মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ হাজী ও উমরাকারীদের হাদিয়া অফিসস্থ ইসলামী গবেষণা পরিষদ, মক্কা
৬
হজ ও উমরাহ কবুলের শর্ত
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/165/6
হজ ও উমরাহ হচ্ছে মহান আল্লাহর ইবাদাত। ছোট বড় সকল ইবাদাতেরই দুটো গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে, যেন তা আল্লাহর কাছে কবুল হয় এবং এ দ্বারা আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভের যে বাসনা রাখেন তা লাভ করতে পারেন।
প্রথম শর্ত: ইবাদাত একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যেই খালেছ হতে হবে। এতে মুসলিম আল্লাহর সাথে তাঁর সৃষ্টির কাউকেই শরীক করবে না। হাদীসে কুদসিতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“শরীকদের মধ্যে আমিই শির্ক থেকে সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষী। যে ব্যক্তিই এমন কোনো কাজ করে যাতে সে আমার সাথে অন্যকে শরীক করে ফেলে, আমি তাকে ও তার শির্ককে পরিত্যাগ করি।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৬৬৬।]
এর অর্থ হলো আল্লাহর সাথে নিয়তে কাউকে শরীক করা অবস্থায় আল্লাহ বান্দার আমল কবুল করেন না। এরই অন্তর্গত হলো ঐ ব্যক্তি যে ইবাদাত পালন করে এই উদ্দেশ্যে যে, তাকে মানুষ হাজী বা উমরাকারী হিসাবে দেখবে কিংবা মানুষের কাছে সে তা শ্রবণ করবে। এ সবই আমল বিনষ্টকারী। সুতরাং প্রিয় ভাই এ সকল কিছু থেকে সাবধান থাকুন।
দ্বিতীয় শর্ত: ইবাদাত পালনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ। আল্লাহ যত ইবাদাতের নির্দেশ আমাদেরকে প্রদান করেছেন, তিনি সেসব কিছুরই বর্ণনা ও পদ্ধতি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহর মহান গ্রন্থ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নায় এটাই আমরা পেয়ে থাকি।
ইসলামে যে ইবাদাতই আপনি দেখুন না কেন, তা আদায়ের একটি পদ্ধতি রয়েছে। অতএব সালাতের যেমন একটি বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে, তেমনি রয়েছে যাকাতেরও। একইভাবে রমযানের রোযা, হজ ও সকল প্রকার ইবাদাত পালনেরও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজের আমল সমূহ পালন করতেন এবং বলতেন
«خُذُوا عَنِّى مَنَاسِكَكُم»
“আমার কাছ থেকে তোমরা তোমাদের হজের আমল গ্রহণ কর।” [আস-সুনান আল-কুবরা– ৯৭৯৬, মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন কাছাকাছি শব্দে, দেখুন সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩১৯৭।]
অর্থাৎ দেখ আমি হজ ও উমরার কি কি আমল করছি এবং সেগুলো পালনে আমার অনুকরণ কর।
তিনি সে সকল অতিরঞ্জন থেকে সতর্ক করেছেন, যা আল্লাহ শরী‘আত সিদ্ধ করেননি এবং তিনি নিজেও অনুমোদন দেন নি। তিনি বলেছেন:
“যে ব্যক্তি এমন কোনো কাজ করল যে কাজে আমাদের নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২১৪১, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৫৯০।]
অর্থাৎ যেই এমন কোনো পন্থা ও ইবাদাত আনয়ন করে যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমোদন করেন নি, তার সে পন্থা ও ইবাদাত প্রত্যাখ্যাত ও অগ্রহণযোগ্য।
প্রিয়ভাই, আপনার উচিৎ সকল ইবাদাত পালনের ক্ষেত্রে এ দু’টি শর্ত আপনার সম্মুখে রাখা। আপনি জানেন যে, হজ ও উমরাহ আদায়ের প্রাক্কালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি আপনার ওপর ওয়াজিব তা হলো আপনার এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যে, আপনি কি আল্লাহর জন্য ইখলাস বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন? আপনি কি ঐভাবে হজ ও উমরাহ আদায় করেছেন, যেভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমোদন করেছেন?
হে আল্লাহ! আমাদের সকল আমল আপনার জন্য খালেস করে নিন। এদ্বারা লোক দেখানো ও প্রসিদ্ধি লাভের ইচ্ছা আমরা পোষণ করি না। হে রব! যেভাবে আপনি ও আপনার রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ প্রদান করেছেন সেভাবেই আমরা তা আপনার জন্য পালন করব। হে আল্লাহ! আপনি কবুল করুন।
প্রিয় মুসলিম ভাই!
হজ করার জন্য মক্কায় আল্লাহর সম্মানিত ঘরের উদ্দেশ্যে সফরের স্থির সিদ্ধান্ত আপনি যখন গ্রহণ করবেন, তখন আপনার পাথেয় ও খরচাদি পবিত্র ও হালাল মাল হতে চয়ন করুন। আর পূন্যবান সাথী-সহচর তালাশ করুন যারা পূন্যকাজে আপনাকে সহযোগিতা করবে ও হজ সম্পর্কিত হুকুম আহকাম শিক্ষা দিবে, যাতে আপনি জেনে শুনে আল্লাহর ইবাদাত করতে পারেন এবং এমন ভুলে পতিত না হন যা আপনার হজ বরবাদ করে দেবে। আপনার যে কোনো সমস্যায় আপনি হজ সম্পর্কে অভিজ্ঞ আলেমদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«إِنَّ الْعُلَمَاءَ وَرَثَةُ الأَنْبِيَاء»
“নিশ্চয় আলিমগণ নবীদের উত্তরাধিকারী।” [আবু দাউদ এটি বর্ণনা করেছেন (হাদীস নং ৩৬৪১) এবং এটি বিশুদ্ধ।]
সম্মানিত ভাই, আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে এবং পবিত্র স্থান সমূহের সর্বত্র ফাতাওয়ার অফিস ও মহিলাদের জন্য ফাতাওয়া জানার উদ্দেশ্যে টেলিফোনের সুব্যবস্থা রয়েছে। হজ এবং উমরায় আপনার যে কোনো সমস্যায় আপনি আলেমদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন। এ ব্যাপারে যারা তত্ত্বাবধায়ন করছেন আল্লাহ তাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
মহিলাদের ওপর ওয়াজিব হলো বাবা, ভাই, ছেলে বা স্বামী কিংবা তাদের মত কোনো মাহরাম ব্যক্তির সাথে সফর করা। তবে যদি কেউ মাহরাম ছাড়াই একাকী সফর করেন এবং হজ আদায় করেন তবে তিনি গোনাহগার হবেন এবং আল্লাহ তা‘আলা চাহেত তার হজ শুদ্ধ হবে।
প্রিয় ভাই! এখন আপনাকে নিয়ে এ মহান দ্বীনের আঙিনায় ও মহান একটি ইবাদাতের হুকুমে আমরা প্রবেশ করব। আল্লাহর সর্বোত্তম ভূমির দিকে আপনার সাথে আমরা যাত্রা শুরু করব, এমন ভূমির দিকে যেখানে আল্লাহ বরকত ঢেলে দিয়েছেন, যাকে তিনি নিরাপদ শহর হিসাবে নির্ধারণ করেছেন এবং এখানে যারা রয়েছে তাদের সকলকে তিনি নিরাপত্তা দান করেছেন। আমরা যাত্রা করব আল্লাহর সম্মানিত ঘরের দিকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/165/6
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।