মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যখন বিচারকার্য সম্পন্ন হবে তখন শয়তান বলবে, আল্লাহ তো তোমাদেরকে সত্য প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিলেন। আর আমিও তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি তোমাদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছি। আমার তো তোমাদের উপর কোন আধিপত্য ছিল না, আমি কেবল তোমাদেরকে আহবান করেছিলাম এবং তোমরা আমার আহবানে সাড়া দিয়েছিলে। সুতরাং তোমরা আমার প্রতি দোষারোপ করো না, বরং তোমরা নিজেদের প্রতি দোষারোপ করো। আমি তোমাদের উদ্ধারে সাহায্য করতে সক্ষম নই এবং তোমরাও আমার উদ্ধারে সাহায্য করতে সক্ষম নও। তোমরা যে পূর্বে আমাকে আল্লাহর শরীক করেছিলে আমি তা অস্বীকার করছি, নিশ্চয় যালিমদের জন্য (প্রস্তুত) রয়েছে মর্মান্তিক শাসিত্ম। [সূরা ইবরাহীম- ২২।]
যখন কিয়ামতে সব মুকাদ্দামার ফায়সালা শেষ হবে তখন জাহান্নামীরা সবাই সেখানে অবস্থানকারী শয়তানের কাছে গিয়ে তিরস্কার করে বলবে, হতভাগা! তুই তো আমাদেরকে ধ্বংস করলে। তখন শয়তান উত্তরে বলবে, তোমরা দেখতেই পাচ্ছ, আল্লাহর প্রত্যেকটি প্রতিশ্রুতি ও হুমকি অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে আমি তোমাদেরকে যেসব আশ্বাস দিয়েছিলাম, সবই ছিল নিছক প্রতারণা। আমি তো কেবল তোমাদেরকে সত্যের মুকাবিলায় মিথ্যার দিকে ডেকেছিলাম, সৎকাজের মুকাবিলায় অসৎকাজ করার জন্য আহবান করেছিলাম। এর বেশি আর কিছুই করিনি। আমার কথা মানা অথবা না মানার পূর্ণ স্বাধীনতা তোমাদের ছিল। তোমাদেরকে বাধ্য করার কোন ক্ষমতা আমার ছিল না। এখন আমার এ দাওয়াতের জন্য নিঃসন্দেহে আমি নিজে দায়ী ছিলাম এবং এর শাস্তিও আমিই নিচ্ছি। কিন্তু তোমরা যে এ দাওয়াতে সাড়া দিয়েছ এর দায়ভার কেমন করে আমার ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছ?
আমি সেসব ভুয়া ওয়াদা তোমাদের সাথে করেছিলাম এবং আল্লাহর ওয়াদা যে সত্য আমার ওয়াদা যে মিথ্যা- এর ভুরি-ভুরি অকাট্য প্রমাণ বিদ্যমান ছিল। এতদ্বসত্ত্বেও তোমরা আমার ওয়াদাকে সত্য এবং আল্লাহর ওয়াদাকে মিথ্যা মনে করেছ। নিজেদের ভুল নির্বাচন এবং নিজেদের ক্ষমতার অসৎ ব্যবহারের দায়ভার পুরোপুরি তোমাদেরকেই বহন করতে হবে।
তবে কথা এই যে, তোমাদের উপর আমার এছাড়া অন্য কোনো জোর ছিল না যে, আমি তোমাদেরকে পথভ্রষ্টতার দিকে ডেকেছিলাম। অতঃপর তোমরা আমার কথা মেনে নিয়েছিলে। যদি না মানতে, তবে আমি বলপূর্বক তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করতে পারতাম না। যখন এটা প্রমাণিত, অতএব আমাকে সম্পূর্ণ ভৎর্সনা করো না। বেশি ভৎর্সনা নিজেদেরকেই করো। কারণ আযাবের আসল হোতা তোমরাই।
আর তোমাদের কথার উদ্দেশ্য যদি সাহায্য প্রার্থনা হয়; তবে আমি অন্যের সাহায্য কীভাবে করতে পারি, যখন আমি নিজেই বিপদগ্রস্ত এবং সাহায্য প্রত্যাশী হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমি জানি যে, কেউ আমাকে সাহায্য করবে না। নতুবা আমিও তোমাদের কাছে নিজের জন্য সাহায্য প্রত্যাশা করতাম। কেননা তোমাদের সাথেই আমার সম্পর্ক বেশি। সুতরাং এখন না আমি তোমাদের উদ্ধারে সাহায্যকারী হতে পারি এবং না তোমরা আমার উদ্ধারে সাহায্যকারী হতে পার, তবে আমি যদি তোমাদের শিরককে সত্য মনে করতাম, তবুও এ সম্পর্কের কারণে সাহায্য প্রার্থনার অবকাশ থাকত, কিন্তু আমি স্বয়ং তোমাদের এ কর্মকে মিথ্যা মনে করি যে, তোমরা ইতোপূর্বে দুনিয়াতে আমাকে আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করতে। অর্থাৎ আমার এমন আনুগত্য করতে, যে আনুগত্য বিশেষভাবে আল্লাহর প্রাপ্য। অতএব আমার সাথে তোমাদের কোন সম্পর্ক নেই এবং তোমাদের সাহায্য প্রার্থনা করারও কোন অধিকার নেই। নিশ্চয় যালিমদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে। অতএব তোমরা আযাবে পড়ে থাকো। আমাকে ভৎর্সনা করো না। তোমরা যে যুলুম করেছ, তা তোমরাই ভোগ করো। আমি যা করেছি, তা আমি ভোগ করব। এসব কথাবার্তার এখন আর কোন অর্থ হয় না।
এ হচ্ছে ইবলীস শয়তানের উত্তরের সারমর্ম। এতে আল্লাহ ছাড়া অন্য উপাস্যদের ভরসাও ছিন্ন হয়েছে। কেননা ইবলীস শয়তানই হচ্ছে অন্য উপাস্যদের উপাসনার আসল প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা এবং প্রকৃতপক্ষে এ উপাসনা দ্বারা সেই অধিক সন্তুষ্ট হয়। এ কারণেই কিয়ামতের দিন জাহান্নামীরা তার সাথেই কথাবার্তা বলবে এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্যকে কিছুই বলবে না। যখন সে পরিস্কার জবাব দিয়ে দেবে, তখন অন্যদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়।
হে আল্লাহর বান্দারা! আপনারা কি একটু চিন্তা করবেন? আজ দুনিয়ার মানুষ যেসব নেতানেত্রীদের পেছনে তাদের জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করছে, যাদের নামে তারা শ্লোগান দিচ্ছে তারা পরকালে কোন পরিণতির সম্মুখীন হবে? যেসব দলে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের কর্মসূচী নেই, সেসব দলের নেতানেত্রীরাও এভাবে শয়তানের মতো জবাব দিয়ে কেটে পড়বে। তখন তারা এবং তাদের অনুসারীরা উভয়পক্ষই বিপদে পড়বে। অতএব আমাদের সাবধান হওয়া উচিত।
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।