hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবাদের ব্যাপারে আহলে সুন্নত ওয়াল-জামাতের আকিদা

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল-অহাইবি

প্রথমত : যে ব্যক্তি সব সাহাবী অথবা অধিকাংশ সাহাবীকে ধর্মত্যাগী কাফের, ফাছেক বলে গালি দেয়ঃ
যে সমস্ত লোক সাহাবীদেরকে এ ধরনের গালি দেয় তারা নিঃসন্দেহে কাফের। এর প্রধান প্রধান কারণ নিম্নে বর্ণিত হল।

১। এ ধরনের গালমন্দের সারমর্ম হল কুরআন, হাদীসের বাহকগণকে কাফের, ফাসেক ধর্মত্যাগী বলা আর তাদের ব্যাপারে এ ধরনের মন্তব্যের অর্থ হল কুরআন হাদীসে সন্দিহান হওয়া। কেননা বাহকের ব্যাপারে সন্দেহের অর্থ তাদের বহনকৃত বস্ত্তর মাঝে সন্দেহ করা। আর যারা কুরআন হাদীসে সন্দিহান হবে নিঃসন্দেহে তারা কাফের।

২। সাহাবীদেরকে এ ধরনের গাল মন্দ বলা কুরআন অস্বীকারের অন্তর্ভুক্ত। কেননা কুরআনে তাদের প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাদের প্রশংসা ব্যক্ত করা হয়েছে। আর কুরআন ও হাদীসের অকাট্য প্রমাণ দ্বারা যা প্রমাণিত তার অস্বীকারকারী কাফের।

৩। সাহাবীগণ হলেন রাসূলের খুব আপন লোক। প্রিয়জন, বন্ধু ; তাদেরকে গাল মন্দের অর্থ হল রাসূলকে কষ্ট দেয়া আর যে রাসূলকে কষ্ট দেবে সে কাফের।

শায়খুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়াহ রহ. এ প্রকারের লোকদের হুকুম বর্ণনায় বলেন। যারা সাহাবীদের অপমানে সীমা অতিক্রম করে এবং বলে যে, রাসূলের তিরোধানের পর তারা সবাই ধর্ম ত্যাগী হয়ে গেছে মাত্র কয়েকজন ব্যতীত। যাদের সংখ্যা দশের ঊর্ধ্বে নয়। অথবা যারা অধিকাংশ সাহাবীদেরকে ফাসেক বলে। তাদের কাফের হওয়ার ব্যাপারে কারও কোন সন্দেহ নেই। কেননা কুরআনের বহু স্থানে সাহাবীদের প্রতি আল্লাহর যে সন্তুষ্টি ও তাদের যে প্রশংসা করা হয়েছে তারা তার অস্বীকারকারী। আর যারা কুরআন অস্বীকারকারী তারা নিশ্চয় কাফের। বরং যারা এই ধরনের লোকদের কাফের হওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান হবে তারাও নিশ্চিত কাফের। পরিশেষে তিনি বলেন এ সব লোক কাফের হওয়া দীনে ইসলামে দিবালোকের মত সুস্পষ্ট। (আস-সারেমুল মাসলুল : ৫৮৬-৮৭)

আল্লামা হাইছামি রহ. বলেন যে সব লোক কিছু সংখ্যক সাহাবীদেরকে গালমন্দ বলে তারা কাফের কি না? এতে মতানৈক্য রয়েছে, কিন্তু যারা সব সাহাবীদেরকে গালি দেয়, মন্দ বলে সে সব লোক কাফের হওয়ার ব্যাপারে কারও কোন দ্বিমত নেই। পূর্বে উল্লিখিত পর্যাপ্ত প্রমাণাদির পরও সাহাবীদেরকে গালি দেয়া কুফরী হওয়া সম্পর্কে আলেমগণ আরও বিস্তারিত প্রমাণাদি উপস্থাপন করেছেন।

১। পূর্বে উল্লিখিত সুরা আল ফাতহ এর সর্ব শেষ আয়াতের তাফসীর আলোকে ইমাম মালেক রহ. বলেছেন যে, যারা সাহাবীদিগকে আড় চোখে দেখে তারা কাফের। কেননা সাহাবীগণ তাদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। আর সাহাবীগণ যাদের অন্তর্জালার কারণ হয় তারা কাফের। ইমাম শাফেয়ী (রহ.) এ মন্তব্য করেছেন।

২। পূর্বে উল্লিখিত সাহাবী আনাস রা. সূত্রে বর্ণিত বুখারী ও মুসলিমের হাদীস, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আনসারদের ভালোবাসা ঈমানের নিদর্শন। অন্য বর্ণনায় আছে আনসারগণকে শুধু মু’মিনগণই ভালোবাসে আর শুধু মুনাফেকগণই তাদের সাথে শত্রুতা রাখে। আবু হুরাইরা রা. সূত্রে মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে সে কখনও আনসারদের সাথে শত্রুতা রাখে না। (মুসলিম ১/৮৬)

অর্থাৎ আনসারদেরকে গালি দেয়া তো দূরের কথা মু’মিনগণ কখনও তাদের সাথে কোন প্রকার বিদ্বেষও রাখে না। সুতরাং যারা তাদেরকে গাল মন্দ বলে তারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান হীন মুনাফেক। বর্ণিত আছে যে, খলীফা ওমর রা. কে জনৈক ব্যক্তি আবু বকর রা. এর পর প্রাধান্য দেয়ার অপরাধে বেত্রাঘাত করে বললেন, বহুবিদ কারণে রাসূলের পর শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি হলেন আবু বকর, যে এর ব্যতিক্রম বলবে আমি তার উপর মিথ্যা অপবাদের শাস্তি প্রয়োগ করব। (ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রচিত ফাযায়েলুস সাহাবা (১/৩০০)

এমনিভাবে আমিরুল মু’মিনীন আলী রা. বলেছেন তোমরা কেউ আমাকে আবু বকর রা. ও ওমর রা. এর উপর প্রাধান্য দিবে না। অন্যথায় তার উপর মিথ্যা অপবাদের শাস্তি প্রয়োগ করব।

فضائل الصحابة ১/৮৩ والسنة لابن أبى عاصم ২/৫৮৫ عن طريق الحاكم بن حجل وسنده ضعيف لضعف أبى عبيدة ابن الحكم انظر فضائل الصحابة ১/৮৩ لكن له شواهد أحدها عن طريق علقمة عن على عند ابن أبى عاصم فى السنة ২/৪৮ حسن لألبانى اسناده والأخر عن سويد ابن غفلة عن على عند الألكائي . ৭/১২৯৫

সত্য নিষ্ঠ খলীফাগণের নিকট ওমর রা.-কে আবু বকর রা. এ উপর আর আলী রা.-কে ওমর ও আবু বকরের উপর প্রাধান্য দেয়া যদি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হয়ে থাকে যা কোন রকম গাল মন্দ ও দোষারোপের মধ্যে পড়ে না, তাহলে সাহাবীদিগকে গালি দেয়া তাদের নিকট কত বড় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে তা সহজেই অনুমেয়। (আছছারেম আল- মসলুল ৬৮৬)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন