hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবাদের ব্যাপারে আহলে সুন্নত ওয়াল-জামাতের আকিদা

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল-অহাইবি

সাহাবীগণের আদালত সম্পর্কে হাদীস থেকে প্রমাণ
১ম হাদীস

عن أبى سعيد رضي الله عنه قال كان بين خالد بن وليد وبين عبد الرحمن بن عوف رضي الله عنهم شيئ فسبه خالد، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم : لا تسبو أحدا من أصحابى فإن أحدكم لو أنفق مثل أحد ذهبا ما أدرك مد أحدهم ولا نصيفه . رواه البخاري ومسلم

অর্থাৎ- আবু ছাইদ রা. বলেন সাহাবী খালিদ বিন ওয়ালিদ ও আব্দুর রহমান বিন আউফ রা. এর মাঝে একটু মনোমালিন্য ঘটে তাই খালিদ রা. আব্দুর রহমান বিন আউফ রা.-কে গাল মন্দ বলেন। এতদ শ্রবণে রাসূল সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন তোমরা কেউ আমার কোন সাহাবীকে মন্দ বলবে না। কেননা তোমরা যদি ওহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর রাস্তায় দান কর তাও তাদের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র দানের সমকক্ষ হবে না। (বুখারী ও মুসলিম)

আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রা. ‘আসসারেমুল মাসলুল’ কিতাবে লিখেন, যে ব্যক্তির এক বৎসর এক মাস বা একদিন অথবা কিছুক্ষণ সময় ঈমানের সাথে রাসূলের সংস্রব লাভ করার সুযোগ হয়েছে, সেও রাসূলের সাহাবী। সে রাসূলের সহচরের পূর্ণ মর্যাদা পাবে। এধরণেরই অভিমত ব্যক্ত করেছেন ইমাম আহমদ বিন হাম্বল ও অন্যান্যরাও। এখানে প্রশ্ন হতে পারে যে খালিদ বিন ওয়ালিদ নিজেই একজন বিশিষ্ট সাহাবী। এমতাবস্থায় তাঁকে লক্ষ্য করে কেমন করে রাসূল বললেন তোমরা আমার কোন সাহাবীকে মন্দ বলো না, কেননা তাদের মর্যাদা তোমাদের চেয়ে অনেক বেশি তোমরা যদি ওহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ ও আল্লাহর রাস্তায় দান কর তাও তাদের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম দানের সমকক্ষ হবে না। তাহলে কি খালিদ সাহাবী নয়? উত্তর এই যে, আব্দুর রহমান বিন আউফ এবং তার সমকক্ষগণ তখনও রাসূলের সাহাবী যখন খালিদ বিন ওয়ালিদও তার সমকক্ষগণ রাসূলের বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত, এবং আব্দুর রহমান বিন আউফ সে সব সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত যারা হুদাইবিয়ার সন্ধির পূর্বে আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যয় করেছেন ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছেন। নিশ্চয় এসব সাহাবীদের মর্যাদা ঐ সব সাহাবীদের থেকে অনেক বেশি যারা হুদাইবিয়ার সন্ধির পর আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছেন ও তার রাস্তায় জেহাদ করেছেন ও সম্পদ ব্যয় করেছেন, যদিও উভয় শ্রেণির জন্য জান্নাতের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আব্দুর রহমান ও তার সমকক্ষগণ রাসূলের এমন এক সংস্রবের অধিকারী যা হুদাইবিয়ার সন্ধির পর ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবী খালিদ রা. ও তার পরবর্তীদের ভাগ্যে জুটেনি। তাই রাসূল তার সে সব সাহাবীদেরকে গালি দিতে নিষেধ করলেন যারা তখনও রাসূলের সাহাবী যখন খালিদ ও তার সমকক্ষগণ সাহাবীও হননি।

২য় হাদীস :

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لعمر رضي الله عنه وما يدريك لعل الله إطلع على أهل بدر فقال إعملوا ما شئتم فقد عفرت لكم . ( صحيح البخاري، فتح الباري : ৩৯৮৩ و صحيح مــسلم : ২৪৯৪)

অর্থাৎ- রাসূল সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম সাহাবী ওমর রা. কে লক্ষ্য করে বলেন বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সাহাবীদের ব্যাপারে তোমার কি ধারণা? মহান আল্লাহ তাআলা তাদের সব বিষয়ে নিশ্চিত জ্ঞাত হয়েই বলেছেন إعملوا ما شئتم قد غفر لكم . অর্থাৎ- তোমরা যা ইচ্ছা তাই কর আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি।

হাদীসের ব্যাখ্যায় বিজ্ঞ আলেমগণ বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। কতিপয় আলেম বলেছেন এখানে উদ্দেশ্য হল, বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সাহাবীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা আর তা এভাবে যে, তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্য প্রশ্নের সম্মুখীন করবে না। আর কতক আলেম বলেছেন, হাদীসের অর্থ হল মানুষ হিসাবে তাদের যেসব অপরাধ হয়ে গেছে সবই ক্ষমা করে দেয়া হবে। তাই তাদের অবস্থা এমন যে মনে হয় তাদের কোন অপরাধই হয়নি। (ইবনে হাজর আসকালানীর মারেফাতু খেছালিল মুকাফফারাহ, পৃ- ৩১)

আল্লামা নববী র. বলেন, বিশিষ্ট আলেমদের মতে পরকালের ক্ষমাই এখানে উদ্দেশ্য। অন্যথায় দুনিয়াতে যদি শাস্তি যোগ্য কোন অপরাধ করেই ফেলে তাহলে তাদের উপরও শাস্তি প্রয়োগ হবে। কাজী ইয়াজ র. এ মর্মে উম্মতের ঐক্য প্রমাণ করেছেন যে যদি ক্ষমা ঘোষিত কোন বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সাহাবী শাস্তি যোগ্য অপরাধ করেন তাহলে অবশ্যই তার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে। তার উজ্জ্বল প্রমাণ এই যে, খলীফাতুল মুসলিমীন ওমর রা. বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী কতিপয় সাহাবীর ওপর শাস্তি প্রয়োগ করেছেন। কুদামা বিন মাজউন বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিস্তাহ রা. এর ওপর অপবাদের শাস্তি প্রয়োগ করেছেন অথচ তিনি বদরী সাহাবী ছিলেন।

আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম র. বলেন হাদীসে বর্ণিত সম্বোধন এমন এক শ্রেণির লোকের জন্য হয়েছিল যাদের ব্যাপারে আল্লাহ নিশ্চিত জানতেন যে এরা ধর্ম ত্যাগী হবে না। বরং ইসলামের ওপর মৃত্যু বরণ করবে। তবে অন্যদের থেকে যেমন অন্য অপরাধ প্রকাশ পায় তাদের থেকেও তা প্রকাশ পেতে পারে, কিন্তু মহান আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সে অপরাধের ওপর স্থির রাখেন না বরং তা ত্যাগ করে তওবার সৌভাগ্য দান করেন, যা দ্বারা তাদের মন্দের শেষ চি‎হ্নটুকুও মুছে দেয়। বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সাহাবীদের ক্ষমার ঘোষণাও তাদের ফরজ বা নফল কোন নেক আমলের অপ্রয়োজনীয়তা সাক্ষী নয়। কেননা যদি ঐ রূপেই হত তাহলে তাদের নামাজ রোযা হজ যাকাত ইত্যাদি কিছুরই দরকার হত না। আর এটা একেবারেই অসম্ভব ও অবাস্তব।

৩য় হাদীস :

عن عمران بن حصين رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خير أمتى قرنى ثم الذين يلونهم ثم الذين يلونهم قال عمران فلا أدرى أذكر بعد قرنه قرنين أو ثلاثا ( متفق عليه )

বিশিষ্ট সাহাবী ইমরান বিন হোসাইন রা. বর্ণনা করেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমার যুগের মানুষই সর্ব উত্তম মানুষ। অতঃপর তাদের পরবর্তী যুগের মানুষ। অত:পর তাদের পরবর্তী যুগের মানুষ।’

ইমরান বিন হোসাইন বলেন, আমার একথা ঠিক জানা নাই যে, রাসূলের যুগের পর দুই যুগের কথা উল্লেখ করেছেন না তিন যুগের কথা।

৪র্থ হাদীস

عن أبى موســى الأشعرى رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ألنجوم أمنة للسماء فإذا ذهبت النجوم أتى أهل السماء ما يوعدون وإنا أمنة لأصحابى فإذا ذهبت أنا أتي أصحابى ما يوعدون وأصحابى أمنة لأمتى فإذا ذهبت أصحابى أتى أمن ما يوعدون . ( روا مسلم )

সাহাবী আবু মুসা আল আশআরী বর্ণনা করেন যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘নÿত্রসমূহ আসামনের নিরাপত্তা। নক্ষত্রের বিলুপ্তি ঘটলে আসমানের অধিবাসীর কাছে প্রতিশ্রম্নত বিপদ চলে আসবে। আর আমি আমার সাহাবীদের নিরাপত্তা। যখন আমি চলে যাবো তখন আমার সাহাবীগণের কাছে প্রতিশ্রম্নত বিপদ এসে যাবে। আমার সাহবীগন আমার উম্মতের নিরাপত্তা। যখন আমার সাহাবীগণ চলে যাবেন তখন উম্মতের কাছে প্রতিশ্রম্নত বিপদ আসবে।’’ (মুসলিম ২৫৩১)

৫ম হাদীস

عن عمر بن خطاب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : أكرموا أصحابى فإنهم خياركم وفى رواية أخرى إحفظونى فى أصحابى . رواه بن ماجة ২/৬৪

সাহাবী ওমর রা. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমার সাহাবীদেরকে তোমরা সম্মান কর। কেননা, তারা এ উম্মতের শ্রেষ্ঠ মানুষ।’’ অন্য বর্ণনায় আছে ‘‘আমার সম্মানার্থে তোমরা সাহাবীদেরকে সম্মান কর।’’ ইবনে মাজা ২/৬৪ আহমদ ১/১৮ হাকেম ১/ ১১৪।

৬ষ্ঠ হাদীস

عن واثلة يرفعه : لا تزالون بخير ما دام فيكم من رأى وصحبنى والله لا تزالون بخير ما دام فيكم من رأى من رأنى وصحبنى . والله لا تزالون بخير ما دام فيكم من رأى من رآني وصاحبني . رواه بن أبى شيبة : ১৭৮

ওয়াছেলা রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আল্লাহর কসম! যত দিন তোমাদের মাঝে আমার সাহাবীগণ বিদ্যমান থাকবে ততদিন তোমাদের মাঝে কল্যাণ বিরাজ করবে। আল্লাহর কসম! আমার সাহাবীদেরকে যারা দেখেছেন তারা যতদিন বিদ্যমান থাকবে ততদিন তোমাদের মাঝে কল্যাণ বিরাজ করবে। (আবু শাইবা ১২/১৭৮)

৭ম হাদীস

عن أنس رضي الله عنه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أية الإيمان حب الأنصار وأية النفاق بغض الأنصار وقال في الأنصار كذالك : لا يحبهم إلا مؤمن ولا يبغضهم إلا منافق . البخاري ৭/১১৩ও مسلم ১ /৮৫

সাহাবী আনাস রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আনসারদের ভালোবাসা ঈমানের অংশ আর তাদের সাথে শত্রুতা মুনাফেকির লক্ষণ।’’ আনসারদের প্রসঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যত্রে বলেন, ‘‘আনসারদেরকে কেবল মু’মিনগণই ভালোবাসে আর কেবল মুনাফেকগণই তাদের সাথে শত্রুতা রাখে।’’ (বুখারী ১১৩/৭ মুসলিম ৮৫/১)

সাহাবীদের মর্যাদার ওপর বিস্তারিত আলোচনা বিশাল বিস্তীর্ণ। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল র. তার ফাযায়েলুস সাহাবা নামক গ্রন্থে প্রায় দু’হাজার হাদীস ও আছারে সাহাবী (সাহাবীদের বাণী) উল্লেখ করেছেন যা এ বিষয়ে সবচে বৃহৎ সংকলন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন