hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ, উমরা ও যিয়ারত গাইড

লেখকঃ ড. মনজুরে এলাহী, আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান, নোমান আবুল বাশার কাউসার বিন খালেদ, ইকবাল হোসাইন মাসুম, আবুল কালাম আজাদ, জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের, মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান

৬৯
তাওয়াফ বিষয়ক কিছু জরুরি মাসায়েল
তাওয়াফের পূর্বে পবিত্রতা জরুরি। কেননা আপনি আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করতে যাচ্ছেন যা পৃথিবীর বুকে পবিত্রতম জায়গা। বিদায় হজের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রথমে ওজু করেছেন, তারপর তাওয়াফ শুরু করেছেন। [ - أن أول شيء بدأ به النبي صلى الله عليه وسلم حين قدم ، أن توضأ ثم طاف بالبيت (ফাতহুল বারী : ৩/৩০৩ , হাদিস নং ১৬৪১)] আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেভাবে হজ করেছেন আমাদেরকেও তিনি সেভাবেই হজ করতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ خذوا عنى مناسككم - আমার কাছ থেকে তোমাদের হজকর্মসমূহ জেনে নাও।’ [- শারহুননববী আলা মুসলিম: খন্ড ৮ , ২২০] ইবনে আববাস থেকে বর্ণিত এক হাদিসে তাওয়াফকে সালাতের তুল্য বলা হয়েছে। পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, আল্লাহ তা’আলা এতে কথা বলা বৈধ করে দিয়েছেন, তবে যে কথা বলতে চায় সে যেন উত্তম কথা বলে। [ - عن ابن عباس رضى الله عنهما : أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : الطواف صلاة إلا أن الله تعالى أحل فيه الكلام ، فمن تكلم فلا يتكلم إلا بخير بالبيت (মুহাদ্দিস নাসীরুদ্দিন আল-বানী এ হাদিসটি সহিহ বলেছেন: এরওয়া : ২১)] এহরাম অবস্থায় আয়েশা (রাঃ) এর ঋতুস্রাব শুরু হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে তাওয়াফ করতে নিষেধ করে দেন। [ - فاقضي ما يقضي الحاج ، غير أن لا تطوفي بالبيت حتى تغتسلى - অন্য হাজীরা যা করে তুমিও তাই করবে, তবে পবিত্র হয়ার পর গোসলের পূর্বে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করবে না। (মুসলিম)] এ হাদিসও তাওয়াফের সময় পবিত্রতার গুরুত্বের প্রতিই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সে কারণেই ইমাম মোহাম্মদ ও ইমাম আবু ইউসুফ ওজু অবস্থায় তাওয়াফ করাকে ওয়াজিব বলেছেন। [- ইমাম মুহাম্মদ আশ্শানকীতি: খালিসূল জুমান,পৃ: ১৮২]

তাওয়াফের সময় সতর ঢাকাও জরুরি। কেননা জাহেলি-যুগে উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করার প্রথাকে বন্ধ করার জন্য পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে,

يَا بَنِي آَدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ .

- হে বনী আদম, প্রত্যেক সালাতের সময় তোমরা সৌন্দর্য অবলম্বন করো। [সূরা আরাফ : ৩১] ইবনে আববাস (রাঃ) সৌন্দর্য অর্থ পোশাক বলেছেন। এক হাদিস অনুযায়ী তাওয়াফও একপ্রকার সালাত তা পূর্বেই উল্লেখ হয়েছে। তাছাড়া ৯ হিজরীতে, হজের সময় পবিত্র কাবা তাওয়াফের সময় যেন কেউ উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ না করে সে মর্মে ফরমান জারি করা হয়। [- ইবনে কাছীর : খন্ড১, পৃ: ১৫৭]

তাওয়াফের শুরুতে নিয়ত করা বাঞ্ছনীয়। তবে সুনির্ধারিতভাবে নিয়ত করতে হবে না। বরং মনে মনে এরূপ প্রতিজ্ঞা করলেই চলবে যে আমি আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করতে যাচ্ছি। অনেক বই-পুস্তকে তাওয়াফের যে নিয়ত লেখা আছে-আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদু তাওয়াফা বায়তিকাল হারাম ফা য়াস্সিরহু লি ওয়া তাকাববালহু মিন্নি—হাদিসে এর কোনো ভিত্তি নেই।

সাত চক্করে তাওয়াফ শেষ করা উচিত। চার চক্করে তাওয়াফ শেষ করা কখনো উচিত নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবায়ে কেরাম, তাবেইন, তাবে-তাবেইনদের মধ্যে কেউ চার চক্করে তাওয়াফ শেষ করেছেন বলে হাদিস ও ইতিহাসে নেই।

তাওয়াফ হজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করে হাজরে আসওয়াদ বরাবর এসে শেষ করতে হবে। কেউ যদি হজরে আসওয়াদের বরাবর আসার একটু পূর্বেও তাওয়াফ ছেড়ে দেয় তাহলে তার তাওয়াফ শুদ্ধ বলে গণ্য হবে না।

তাওয়াফ করার সময় রামল ও ইযতিবা

কোন কোন তাওয়াফে রামল ও ইযতিবা আছে তা নিয়ে ফেকাহবিদদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। উমরার তাওয়াফ ও কুদুমের তাওয়াফেই কেবল ইযতিবা আছে, এটাই হল বিশুদ্ধ অভিমত। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ দু’ধরনের তাওয়াফে রমল ও ইযতিবা করেছেন। [- দেখুন : ফাতহুল বারী : ৩/২৬৯] হানাফি মাজহাব অনুসারে যে তাওয়াফের পর সাফা-মারওয়ার সাঈ আছে সে তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল ও পুরা তাওয়াফে ইযতিবা আছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন