মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১- ইমাম তিরমিযী ও ইবন মাজাহ রহ. আমর ইবন আহওয়াস রহ. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমার পিতা (আহওয়াস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) বর্ণনা করেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বিদায় হজে উপস্থিত হয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর হামদ ও সানা শেষে (উম্মতের উদ্দেশ্যে) কতিপয় উপদেশ প্রদান করলেন। এতে তিনি বললেন,
“শোনো, তোমরা স্ত্রীদের সাথে কল্যাণের অসিয়্যত গ্রহণ করো, (উপদেশ নাও)। তারা তো তোমাদের কাছে বন্দী (নিরুপায়)। তা ছাড়া আর কোনো বিষয়ে তোমরা তাদের মালিক নও; কিন্তু তারা যদি সুস্পষ্ট অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয় তবে ভিন্ন কথা। তারা যদি তা করে তবে তাদের শয্যায় তাদের আলাদা রাখবে, মৃদু প্রহার করবে, কঠোরভাবে নয়। তারপর তারা যদি তোমাদের আনুগত্য করে তবে আর তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো পথ অনুসন্ধান করবে না (তাদেরকে তালাক দিবে না)। সাবধান! তোমাদের স্ত্রীদের ওপর তোমাদের অধিকার রয়েছে আর তোমাদের ওপরও স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। স্ত্রীদের ওপর তোমাদের অধিকার হলো, যাদের তোমরা অপছন্দ করো তাদের তোমাদের ঘরে স্থান দিবে না অথবা যাদের তোমরা অপছন্দ করো, তাদের গৃহে অনুমতি দিবে না। শোনো, তোমাদের ওপর স্ত্রীদের অধিকার হলো, তাদের ভরন-পোষণ ক্ষেত্রে তাদের প্রতি উত্তম আচরণ করবে”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১১৬৩। তিনি হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৮৫১।]
মুসনাদে শিহাব গ্রন্থে আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছে যে, এটি ছিলো বিদায় হজের কুরবানীর দিনের ভাষণ।
“তোমরা নারীদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো। কেননা তোমরা তাদেরকে আল্লাহর দেয়া নিরাপত্তার মাধ্যমে গ্রহণ করেছ। আর তাদের লজ্জাস্থান তোমরা হালাল করেছ আল্লাহর কালেমা তথা ওয়াদার মাধ্যমে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।]
এ দু’টি হাদীস সময়ের ব্যাপারে বাহ্যিকভাবে বিরোধ রয়েছে। এর বিরোধ নিরসনে বলা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফাতের দিনে বিদায় হজের ভাষণে নারীর ব্যাপারে অসিয়্যত করেছেন, অতঃপর কুরবানীর দিনে তাঁর কুরবানীর সালাতের ভাষণেও নারীর সম্পর্কে অসিয়্যত করেছেন।
ইসলামের নারীর মর্যাদা:
মুসলিম সমাজে নারী পিতার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে এক কন্যা হয়ে লালিত-পালিত হয়। বিয়ের পরে তার প্রিয় স্বামী তার যাবতীয় প্রয়োজন মিটায়, স্বামীর গৃহ তারই গৃহ হয়ে যায়, উভয়ে পরস্পর ভালোবাসা ও রহমত বিনিময় করে থাকেন। মা তার সম্রাজ্যে তার ছেলে-সন্তান, নাতী-নাতনী বা তার আত্মীয়কে তার কাধে-পিঠে করে যথার্থ রক্ষণাবেক্ষণে লালন-পালন করে থাকেন।
পক্ষান্তরে কিছু সমাজে মানবরূপী হায়েনারা নারীদেরকে চোখের আকর্ষণ, ভোগ-বিলাস ও লালসার উপকরণ মনে করে, যারা তাদের থেকে ভোগ ছাড়া আর কিছুই আশা করে না অথবা তারা নারীকে সমান অধিকারের নামে পুরুষের অংশীদার বানিয়ে তার ঘরের সব কাজে অংশগ্রহণ করায়, এমনকি ঘর ও গাড়ির কিস্তি পরিশোধেও তাকে সমানহারে অংশগ্রহণ করতে হয় অথবা তাদের সন্তানেরা তাদেরকে বৃদ্ধ বয়সে দেখা-শুনার ঝামেলা এড়ানোর জন্য বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়। এর চেয়ে তাদের আর কোন দায়-দায়িত্ব থাকে না!
পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার:
আল্লাহ তা‘আলা আল-কুরআনে তাওহীদের আলোচনার সাথেই পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বলো। আর তাদের উভয়ের জন্য দয়াপরবশ হয়ে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বলো, হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন”। [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ২৩-২৪]
কাযী আবু বকর ইবন ‘আরাবী আল-মালেকী রহ. ‘আহকামুল কুরআন’ এ উপরোক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন, ‘পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা দীনের অন্যতম একটি রুকন। আর তাদের সাথে সদ্ব্যবহার কথা ও কাজ উভয় মাধ্যমে হতে হবে’।
পিতামাতা কাফির হলেও এমনকি তারা সন্তানকে কুফুরী করতে বাধ্য করলেও তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করতে আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর যদি তারা তোমাকে আমার সাথে শির্ক করতে জোর চেষ্টা করে, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তখন তাদের আনুগত্য করবে না এবং দুনিয়ায় তাদের সাথে বসবাস করবে সদ্ভাবে। আর অনুসরণ করো তার পথ, যে আমার অভিমুখী হয়। তারপর আমার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। তখন আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব, যা তোমরা করতে”। [সূরা লুকমান, আয়াত: ১৫]
পাক-পবিত্র সুন্নাতে রাসূলে পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার ও উত্তম আচরণের সর্বাধিক গুরুত্ব এসেছে। তাদেরকে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার সবচেয়ে বেশী হকদার বলে ঘোষণা দিয়েছে। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন,
“হে আল্লাহর রাসূল! আমার কাছে কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার বেশি হকদার? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি বলল, তারপর কে? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বললেন, তারপরে তোমার বাবা”। [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৯৭১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৪৮।] এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করাকে বাবার ওপর তিনবার অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
অন্যদিকে পিতামাতার সাথে অবাধ্যতাকে শরী‘আত কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত করেছে। আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“একদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার বললেন, আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করাবো না? সাহাবীরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, তাহলো, আল্লাহর সাথে শির্ক করা এবং পিতামাতার অবাধ্য হওয়া। তিনি হেলান দিয়ে বসেছিলেন, এবার সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেন, শুনে রাখো, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া -এ কথাটি তিনি বার বার বলতে থাকলেন। এমনকি আমরা বলতে লাগলাম, আর যদি তিনি না বলতেন”। [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৬৫৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৭।]
স্ত্রীর সাথে সুন্দর আচরণ:
আল-কুরআন বলেছে, বিয়ে-শাদীর মূল উদ্দেশ্য হলো স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে প্রশান্তি, ভালোবাসা ও রহমত বজায় থাকা। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন”। [সূরা আর-রূম, আয়াত: ২১]
আল-কুরআন স্ত্রীর সাথে সুন্দর ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছে। যদি কোনো কারণে স্ত্রীর সাথে সদ্ভাবে জীবন যাপন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে তখন সুন্দরভাবে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَعَاشِرُوهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِ﴾ [ النساء : ١٩ ]
“আর তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৯]
“পরিপূর্ণ ঈমানদার মুমিন হলো সেই ব্যক্তি যার চরিত্র সুন্দর। তোমাদের মধ্যে উত্তম হলো তারা, যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১১৬২, ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন,
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজের পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার পরিবারের কাছে অধিক উত্তম ব্যক্তি”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৩৮৯৫, ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।]
স্ত্রীর সাথে সদাচরণ করতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলাদাভাবে তাদের অধিকার বর্ণনা করেছেন। মু‘আবিয়াহ ইবন হাইদাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন,
“আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! স্বামীদের ওপর স্ত্রীদের কী কী অধিকার? তিনি বললেন, যা সে খাবে তাকেও (স্ত্রী) তা খাওয়াবে, আর সে যা পরিধান করবে তাকেও তা পরিধান করাবে। তার চেহারায় মারবে না এবং তাকে গাল-মন্দ করবে না। আর তাকে ঘর থেকে বের করে দিবে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২১৪২। আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, পরস্পরের ছাড় ও ত্যাগ ব্যতীত সুন্দর বসবাস ও সুখী জীবন সম্ভব নয়। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“কোনো মুমিন পুরুষ কোনো মুমিন নারীর প্রতি ঘৃণা পোষণ করবে না; (কেননা) তার কোনো চরিত্র অভ্যাসকে অপছন্দ করলে তার অন্য কোনো (চরিত্র-অভ্যাস) টি সে পছন্দ করবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৪৬৯।]
আর আল-কুরআন এ দিকেই ইশারা দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বসবাসের আয়াতে বলেছে,
“আর যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমনও হতে পারে যে, তোমরা কোনো কিছুকে অপছন্দ করছ আর আল্লাহ তাতে অনেক কল্যাণ রাখবেন”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৯]
কন্যা সন্তানের প্রতি ভালোবাসা:
বিভিন্ন যুগে অনেক সমাজেই মানুষ পুত্র সন্তানকে বেশি ভালোবাসে এনং তাকে কন্যা সন্তানের ওপর অগ্রাধিকার থাকে। এজন্যই ইসলামী শরী‘আত সন্তানদের মধ্যে সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। যেমন, ছেলে-মেয়ে উভয়কেই দান ও হেবার ক্ষেত্রে সমানাধিকার দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নু‘মান ইবন বাশীরের বাবা বাশীর আল-আনসারীকে দানের ক্ষেত্রে তার পুত্র সন্তানকে তার অন্য ভাইদের ওপর বিশেষ প্রধান্য দেওয়া দেখে বললেন,
সৎপূর্বসূরীরা ছেলে-মেয়ের মাঝে সবক্ষেত্রে সমতা বিধান করা ফরয বলেছেন এমনকি তাদেরকে চুম্বন করার ক্ষেত্রেও সমানহারে চুম্বন করতে হবে। এ ব্যাপারে ত্রুটি করা থেকে সুন্নতে নববী সতর্ক করেছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“হে আল্লাহ! আমি দুই দুর্বলের অর্থাৎ ইয়াতীম ও নারীর অধিকার (নস্যাৎ করা) নিষিদ্ধ করছি”। [সুনান নাসায়ী, হাদীস নং ৯১০৪; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৬৭৮।] অর্থাৎ ইয়াতীম ও নারীর অধিকার খর্ব করার গুনাহ থেকে আমি আপনার কাছে পানাহ চাচ্ছি।
এমনিভাবে তাদেরকে উত্তমরূপে লালন-পালন করার ব্যাপারে হাদীসে অনেক উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। কন্যা সন্তানের লালন-পালন ব্যক্তির জন্য জাহান্নাম থেকে আড়াল হবে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যাকে এসব কন্যা সন্তানের দ্বারা কোনোরূপ পরীক্ষা করা হয় এবং সে তাদেরকে উত্তমরূপে লালন-পালন করে, তবে সে কন্যা সন্তান তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে পর্দা হয়ে দাঁড়াবে”। [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪১৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬২৯।]
এরচেয়েও বড় অঙ্গিকার রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন, আর তা হলো কন্যা সন্তানের লালন-পালনকারী তাঁর সাথে জান্নাতে একত্রে থাকবে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি দু’টি কন্যা সন্তানকে প্রাপ্ত বয়স্কা হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করে, কিয়ামত দিবসে সে ও আমি এমন অবস্থায় আসব, এই বলে তিনি তাঁর হাতের আঙ্গুলগুলো একত্র করলেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৩১।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/414/9
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।