মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ হাজী ও উমরাকারীদের হাদিয়া অফিসস্থ ইসলামী গবেষণা পরিষদ, মক্কা
৭
হজের প্রকারভেদ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/165/7
হজ তিন প্রকার, এর যে কোনোটি হাজী সাহেব এখতিয়ার করতে পারেন। আর যেটিই পালন করেন না কেন, তার হজ শুদ্ধ হবে।
এ প্রকারগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ :
প্রথম প্রকার: তামাত্তু
আর তা হলো হজের মাসসমূহে মীকাত থেকে শুধু উমরার ইহরামের নিয়ত করা। হজের মাস সমূহ হলো শাওয়াল, যিলক্বদ এবং যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন।
এ কথা বলে ইহরামের নিয়ত করবে যে, لبيك عُمْرَةً ‘লাব্বাইকা উমরাতান’।
এরপর উমরার কাজসমূহ পরিপূর্ণরূপে সমাধা করবে। তাওয়াফ, সা‘ঈ ও মাথার চুল হলোক করলে কিংবা ছেঁটে নিলে উমরার কাজ শেষ হবে এবং ইহরামের কারণে তার ওপর যা কিছু হারাম ছিল সবই তার জন্য হালাল হয়ে যাবে। এরপর যিলহজ মাসের আট তারিখে সে মক্কার যে স্থানে অবস্থান করবে সেখান থেকেই শুধু হজের ইহরামের নিয়ত করবে এ কথা বলে যে, لبيك حَجاً “লাব্বাইকা হাজ্জান”।
তামাত্তু হজ পালনাকারীর ওপর হাদী যবাই করা ওয়াজিব। আর হাদী হলো একটি ছাগল কিংবা উটের এক-সপ্তমাংশ অথবা গরুর এক-সপ্তমাংশ। যদি কুরবানীর জন্য হাদী না পাওয়া যায়, তাহলে হজের মধ্যে তিন দিন সাওম পালন করতে হবে এবং নিজ পরিজনের কাছে ফিরে এলে সাতদিন সাওম পালন করবে।
আলিমগণের বিশুদ্ধ মতের আলোকে হজের প্রকারভেদের মধ্যে সর্বোত্তম হলো তামাত্তু হজ ঐ ব্যক্তির জন্য, যে নিজের সাথে হাদীর পশু না নেয়, কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফা ও মারওয়ায় সা‘ঈ করবার পর সাহাবীগণকে বলেছিলেন,
“তোমাদের মধ্যে যার সাথে কুরবানীর হাদী নেই সে যেন হালাল হয়ে যায় এবং এ কাজ গুলোকে উমরাহ হিসাবে গন্য করে।” [. সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০০৯।]
এ প্রকার হজ উত্তম হওয়ার আর একটি কারণ হলো - হাজী সাহেব তার সফরে হজ ও উমরার উভয়কাজ ভিন্নভাবে সম্পাদন করেছেন।
দ্বিতীয় প্রকার: ক্বিরান
আর তা হলো হজের মাসসমূহে মীকাত থেকে হজ ও উমরার জন্য একত্রে ইহরামের নিয়ত করা। হজের কাজে প্রবেশের নিয়তের সময় একথা বলবে যে, لبيك عُمرةً و حَجاً “লাব্বাইকা উমরাতান ওয়া হাজ্জান”।
অতঃপর মক্কায় পৌঁছে উমরার তাওয়াফ করবে এবং হজ ও উমরার জন্য হজের সা‘ঈ তাওয়াফে ইফাদার পর পর্যন্ত বিলম্ব করতে পারবে। এভাবে মাথার চুল হলোক না করে কিংবা না ছেঁটে ইহরাম অবস্থায় থাকবে। এরপর যিলহজ মাসের আট তারিখে মিনায় রওয়ানা করবে এবং হজের বাকি কাজগুলো সমাধা করবে। তামাত্তু হজকারীর মতই ক্বিরান হজ আদায়কারীর ওপরও “হাদী” যবাই করা ওয়াজিব। তবে ‘হাদী’ না পেলে হজের মধ্যে তিনদিন ও পরিজনের কাছে ফিরে যাওয়ার পর সাতদিন রোযা রাখবে।
তৃতীয় প্রকার: ইফরাদ
তা হলো হজের মাসসমূহে মীকাত থেকে শুধু হজের জন্য ইহরামের নিয়ত করবে। হজের কাজে প্রবেশের নিয়তের সময় বলবে - «لبيك حَجاً» “লাব্বাইকা হাজ্জান”।
ইফরাদকারী ক্বিরান হজ পালনকারীর মতই আমল করবে। অবশ্য ক্বিরান পালনকারীর ওপর ‘হাদী’ যবাই করা ওয়াজিব, আর ইফরাদকারীর ওপর ‘হাদী’ ওয়াজিব নয়; কেননা সে ক্বিরান ও তামাত্তুকারীর ন্যায় হজ ও উমরাকে একত্র করে নি।
এ তিন প্রকার হজের যে কোনোটি পালনের ব্যাপারে হাজীসাহেবের এখতিয়ার রয়েছে। কিন্তু তন্মধ্যে সর্বোত্তম হলো তামাত্তু - ঐ ব্যক্তির জন্য, যে নিজের সাথে হাদী এর পশু নেয় নি, যেমনটি ইতোপূর্বে বলা হয়েছে।
প্রিয় মুসলিম ভাই!
