hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আমরা কাদের সাথে বন্ধুত্ব করব

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

বন্ধুত্বের মাপকাঠি আত্মীয়তা নয় বরং ঈমান
যারা ঈমান আনবে এবং কুফর, শিরক ও বিদআতমুক্তভাবে দ্বীনের উপর অটল থাকবে সেসব মুমিনই হবে একে অপরের বন্ধু। কিন্তু যারা কুফর, শিরক ও বিদআতের মধ্যে লিপ্ত থাকবে অথবা কাফির ও মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক রাখবে তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখা যাবে না, যদিও তারা আত্মীয় হয়। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদের অনেক আয়াতে মুমিনদেরকে সতর্ক করেছেন।

আত্মীয়রা দ্বীনদার না হলে আন্তরিক সম্পর্ক চলবে না :

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوْاۤ اٰبَآءَكُمْ وَاِخْوَانَكُمْ اَوْلِيَآءَ اِنِ اسْتَحَبُّوا الْكُفْرَ عَلَى الْاِيْمَانِؕ وَمَنْ يَّتَوَلَّهُمْ مِّنْكُمْ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الظَّالِمُوْنَ﴾

হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভ্রাতাগণ যদি ঈমানের মুকাবিলায় কুফরীকে ভালোবাসে, তবে তাদেরকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে, তারাই যালিম। [সূরা তাওবা- ২৩।]

আল্লাহর নাফরমানির ক্ষেত্রে মাতাপিতার কথাও শুনা যাবে না :

﴿وَاِنْ جَاهَدَاكَ لِتُشْرِكَ بِيْ مَا لَيْسَ لَكَ بِهٖ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا﴾

তারা যদি তোমার উপর বল প্রয়োগ করে আমার সাথে এমন কিছুকে শরীক করার জন্য, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তুমি তাদের অনুসরণ করো না। [সূরা আনকাবূত- ৮।]

এটা পিতামাতার অধিকার যে, ছেলেমেয়েরা তাদের সেবা করবে, তাদেরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করবে এবং বৈধ বিষয়ে তাদের কথা মেনে চলবে। কিন্তু তাদেরকে এ অধিকার দেয়া হয়নি যে, মানুষ নিজের জ্ঞানের বিরুদ্ধে তাদের অন্ধ অনুসরণ করবে। শুধুমাত্র পিতামাতার ধর্ম বলেই ছেলেমেয়েদেরকে সেই ধর্ম মেনে চলার কোন কারণ নেই। সন্তান যদি এ জ্ঞান লাভ করে যে, তার পিতামাতার ধর্ম ভুল ও মিথ্যা, তাহলে তাদের ধর্ম পরিত্যাগ করে সঠিক ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। এমনকি তাদের উপর চাপ প্রয়োগের পরও যে পথের ভ্রান্তি তার কাছে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে সে পথ থেকে সরে আসতে হবে। পিতামাতার সাথে যখন এ ধরণের ব্যবহার করতে হবে তখন দুনিয়ার প্রত্যেক ব্যক্তির সাথেও এ ব্যবহার করতে হবে। যতক্ষণ না কোন ব্যক্তির সত্য পথে থাকা সম্পর্কে জানা যাবে ততক্ষণ তার অনুসরণ করা বৈধ নয়। সন্তান যদি সঠিক পথ অবলম্বন করে থাকে এবং পিতামাতার বৈধ অধিকার আদায় করার ক্ষেত্রেও কোন প্রকার ত্রুটি না করে থাকে; আর পিতামাতা যদি কেবল পথভ্রষ্টতার ক্ষেত্রে তাদের সহযোগী না হওয়ার কারণে তাকে নির্যাতন করে থাকে, তাহলে তারা আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাঁচতে পারবে না।

আপনজনের বিপক্ষে হলেও ন্যায়বিচার করতে হবে :

﴿وَاِذَا قُلْتُمْ فَاعْدِلُوْا وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبٰى﴾

যখন তোমরা কথা বলবে তখন ইনসাফের সাথে কথা বলবে, যদিও তা আত্মীয়স্বজনদের বিপক্ষে হয়। [সূরা আন‘আম- ১৫২।]

মাতাপিতার বিপক্ষে হলেও ন্যায়ের সাক্ষ্য দিতে হবে :

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا كُوْنُوْا قَوَّامِيْنَ بِالْقِسْطِ شُهَدَآءَ لِلّٰهِ وَلَوْ عَلٰۤى اَنْفُسِكُمْ اَوِ الْوَالِدَيْنِ وَالْاَقْرَبِيْنَ﴾

হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর সাক্ষীস্বরূপ ইনসাফের উপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকো। যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতামাতা এবং আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে হয়। [সূরা নিসা- ১৩৫।]

পিতৃপুরুষ ভুল পথে থাকলে তাদের অনুসরণ করা জায়েয নয় :

﴿وَاِذَا قِيْلَ لَهُمُ اتَّبِعُوْا مَاۤ اَنْزَلَ اللهُ قَالُوْا بَلْ نَتَّبِعُ مَاۤ اَلْفَيْنَا عَلَيْهِ اٰبَآءَنَاۤ اَوَلَوْ كَانَ اٰبَآؤُهُمْ لَا يَعْقِلُوْنَ شَيْئًا وَّلَا يَهْتَدُوْنَ﴾

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার অনুসরণ করো। তখন তারা বলে, বরং আমরা তাঁরই অনুসরণ করব যার উপর আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি। যদিও তাদের পিতৃপুরুষদের কোন জ্ঞানই ছিল না এবং তারা হেদায়াতপ্রাপ্তও ছিল না, তবুও কি (তারা তাদের অনুসরণ করবে)? [সূরা বাক্বারা- ১৭০।]

অমুসলিম আত্মীয়ের জন্য মাগফিরাতের দু‘আ করা যাবে না :

﴿مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اَنْ يَّسْتَغْفِرُوْا لِلْمُشْرِكِيْنَ وَلَوْ كَانُوْاۤ اُولِيْ قُرْبٰى مِنْ ۢبَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ اَنَّهُمْ اَصْحَابُ الْجَحِيْمِ﴾

আত্মীয়স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করা নবী এবং মুমিনদের জন্য সংগত নয়; যখন এটা সুস্পষ্ট হয়ে যাবে যে, নিশ্চয় তারা জাহান্নামী। [সূরা তাওবা- ১১৩।]

আত্মীয়তার সম্পর্ক কিয়ামতের দিন কোন কাজে লাগবে না :

﴿لَنْ تَنْفَعَكُمْ اَرْحَامُكُمْ وَلَاۤ اَوْلَادُكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِۚ يَفْصِلُ بَيْنَكُمْؕ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ﴾

কিয়ামতের দিন তোমাদের আত্মীয়স্বজন ও সন্তানসন্ততি কোন কাজে আসবে না। আল্লাহ তোমাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবেন; তোমরা যা কর তিনি সে সম্পর্কে মহাদ্রষ্টা। [সূরা মুমতাহিনা- ৩।]

মুমিনরা যেন ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততির মায়ায় পড়ে আল্লাহর বন্ধুত্ব থেকে দূরে সরে না যায়, সেজন্য কুরআনের ঘোষণা হলো,

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تُلْهِكُمْ اَمْوَالُكُمْ وَلَاۤ اَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ﴾

হে মুমিনগণ! তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ হতে উদাসীন করে না দেয়। যারা এমনটি করবে তারাই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। [সূরা মুনাফিকূন- ৯।]

ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি সবকিছুই আসলে মানুষের দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য মাত্র। এসবের মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে মানবজাতি কি তাদের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার সাথে নিজেদের সম্পর্ক ঠিক রাখে, না আল্লাহর বন্ধুত্বের পরিবর্তে সম্পত্তির মোহে বা সন্তানাদির মায়ায় ডুবে যায়, সে পরীক্ষা করাই আল্লাহর উদ্দেশ্য। সুতরাং আল্লাহর বন্ধুত্বের বিনিময়ে রক্তের সম্পর্ক একেবারেই মূল্যহীন। নূহ (আঃ) একজন উচ্চমর্যাদার নবী হওয়া সত্ত্বেও নিজের অবাধ্য ছেলেকে মহাপ্লাবনের হাত থেকে উদ্ধার করার সুপারিশ করলে তার উত্তরে আল্লাহ তা‘আলা বলেছিলেন, اِنَّه لَيْسَ مِنْ اَهْلِكَ অর্থাৎ সে তো তোমার আহল নয়। [সূরা হুদ- ৪৬।]

অর্থাৎ নূহ (আঃ) এর ছেলেটি তাঁর ঔরসজাত সন্তান হওয়া সত্ত্বেও ঈমান না আনার কারণে তার সম্পর্কে নবীর সুপারিশ অগ্রাহ্য হয়েছে। রক্ত সম্পর্ক থাকলেও পিতার মমতা বা বন্ধুত্ব পাওয়ার গুণ তার মাঝে ছিল না। এ কারণেই মহান আল্লাহ ছেলেকে নবীর আহল নয় বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন