hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ, উমরাহ ও যিয়ারতের পদ্ধতি [মাসনূন দো‘আসহ]

লেখকঃ হাজী ও উমরাকারীদের হাদিয়া অফিসস্থ ইসলামী গবেষণা পরিষদ, মক্কা

১৩
উমরার সা‘ঈ
প্রিয় উমারাকারী ভাই!

এরপর আপনি অগ্রসর হোন সা‘ঈ করার স্থানের দিকে যেখানে রয়েছে সাফা ও মারওয়া। এ গুলো হলো সেই দু’টি পাহাড় যার ওপর আরোহণ করেছিলেন ইবরাহীম আলাইহিস সালামের স্ত্রী আমাদের মা হাজেরা, যখন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম স্বীয় রবের নির্দেশে তাকে সেখানে রেখে গিয়েছিলেন। তার ও তার ছেলে ইসমাঈল আলাইহিস সালামের প্রচণ্ড পিপাসা পেলে তিনি এমন লোকের সন্ধানে সাফার উপর উঠলেন যে তাদেরকে পানি পান করাবে। অতঃপর সাফা থেকে নেমে একটু হেঁটে দ্রুত বেগে পদক্ষেপ ফেলতে শুরু করলেন। এরপর স্বাভাবিকভাবে হেঁটে মারওয়ায় পৌঁছলেন। তাকে ও তার ছেলেকে পানি পান করানোর মত লোকের সন্ধানে তিনি মারওয়ায় উঠলেন। শেষ পর্যন্ত এ দুরবস্থা থেকে আল্লাহ তাদেরকে মুক্তি দিলেন এবং তার ছেলে ইসমাঈল আলাইহিস সালামের সামনে পানি নির্গত করলেন। আপনি যখন সাফার নিকটবর্তী হবেন, তখন পড়ুন আল্লাহর বাণী:

﴿إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلۡمَرۡوَةَ مِن شَعَآئِرِ ٱللَّهِۖ فَمَنۡ حَجَّ ٱلۡبَيۡتَ أَوِ ٱعۡتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَاۚ وَمَن تَطَوَّعَ خَيۡرٗا فَإِنَّ ٱللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ ١٥٨﴾ [ البقرة : ١٥٨ ]

“নিশ্চয় সাফা এবং মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্তর্গত। আর যে কেউ বায়তুল্লাহর হজ কিংবা উমরাহ করবে, সে যদি এতদুভয়ের প্রদক্ষিণ করে, তবে তার কোনো পাপ হবে না। যে স্বেচ্ছায় কোনো নেক কাজ করে, নিশ্চয় আল্লাহ (তার) প্রতিদান দাতা ও তা অবগত।” [সুরা আল বাক্বারা:১৫৮] [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]

সাফা পাহাড়ের নিকটবর্তী হলে তাতে উঠার আগেই এ আয়াতটি পড়বেন। এ স্থানে এবং সা‘ঈর প্রথম চক্করের শুরুতেই শুধুমাত্র এ আয়াতটি পড়বেন। প্রত্যেক চক্করে পাঠের পুনরাবৃত্তি করবেন না। এরপর সাফা পাহাড়ে উঠবেন। তবে পাহাড়ের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত উঠার প্রয়োজন নেই। পাহাড়ের সমতল স্থানে পৌঁছা পর্যন্ত কিছুদূর উঠলেই চলবে। এরপর ক্বিবলামুখী হয়ে তিনবার আল্লাহু আকবার বলবেন। তারপর পড়ুন:

«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَه»

“একক আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ নেই। তাঁর কোনো শরীক নেই। সকল রাজত্ব ও সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। একক আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। তিনি স্বীয় অঙ্গিকার পূরণ করেছেন, স্বীয় বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই দলসমূহকে পরাজিত করেছেন।” [মুসলিম তা বর্ণনা করেছেন।]

এ যিকিরটি তিনবার পড়ুন। এগুলোর মাঝে দুনিয়া ও আখেরাতের যত কল্যাণ পেতে চান সেজন্য দো‘আ করুন। যদি এর চেয়েও কম পড়ে থাকেন তবে আল্লাহ চাহেত কোনো অসুবিধা নেই। দো‘আ করার সময়ই শুধু আপনার হাত উঠাবেন। তিনবার আল্লাহু আকবার বলার সময় হাত উঠানোর প্রয়োজন নেই।

এর পর সাফা থেকে নেমে স্বাভাবিক চলার গতিতে মারওয়ার দিকে অগ্রসর হবেন। এমতাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকুন এবং নিজের জন্য, নিজের পরিবার ও মুসলিম ভাইদের জন্য যথাসাধ্য দো‘আ করুন। তারপর সবুজ সংকেতের সামনে এসে পৌঁছলে যথাসম্ভব দ্রুতবেগে দৌড়াতে থাকুন, যতক্ষণ না অপর সবুজ সংকেতের কাছে পৌঁছে যান। এরপর স্বাভাবিক গতিতে হাঁটতে থাকুন এবং মারওয়ায় উঠা পর্যন্ত চলতে থাকুন। মারওয়ায় পৌঁছে তাতে উঠে কেবলামুখী হোন এবং সাফায় যা যা বলেছিলেন এখানেও তা বলুন, তিনবার তাকবীর দিন। অতঃপর সম্ভব হলে তিনবার বলুন:

«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَه»

এর মধ্যে দুনিয়া আখিরাতের কল্যাণ চেয়ে দো‘আ করতে পারেন।

তারপর নেমে সবুজ সংকেতের কাছে পৌঁছা পর্যন্ত হাঁটতে থাকুন। সবুজ সংকেতে পৌঁছলে অপর সংকেত পর্যন্ত দ্রুতবেগে দৌড়াতে থাকুন। এরপর সাফা পাহাড়ে উঠা পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে থাকুন।

এ নিয়মে আপনি সাত চক্কর সা‘ঈ পূর্ণ করবেন। সাফা থেকে শুরু করবেন এবং মারওয়ায় গিয়ে শেষ করবেন। সাফা থেকে মারওয়ায় গমন একটি চক্কর এবং মারওয়া থেকে সাফায় ফিরে আসা আর একটি চক্কর বলে গণ্য হবে।

হেঁটে সা‘ঈ শুরু করার পর যদি আপনি ক্লান্তি বোধ করেন তাহলে বিশ্রাম নেয়ায় কোনো দোষ নেই। আপনার জন্য হুইল চেয়ারে করে সা‘ঈ করাও জায়েয। সা‘ঈ করা অবস্থায় সালাত শুরু হয়ে গেলে আপনি জামা’আতের সাথে সালাত আদায় করুন এবং যেখানে থেমেছেন সেখান থেকে পুনরায় সা‘ঈ শুরু করুন।

সা‘ঈ করার সময় পাক পবিত্র থাকা মুস্তাহাব। অবশ্য উমরাকারী নাপাক (অযুহীন) অবস্থায় সা‘ঈ করলে তা আদায় হবে। অনুরূপ তাওয়াফের পর কোনো মহিলার হায়েয বা নিফাস হলে সে সা‘ঈ করতে পারবে এবং তা আদায় হয়ে যাবে। কেননা সা‘ঈতে পাক হওয়া শর্ত নয় বরং মুস্তাহাব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন