মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
উন্নয়ন হলো ব্যক্তি ও সমাজের রাজনৈতিক সংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির একটি চলমান জটিল প্রক্রিয়া। এ অগ্রগতির ফলে সকল ক্ষেত্রে আসে গতি এবং অনগ্রসরতার ফলে সব কিছু হয়ে পড়ে স্থবির। জনশক্তি একটি দেশের জাতীয় সম্পদ। এর কোন বিকল্প নেই। জাতির মূল চালিকাশক্তি হলো যুবসমাজ। কিন্তু আজ ও যুবসমাজের শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকল জনগোষ্ঠী পরিচিত হচ্ছে হরেক রকম মাদকদ্রব্যের সাথে। জড়িয়ে পড়ছে মাদকের মায়াজালে। ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নৈতিক মূল্যবোধ। রসাতলে যাচ্ছে মানব সম্পদ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
সমাজ, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির পাশাপাশি দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোর উপরও মাদকদ্রব্য তার ভয়াবহ ছোবল প্রসারিত করেছে। মাদকের কবলে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষার প্রতি যেমন বিমুখ হচ্ছে, তেমনি নেশার টাকা যোগাড় করতে অনেক ক্ষেত্রে তারা আবার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে। [ড. মোঃ নুরুল ইসলাম, সামাজিক সমস্যা বিশ্লেষণ, ঢাকা, তাসলিমা পাবলিকেশন্স, জুলাই-২০০৪, পৃ. ১৯৩।] ফলে শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছে বন্ধুদের সাথে নেশা আখড়ায়। এক সময় নেশা করাই হয়ে উঠে প্রধান লক্ষ্য। অকালে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে হারিয়ে যায় নেশার নীল দরিয়ায়। এভাবে নষ্ট হচ্ছে অসংখ্য মেধা এবং দেশ এগিয়ে চলেছে মেধাশূন্যতার দিকে।
এদেশের ৮৫% মাদকাসক্তের বয়স ১৫-৩৫ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ৯৯% হলো পুরুষ এবং ৫৫% অবিবাহিতরা বেশী মাদক সেবনে অভ্যস্ত। [খুশী মোহন বিশ্বাস, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও এর নিয়ন্ত্রণে অভিভাবকের ভূমিকা, প্রাগুক্ত, পৃ. ৪৮।] মাদকদ্রব্যের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হচ্ছে এটি সমাজের তরুণ সম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করে সর্বাধিক। ফলে সমাজের শ্রেষ্ঠ সম্পদ তরুণরা মাদকদ্রব্যের ছোবলে পড়ে আয়-রোযগারের ক্ষেত্রে এবং নিজ জীবনের ক্ষেত্রেও উদাসীন থাকে। তা ছাড়া তাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটার কারণে ও শক্তিহীনতার ফলে উর্পাজন ক্ষমতা হ্রাস পায়। [এম. ইমদাদুল হক, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৭০।] মাদকাসক্ত ব্যক্তি ওজনহীনতা, শক্তিহীনতা ও ক্ষুধামন্দায় ভোগে। এদের কর্মোদ্দীপনা হ্রাস পায়, মতিভ্রম দেখা দেয় এবং এরা ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যহীন ও কংকালসার হয়ে পড়ে। [মোঃ রেজাউল ইসলা, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৮৫।] অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে যখন মদখোর এর বয়স চল্লিশ বছর হয়, তখন তাকে ষাট বছরের দুর্বল মানুষের মত করে তোলে। তার শরীর হালকা হয়ে যায়। তার সমবয়সী ষাট বছরের লোকেরা এতখানি দুর্বল হয় না। [সাইয়িদ সাবিক, ফিকহ আল সুন্নাহ, ২য় খন্ড, বৈরুত: দারুল ফিকহ, ১৯৯২, পৃ. ৪৯৬।] দেশে ন্যূনতম এক লাখ মাদকাসক্ত কর্মদক্ষতা হারিয়ে অকর্মন্য হয়ে থাকলে এবং এদের মাসিক আয় গড়ে ন্যূনতম ৫,০০০(পাঁচ হাজার) টাকা ধরলে বাৎসরিক এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০০০ কোটি টাকা। আর এদেরকে যদি রপ্তানী করা যেত তাহলে এদের আয়ের পরিমাণ দাঁড়াতো ১২০০ থেকে ১৩০০ কোটি টাকা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/480/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।