hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দীনের ওপর অবিচল থাকার উপায়

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ

প্রথমত: কুরআনমূখী হওয়া
মহা গ্রন্থ আল-কুরআনই হলো, দীনের ওপর অটল ও অবিচল থাকার প্রথম উপায় ও মাধ্যম। কুরআন আল্লাহ তা‘আলা মজবুত রশি এবং সু-স্পষ্ট আলোকবর্তিকা। যে ব্যক্তি কুরআনকে মজবুত করে আঁকড়ে ধরবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে অবশ্যই রক্ষা করবেন। আর যে কুরআনের অনুসরণ করবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে নাজাত ও মুক্তি দিবেন এবং যে কুরআনের প্রতি মানুষকে আহ্বান করবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে সঠিক ও সত্য পথ -সীরাতে মুস্তাকীমের সন্ধান দিবেন।

আল্লাহ তা‘আলা যে উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে এ কিতাবকে ভিন্ন ভিন্নভাবে বিস্তারিত বর্ণনাসহ নাযিল করেন তা তিনি স্পষ্ট করে বর্ণনা করেছেন। আর তা হলো অন্তরকে অটল ও অবিচল রাখা। আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের সন্দেহ ও সংশয়ের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন,

﴿وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ لَوۡلَا نُزِّلَ عَلَيۡهِ ٱلۡقُرۡءَانُ جُمۡلَةٗ وَٰحِدَةٗۚ كَذَٰلِكَ لِنُثَبِّتَ بِهِۦ فُؤَادَكَۖ وَرَتَّلۡنَٰهُ تَرۡتِيلٗا ٣٢ وَلَا يَأۡتُونَكَ بِمَثَلٍ إِلَّا جِئۡنَٰكَ بِٱلۡحَقِّ وَأَحۡسَنَ تَفۡسِيرًا ٣٣﴾ [ الفرقان : ٣٢، ٣٣ ]

“আর কাফিররা বলে, ‘তার ওপর পুরো কুরআন একসাথে কেন নাযিল করা হলো না? এটা এজন্য যে, আমরা এর মাধ্যমে আপনার হৃদয়কে সুদৃঢ় করব। আর আমরা তা আবৃত্তি করেছি ধীরে ধীরে। আর তারা আপনার কাছে যে কোনো বিষয়ই নিয়ে আসুক না কেন, আমরা এর সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা আপনার কাছে নিয়ে এসেছি” [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ৩২, ৩৩]

কুরআন সুদৃঢ়, অটল ও অবিচলতার প্রাণকেন্দ্র হওয়ার কারণ কী?

-কারণ, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে কুরআন মানুষের অন্তরে ঈমানের বীজ বপন করে এবং মানব আত্মাকে পবিত্র করে।

-কারণ, একজন মু’মিনের অন্তরের ওপর কুরআনের আয়াতসমূহ প্রশান্তি ও নিরাপত্তা নাযিল করে। ফলে ফিতনার বাতাস যতই ভারী ও শক্তিশালী হোক না কেন তা আত্মাকে কলুষিত করতে পারে না এবং ধ্বংসের গহ্বরের নিক্ষেপ করতে পারে না। আর তার অন্তর আল্লাহ তা‘আলা যিকির দ্বারা প্রশান্তি ও তৃপ্তি লাভ করে।

-কারণ, কুরআনে কারীম একজন মুসলিমকে সু-চিন্তা করা ও সঠিক মূল্যায়ন করার যোগ্যতা প্রদান করে; যার দ্বারা সে তার আশপাশের পরিবেশ ও পরিস্থিতি যথাযথভাবে সামাল দিতে সক্ষম হয়। অনুরূপভাবে তাকে এমন মানদণ্ড ও মাপকাঠির ওপর প্রতিষ্ঠিত করা হয়, যদ্বারা যাবতীয় বিষয়গুলোর ফায়সালা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হয়। ফলে তার সিদ্ধান্তের নড়চড় হয় না ব্যক্তি ও প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও তার কথা ও কর্মের মধ্যে পরিবর্তন এবং বিরোধ বা বৈপরীত্য দেখা যায় না।

ইসলামের শত্রু কাফির, মুশরিক ও মুনাফিকরা ইসলামের ওপর যেসব সন্দেহ, সংশয় ও আপত্তি আরোপ করে থাকে, তার বিপক্ষে জীবন্ত দৃষ্টান্ত উপস্থাপন ও দলীল প্রমাণের মাধ্যমে তা এমনভাবে প্রতিহত করে, যেমনটি প্রথম যুগের লোকেরা প্রতিহত করতেন। নিম্নে এর কিছু দৃষ্টান্ত এখানে তুলে ধরা হলো:

১- যখন মুশরিকরা বললো, ( ودع محمد ...) মুহাম্মাদকে (তার রব্ব) ছেড়ে দিয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্তরে আল্লাহ তা‘আলার কথা-

﴿مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَىٰ ٣﴾ [ الضحى : ٣ ]

“আপনার রব আপনাকে পরিত্যাগ করেন নি এবং ঘৃণাও করেন নি” – এর প্রভাব কী পরিমাণ ছিল? [সহীহ মুসলিম, ইমাম নববীর ব্যাখ্যা সম্বলিত: ১৫৬/১২]

২- অনুরূপ যখন মুশরিকরা বলল, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে কুরআন তো একজন মানুষ শেখান। মক্কায় অবস্থানকারী একজন কাঠ মিস্ত্রি থেকে সে কুরআন সংগ্রহ করে থাকে। কাঠমিস্ত্রিই তাকে কুরআন শেখায়। তখন আল্লাহ তা‘আলার বাণী,

﴿وَلَقَدۡ نَعۡلَمُ أَنَّهُمۡ يَقُولُونَ إِنَّمَا يُعَلِّمُهُۥ بَشَرٞۗ لِّسَانُ ٱلَّذِي يُلۡحِدُونَ إِلَيۡهِ أَعۡجَمِيّٞ وَهَٰذَا لِسَانٌ عَرَبِيّٞ مُّبِينٌ ١٠٣﴾ [ النحل : ١٠٣ ]

“আর আমরা অবশ্যই জানি যে, তারা বলে, তাকে তো শিক্ষা দেয় একজন মানুষ, যার দিকে তারা ঈঙ্গিত করছে, তার ভাষা হচ্ছে অনারবী। অথচ এটা হচ্ছে সুস্পষ্ট আরবী ভাষা” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ১০৩] -এর প্রভাব কেমন ছিল?

৩- অনুরূপভাবে যখন মুনাফিকরা বলল, “আমাকে অনুমতি দাও ফিতনায় ফেলো না।” তখন মুমিনদের অন্তরে আল্লাহ তা‘আলার বাণী, ألا في الفتنة سقطوا “শুনে রাখ, তারা ফিতনাতেই পড়ে আছে” – এর প্রভাব কতইনা সুদূরপ্রসারী ছিল?

একি অবিচলতার ওপর অবিচলতা নয়? এবং মুমিনদের অন্তরের ওপর স্রষ্টপ্রদত্ত দৃঢ়তা নয়? বিভিন্ন আপত্তি ও সন্দেহের ওপর দাঁতভাঙ্গা জওয়াব এবং বাতিলপন্থীদের নিরুত্তর করা নয়...? হ্যাঁ অবশ্যই, আল্লাহর কসম তা অবশ্যই সে রকম।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, আল্লাহ তা‘আলা হুদাইবিয়ার যুদ্ধ থেকে ফেরার সময় মুমিনদেরকে অনেক গণীমত লাভের ওয়াদা দেন। (বস্তুত তা ছিল খাইয়বারের গনীমতের মাল) আরও ওয়াদা করেন যে, তিনি তা তাদের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করবেন এবং তারা সেদিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েও দেওয়া হয়, অন্য কেউ নয়, আরও জানিয়ে দেওয়া হয় যে, মুনাফিকরা বার বার তাদের সাথী হওয়ার আব্দার করতে থাকবে, আল্লাহর বাণীকে তারা পরিবর্তন করতে চাইবে এবং তারা মু’মিনদের বলবে বরং তোমরা আমাদের হিংসা করছ। আল্লাহ তা‘আলা তাদের কথার উত্তর দিয়ে বলেন,

﴿بَلۡ كَانُواْ لَا يَفۡقَهُونَ إِلَّا قَلِيلٗا ١٥﴾ [ الفتح : ١٥ ]

“বরং তারা খুব কমই বুঝে”। অতঃপর মু’মিনদের সামনে এ সব ঘটনা একের পর এক, অক্ষরে অক্ষরে ও পদে পদে সংঘটিত হতে থাকে। (তখন তাদের মনের অবস্থা কি হয়েছিত তা একবার ভেবে দেখুন?)

-এ দ্বারা পার্থক্য ও ব্যবধান জানা যায়, যারা তাদের নিজের জীবনকে কুরআনের সাথে সম্পৃক্ত করে, কুরআনকে মুখস্থ করে, কুরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষনে মগ্ন থাকে এবং কুরআন নিয়ে গবেষণা করে, কুরআনের পথে চলে এবং কুরআনের দিকেই ফিরে আসে তাদের মধ্যে আর যারা মানব রচিত কথাকে নিজেদের জীবনের মহা লক্ষ্য বানায় এবং তা নিয়েই ব্যস্ত থাকে।

-যারা ইলম অন্বেষণ করে তারা যদি কুরআন ও তার তাফসীরের জন্য বড় একটি অংশ ব্যয় করত, তা তাদের আত্মার জন্য কতই না উপকারী ও ভালো হতো।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন