hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আমরা কাদের সাথে বন্ধুত্ব করব

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৩
ইসলামের দুশমন কারা
যেসব লোক সকল নবীর যুগে ইসলামের সাথে শত্রুতা পোষণ করেছে বর্তমানে তাদের মতো যারা হবে তারাই ইসলামের দুশমন। আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে ইসলামের দুশমনদের যেসব বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন এসব বৈশিষ্ট্য বর্তমানে যাদের মধ্যে পাওয়া যাবে তাদের সাথে কোন মুমিনের বন্ধুত্ব থাকবে না। নিচে এসব বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো :

যারা মুমিনদেরকে মিথ্যাবাদী বলে :

﴿وَلَقَدْ كُذِّبَتْ رُسُلٌ مِّنْ قَبْلِكَ فَصَبَرُوْا عَلٰى مَا كُذِّبُوْا وَاُوْذُوْا حَتّٰۤى اَتَاهُمْ نَصْرُنَا﴾

এভাবে তোমার আগেও রাসূলদেরকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদেরকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা ও নানা রকম নির্যাতন চালানোর পরও তাঁরা কঠোর ধৈর্যধারণ করেছিলেন, অবশেষে তাদের কাছে আমার সাহায্য পৌঁছেছে। [সূরা আন‘আম- ৩৪।]

যারা মুমিনদেরকে নিয়ে হাসি-তামাশা করে :

﴿اِنَّ الَّذِيْنَ اَجْرَمُوْا كَانُوْا مِنَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا يَضْحَكُوْنَ وَاِذَا مَرُّوْا بِهِمْ يَتَغَامَزُوْنَ﴾

যারা অপরাধী তারা মুমিনদেরকে উপহাস করত এবং তারা যখন তাদের নিকট দিয়ে যেত তখন চোখ টিপে কটাক্ষ করত। [সূরা মুতাফ্ফিফীন- ২৯, ৩০।]

যারা মুমিনদেরকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে :

﴿يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِۚ مَا يَاْتِيْهِمْ مِّنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا كَانُوْا بِهٖ يَسْتَهْزِئُوْنَ﴾

আফসোস! সেসব বান্দাদের জন্য, যাদের কাছে কখনো এমন কোন রাসূল আসেনি, যাকে নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেনি। [সূরা ইয়াসীন- ৩০।]

যারা মুমিনদেরকে পাগল বলে অপবাদ দেয় :

﴿وَقَالُوْا يَاۤ اَيُّهَا الَّذِىْ نُزِّلَ عَلَيْهِ الذِّكْرُاِنَّكَ لَمَجْنُوْنٌ﴾

তারা বলে, ওহে! যার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, নিশ্চয় তুমি একজন উন্মাদ। [সূরা হিজর- ৬।]

যারা মুমিনদেরকে ক্ষমতার লোভী বলে অপবাদ দেয় :

﴿قَالُوْاۤ اَجِئْتَنَا لِتَلْفِتَنَا عَمَّا وَجَدْنَا عَلَيْهِ اٰبَآءَنَا وَتَكُوْنَ لَكُمَا الْكِبْرِيَآءُ فِى الْاَرْضِؕ وَمَا نَحْنُ لَكُمَا بِمُؤْمِنِيْنَ ﴾

তারা (ফিরাউন সম্প্রদায় নবীকে) বলল, আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাতে পেয়েছি তুমি কি তা হতে আমাদেরকে বিচ্যুত করার জন্য আমাদের নিকট এসেছ, নাকি যাতে করে জমিনে তোমাদের দুজনের প্রতিপত্তি হয় সেজন্য? আমরা তোমাদের প্রতি বিশ্বাসী নই। [সূরা ইউনুস– ৭৮।]

যারা মুমিনদেরকে ফাসাদ সৃষ্টিকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে :

﴿وَقَالَ فِرْعَوْنُ ذَرُوْنِۤىْ اَقْتُلْ مُوْسٰى وَلْيَدْعُ رَبَّهٗۤ اِنِّۤىْ اَخَافُ اَنْ يُّبَدِّلَ دِيْنَكُمْ اَوْ اَنْ يُّظْهِرَ فِى الْاَرْضِ الْفَسَادَ﴾

ফিরাউন বলল, আমাকে ছেড়ে দাও, আমি মূসাকে হত্যা করি এবং সে তার প্রতিপালকের শরণাপন্ন হোক। আমি আশংকা করি যে, সে তোমাদের দ্বীনের পরিবর্তন ঘটাবে অথবা সে পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করবে। [সূরা মুমিন- ২৬।]

যারা মুমিনদেরকে নিম্ন শ্রেণির মনে করে :

﴿قَالُوْاۤ اَنُؤْمِنُ لَكَ وَاتَّبَعَكَ الْاَرْذَلُوْنَ﴾

তারা (নূহ আঃ এর জাতি নবীকে) বলল, আমরা কি তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব, অথচ নীচু শ্রেণির লোকেরা তোমার অনুসরণ করছে? [সূরা শু‘আরা– ১১১।]

যারা মুমিনদেরকে কুলক্ষণ মনে করে :

﴿قَالُوْاۤ اِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْۚ لَئِنْ لَّمْ تَنْتَهُوْا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُمْ مِّنَّا عَذَابٌ اَلِيْمٌ﴾

তারা (নগরীর লোকেরা নবীদেরকে) বলল, আমরা তোমাদেরকে কুলক্ষণ মনে করি, যদি তোমরা বিরত না হও তাহলে আমরা তোমাদেরকে পাথর মেরে ধ্বংস করে ফেলব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি স্পর্শ করবে। [সূরা ইয়াসীন- ১৮।]

যারা সত্য প্রত্যাখ্যান করে এবং সত্যের বিরোধিতা করে :

﴿وَيُجَادِلُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوْا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوْاۤ اٰيَاتِيْ وَمَاۤ اُنْذِرُوْا هُزُوًا﴾

কাফিররা সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য মিথ্যা যুক্তি পেশ করে বিতর্কে লিপ্ত হয়। আর তারা আমার নিদর্শনাবলি এবং যে বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে সেগুলোকে বিদ্রূপের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। [সূরা কাহফ- ৫৬।]

যারা অনৈসলামিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে উত্তম মনে করে :

﴿قَالُوْاۤ اِنْ هٰذَانِ لَسَاحِرَانِ يُرِيْدَانِ اَنْ يُّخْرِجَاكُمْ مِّنْ اَرْضِكُمْ بِسِحْرِهِمَا وَيَذْهَبَا بِطَرِيْقَتِكُمُ الْمُثْلٰى﴾

তারা (ফিরাউন সম্প্রদায়) বলল, অবশ্যই এ দুজন (মুসা ও হারুন আঃ) যাদুকর, তারা চায় তাদের যাদু দ্বারা তোমাদেরকে তোমাদের দেশ হতে বহিষ্কৃত করতে এবং তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবনব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে। [সূরা ত্বা–হা– ৬৩।]

তারা দেশের মানুষকে এ বলে ভয় দেখাচ্ছিল যে, মূসা (আঃ) এর বিজয় হলে তোমাদের এ শিল্প, চারুকলা, সংস্কৃতি এবং নারী স্বাধীনতাসহ সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।

যারা মুমিনদের বিরুদ্ধে সর্বদা ষড়যন্ত্র করে :

﴿وَقَالَ الَّذِيْنَ اسْتُضْعِفُوْا لِلَّذِيْنَ اسْتَكْبَرُوْا بَلْ مَكْرُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ اِذْ تَاْمُرُوْنَنَاۤ اَنْ نَّكْفُرَ بِاللهِ وَنَجْعَلَ لَهٗۤ اَنْدَادًا﴾

দুর্বলরা অহংকারীদেরকে বলবে, প্রকৃতপক্ষে তোমরাই দিবা-রাত্রি চক্রান্তে লিপ্ত ছিলে, আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলে যেন আমরা আল্লাহকে অমান্য করি এবং তাঁর শরীক স্থাপন করি। [সূরা সাবা- ৩৩।]

যারা মুমিনদেরকে অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় :

﴿هُمُ الَّذِيْنَ يَقُوْلُوْنَ لَا تُنْفِقُوْا عَلٰى مَنْ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ حَتّٰى يَنْفَضُّوْا وَلِلّٰهِ خَزَآئِنُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَلٰكِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ لَا يَفْقَهُوْنَ﴾

