তা শিখতে পারে না। মোট কথা, সে একজন অধীনস্থ গোলাম, সে তার নিজের কোনো উপকার করতে পারে না, আবার কোনো ক্ষতিকে সে নিজের থেকে প্রতিহত করতে পারে না। নিজের কোনো কল্যাণ ভয়ে আনতে পারে না এবং কোনো অকল্যাণ বা ক্ষতিকে ঠেকাতে পারে না।
এর চেয়ে অপমানকর আর কি হতে পারে, যদি সে নিজেকে চিনতে পারে!
তারপর সর্বশেষ অবস্থা ও পরিণতি হলো, মৃত্যু। মৃত্যু তার জীবন, শ্রবণ শক্তি ও দৃষ্টিকে কেড়ে নিবে। আর কোনো কিছু দেখতে পারবে না, শুনতে পারবে না। তার জ্ঞান, বুদ্ধি শক্তি ও অনুভূতি আর অবশিষ্ট থাকবে না। বন্ধ হয়ে যাবে তার দেহের নড়চড় ও অনুভূতি, সে একেবারেই নিস্তেজ ও জড় পদার্থে রূপান্তরিত হবে, যেমনটি সৃষ্টির প্রথমে ছিল। তারপর তাকে মাটিতে পুঁতে রাখা হবে। তখন সে হয়ে যাবে দুর্গন্ধযুক্ত অপবিত্র লাশ।
তারপরও যদি এই হত তার শেষ পরিণতি এবং এ অবস্থার ওপর যদি শেষ হত সব কিছু!! আর যদি জীবিত করা না হত! কিন্তু না, এতো শেষ নয় বরং শুরু। চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়ার পর তাকে আবারো জীবিত করা হবে, যাতে তাকে কঠিন বিচারের সম্মুখীন করা হয়। তাকে তার কবর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হবে কিয়ামতের ভয়াবহতায় ও উত্তপ্ত মাঠে। তারপর তার কর্মের দফতর তার সম্মুখে খুলে দেওয়া হবে আর তাকে বলা হবে, তুমি তোমার কর্মের দফতর পড়। আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা দিয়ে বলেন,
“আর আমরা প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার ঘাড়ে সংযুক্ত করে দিয়েছি এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য আমি বের করব একটি কিতাব, যা সে পাবে উন্মুক্ত। পাঠ কর তোমার কিতাব, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশকারী হিসেবে যথেষ্ট”। [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ১৪]
“আর আমলনামা রাখা হবে। তখন তুমি অপরাধীদেরকে দেখতে পাবে ভীত, তাতে যা রয়েছে তার কারণে। আর তারা বলবে, ‘হায় ধ্বংস আমাদের! কী হলো এ কিতাবের! তা ছোট-বড় কিছুই ছাড়ে না, শুধু সংরক্ষণ করে’ এবং তারা যা করেছে, তা হাযির পাবে। আর তোমার রব কারো প্রতি যুলম করেন না। [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ৪৯]
আল্লামা আখনফ রহ. বলেন, আমার আশ্চর্য হয়, যে লোকটি প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে দুইবার আগমন করল, সে কীভাবে অহংকার করে।
মাতরাফ ইবন শাখির ইয়াযিদ ইবন মাহলাবকে দেখল, সে তার পরিধেয় নিয়ে অহংকার করছে। তখন সে তাকে বলল, তোমার এ হাঁটাকে আল্লাহ তা‘আলা অপছন্দ করে। এ কথা শুনে বলল, তুমি কি আমাকে চিন না? তখন বলল, হাঁ আমি তোমাকে চিনি, তোমার শুরু হলো, এক ফোটা নাপাক বীর্য, আর তোমার শেষ হলো, দুর্গন্ধময় লাশ আর এ দু’টির মাঝে তুমি একজন পায়খানা ও ময়লা বহনকারী।
এ কথাগুলোকে আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ আল-বাছছামী আল-খাওয়ারেজমী পদ্য আকারে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন,
عجبتُ من مُعْجَبٍ بصورتهِ
وكان مِنْ قبلُ نطفًة مِذَره
وفي غدٍ بعد حسنِ صورتهِ
يصيرُ في الأرضِ جيفةً قذره
وهو على عُجْبِه ونَخْوَتِهِ
ما بين ثوبيهِ يحملُ العذره
“যে ব্যক্তি তার সুন্দর সুরত নিয়ে অহংকার করে তার বিষয়ে আশ্চর্য না হয়ে পারি না। (সে কিভাবে অহংকার করে?) সে তো ইতোপূর্বে এক ফোটা নিকৃষ্ট বীর্য ছাড়া আর কিছুই ছিল না। আর তার এত সুন্দর আকৃতির পর তার পরিণাম হলো, আগামীকাল তাকে একটি দুর্গন্ধময় লাশ হিসেবে মাটিতে পুঁতে রাখা হবে। সে দুনিয়াতে যতই বড়াই আর অহংকার করুক না কেন, সে তো তার দুই কাপড়ের মাঝে আজীবন ময়লাই বহনকারী ছিল।”
অপর এক কবি বলেন,
يا مُظهرَ الكبرِ إعجاباً بصورتهِ
مهلاً فإنك بعدَ الكبْرِ مسلوبُ
لو فكر الناسُ فيما في بطونهمُ
ما استشعر الكبرَ شبانٌ ولا شيبُ
يا ابنَ الترابِ ومأكولَ الترابِ غداً
أقْصِرْ فإنك مأكولٌ ومشروبُ
“স্বীয় সৌন্দর্য ও সুরত নিয়ে হে অহংকার-কারী! মনে রাখ, তুমি অবশ্যই তোমার অহংকারের পর বিলুপ্ত হবে।
যদি মানুষ তাদের পেটের মধ্যে কি আছে তা নিয়ে চিন্তা করত! কোনো যুবক বা বৃদ্ধ কারো মধ্যেই অহংকার করার মানসিকতা জাগত না।
হে মাটির ছেলে ও আগামী দিনের মাটির খাদ্য, তুমি অহংকার থেকে বিরত থাক! কারণ, তুমি অবশ্যই একদিন খাদ্য ও পানীয়তে রূপান্তরিত হবে।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/717/45
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।