আপনি যখন হজ কিংবা উমরাহ করার সংকল্প নিয়ে আল্লাহর সম্মানিত ঘরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন, তখন জেনে নিন যে মীকাত থেকে ইহরাম করাই হলো হজের কাজে আপনার প্রবেশের সূচনা। আর ইহরাম করার অর্থ হলো- হজ কিংবা উমরার কাজে প্রবেশের নিয়ত করা।
যারাই হজ কিংবা উমরাহ করার ইচ্ছা নিয়ে মক্কায় আগমন করবে, তাদের প্রত্যেককেই মীকাত থেকে ইহরামের নিয়ত করতে হবে। আর মীকাত হলো সে সকল সুনির্দিষ্ট স্থানসমূহ যা আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান হতে বায়তুল্লাহ শরীফে আগমনকারীদের জন্য বর্ণনা ও নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যেন তারা সেখান থেকে বায়তুল্লায় পৌঁছার আগেই ইহরাম করে নেয়।
এ সকল মীকাত হলো নিম্নরূপ:
যুল হুলাইফা: এটা হলো মদীনাবাসি এবং যারা তাদের এ পথ দিয়ে আসবে তাদের সকলের মীকাত। মসজিদে নববী ও এ স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্ব হলো তের কিলোমিটার। এটি মক্কা থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী মীকাত। মক্কা ও এর মধ্যকার দূরত্ব হলো চারশত বিশ কিলোমিটার। বর্তমানে এ স্থানের নাম হলো “আবইয়ার আলী”।
আল জুহফা: এটি রাবেগ শহরের নিকটবর্তী একটি গ্রাম। লোকজন এখন রাবেগ থেকেই ইহরামের নিয়্যাত করে, কেননা রাবেগ জুহফার সামান্য একটু আগে অবস্থিত। এ স্থান ও মক্কার মধ্যবর্তী দূরত্ব হলো দুইশত আশি কিলোমিটার। এটা মিশর ও শাসবাসীদের মীকাত এবং সউদি আরবের উত্তরাঞ্চলের অধিবাসী, উত্তর পশ্চিম আফ্রিকার দেশসমূহের অধিবাসী এবং যারা এ পথ হয়ে আগমন করবে তাদের সকলের মীকাত।
কারনুল মানাযেল: একে বলা হয় ‘আস সাইল আল-কাবীর’। মক্কা ও এর মধ্যকার দূরত্ব হলো আটাত্তোর কিলোমিটার। এটা নাজদবাসী, আরব উপসাগরীয় অঞ্চল, ইরাক ও ইরান সহ সকল পূর্বঞ্চলীয় লোকদের এবং যারা এ পথে আগমন করবে তাদের মীকাত। বর্তমানে এ মীকাতের সমান্তরালে রয়েছে “মীকাতে ওয়াদী মুহরিম” যা তায়েফের পশ্চিমে আল হাদা রোডে অবস্থিত। মক্কা থেকে এর দূরত্ব পঁচাত্তর কিলোমিটার। এটা তায়েফবাসী ও তাদের পথ দিয়ে আগমনকারীদের মীকাত। এটা আলাদা কোনো মীকাত নয়।
ইয়ালামলাম: আজকাল এ স্থানটিকে বলা হয় সা‘দিয়া, যা মক্কা থেকে একশত বিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটা হলো ইয়ামানবাসী ও তাদের পথ দিয়ে যারা আসবে তাদের মীকাত।
যাতে ইরাক: এ স্থান হলো ইরাকবাসী ও পূর্বাঞ্চলের লোকদের মীকাত। বর্তমানে এ স্থান পরিত্যাক্ত। কেননা সেখানে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। স্থানটি মক্কা থেকে একশত কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। ইরাক ও পূর্বাঞ্চলের হাজীগণ ‘আস-সাইল আল-কাবীর’ থেকে কিংবা যুল হুলাইফা থেকে ইহরামের নিয়্যাত করে থাকে।
আর মক্কাবাসীগণ হজের জন্য নিজ নিজ বাসস্থান থেকেই ইহরামের নিয়ত করবে। আর উমরার জন্য তারা তান‘য়ীম কিংবা হারাম সীমানার বাইরে যে কোনো স্থান থেকে ইহরামের নিয়ত করবে। হজের সংকল্প নিয়ে যে সকল মুসলিম এ মীকাতসমূহ অতিক্রম করবে তাদের প্রত্যেকের জন্য ওয়াজিব হলো সেখান থেকে ইহরামের নিয়ত করা। যদি হজের ইচ্ছা নিয়ে ইহরাম করা ছাড়াই কেউ স্বেচ্ছায় মীকাত অতিক্রম করে তবে তার ওপর ওয়াজিব হবে মীকাতে ফিরে এসে সেখান থেকে ইহরাম করা। তা না করলে তাকে দম দিতে হবে। আর তা হলো -মক্কায় একটি ছাগল যবেহ করে সেখানকার দরিদ্র লোকদের মধ্যে তা বন্টন করে দেওয়া। যদি কেউ ভুলে কিংবা নিদ্রাবস্থায় ইহরাম না করেই মীকাত অতিক্রম করে, তার ওপর ওয়াজিব হলো স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে ফিরে গিয়ে মীকাত থেকে ইহরাম করা। তা না করলে তাকেও দম দিতে হবে, যেরূপ ইতোপূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/165/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।