মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১- ইমাম বুখারী ও মুসলিম আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিনে বিদায় হজের ভাষণে বলেছেন,
“আজ কোন দিন? আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করলাম যে, এ দিনটির আলাদা কোনো নাম তিনি দিবেন। তিনি বললেন, এটি কুরবানীর দিন নয় কি? আমরা বললাম, জী হ্যাঁ। তিনি বললেন, এটি কোন মাস? আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করতে লাগলাম যে, তিনি হয়ত এর (প্রচলিত) নাম ছাড়া অন্য কোনো নাম দিবেন। তিনি বললেন, এটি যিলহজ মাস নয় কি? আমরা বললাম, জী হ্যাঁ। তিনি বললেন, এটি কোন শহর? আমরা চুপ ছিলাম, তিনি বললেন, এটি কি সম্মানিত মক্কা নগরী নয়? আমরা বললাম, জী হ্যাঁ। তিনি বললেন, (জেনে রাখো) তোমাদের জান, তোমাদের মাল, তোমাদের সন্মান, তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম, যেমন আজকের এ দিন, আজকের এ মাস ও আজকের এ শহর তোমাদের জন্য সম্মানিত ও হারাম”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৭৯।]
২- ইমাম বুখারী ও মুসলিম জারীর ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিদায় হজের দিনে বলেছেন,
“তুমি লোকদেরকে চুপ করিয়ে দাও, তারপর তিনি বললেন, আমার পরে তোমরা কাফির (এর মত) হয়ে যেও না যে, একে অপরের গর্দান কাটবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১২১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৫।]
ভূমিকা:
ইসলামী ভ্রাতৃত্ব সর্বাধিক শক্তিশালী ও মজবুত বন্ধন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা একে অপরের বন্ধু”। [সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ৭১]
ইসলামী শরী‘আত এ বন্ধনকে স্বীকৃতি ও মজবুত করতে এসেছে। ফলে যা কিছু এ বন্ধনকে শক্তিশালী ও মজবুত করে সেগুলো পালনের নির্দেশ দিয়েছে আর যেসব কারণে বা যে সব উপায়ে এ বন্ধনে ত্রুটি দেখা দেয় সেগুলো নিষেধ করেছে।
ইসলামী শরী‘আত এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের অধিকারসমূহ স্পষ্টভাবে ও পরিপূর্ণরূপে বর্ণনা করেছে। মুসলিমের মর্যাদা ও সম্মানও বর্ণনা করেছে। এক মুসলিমের জান, মাল ও সম্মান অপর মুসলিমের জন্য হারাম। রহমত ও হিদায়াতের নবী এ সব অধিকার সংরক্ষণ করতে সর্বদা অসিয়্যত করেছেন এবং এ সীমা অতিক্রম করতে কঠোরভাবে বারণ করেছেন। এমনকি তিনি মহাসম্মেলন ও মহামিলন মেলা বিদায় হজের ভাষণেও এ উপদেশ দিয়েছেন। তিনি মুসলিমের মান-মর্যাদা রক্ষায় অবস্থাভেদে সব ধরণের গুরুত্বারোপ করেছেন। উম্মতের ওপর তিনি যেসব উপদেশ ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন সেসবের জন্য আল্লাহ তাঁর নবীর ওপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন।
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু একবার কা‘বার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন,
“আর যে ইচ্ছাকৃত কোনো মুমিনকে হত্যা করবে, তার প্রতিদান হচ্ছে জাহান্নাম, সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর আল্লাহ তার উপর ক্রুদ্ধ হবেন, তাকে লা‘নত করবেন এবং তার জন্য বিশাল আযাব প্রস্তুত করে রাখবেন”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৯৩]
“কোনো মুসলিম ব্যক্তি যিনি সাক্ষ্য দেন যে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তিন-তিনটি কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করা বৈধ নয়। তাহলো বিবাহিত ব্যভিচারী, প্রাণের বদলে প্রাণ এবং আপন দীন পরিত্যাগকারী মুসলিম জামা‘আত থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৮৭৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৭৬।]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন,
“একজন মুমিন ব্যক্তির অন্যায়ভাবে নিহত হওয়ার চেয়ে গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়া আল্লাহর নিকট অধিক সহজ ও সাধারণ ব্যাপার”। [নাসাঈ আল-কুবরা, হাদীস নং ৩৯৮৭; তিরমিযী, হাদীস নং ১৩৯৫; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৬১৯।]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিম ব্যক্তির ইসলামের মানদণ্ড করেছেন যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“আর যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে তাদের কৃত কোন অন্যায় ছাড়াই কষ্ট দেয়, নিশ্চয় তারা বহন করবে অপবাদ ও সুস্পষ্ট পাপ”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৮]
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার মিম্বারে আরোহণ করে উচ্চস্বরে ডেকে বলতে লাগলেন,
“হে লোকজন! তোমরা যারা মুখে মুখে ঈমান এনেছ; কিন্তু অন্তরে এখনও ঈমান প্রবেশ করে নি, তোমরা মুসলিমের গীবত করো না এবং তাদের দোষ-ত্রুটিও অনুসন্ধান করো না (ইজ্জত নষ্ট করো না)। কেননা, যারা কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধান করে বেড়ায় (ইজ্জত নষ্ট করতে চায়), আল্লাহও তাদের দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধান করেন (ইজ্জত নষ্ট করেন)। আর আল্লাহ যাকে অসম্মানিত করতে চান, তাকে তিনি তার ঘরে হলেও অপদস্থ করেন”। [মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ১৯৭৭৬; আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৮৮০; ইবন হিব্বান; তিরমিযী, ইমাম তিরমিযী হাসান গরীব বলেছেন।]
“রিবার (সুদের) তেহাত্তরটি শাখা রয়েছে। সবচেয়ে সহজ শাখা হলো কোনো ব্যক্তি তার মাকে বিয়ে করা, আর সর্বাধিক রিবা (সুদ) হলো মুসলিম ব্যক্তির সম্মানহানী করা”। [মুসতাদরাক হাকিম, হাদীস নং ২২৫৯। ইমাম হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
সুবহানাল্লাহ! মুসলিমের মর্যাদা ও মান-সম্মান কতই না উঁচু।
“যে ব্যক্তি তার ওপর অর্পিত চূড়ান্ত কসমের মাধ্যমে কোনো মুসলিমের সম্পদ গ্রাস করে অথচ সে মিথ্যাবাদী, আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় তার সাক্ষাৎ ঘটবে যে, আল্লাহ তার প্রতি ক্রোধান্বিত থাকবেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৮।]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্নোক্ত বাণীতে উপরোক্ত সব ধরণের সতর্কতা একত্রিত হয়েছে। তিনি তাঁর সাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করলেন,
“তোমরা কি বলতে পার, অভাবগ্রস্ত কে? তারা বললেন, আমাদের মধ্যে যার দিরহাম (টাকা কড়ি) ও ধন-সম্পদ নেই সেই তো অভাবগ্রস্ত। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে সেই প্রকৃত অভাবগ্রস্ত, যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন সালাত, সাওম ও যাকাত নিয়ে আসবে অথচ সে এই অবস্থায় আসবে যে, একে গালি দিয়েছে, একে অপবাদ দিয়েছে, এর সম্পদ ভোগ করেছে, একে হত্যা করেছে ও একে মেরেছে। এরপর একে তার সাওয়াব থেকে দেওয়া হবে, একে তার সাওয়াব থেকে দেওয়া হবে। এরপর পাওনাদারের হক তার ভালো আমল থেকে পূরণ করা না গেলে ঋণের বিনিময়ে তাদের পাপের একাংশ তার প্রতি নিক্ষেপ করা হবে। এরপর সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৮১।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/414/8
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।