তারা (মুনাফিকরা) বলে, আল্লাহর রাসূলের সহচরদের জন্য ব্যয় করো না, যাতে করে তারা তার থেকে সরে পড়ে। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর ধনভান্ডার তো আল্লাহরই; কিন্তু মুনাফিকরা তা বুঝে না। [সূরা মুনাফিকূন- ৭।]

যারা মুমিনদেরকে বিতাড়িত করতে চায় :

﴿وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لِرُسُلِهِمْ لَنُخْرِجَنَّكُمْ مِّنْ اَرْضِنَاۤ اَوْ لَتَعُوْدُنَّ فِيْ مِلَّتِنَاؕ فَاَوْحٰۤى اِلَيْهِمْ رَبُّهُمْ لَنُهْلِكَنَّ الظَّالِمِيْنَ﴾

কাফিররা তাদের রাসূলদেরকে বলেছিল, অবশ্যই আমরা তোমাদেরকে আমাদের দেশ হতে বহিষ্কার করব অথবা তোমাদেরকে আমাদের ধর্মে ফিরে আসতেই হবে। অতঃপর রাসূলদেরকে তাদের প্রতিপালক ওহী প্রেরণ করলেন যে, অবশ্যই আমি যালিমদেরকে বিনাশ করব। [সূরা ইবরাহীম- ১৩।]

যারা মুমিনদের উপর যুলুম-নির্যাতন করে :

﴿اِنَّهُمْ اِنْ يَّظْهَرُوْا عَلَيْكُمْ يَرْجُمُوْكُمْ اَوْ يُعِيْدُوْكُمْ فِىْ مِلَّتِهِمْ وَلَنْ تُفْلِحُوْا اِذًا اَبَدًا﴾

(আসহাবের কাহফের মুমিনরা বলেছিল) তারা (ইসলামের শত্রুরা) যদি তোমাদের ব্যাপারে জানতে পারে তাহলে তোমাদেরকে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করবে অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে এবং সেক্ষেত্রে তোমরা কখনোই সফলকাম হবে না। [সূরা কাহফ- ২০।]

আল্লাহর বাণীকে সমুন্নত করা ও তাঁর বিধানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দুনিয়ার যেখানেই যা কিছু প্রচেষ্টা চলছে, মুসলিমরা যতই নির্যাতিত হচ্ছে তাতে কাফিরদের মনে একটুও সমবেদনা জাগবে না। কেননা কাফিরদের সমস্ত আগ্রহ আল্লাহর হুকুম অমান্য করার সাথে সম্পৃক্ত। আল্লাহর হুকুম অমান্য করার কাজ যে যেখানেই করবে কাফিররা যদি তাতে শরীক নাও হতে পারে, তবুও অন্ততপক্ষে জিন্দাবাদ ধ্বনি দেবে। এভাবে সে আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারীদের বুকে সাহস যোগাবে। অপরদিকে যদি কেউ আল্লাহর হুকুম পালন করতে থাকে, তাহলে কাফিররা তাকে বাধা দেয়ার ব্যাপারে একটুও ইতস্ততবোধ করবে না।

যারা মুমিনদেরকে শাস্তি দেয়ার ষড়যন্ত্র করে :

﴿قَالُوْا حَرِّقُوْهُ وَانْصُرُوْاۤ اٰلِهَتَكُمْ اِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِيْنَ﴾

তারা (নমরুদ ও তার সাথিরা) বলল, তাকে (ইবরাহীম আঃ কে) পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের দেবতাদেরকে সাহায্য করো, যদি তোমরা তা করতে পার। [সূরা সূরা কাহফ- ২০।]

যারা মুমিনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয় :

﴿وَلَا يَزَالُوْنَ يُقَاتِلُوْنَكُمْ حَتّٰى يَرُدُّوْكُمْ عَنْ دِيْنِكُمْ﴾

তারা সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যে পর্যন্ত না তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দেয়। [সূরা বাক্বারা- ২১৭।]

যারা মুমিনদেরকে গ্রেফতার ও হত্যা করতে চায় :

﴿وَاِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لِيُثْبِتُوْكَ اَوْ يَقْتُلُوْكَ اَوْ يُخْرِجُوْكَؕ وَيَمْكُرُوْنَ وَيَمْكُرُ اللهُؕ وَاللهُ خَيْرُ الْمَاكِرِيْنَ﴾

স্মরণ করো, যখন কাফিররা তোমাকে বন্দী করা বা হত্যা করা অথবা নির্বাসিত করার জন্য তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। আর তারা ষড়যন্ত্র করে, অপরদিকে আল্লাহও ষড়যন্ত্র করেন; কিন্তু আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ ষড়যন্ত্রকারী। [সূরা আনফাল- ৩০।]

এটা এমন সময়ের কথা যখন কুরাইশদের এ আশঙ্কা নিশ্চিত বিশ্বাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল যে, এখন মুহাম্মাদ ﷺ মদিনায় চলে যাবেন। তখন তারা পরস্পর বলাবলি করতে লাগল যে, এ ব্যক্তি মক্কা থেকে বের হয়ে গেলে বিপদ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। কাজেই তারা তাঁর ব্যাপারে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছার জন্য দারুন নাদওয়ায় জাতীয় নেতৃবৃন্দের একটি সভা ডাকল। কীভাবে এ বিপদের পথ রোধ করা যায়- এ ব্যাপারে তারা পরামর্শ করল।

এক দলের মতামত ছিল, এ ব্যক্তির হাতে ও পায়ে লোহার বেড়ি পরিয়ে এক জায়গায় বন্দী করে রাখা হোক। মৃত্যুর পূর্বে আর তাকে মুক্তি দেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এ মত গৃহীত হলো না। কারণ তারা বলল, আমরা তাকে বন্দী করে রাখলেও তার যেসব সাথি কারাগারের বাইরে থাকবে, তারা কাজ করে যেতে থাকবে এবং সামান্য একটু শক্তি অর্জন করতে পারলেই তাঁকে মুক্ত করার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করবে না।

দ্বিতীয় দলের মত ছিল, একে আমাদের এখান থেকে বের করে দাও। তারপর যখন সে আমাদের মধ্যে থাকবে না তখন সে কোথায় থাকে ও কী করে তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই? কিন্তু এ মতটিও গৃহিত হলো না। তারা বলল, এ ব্যক্তি হচ্ছে কথার যাদুকর। কথার মাধ্যমে মানুষের মন গলিয়ে ফেলার ব্যাপারে তার জুড়ি নেই। সে এখান থেকে বের হয়ে গেলে আরবের অন্যান্য গোত্রকে নিজের অনুসারী বানিয়ে নেবে। তারপর প্রচুর পরিমাণ ক্ষমতা অর্জন করে আরবের কেন্দ্রস্থলে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তোমাদের উপর আক্রমণ করে বসবে।

সবশেষে আবু জেহেল মত প্রকাশ করল যে, আমাদের প্রত্যেক গোত্র থেকে একজন করে উচ্চ বংশীয় তরবারি চালনায় পারদর্শী যুবক বাছাই করে নিতে হবে। তারা সবাই মিলে একই সঙ্গে তাঁকে হত্যা করবে। এভাবে মুহাম্মাদকে হত্যা করার দায়িত্বটি সকল গোত্রের উপর ভাগাভাগি হয়ে যাবে। আর সবার সঙ্গে লড়াই করা বনু আবদে মানাফের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ মতটি সবাই পছন্দ করল। হত্যা করার জন্য লোকদের নাম নির্ধারিত হলো। হত্যা করার সময়ও নির্ধারিত হলো। এমনকি যে রাতটি হত্যার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছিল সে রাতে ঠিক সময়ে হত্যাকারীরাও যথাস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই নবী ﷺ বের হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আলী (রাঃ) কে নিজের বিছানায় রেখে আবু বকর (রাঃ) কে সঙ্গে নিয়ে সাওর নামক গুহায় গিয়ে আশ্রয় নেন। এরপর মদিনায় চলে যান। ফলে একেবারে শেষ মুহূর্তে তাদের পরিকল্পিত কৌশল বানচাল হয়ে যায়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন