মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মদ্যপান থেকে বিরত রাখার জন্য প্রথমত মানসিক ও নৈতিকভাবে সংস্কার সাধন করা হয়েছে। পাশাপাশি পরকালের শাস্তির কথা কঠোর ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “তিন ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম; মদখোর, পিতামাতার অবাধ্য সন্তান এবং দায়ূছ। [কাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ পানীপথী (র), তাফসীরে মাযহারী, প্রাগুক্ত, পৃ. ৫৯৩।] এমনিভাবে বিভিন্ন ভাষায় মদ্যপান থেকে বিরত রাখতে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। তারপরও যারা এহেন ঘৃণ্য কাজে জড়িত হবে তাদের জন্য ইহকালীন শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
মদকে হারাম করার পেছনে হেকমত হল, মুসলিমের দ্বীন, বিবেক, দৈহিক শক্তি ও সম্পদকে নিরাপদ রাখা। [আবু বকর জাবের আল-জায়ায়িবী, মিনহাজুল মুসলিম (জিদ্দাহ: দারু আল-শুরূক, দশম সংস্করণ, ১৯৯০), পৃ. ৬৬৫।] বিবেক হলো মানুষের মুকুট, ভাল-মন্দ, পবিত্র ও অপবিত্রতার মধ্যে পার্থক্য করার ভিত্তি। অনুরূপভাবে মদের নিষিদ্ধতা ইসলামী শিক্ষাসমূহের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে যা ব্যক্তি ও সামাজিক চরিত্র গঠনে এবং উন্নত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব আবিষ্কারের লক্ষ্য বস্তু হিসেবে কাজ করে। নিঃসন্দেহে মদ চরিত্রকে দুর্বল, ব্যক্তিকে ধ্বংস, কাঠামোকে হরণকারী বিশেষ করে বিবেককে ধ্বংস করে দেয়। [‘আফীফ আব্দুল ফাত্তাহ তাববারা, আল-খাতাইয়া ফি নযরিল ইসলাম( বৈরুত: লেবানন, দারুল ইলম লিল মালাইন, ৭ম সংস্করণ, ১৯৮৩ ইং), ৭ম খন্ড, পৃ. ১০৭-১১১।] মানুষের বিবেক চলে গেলে সে নিকৃষ্ট পশুতে পরিণত হয়। তার থেকে বিশৃংখলা, অশ্লীলতা, গোপনীয়তা প্রকাশ, মারাত্মকভাবে সব অসৎ চরিত্র প্রকাশিত হয়। সুতরাং হত্যা, শত্রুতা, অশ্লীলতা, দেশের খেয়ানত মদ পান থেকে হয়ে থাকে।
ইসলামে মদকে নিষিদ্ধ হওয়ার আলোচিত বিষয়টি এক অনুপম নীতি। আমরা উপরে দেখেছি, মাদকাসক্তিকে নিষিদ্ধ করতে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন নীতিমালা তৈরী করা হয়েছে। শাস্তির বিধান করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কোনো সময়ে বিশেষ কার্যকরী বা ফলপ্রসূ হয় নি। খোদ আমেরিকার মত দেশেও আইনের দ্বারা মাদকতা নিবারণের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাহলে কিসের বলে ইসলাম সহজ ও সাবলীলভাবে আকণ্ঠ মাদকাসক্ত একটি জাতিকে মাদকমুক্ত করেছিল?
একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যে, ইসলামী শরিয়ত মানুষের সংশোধনের জন্য শুধু আইনকেই পর্যাপ্ত মনে করে নি, বরং আইনের পূর্বে তাদের মন-মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে, ইবাদত-আরাধনা এবং পরকালের চিন্তা দিয়ে পরিবর্তন সাধন করে। আল্লাহ-ভীতি অর্জনে সহযোগিতা করে। যার ফলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি মাত্র আহ্বানেই তারা স্বীয় জান-মাল, শান-শওকাত সবকিছু বিসর্জন দিতে প্রস্তুত হয়েছিল। পক্ষান্তরে মন পরিবর্তন করার জন্য আমেরিকা সহ সকল রাষ্ট্রসমূহে অনেক কিছুই রয়েছে, কিন্তু একটি জিনিস নেই তা হল পরকালের চিন্তা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/480/21
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।