hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দীনের ওপর অবিচল থাকার উপায়

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ

১৮
পনেরো: জান্নাতের নি‘আমতসমূহ, জাহান্নামের শাস্তি ও মৃত্যুর স্মরণ করা
জান্নাত হলো, আনন্দের শহর, শান্তির প্রাণকেন্দ্র ও মুমিনদের অবস্থানস্থল। সাধারণত মানুষ আরাম প্রিয় হয়ে থাকে। মানুষকে আরাম প্রিয় হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা কোন ত্যাগ স্বীকার, কষ্ট করা ও ধৈর্য ধারণ করতে চায় না। কিন্তু যদি তার বিনিময়ে মহা মূল্যবান কিছু পাওয়া যায়, যা তার কষ্টকে সহজ করে দেয়, তখন সে তা লাভ করার জন্য কষ্ট ও পরিশ্রম করে, রাস্তার সব ধরনের বাধা অতিক্রম করে এবং তা লাভের জন্য কষ্ট স্বীকার করে।

যে কর্মের বিনিময় ও লাভ জানে, তার জন্য সে কর্ম করা খুব সহজ হয়। তখন সে সামনে চলতে থাকে এবং জানে যে, যদি সে কষ্ট না করে এবং দৃঢ় না থাকে তার থেকে এমন জান্নাত হাত ছাড়া হয়ে যাবে, যার পরিধি আসমান ও যমীনের পরিধির সমান। তারপর মানবাত্মা এমন বস্তুর প্রতি মুখাপেক্ষি থাকে যা তাকে যমীনের মাটি থেকে উন্নতি দিয়ে উর্ধ্ব জগতের দিকে টেনে নিয়ে যাবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীগণের অটল ও অবিচল রাখতে জান্নাতের আলোচনা তুলে ধরতেন। হাসান সহীহ হাদীসে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আম্মার, উম্মে আম্মার ও ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার কারণে তখন তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেন,

«صَبْرًا يَا آلَ يَاسِرٍ، فَإِنَّ مَوْعِدَكُمُ الْجَنَّةُ»

“হে ইয়াসারের পরিবার, তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, হে ইয়াসারের পরিবার তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, তোমাদের জন্য জান্নাতের প্রতিশ্রুতি রয়েছে”। [হাকিম, ৩৮৩/৩, হাদীসটির বর্ণনা সূত্র হাসান সহীহ। দেখুন, ফিকহুস সীরাহ, তাহকীকুল আলবানী, পৃষ্টা ১০৩] অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের বলতেন,

«إِنَّكُمْ سَتَلْقَوْنَ بَعْدِي أَثَرَةً، فَاصْبِرُوا حَتَّى تَلْقَوْنِي وَمَوْعِدُكُمُ الحَوْضُ»

“তোমরা অবশ্যই আমার পর প্রাচুর্য ও ধন-সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে তোমাদের ওপর অন্যদের প্রাধান্য দেখতে পাবে। আমার সাথে হাউজে কাউসারে দেখা করা পর্যন্ত তোমরা ধৈর্য ধারণ কর।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৭৯২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৬১] অনুরূপভাবে কবর, হাশর, হিসাব, মিযান, ফুলসীরাতসহ আখিরাতের প্রতিটি ঘাটিতে উভয় দলের অবস্থা সম্পর্কে চিন্তা করার মাধ্যমেও এ দৃঢ়তা ও অবিচলতা আসতে পারে।

যেমনিভাবে মৃত্যুর স্মরণ করা একজন মুসলিমকে অধঃপতন থেকে রক্ষা করে, এবং তা তাকে আল্লাহর নির্দেশাবলীর কাছে দাঁড়িয়ে যেতে সহায়তা করে, ফলে সে সীমা লঙ্ঘন করে না। কারণ, সে যখন জানে যে, মৃত্যু তার জুতার পিতার চেয়েও অতি নিকটে, কিছুক্ষণ পরেই তার সময় এসে যাবে, তখন তার জন্য পদস্খলন এবং গোমরাহীর মধ্যে সময় নষ্ট করা কিভাবে সম্ভব হবে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أَكْثَرُوا ذِكْرَ هَاذِمِ اللَّذَّاتِ الْمَوْتِ»

“তোমরা আরাম-আয়েশকে নিঃশেষকারী মৃত্যুর স্মরণ বেশি বেশি কর” [তিরমিযী, (২/৫০); আলবানী হাদীসটিকে ইরওয়াউল গালীলে সহীহ বলেছেন। (৩/১৪৫)]।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন