hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দীনের ওপর অবিচল থাকার উপায়

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ

তৃতীয়: নবীদের জীবনী অনুযায়ী আমল ও তাদের অনুসরণ-অনুকরণ করার উদ্দেশ্যে তাদের জীবনী অধ্যয়ন ও গবেষণা করা
এর ওপর দলীল আল্লাহ তা‘আলার বাণী, তিনি বলেন,

﴿وَكُلّٗا نَّقُصُّ عَلَيۡكَ مِنۡ أَنۢبَآءِ ٱلرُّسُلِ مَا نُثَبِّتُ بِهِۦ فُؤَادَكَۚ وَجَآءَكَ فِي هَٰذِهِ ٱلۡحَقُّ وَمَوۡعِظَةٞ وَذِكۡرَىٰ لِلۡمُؤۡمِنِينَ ١٢٠﴾ [ هود : ١٢٠ ]

“আর রাসূলদের এ সকল সংবাদ আমরা আপনার কাছে বর্ণনা করছি যার দ্বারা আমরা আপনার মনকে স্থির করি আর এতে আপনার কাছে এসেছে সত্য এবং মুমিনদের জন্য উপদেশ ও স্মরণ”। [সূরা হূদ, আয়াত: ১২০]

উল্লিখিত আয়াতগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে খেলা-ধুলা করা ও মজা নেওয়ার জন্য নাযিল হয় নি। এগুলো একটি মহান উদ্দেশ্যে নাযিল হয়েছে। আর তা হলো, আল্লাহর রাসূলের অন্তর ও মুমিনদের অন্তরসমূহকে সুদৃঢ়, অটল ও অবিচল রাখা।

-হে আমার ভাইয়েরা যদি তুমি আল্লাহর বাণী,

﴿قَالُواْ حَرِّقُوهُ وَٱنصُرُوٓاْ ءَالِهَتَكُمۡ إِن كُنتُمۡ فَٰعِلِينَ ٦٨ قُلۡنَا يَٰنَارُ كُونِي بَرۡدٗا وَسَلَٰمًا عَلَىٰٓ إِبۡرَٰهِيمَ ٦٩ وَأَرَادُواْ بِهِۦ كَيۡدٗا فَجَعَلۡنَٰهُمُ ٱلۡأَخۡسَرِينَ ٧٠ ﴾ [ الانبياء : ٦٨، ٧٠ ]

“তারা বলল, ‘তাকে আগুনে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের দেবদেবীদেরকে সাহায্য কর, যদি তোমরা কিছু করতে চাও’। আমি বললাম, ‘হে আগুন, তুমি শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও ইবরাহীমের জন্য’। আর তারা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল; কিন্তু আমি তাদেরকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে দিলাম” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ৬৮-৭০] এ বাণীর বিষয়ে চিন্তা-ফিকির কর, তবে তুমি অবশ্যই দৃঢ়তা ও অবিচলতার স্বাদ অনুভব করতে পারবে। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয় তখন তার শেষ কথা ছিল। حسبي الله و نعم الوكيل “আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট তিনি আমার জন্য কতইনা উত্তম অভিভাবক”। [ফতহুল বারী ২২/৮]

যালেম, হঠকারী ও অত্যাচারীর সামনে এবং শাস্তির সম্মুখে অবস্থান করার সময় তুমি আয়াতটির মধ্যে চিন্তা করতে থাকলে, তুমি কি তখন অটল ও অবিচল থাকার বিভিন্ন অর্থ থেকে একটি অর্থ অনুভব করতে পারবে না?

অনুরূপ মূসা আলাইহিস সালামের জীবনী সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলার বাণী,

﴿فَلَمَّا تَرَٰٓءَا ٱلۡجَمۡعَانِ قَالَ أَصۡحَٰبُ مُوسَىٰٓ إِنَّا لَمُدۡرَكُونَ ٦١ قَالَ كَلَّآۖ إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهۡدِينِ ٦٢﴾ [ الشعراء : ٦١، ٦٢ ]

“অতঃপর যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সাথীরা বলল, অবশ্যই ‘আমরা ধরা পড়ে গেলাম!’ মূসা বলল, ‘কখনো নয়; আমার সাথে আমার রব রয়েছেন। নিশ্চয় অচিরেই তিনি আমাকে পথনির্দেশ দেবেন’’ [সূরা আশ-শু‘আরা, আয়াত: ৬১,৬২]- এ বাণীতে চিন্তা করলে, তুমি কি তোমার সন্ধানকারীদের হাতে ধরা পড়ার সময় অটল ও অবিচল থাকার আরেকটি অর্থ অনুভব করতে পারবে না?। বিপদ মুহুর্তে যখন সবাই হতাশ হয়ে (বাচাও বাচাও বলে) চিৎকার করতে থাকে, আর ঠিক সে কঠিন মূহুর্তে মূসা আলাইহিস সালামের অটল ও অবিচলতা যা এ ঘটনার মধ্যে ফুটে উঠছে। এ ব্যাপারটি নিয়ে তুমি কীভাবে চিন্তা ফিকির করছ?

তদ্রূপ তুমি যখন ফির‘আউনের জাদুকরদের ঘটনাকে তোমার সামনে নিয়ে আসবে যে ঘটনাটির দৃষ্টান্ত খুবই আশ্চর্যপূর্ণ। যে ঘটনার মধ্যে দেখা যাচ্ছে যে, হক ও সত্য স্পষ্ট হওয়ার পর জাদুকরগণ সত্য গ্রহণ করল এবং তার ওপর অটল ও অবিচল থাকল।

তুমি কি দেখ না? একজন অত্যাচারী জালেমের হুমকির সামনে তাদের অন্তরে অটল ও অবিচলতার একটি মহা অধ্যায় প্রগাঢ় হয়ে গেঁথে আছে। আল্লাহ তা‘আলা তার বর্ণনায় বলেন,

﴿قَالَ ءَامَنتُمۡ لَهُۥ قَبۡلَ أَنۡ ءَاذَنَ لَكُمۡۖ إِنَّهُۥ لَكَبِيرُكُمُ ٱلَّذِي عَلَّمَكُمُ ٱلسِّحۡرَۖ فَلَأُقَطِّعَنَّ أَيۡدِيَكُمۡ وَأَرۡجُلَكُم مِّنۡ خِلَٰفٖ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمۡ فِي جُذُوعِ ٱلنَّخۡلِ وَلَتَعۡلَمُنَّ أَيُّنَآ أَشَدُّ عَذَابٗا وَأَبۡقَىٰ ٧١﴾ [ طه : ٧١ ]

“ফির‘আউন বলল, ‘কী, আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেওয়ার আগেই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনলে? নিশ্চয় সে-ই তোমাদের প্রধান, যে তোমাদেরকে জাদু শিখিয়েছে। সুতরাং আমি অবশ্যই তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব এবং আমি তোমাদেরকে খেজুর গাছের কাণ্ডে শূলবিদ্ধ করবই। আর তোমরা অবশ্যই জানতে পারবে, আমাদের মধ্যে কার আযাব বেশী কঠোর এবং বেশী স্থায়ী”। গুটি কয়েক মুমিনের ঈমানের ওপর অটল ও অবিচল থাকার একটি বিরল দৃষ্টান্ত। শত হুমকি-ধমকি তাদেরকে বিন্দু পরিমাণও বিচ্যুত করতে পারেনি এবং তাদের ফিরিয়ে আনতে পারে নি। তারা হুমকি-ধমকির মুখে বলতে থাকে (কুরআনে তাদের কথা তুলে ধরে) আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قَالُواْ لَن نُّؤۡثِرَكَ عَلَىٰ مَا جَآءَنَا مِنَ ٱلۡبَيِّنَٰتِ وَٱلَّذِي فَطَرَنَاۖ فَٱقۡضِ مَآ أَنتَ قَاضٍۖ إِنَّمَا تَقۡضِي هَٰذِهِ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَآ ٧٢﴾ [ طه : ٧٢ ]

“তারা বলল, ‘আমাদের নিকট যে সকল স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে এবং যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তার উপর আমরা তোমাকে কিছুতেই প্রাধান্য দেব না। সুতরাং তুমি যা ফয়সালা করতে চাও, তাই করো। তুমিতো কেবল এ দুনিয়ার জীবনের উপর কর্তৃত্ব করতে পার’’ [সূরা ত্বা-হা, আয়াত: ৭২]

অনুরূপভাবে সূরা ইয়াসীনে অপর একজন মুমিনের ঘটনা, ফির‘আউনের পরিবারের মুমিন ব্যক্তির ঘটনা, আসহাবে উখদূদের ঘটনা ইত্যাদি। এ সব ঘটনা অধ্যয়ন করলে বুঝা যায় অটল অবিচল থাকার মহত্ব এবং শিক্ষণীয় বিষয়গুলো কতটা অকাট্য এবং আত্মার জন্য তৃপ্তিদায়ক।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন