hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মাদকাসক্তির প্রভাব ও তার সমাধান

লেখকঃ ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসাইন

১৪
আইন-শৃঙ্খলা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি:
মাদকাসক্তির সঙ্গে রয়েছে অপরাধের ঘনিষ্ট সম্পর্ক। মাদকাসক্তির ফলে যুবশ্রেণীর মধ্যে সৎগুণ বিলুপ্ত হয়। সন্ত্রস, অস্ত্রবাজি ও অপরাধপ্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পায়। সীমিত সংখ্যক লোকবল ও অস্ত্রবল নিয়ে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হিমসিম খাচ্ছে। তার উপর মাদকাসক্তি সৃষ্ট অপরাধ দমন এবং এদের নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিক কর্মকান্ডে দারুন ব্যাঘাত ঘটায়। বিশেষ করে ঢাকা শহরে হেরোইনখোরদের উৎপাত আশংকাজন হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় জনগণ, বাসা-বাড়ির লোকজন এদের অত্যাচারে নিকট অসহায়।

মাদকাসক্তি ও মাদকব্যবসা কতটা ভয়ংকর ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে থাকে তা দৈনিক ইত্তেফাকের একটি রিপোর্ট পর্যালোচনা করলে বুঝা যাবে, রিপোর্টটিতে বলা হয়, মাদকের ডিপো আমিন বাজার (ঢাকা), এক যুগে র‌্যাব পুলিশসহ খুন হয়েছে অর্ধশত। ১৯৯৬ সালের ৯ আগষ্ট ফেনসিডিল ব্যবসায়ীদের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে ৫০ জন আহত।

একই সালের ১৮ নভেম্বর ১ পুলিশ সহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ ও ১৬ ডিসেম্বর রাতে মাদক ব্যবসায়ী দুই গ্রুপের ৩ জন গুলিবিদ্ধ। ১৯৯৭ সালের ৬ জানুয়ারী ১ পুলিশ কনষ্টেবল ছুরিকাহত। ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাদক ব্যবসায়ীরা আমিন বাজার পুলিশ ফাড়িতে হামলা চালালে আহত হয় পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহজাহান আলী। ২০০২ সালে এরা সাভার থানার এস আই কে গুলি করে হত্যা করে। ২০০৩ সালে ২ পুলিশ ও ৬ সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়। ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর র‌্যাব সদস্যরা আমিন বাজারে ফেনসিডিল ও অস্ত্রের চালান আটক করতে গেলে উভয়ের মাঝে গুলি বিনিময়ে র‌্যাবের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়। সর্বশেষ ৩ মার্চ ২০০৭ আমিনবাজার এর পার্শ্ববর্তী গ্রাম সালেহপুরে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে র‌্যাবের দুই সদস্যকে। [দৈনিক ইত্তেফাক, ৫ মার্চ, ২০০৭, পৃ. ১ ও ৪।]

মাদকদ্রব্যের অবৈধ ব্যবহারজনিত সকল কর্মতৎপরতা অবৈধ ও আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। সারাদেশে এহেন কাজের সাথে জড়িত লোকজন ধরা পড়ছে প্রতিনিয়ত। এদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়। এ মামলার সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্টি হচ্ছে মামলাজট। বাধ্য হয়ে আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হয় এবং নিয়োগ করতে হয় অতিরিক্ত লোকবল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে দেয়া এক তথ্যে জানা যায় ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ৬৫০৬৬ টি মামলা দায়ের করা হয় এবং এ সময়ে আসামীর সংখ্যা দাঁড়ায় মোট ৭১৭৯৮ জনে। (দেখুন সারণী-২)। প্রতি বছরে গড়ে মামলা দাঁড়ায় ৫৯১৫ টি এবং আসামীর সাংখ্যা দাঁড়ায় মোট ৬৫২৭ জনে। মার্চ ২০০৯ পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৪৩৯০টি। [মোঃ হুমায়ুন কবির, মাদক বিরোধী কার্যক্রমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভূমিকা, (ঢাকা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ ০৮ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্যুভেনির), পৃ. ৪৮।] মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা ১৯৯০ এর ধারা ১৯ এ মাদক আইনে গ্রেফতারকৃতদের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এতে কারাভোগের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ বৎসর থেকে ১৫ বৎসর কারাভোগের কথা বলা হয়েছে। ধৃত আসামীদের মামলা পরিচালনা ও কারাগারে রেখে তাদের খাওয়া, পোশাক-আশাক, চিকিৎসা ইত্যাদি বাবদ প্রতিবছর সরকারের ব্যয় দাঁড়ায় ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকা। এছাড়া এদেরকে দমন ও নিয়ন্ত্রণে সরকারকে পোহাতে হয় বাড়তি টেনশন। সঙ্গত কারণেই এসব কর্মকাণ্ডে জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করতে হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন