মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল্লাহ তা‘আলার পর নবী-রাসূলগণ হলেন মুমিনদের আসল বন্ধু। এসব মহাপুরুষ মানবজাতিকে তাদের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ব্যবস্থা করে গেছেন। সাথে সাথে তাদের প্রতারক বন্ধুদের স্বরূপ উদঘাটন করে দিয়ে মানবজাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার ব্যবস্থাও করেছেন। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,
(আল্লাহ প্রেরণ করেছেন) এমন এক রাসূল, যিনি তোমাদের নিকট আল্লাহর সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পাঠ করেন। যাতে করে তিনি মুমিন ও সৎকর্মপরায়ণদেরকে অন্ধকার হতে আলোর দিকে নিয়ে আসতে পারেন। [সূরা তালাক্ব- ১১।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ঐ সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ! তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার নিকট তার বাবা-মা ও তার সন্তানাদি হতে অধিক প্রিয় না হই। [সহীহ বুখারী, হা/১৪।]
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার নিকট তার বাবা-মা, সন্তানসন্ততি এবং সব মানুষের চেয়ে বেশি প্রিয় না হই। [সহীহ বুখারী, হা/১৫।]
মুসলিম জাতির জন্য বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ﷺ হলেন আদর্শ :
মুমিন যে কাউকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলা বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ﷺ কে আমাদের আদর্শ বানিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ (-র সন্তুষ্টি) ও শেষ দিবসের (মুক্তি) কামনা করে এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে- তাদের জন্য অবশ্যই উত্তম আদর্শ রয়েছে আল্লাহর রাসূলের মধ্যে। [সূরা আহযাব- ২১।]
প্রত্যেক মুসলিমের উচিত নবী মুহাম্মাদ ﷺ এর চরিত্রে চরিত্রবান হওয়া। মুহাম্মাদ ﷺ এর চেয়ে উত্তম চরিত্রের দৃষ্টান্ত দ্বিতীয় আর কেউ হতে পারে না। কারণ তিনিই ছিলেন একমাত্র উন্নত চরিত্রের অধিকারী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
যে ব্যক্তি যতবেশি নবী ﷺ এর সুন্নাত তথা আদর্শের অনুসরণ করবে সে ততবেশি আল্লাহর কাছে মর্যাদা লাভ করবে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা নবী ﷺ কে উম্মতের আদর্শ হিসেবে প্রেরণ করেছেন এবং তাঁর ভালোবাসাকে নবী ﷺ এর আনুগত্যের সাথে সম্পৃক্ত করে দিয়েছেন।
মুমিনের কাছে পৃথিবীর কোন কিছুই আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের চেয়ে বেশি প্রিয় হতে পারে না :
বলো, তোমাদের নিকট যদি আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করার চেয়ে তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের বংশধর, তোমাদের অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যার মন্দা পড়ার আশঙ্কা কর এবং তোমাদের বাসস্থান যাকে তোমরা ভালোবাস- এসব অধিক প্রিয় হয়, তবে আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করো। নিশ্চয় আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না। [সূরা তাওবা- ২৪।]
মু‘আজ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা নবী ﷺ আমার হাত ধরলেন এবং বললেন, হে মু‘আজ! আমি তোমাকে ভালোবাসি। তখন মু‘আজ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক; আল্লাহর শপথ! আমিও আপনাকে ভালোবাসি। এরপর নবী ﷺ বললেন, তুমি প্রত্যেক নামাযের পর এ দু‘আটি ছেড়ে দিও না।
সাঈদ ইবনে মুসাইয়াব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন, হে বৎস! তুমি যদি এমন অবস্থায় সকাল এবং সন্ধ্যায় উপনীত হতে পার যে, কারো প্রতি তোমার অন্তরে বিদ্বেষ নেই তবে তুমি তা-ই করো। হে বৎস! এটা হলো আমার সুন্নত তথা আদর্শ। আর যে আমার আদর্শকে ভালোবাসল সে যেন আমাকেই ভালোবাসল। আর যে আমাকে ভালোবাসল সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। [তিরমিযী, হা/২৮৯৪; মিশকাত, হা/১৭৫।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/721/6
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।