hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী বিধান ও আধুনিক বিজ্ঞান (প্রথম খন্ড)

লেখকঃ মুহাম্মাদ ওসমান গনি

১১
ইসলামে যবেহ করার পদ্ধতি কি নিষ্ঠুরতা?
ব্রাহ্মণ মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং কোন কোন দার্শনিক মতালম্বীদের দৃষ্টিতে পশু যবাই করা ও খাওয়া তাদের নিজেদের জন্য হারাম। উদ্ভিদ বা শাক সবজিই তাদের একমাত্র খাদ্য। কেননা তাদের মতে পশু যবাই করা নিতান্তই মর্মান্তিক ও নির্দয়তার কাজ। ওদের বাঁচার অধিকার আছে এবং সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যেতে পারে না।

কিন্তু বিশ্ব প্রকৃতির উপর দৃষ্টিপাত করলে ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিবেচনা করলে স্পষ্টই বুঝতে পারা যায় যে, পশু যবাই করা একান্তই নির্দোষ কাজ। কেননা দুনিয়ার এসব জন্তু জানোয়ার কোন নিজস্ব স্বতন্ত্র উদ্দেশ্য মূলক সৃষ্টি নয়। ওদের বুদ্ধি বিবেক ও নিজেস্ব ইচ্ছা ও বাছাই করার শক্তি বলতে কিছুই নেই। ওরা মূলতঃ মানুষের খিদমতের কাজ সুসম্পন্ন করার উদ্দেশ্যেই সৃষ্ট ও নিয়োজিত। মানুষ ওগুলোকে নিয়ন্ত্রণে এনে অনেক কার্য সম্পাদন করে। অনুরুপভাবে ওদেরকে যবাই করে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করা হলে তাতে আপত্তির কিছুই থাকতে পারে না। সৃষ্টিলোকে সদা কার্যকর আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ম হচ্ছে নিকৃষ্ট ও নীচ সৃষ্টি জীব উত্তম ও উচ্চতর সৃষ্টির জন্য আত্মহুতি দিচ্ছে। সবুজ উদ্ভিতাদি জন্তু জানোয়ারের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে নিরন্তন। অনুরূপই জন্তু জানোয়ার মানুষের খাদ্যে পরিণত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মানব সমষ্টির নিরাপত্তার জন্য ব্যক্তিকে হত্যা করা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে রয়েছে। মানুষের জন্য পশু যবাই করা না হলে ওরা মৃত্যু ও ধ্বংস থেকে রক্ষা পেতে পারছে এমন তো নয়। অন্যান্য অধিক শক্তিশালী হিংস্র জন্তু জানোয়ার কতৃক ছিন্ন ভিন্ন হয়ে ওদের খাদ্যে পরিণত হওয়া তো অবধারিত। অথবা ওরা স্বভাবিক মৃত্যু বরণ করতে বাধ্য হবে। আর তা ওদের গলদেশে শানিত অস্ত্র চালিয়ে যবেহ করার তুলনায় অধিক কষ্টদায়ক হওয়া নিশ্চিত। [ইসলামে হালাল হারামের বিধান।]

ইসলাম প্রাণী সমূহকে খাওয়ার উপযোগী বানানোর জন্য যে মৌলিক শর্ত দিয়েছে তা হচ্ছে শরীরের সমস্ত রক্ত বের হয়ে যাওয়া। এ জন্য স্বাভাবিকভাবে ঘাড়ের সামনের দিকটার রক্ত প্রবাহের চারটির প্রধান রগ (jugulanvcins Carotid Arteries) এর সঙ্গে কন্ঠনালীও কাটতে হবে। উক্ত প্রাণীর গলা, সামনের Artery/ ধমণী/রগগুলি কেটে ফেলার কারণে রক্তের সাথে জীবানুসহ সকল প্রকার বর্জ পদার্থ ইত্যাদি মাংশপেশীসহ অন্যান্য organ অঙ্গ প্রতঙ্গে স্থানান্তরিত হওয়ার সুযোগ পায় না। আর এ কারণেই যবেহকৃত প্রণীর চর্বি, গোশত ও অস্থি মজ্জা তথা অন্যান্য অঙ্গ জীবানুমুক্ত থেকে যায়। [মাসিক মদীনা, অক্টোবর ২০০০, পৃষ্ঠা ৪৩।]

এক সময় ব্রিটেনে প্রণীদের প্রতি সদয় কমিটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে আদালতে এই অভিযোগে মামলা দায়ের করে যে, মুসলিমগণ নিষ্ঠুর। কেননা, তারা জন্তুকে জবাই করে তাদেরকে কষ্ট দেয়। এ জবাইকে জুলুম আখ্যা দিয়েছিল। কোর্ট মুসলিমদেরকে জবাই করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়। মুসলিমগণ এর কারণে যুলম নির্যাতন ভোগ করতে বাধ্য হচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে মুসলিমদেরকে বর্তমানেও এমন দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। আমাদের উলামা ও চিন্তাবিদদের উচিৎ বিজ্ঞানের যুক্তির মাধ্যমে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা।

একজন মানুষ যদি তার দুই হাত দিয়ে অন্য একজনের গর্দান চেপে ধরে এবং গর্দানের দু’টি ‘ওদজা’ নামক রগের উপর কয়েক সেকেন্ড চাপ সৃষ্টি করে রাখে তাহলে দেখা যাবে, উক্ত লোকটি অজ্ঞান হয়ে গেছে তার অনুভূতি শক্তি হারিয়ে যাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন