hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আমরা কাদের সাথে বন্ধুত্ব করব

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৭
সালাত ত্যাগকারীর সাথে বন্ধুত্ব রাখা যাবে কি না
যে ব্যক্তি সালাত আদায় করে না সে যদি সালাতকে অস্বীকারপূর্বক এমনটি করে থাকে তাহলে সে সর্বসম্মতিক্রমে কাফির হয়ে যাবে। এতে কারো দ্বিমত নেই। আর সালাত ফরয হওয়াকে স্বীকৃতি দানের পর যদি কেউ সালাত আদায় না করে তাহলেও সে আমলগতভাবে কুফরী কাজ করে। আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে বলেন,

﴿فَاِنْ تَابُوْا وَاَقَامُوا الصَّلَاةَ وَاٰتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوْا سَبِيْلَهُمْ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ﴾

যদি তারা তওবা করে, সালাত আদায় করে এবং যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। [সূরা তাওবা- ৫।]

﴿فَاِنْ تَابُوْا وَاَقَامُوا الصَّلَاةَ وَاٰتَوُا الزَّكَاةَ فَاِخْوَانُكُمْ فِى الدِّيْنِ﴾

যদি তারা তওবা করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়, তবে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই। [সূরা তাওবা- ১১।]

সূরা তাওবার এ দুটি আয়াতে মুশরিকদের সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, যদি তারা সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয় তবে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই। এ আয়াত থেকে স্পষ্টভাবে এটা জানা যাচ্ছে যে, যদি কেউ সালাত কায়েম না করে এবং যাকাত আদায় না করে তাহলে সে মুমিনদের দ্বীনি ভাই অর্থাৎ বন্ধু হতে পারে না।

যে ব্যক্তি সালাত আদায় করে না অনেক হাদীসে তাকে কাফির সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেমন-

وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيْقٍ الْعُقَيْلِيِّ قَالَ : كَانَ اَصْحَابُ رَسُوْلِ اللهِ -  - لَا يَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ الْاَعْمَالِ تَرْكُهٗ كُفْرٌ غَيْرَ الصَّلَاةِ

আবদুল্লাহ ইবনে শাক্বীক্ব আল উক্বাইলী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথিগণ সালাত ত্যাগ করা ব্যতীত অন্য কিছুকে কুফরী হিসেবে মনে করতেন না। [তিরমিযী, হা/২৬২২; মিশকাত, হা/৫৭৯; রিয়াযুস সালিহীন, হা/৪৭০; জামেউল উসূল ফিল আহাদীস, হা/৩২৬৫।]

عَنْ بُرَيْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ بَكِّرُوْا بِالصَّلَاةِ فِيْ يَوْمِ الْغَيْمِ فَاِنَّهٗ مَنْ تَرَكَ الصَّلَاةَ فَقَدْ كَفَرَ

বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা বৃষ্টির দিনে সালাতে তৎপর থাকো। কেননা যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত সালাত ত্যাগ করল সে কুফরী করল। [ইবনে হিববান হা/১৪৬৩।]

عَنْ اُمِّ اَيْمَنَ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ لَا تَتْرُكْ الصَّلَاةَ مُتَعَمِّدًا فَاِنَّهٗ مَنْ تَرَكَ الصَّلَاةَ مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ ذِمَّةُ اللهِ وَرَسُولِهٖ

উম্মে আইমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তুমি সালাত ত্যাগ করো না। কেননা যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ত্যাগ করে তার উপর থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের যিম্মাদারী তথা নিরাপত্তা উঠে যায়। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২৭৩৬৪।]

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ اَبِيْهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  : اَلْعَهْدُ الَّذِيْ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ اَلصَّلَاةُ . فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ

আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদা (রাঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমাদের ও কাফিরদের মধ্যে যে পার্থক্যকারী জিনিস রয়েছে তা হলো সালাত। সুতরাং যে ব্যক্তি সালাত ছেড়ে দিল সে কুফরী করল। [তিরমিযী, হা/২৬২১; ইবনে মাজাহ, হা/১০৭৯; সুনানে বায়হাকী আল কুবরা, হা/৬২৯১।]

এ হাদীসটিতে নবী ﷺ স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, কাফির এবং মুসলিমদের মধ্যে পার্থক্যকারী জিনিস হচ্ছে সালাত। আবু হাতীম (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ সালাত ত্যাগকারীর উপর কুফর শব্দ প্রয়োগ করেছেন। কেননা সালাত ত্যাগ করা কুফরীর প্রথম ধাপ। যখন ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করে এবং সালাত ত্যাগ করাকে অভ্যাসে পরিণত করে নেয় তখন সে অন্যান্য ফরয ইবাদাতও ত্যাগ করে। আর যখন সে সালাত ত্যাগে অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন কার্যত সে সালাত অস্বীকারকারী হয়ে যায়। এজন্য নবী ﷺ সালাত ত্যাগকারীর শেষ পরিণতির দিকে ইঙ্গিত করেই তার উপর কুফর শব্দ প্রয়োগ করেছেন। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৬৩।]

সালাত ত্যাগকারীর হাশর হবে বড় বড় কাফিরদের সাথে :

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو ، عَنْ رَسُوْلِ اللهِ اَنَّهٗ ذَكَرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَقَالَ : مَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَتْ لَهٗ نُوْرًا وَّبُرْهَانًا وَّنَجَاةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ ، وَمَنْ لَّمْ يُحَافِظْ عَلَيْهَا لَمْ يَكُنْ لَهٗ بُرْهَانٌ وَّلَا نُوْرٌ وَّلَا نَجَاةٌ ، وَكَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ قَارُوْنَ وَهَامَانَ وَفِرْعَوْنَ وَاُبَيِّ بْنِ خَلَفٍ

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত আদায় করা সম্পর্কে আলোচনা করলেন এবং বললেন, যে ব্যক্তি সালাতের হেফাযত করবে এটা তার জন্য নূর ও দলীল হবে। আর কিয়ামতের দিন তার জন্য নাজাতের ওসীলা হবে। আর যে ব্যক্তি সালাতের হেফাযত করবে না অর্থাৎ সালাত আদায় করবে না তার জন্য কোন নূর ও দলীল থাকবে না এবং তার জন্য কোন নাজাতের উপায়ও থাকবে। আর কিয়ামতের দিন সে কারুন, হামান, ফিরাউন এবং উবাই ইবনে খালফের সাথে থাকবে। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৫৭৬; দারেমী, হা/২৭৬৩; শু‘আবুল ঈমান, হা/২৫৬৫।]

উল্লেখিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, সালাত ত্যাগকারীর হাশর হবে ফিরাউন, হামান এবং উবাই ইবনে খালফ- এদের সাথে। আর এ কথা স্পষ্ট যে, এসব ব্যক্তি বড় বড় কাফির ছিল। এমনকি এরা কাফির মুশরিকদের নেতা ছিল।

উপরোক্ত দলীলের ভিত্তিতে এটা সুস্পষ্ট যে, পুরুষ হোক অথবা নারী হোক যারা সালাত আদায় করে না তারা তওবা করে সালাত আদায় না করা পর্যন্ত তাদের সাথে কোন মুমিন বন্ধুত্ব করতে পারে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন