মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“তার নিকট কি মূসা ও ইবরাহীম- যিনি (আনুগত্য ও রেসালাতের দায়িত্ব) যথাযথভাবে পূর্ণ করেছিলেন-এর সহীফাগুলোতে বর্ণিত মূলনীতি সম্পর্কিত তথ্যগুলো এসে পৌঁছেনি যে,একজনের পাপের ভার আরেকজন বহন করবে না? আর মানুষ শুধু তাই পায় যা সে কষ্ট করে উপার্জন করে। আর সে কী চেষ্টা-পরিশ্রম করেছে তা সে অচিরেই দেখতে পাবে। অতঃপর,পরিপূর্ণ রূপে তাকে পরিশ্রমের বিনিময় প্রদান করা হব। ” [সূরা নাজমঃ ৩৬-৪১]
অর্থাৎ কেউ কুফুরী বা পাপাচার করে নিজের প্রতি অবিচার করলে তার দায়-দায়িত্ব তার নিজের উপরই বর্তাবে। অন্য কেউ তার দায়িত্ত কাঁধে নিবে না। যেমন,আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র বলেনঃ
“কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে তা কেউ বহন করবে না যদিও সে নিকটাত্মীয় হয়। ” [সূরা ফাতিরঃ ১৮]
গ) তিনি আরও বলেনঃ
وَأَنْ لَيْسَ لِلْإِنْسَانِ إِلَّا مَا سَعَى
“এবং মানুষ তাই পায়,যা সে করে। ” [সূরা নজম: ৩৯] তার উপর যেমন অন্যের পাপের দায়-দায়িত্ব বর্তাবে না অনুরূপভাবে সে কেবল ঐ পরিমাণ প্রতিদানের অধিকারী হবে যতটুকু সে নিজে উপার্জন করেছে।
আল্লামা ইবনে কাসীর রহ. বলেন,“উক্ত আয়াত সমূহের ভিত্তিতে ইমাম শাফেঈ ও তাঁর অনুসারীরা এ সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন যে,কুরআন পড়ার সওয়াব মৃত ব্যক্তিদের নিকট পৌঁছে না। কেননা,এটা তাদের নিজস্ব আমল ও উপার্জন নয়। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে কখনো এ কাজের প্রতি পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ কোন নির্দেশ, দিকনির্দেশনা,উৎসাহ কিংবা উপদেশ দিয়ে যান নি। কোন সাহাবীর পক্ষ থেকেও কখনো এ রকম কথা বলা হয় নি। কুরআনখানী করলে মৃত ব্যক্তি যদি উপকৃত হত তবে সর্ব প্রথম সাহাবীগণ তা বাস্তবায়ন করে এ সৌভাগ্য অর্জন করতেন।
যে কোন সৎ আমল নির্ভর করে প্রমাণের উপর। এখানে কারো ব্যক্তিগত মতামত,রায় বা কিয়াসের সুযোগ নেই। অবশ্য দু’আ ও দানের ব্যাপারে কোন মতবিরোধ নেই। নবী মুহম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে যে,এ দুটি কাজের সওয়াব মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছে।
আর ইমাম মুসলিম আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত হাদীসটি। যেখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “মানুষ মৃত্যু বরণ করলে তার আমলের সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যায় তিনটি ব্যতীত। সদকায়ে জারিয়া,এমন শিক্ষা যার দ্বারা অন্য মানুষ উপকৃত হয় এবং এমন নেককার সন্তান যে তার জন্য দু’আ করে। ”(মুসলিম) এ হাদীসে বর্ণিত তিনটি জিনিসই প্রকৃতপক্ষে মৃত ব্যক্তির আমল এবং শ্রম ও সাধনার ফসল। যেমন, অন্য একটি হাদীস রয়েছেঃ
“আমিই তো মৃতদেরকে জীবিত করি এবং তাদের কর্ম ও কীর্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করি। ” [সূরা ইয়াসিনঃ ১২]তদ্রুপ মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় মানুষের মাঝে যে জ্ঞানের প্রচার-প্রসার সে করে গেছে এবং মানুষ তদানুযায়ী আমল করে চলেছে সেটিও তার নিজ কর্মের ফসল। যেমনটি নিম্নোক্ত সহীহ হাদীস দ্বারা প্রতিয়মান হয়। আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“যে ব্যক্তি মানুষকে হেদায়াতের প্রতি আহবান করবে সে ব্যক্তি ঐ হেদায়াতের পথের অনুসারীদের সমপরিমাণ সোয়াবের অধিকারী হবে। অথচ এতে তাদের কোন সওয়াবের কমতি হবে না। ” [সহীহ মুসলিম। অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি কোন ভাল বা খারাপ পন্থা চালু করল আর যে ব্যক্তি হেদায়াত বা গোমরাহীর দিকে আহবান করল। হাদীস নং ৪৮৩১]
“এবং মানুষ তাই পায়,যা সে করে। ” [সূরা নজম: ৩৯] এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়,মানুষ লাভ করবে কেবল তার নিজস্ব পরিশ্রমের প্রতিদান। একজনের আমল অন্যের কোনই উপকারে আসবে না। কিন্তু আয়াতের এই ’আম’ বা ব্যাপক অর্থটিকে অন্য একটি আয়াত কিছুটা সীমাবদ্ধ করেছে। আয়াতটি হলঃ
أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ
“তাদের স্তরে তাদের সন্তানদেরকে মিলিত করেছি। ” [সুরা তূরঃ ২১]অর্থাৎ সন্তান-সন্তুদীগণ যদি নেক আমল করে তবে তাদের পিতা-মাতার আমলনামায় উক্ত সওয়াবের একটা অংশ লেখা হবে।
অনুরূপভাবে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশক্রমে নবী ও ফেরেশতাগণ ইমানদারদের জন্য শুপারিশ করবেন,জীবিত মানুষ মৃত মানুষের জন্যে দু’আ করবে ইত্যাদি মাধ্যমেও উপরোক্ত আয়াতের ব্যাপকার্থকে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
যারা মনে করেন যে,উল্লেখিত আয়াতটি পরের হাদীসগুলোর কারণে রহিত হয়ে গেছে তাদের ধারণা ঠিক নয়। বরং প্রকৃতপক্ষে উক্ত আয়াতকে এ বিষয়গুলি সীমাবদ্ধ করেছে। ”
৩) আল্লামা রশীদ রেযা রহ.: তাফসীর আল মানারের লেখক আল্লামা রশীদ রেযা রহ. নিম্নোক্ত আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা পেশ করেন। নিম্নে সংক্ষেপে তা উপস্থাপন করা হলঃ
“কেউ অন্যায় করলে তার ক্ষতি নিজের উপরই বর্তাবে। একজনের বোঝা (দায়-দায়িত্ব) আরেকজন বহন করবে না। ” [সূরা আনয়ামঃ ১৬৪]
“কুরআনখানী এবং বিভিন্ন ধরণের ওযীফার সওয়াব মৃত মানুষের উদ্দেশ্যে বখশানোর নিয়ম ব্যাপক ভাবে বিস্তার লাভ করেছে। অনুরূপভাবে পয়সার বিনিময়ে কুরআন পড়ানোর প্রথাও ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু এগুলো সবই বিদয়াত এবং শরীয়ত বিরোধী কাজ।
অনুরূপভাবে কোন ব্যক্তি নামায না পড়ে মারা গেলে তার জন্য কাফ্ফার দেয়ার মাসআলাটিও একটি বিদআতী মাসআলা। আসলে এসবের যদি কোন শরঈ ভিত্তি থাকত তবে ইসলামের প্রাথমিক যুগের অনুসরণীয় ব্যক্তিগণ এ বিষয়ে অবশ্যই জানতেন এবং তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করে যেতেন। ”
তিনি আরও বলেন,“মৃত মানুষের উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসীন পাঠের বর্ণনাও ছহীহ নয়। এ ব্যাপারে কোন ছহীহ হাদীস বর্ণিত হয়নি। যেমনটি বিশ্ব বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম দারাকুতনী (রাহ:)ও বলেছেন”।
জানা দরকার যে,বর্তমানে শহরে,গ্রামে-গঞ্জে মৃত মানুষের উদ্দেশ্যে কুরআনখানী ও ফতিহাখানী করার যে নিয়ম দেখা যাচ্ছে সে বিষয়ে না পাওয়া যায় কোন ছহীহ হাদীস,না যঈফ হাদীস। এমনকি এ ব্যাপারে কোন বানোয়াট হাদীসও পাওয়া যায়না। এটা এমনই বিদয়াত যা সুদৃঢ় প্রমাণাদীর সরাসরি বিরুদ্ধ। এ কুপ্রথা সমাজে এতটা ব্যাপকতা লাভ করার কারণ হল,পয়সালোভী,নাম সর্বস্ব লেবাসধারী আলেমগণ এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে আর জনসাধারণ এটাকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরেছে। এমনকি এটাকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বরং ফরযের স্তরে নিয়ে পৌঁছিয়েছে।
মোট কথা,এটি একটি ইবাদতের বিষয়। যার ভিত্তি হতে হবে কুরআন ও সুন্নাহর দলীল। এর উপর সালাফে-সালেহীনগণ থেকে আমল পাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
কুরআন ও সহীহ হাদীসের স্পষ্ট ও সুদৃঢ় প্রমাণাদির আলোকে এই মূলনীতি প্রমাণিত হল যে,পরকালে মানুষ কেবল নিজ আমলের প্রতিদান পাবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِنَفْسٍ شَيْئًا
“যে দিন কেউ কারো উপকার করতে পারবে না। ” [ইনফিতারঃ ১৯] আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরও বলেন:
“তোমরা সেদিনকে ভয় কর যে দিন পিতা পুত্রের এবং পুত্র পিতার কোনই উপকারে আসবে না। ” [সূরা লোকমানঃ ৩৩]
আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নিকটাত্মীয়দের নিকট আল্লাহর এই হুকুম পৌঁছিয়ে দিয়েছেন যে,“তোমরা আমল কর। আমি আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচাতে তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না” [সহীহ বুখারী। অনুচ্ছেদ: স্ত্রী ও সন্তান-সন্তুদী কি নিকটাত্মীয়ের অন্তর্ভুক্ত?]
তাহলে বুঝা গেল,পরকালে নাজাত পেতে হলে নেক আমল করতে হবে। নেক আমল করার মাধম্যে আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে হবে। তাহলেই কেবল পরকালে মুক্তির আশা করা যাবে।
আল্লামা রশীদ রেযা রহ. জগদ্বিখ্যাত মনিষী হাফেয ইবনে হাজার রহ. এর কথার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন,তাঁকে জিজ্ঞেসা করা হয়েছিল,কোন ব্যক্তি যদি কুরআন পড়ার পর দু’আতে বলে, হে আল্লাহ,আমার কুরআন তেলাওয়াতের সওয়াবের মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে দাও। তাহলে তার বিধান কী?
হাফেজ ইবনে হাজার রহ. উত্তরে বলেছেন,“এ ধরণের দু’আ পরবর্তী যুগের কারী সাহেবদের আবিষ্কার। পূর্ববর্তী যুগের মানুষের মধ্যে এ ধরণের কোন দুয়া প্রচলিত ছিল বলে আমার জানা নাই। কখনো শুনিও নি।
অতএব, আমরা একথাই বলব,সমাজের তথাকথিত এসব আলেম নামধারী ব্যক্তি যারা কুরআন সম্পর্কে মোটেও জ্ঞান রাখেনা তারা কিভাবে এই আয়াতের মর্ম বুঝবে?যেখানে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
“সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল,(দ্বীনের মধ্যে) নতুন উদ্ভাবিত বিষয় সমূহ। আর প্রতিটি নতুন উদ্ভাবিত জিনিসই বিদয়াত। আর প্রতিটি বিদয়াতই গুমরাহী। ” [সুনান আবু দাউদ, সহীহ]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/314/54
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।