hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ, উমরাহ ও যিয়ারতের পদ্ধতি [মাসনূন দো‘আসহ]

লেখকঃ হাজী ও উমরাকারীদের হাদিয়া অফিসস্থ ইসলামী গবেষণা পরিষদ, মক্কা

১৭
‘আরাফার দিন হাজীদের যে সকল ভুল হয়ে থাকে
‘আরাফার দিন কতিপয় হাজীদের পক্ষ থেকে কিছু ভুল সংঘটিত হয়ে থাকে। এ ধরনের কিছু ভুল আমরা আপনার সামনে তুলে ধরছি যেন আপনি তা থেকে বেঁচে থাকতে পারেন।

১. কতিপয় হাজী সাহেব ‘আরাফার সীমানার বাইরে অবস্থান করেন। অথচ স্পষ্ট চিহ্ন দ্বারা এর সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে সচেতন করা ও দিক-নির্দেশনা দেওয়ার ব্যাপারে বহু চেষ্টা- সাধনা করা হয়। কিন্তু তাদের তাড়াহুড়ার কারণে এবং আগে-ভাগে ‘আরাফা থেকে বের হয়ে যেতে চাওয়ার কারণে এ মহান রুকনটি পালনে তারা ব্যর্থ হয়। অথচ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হজ হলো ‘আরাফায় অবস্থান।” [. হাদীসটি আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন ।]

২. কোনো কোনো হাজী পাহাড়ে উঠার জন্য কষ্ট করে এবং পাহাড় ও পাহাড়ের পাথর সমূহ মাসেহ করে থাকে। তাদের বিশ্বাস হলো -এ পাহাড়ের এমন বৈশিষ্ট্য ও ফযীলত রয়েছে যার ফলে সে কাজ করা ওয়াজিব। অথচ এটা এমনই এক বেদ‘আত যা পরিহার করা উচিৎ। ওয়াজিব তো হলো: ‘আরাফার সীমানার ভেতরে যে কোনো স্থানে হাজীদের অবস্থান করা।

৩. বহু হাজী ‘আরাফার দিন হাসি, ঠাট্টা ও অনর্থক বাক্যালাপে ব্যতিব্যস্ত থাকে এবং এ মহান স্থানে যিকির, দো‘আ ও ইস্তেগফার করা ছেড়ে দেয়।

৪. অনেক হাজী দো‘আর সময় ক্বিবলাকে পেছনে, ডানে কিংবা বাঁয়ে রেখে পাহাড়ের দিকে মুখ ফিরায়। অথচ সুন্নাত হলো পাহাড়কে আপনার ও ক্বিবলার মাঝখানে রাখা যদি তা সম্ভব হয়। আর যদি তা সম্ভব না হয় (অত্যাধিক ভীড়ের কারণে এ দিনগুলোতে সচরাচর এমনই হয়) তাহলে সুন্নাত হলো দো‘আর সময় আপনার সামনে পাহাড় না থাকলেও ক্বিবলামুখী হওয়া।

৫. সূর্যাস্তের পূর্বেই কোনো কোনো হাজী ‘আরাফা থেকে চলে যায়। এমনটি জায়েয নেই। হাজীদের উচিৎ হলো যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্য অস্ত না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ‘আরাফা থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের আদর্শ অনুসরণ করত: বের না হওয়া, যিনি হজের কাজ পালনকালে বলেছিলেন :

«خُذُوا عَنِّى مَنَاسِكَكُم»

“আমার কাছ থেকে তোমরা হজের বিধান গ্রহণ কর”।

৬. কোনো কোনো হাজী ‘আরাফা থেকে প্রত্যাবর্তন কালে তাড়াহুড়া করে এবং তালবিয়া পাঠ থেকে বিরত থাকে। তার সমস্ত আগ্রহ হলো: কত দ্রুত মুযদালিফায় পৌঁছতে পারবে। অথচ উত্তম হলো হাজী সাহেব ধীরস্থির ও শান্তভাবে পথ চলবেন। তাড়াতাড়ি করার স্থানে তাড়াতাড়ি করবেন এবং ভীড়ের স্থানে শান্ত ভাবে এগুবেন। প্রত্যেকটি স্থানে তার শ্লোগান হবে তালবিয়া।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন