hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মৃত্যু ও কবর সম্পর্কে করণীয় ও বর্জনীয়

লেখকঃ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

৫১
ইসালে সওয়াব ইসালে সওয়াব বা সওয়াব দান করা কি শরীয়ত সম্মত?
প্রিয় পাঠক, ইতোপূর্বে আমরা দেখেছি, মৃতের উদ্দেশ্যে দুয়া, বদলী হজ্জ বা ওমরা, দান-সদকা, মানতের রোযা ইত্যাদি পালন করা শরীয়ত সম্মত। কিন্তু অন্য কোন ইবাদতের সওয়াব কি মৃতের উদ্দেশ্যে বখশানো জায়েয? যা আমাদের সমাজে ইসালে সওয়াব হিসেবে পরিচিত।

এর উত্তর হল, ইসালে সওয়াব শরীয়ত সম্মত নয়। বরং এটি একটি বিদয়াতী রীতি। কারণ এর পক্ষে কুরআন-সুন্নায় কোন প্রমাণ নেই।

কিছু মানুষ ইসালে সওয়াবের প্রমাণ হিসেবে বদলী হজ্জ, বদলী রোযা এবং দান-সদকা করার হাদীসগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে থাকেন,অথচ বদলী এবং ইসালে সওয়াব এর মাঝে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। যেমন:

বদলীর ক্ষেত্রে একজনের দায়িত্ব আরেকজন পালন করে থাকে। যেমন,বদলী হজ্জ করার সময় বলা হয় “লাব্বাইকা আন ফুলান” (হে আল্লাহ,আমি অমুকের পক্ষ থেকে হাজির) অথবা মনে মনে নিয়ত করা হয়, আমি অমুক ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ্জ পালন করছি। কিন্তু ইসালে সওয়াব বা সওয়াব দানের ক্ষেত্রে নিজের পক্ষ থেকে হজ্জ সম্পাদন করে সে বলে,হে আল্লাহ,আমার এ হজ্জের সওয়াব অমুক ব্যক্তিকে দিয়ে দাও।

প্রথম পদ্ধতি অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ্জ-উমরা আদায় করা, দান-সদকা করা ইত্যাদি কুরআন-হাদীস দ্বারা দৃঢ়ভাবে প্রমাণিত। কিন্তু দ্বিতীয় পদ্ধতিটি অর্থাৎ নিজ আমলের সওয়াব মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে দান করা প্রকৃত বিদয়াত যেমনটি বলেছেন ইসমাঈল শহীদ রহ.।

মাওলানা ইসমাঈল শহীদ রহ. ‘ঈযাহুল হক’ কিতাবে লিখেছেন,“জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে সওয়াব বখশিয়ে দেয়া প্রকৃত বিদয়াত। পক্ষান্তরে আর্থিক ইবাদত (হজ্জ, উমরা, দান-সদকা ইত্যাদি) ক্ষেত্রে বদলী নিযুক্ত করা বৈধ। ”

এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন:

لم يكن من عادة السلف إهداء ذلك إلى موتى المسلمين ، بل كانوا يدعون لهم ، فلا ينبغي الخروج عنهم

“মৃত মুসলিমদের প্রতি সওয়াব দান করা আমাদের সালাফ তথা পূর্ববর্তী মনিষীদের নিয়ম ছিল না,বরং তাঁরা মৃতদের জন্য দু’আ করতেন। অতএব,তাদের এ নিয়মের বাইরে যাওয়া আমাদের সমীচীন নয়...। ”

‘মুয়াফাকাত’ কিতাবে আল্লামা আবু ইসহাক রহ. [ইবরাহীম বিন মূসা আবু ইসহাক আশ শাত্বেবী, গ্রানাডা। জন্ম: ৭২০ হিজরী। তার রচিত অন্যতম গ্রন্থ হল আল মুয়াফাকাত ফী উসূলিশ শারীয়াহ।] অত্যন্ত সুন্দর কথা বলেছেন। তিনি বলেনঃ “ইসালে সওয়াব তিনটি কারণে জায়েয নয়। যথাঃ

(এক) ইসলামে সম্পদ দান করা বৈধ প্রমাণিত;সওয়াব দান করা প্রমাণিত নয়। সুতরাং সওয়াব দানের ব্যাপারে যেহেতু কোন প্রমাণ নেই তাই তাকে বৈধ বলাও অন্যায়।

(দুই) যে কোন আমলের পুরস্কার বা শাস্তি ইসলামে নির্ধারণ করা রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদান পাওয়া কাজের উপর নির্ভরশীল। মানুষ যেমন কাজ করবে তেমন প্রতিদান লাভ করবে। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

“তাদের কর্ম অনুপাতে তাদের জন্যে রয়েছে প্রতিদান। ” [সূরা সাজদাহঃ ১৭] সুতরাং এ ক্ষেত্রে কারো এখতিয়ার নেই যে,ইচ্ছা করলেই নিজের আমলের প্রতিদান আরেকজনকে দান করে দিবে।

(তিন) সওয়াব মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ। এ ব্যাপারে আমলকারীর হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই। অতএব,নিজের আমলের সওয়াব অন্য কাউকে দান করার অধিকারও তার নেই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন