hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ, উমরাহ ও যিয়ারতের পদ্ধতি [মাসনূন দো‘আসহ]

লেখকঃ হাজী ও উমরাকারীদের হাদিয়া অফিসস্থ ইসলামী গবেষণা পরিষদ, মক্কা

মীকাতে হজ ও উমরাকারীর করণীয় কাজ
যদি আপনি স্থল পথে গাড়ী কিংবা অন্য কোনো যানবাহনে করে মীকাত পৌঁছেন, তাহলে আপনার জন্য সুন্নাত হলো গোসল করা, সারা শরীরে সুগন্ধি মাখা এবং সম্ভব হলে নখ কাটা। তারপরে আপনার ওপর ওয়াজিব হলো ইহরামের সাদা দু’টি কাপড় তথা সিলাইবিহীন লুঙ্গি ও চাদর পরিধান করা। এগুলো নতুন হওয়া উত্তম, অন্যথায় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে।

ইহরামের কাপড়ে সুগন্ধি লাগানো যাবে না। সুগন্ধি যদি এতে লেগে যায়, তাহলে আপনার উচিৎ হবে তা ধুয়ে ফেলা।

ইহরামের জন্য মহিলাদের সুন্নাতী কোনো পোষাক নেই। বরং তারা তাদের ইচ্ছামত পোষাক পরিধান করতে পারবে। তবে তারা এমন পোষাক পরিধান করবে যা হবে মার্জিত ও শরীর আচ্ছাদনকারী। ফিতনা সৃষ্টি করার উপকরণ থেকে তাদের দূরে থাকতে হবে। পুরুষদের পাশ দিয়ে যাতায়াত করলে ইহরামের জন্য মহিলারা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে না।

প্রিয় ভাই, যে কোনো ফরয সালাতের পর ইহরামের নিয়ত করা আপনার জন্য মুস্তাহাব। যদি ফরয সালাতের ওয়াক্ত না হয়, তাহলে অযুর দু’রাকাত সুন্নাত সালাতের নিয়ত করে তা আদায় করবেন।

এসব করা শেষ হলে আপনি আপনার সংকল্প অনুযায়ী ইহরামের নিয়ত করবেন। আপনি যদি তামাত্তুকারী হন, তাহলে বলবেন, “লাব্বাইকা উমরাতান” অথবা ক্বিরানকারী হলে বলবেন, “লাব্বাইকা উমরাতান ওয়া হাজ্জান” কিংবা যদি ইফরাদকারী হন তাহলে বলবেন “ লাব্বাইকা হাজ্জান”।

এরপর তালবিয়া পড়া শুরু করে আপনি সে রকমই বলবেন, যেমন আপনার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম করে তালবিয়া পাঠের প্রাক্কালে বলেছিলেন:

«لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ»

“লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাকা।” [৯. সহীহ বৃখারী, হাদীস নং ১৫৪৯, ১৫৫০ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৬৮, ২৮৬৯।]

অর্থ: “আমি হাযির, হে আল্লাহ আমি হাযির, আমি আপনার কাছে হাযির। আপনার কোনো শরীক নেই। আমি আপনার কাছে হাযির। নিশ্চয় সকল প্রশংসা, অনুগ্রহ ও রাজত্ব আপনারই। আপনার কোনো শরীক নেই।”

আর জলপথে কিংবা আকাশ পথে আপনার আগমন হলে এ প্রথাই চলে আসছে যে, প্লেনের পাইলট ও জাহাজের ক্যাপ্টেন যাত্রীদেরকে মীকাতের নিকটবর্তী হওয়ার সংবাদ জানিয়ে দেন, যাতে হাজীগণ ও উমরাকারীগণ তাদের ইহরামের কাপড় পরিধান করার প্রস্ত্ততি নেন। এরপর মীকাত বরাবর পৌঁছলেই তারা সকলে ইহরামের নিয়ত করেন, ঐভাবে যা ইতোপূর্বে আপনার উদ্দেশ্যে আমরা বর্ণনা করেছি। এ অবস্থায় বাড়ী থেকে ইহরামের কাপড় পরিধান করে রওয়ানা হয়ে প্লেনে কিংবা জাহাজে আরোহণ করায় কোনো অসুবিধা নেই। অতঃপর মীকাত বরাবর পৌঁছার সংবাদ যখন জানতে পারবেন, তখন ইহরামের নিয়ত করে তালবিয়া পাঠ করবেন।

হাজীদের উচিৎ বেশি বেশি উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা। তবে মেয়েরা এতটা নিম্নস্বরে তালবিয়া পাঠ করবে যে, শুধু তারা নিজেরাই তা শুনতে পাবে। উমরাকারী তাওয়াফ শুরু করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকবে। আর হাজীগণ হজের ইহরাম করার পর থেকে কুরবানীর দিন জামরাতুল আকাবায় পাথর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ অব্যাহত রাখবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন