মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যারা ঈমান আনবে এবং কুফর, শিরক ও বিদআতমুক্তভাবে দ্বীনের উপর অটল থাকবে সেসব মুমিনই হবে একে অপরের বন্ধু। কিন্তু যারা কুফর, শিরক ও বিদআতের মধ্যে লিপ্ত থাকবে অথবা কাফির ও মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক রাখবে তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখা যাবে না, যদিও তারা আত্মীয় হয়। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদের অনেক আয়াতে মুমিনদেরকে সতর্ক করেছেন।
আত্মীয়রা দ্বীনদার না হলে আন্তরিক সম্পর্ক চলবে না :
হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভ্রাতাগণ যদি ঈমানের মুকাবিলায় কুফরীকে ভালোবাসে, তবে তাদেরকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে, তারাই যালিম। [সূরা তাওবা- ২৩।]
আল্লাহর নাফরমানির ক্ষেত্রে মাতাপিতার কথাও শুনা যাবে না :
তারা যদি তোমার উপর বল প্রয়োগ করে আমার সাথে এমন কিছুকে শরীক করার জন্য, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তুমি তাদের অনুসরণ করো না। [সূরা আনকাবূত- ৮।]
এটা পিতামাতার অধিকার যে, ছেলেমেয়েরা তাদের সেবা করবে, তাদেরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করবে এবং বৈধ বিষয়ে তাদের কথা মেনে চলবে। কিন্তু তাদেরকে এ অধিকার দেয়া হয়নি যে, মানুষ নিজের জ্ঞানের বিরুদ্ধে তাদের অন্ধ অনুসরণ করবে। শুধুমাত্র পিতামাতার ধর্ম বলেই ছেলেমেয়েদেরকে সেই ধর্ম মেনে চলার কোন কারণ নেই। সন্তান যদি এ জ্ঞান লাভ করে যে, তার পিতামাতার ধর্ম ভুল ও মিথ্যা, তাহলে তাদের ধর্ম পরিত্যাগ করে সঠিক ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। এমনকি তাদের উপর চাপ প্রয়োগের পরও যে পথের ভ্রান্তি তার কাছে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে সে পথ থেকে সরে আসতে হবে। পিতামাতার সাথে যখন এ ধরণের ব্যবহার করতে হবে তখন দুনিয়ার প্রত্যেক ব্যক্তির সাথেও এ ব্যবহার করতে হবে। যতক্ষণ না কোন ব্যক্তির সত্য পথে থাকা সম্পর্কে জানা যাবে ততক্ষণ তার অনুসরণ করা বৈধ নয়। সন্তান যদি সঠিক পথ অবলম্বন করে থাকে এবং পিতামাতার বৈধ অধিকার আদায় করার ক্ষেত্রেও কোন প্রকার ত্রুটি না করে থাকে; আর পিতামাতা যদি কেবল পথভ্রষ্টতার ক্ষেত্রে তাদের সহযোগী না হওয়ার কারণে তাকে নির্যাতন করে থাকে, তাহলে তারা আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাঁচতে পারবে না।
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর সাক্ষীস্বরূপ ইনসাফের উপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকো। যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতামাতা এবং আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে হয়। [সূরা নিসা- ১৩৫।]
পিতৃপুরুষ ভুল পথে থাকলে তাদের অনুসরণ করা জায়েয নয় :
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার অনুসরণ করো। তখন তারা বলে, বরং আমরা তাঁরই অনুসরণ করব যার উপর আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি। যদিও তাদের পিতৃপুরুষদের কোন জ্ঞানই ছিল না এবং তারা হেদায়াতপ্রাপ্তও ছিল না, তবুও কি (তারা তাদের অনুসরণ করবে)? [সূরা বাক্বারা- ১৭০।]
অমুসলিম আত্মীয়ের জন্য মাগফিরাতের দু‘আ করা যাবে না :
আত্মীয়স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করা নবী এবং মুমিনদের জন্য সংগত নয়; যখন এটা সুস্পষ্ট হয়ে যাবে যে, নিশ্চয় তারা জাহান্নামী। [সূরা তাওবা- ১১৩।]
আত্মীয়তার সম্পর্ক কিয়ামতের দিন কোন কাজে লাগবে না :
কিয়ামতের দিন তোমাদের আত্মীয়স্বজন ও সন্তানসন্ততি কোন কাজে আসবে না। আল্লাহ তোমাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবেন; তোমরা যা কর তিনি সে সম্পর্কে মহাদ্রষ্টা। [সূরা মুমতাহিনা- ৩।]
মুমিনরা যেন ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততির মায়ায় পড়ে আল্লাহর বন্ধুত্ব থেকে দূরে সরে না যায়, সেজন্য কুরআনের ঘোষণা হলো,
হে মুমিনগণ! তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ হতে উদাসীন করে না দেয়। যারা এমনটি করবে তারাই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। [সূরা মুনাফিকূন- ৯।]
ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি সবকিছুই আসলে মানুষের দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য মাত্র। এসবের মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে মানবজাতি কি তাদের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার সাথে নিজেদের সম্পর্ক ঠিক রাখে, না আল্লাহর বন্ধুত্বের পরিবর্তে সম্পত্তির মোহে বা সন্তানাদির মায়ায় ডুবে যায়, সে পরীক্ষা করাই আল্লাহর উদ্দেশ্য। সুতরাং আল্লাহর বন্ধুত্বের বিনিময়ে রক্তের সম্পর্ক একেবারেই মূল্যহীন। নূহ (আঃ) একজন উচ্চমর্যাদার নবী হওয়া সত্ত্বেও নিজের অবাধ্য ছেলেকে মহাপ্লাবনের হাত থেকে উদ্ধার করার সুপারিশ করলে তার উত্তরে আল্লাহ তা‘আলা বলেছিলেন, اِنَّه لَيْسَ مِنْ اَهْلِكَ অর্থাৎ সে তো তোমার আহল নয়। [সূরা হুদ- ৪৬।]
অর্থাৎ নূহ (আঃ) এর ছেলেটি তাঁর ঔরসজাত সন্তান হওয়া সত্ত্বেও ঈমান না আনার কারণে তার সম্পর্কে নবীর সুপারিশ অগ্রাহ্য হয়েছে। রক্ত সম্পর্ক থাকলেও পিতার মমতা বা বন্ধুত্ব পাওয়ার গুণ তার মাঝে ছিল না। এ কারণেই মহান আল্লাহ ছেলেকে নবীর আহল নয় বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/721/8
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।