hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী বিধান ও আধুনিক বিজ্ঞান (প্রথম খন্ড)

লেখকঃ মুহাম্মাদ ওসমান গনি

২৭
প্লেগ রোগে আক্রান্ত এলাকা থেকে বের হওয়া নিষেধ কেন?
প্লেগ রোগে আক্রান্ত এলাকায় প্রবেশ করতে অথবা সেই এলাকা থেকে বের হতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করলেন কেন? বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত রয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

إذا سَمِعْتُمْ باِالطَّاعُوْنِ بِأرْضٍ فَلا تَدْخُلُوْهَا وَإذَا كُنْتُمْ فِيْهَا فَلا تَخْرُجُوْا مِنْهَا ( رواه البخاري )

অর্থঃ যদি কোন এলাকায় তোমরা প্লেগ রোগের খবর শোন তাহলে সেই এলাকায় তোমরা প্রবেশ করবে না এবং তোমরা যদি সেই এলাকায় থেকে থাক তাহলে সেখান থেকে বের হবে না। (বুখারী)।

কোন এলাকা বা শহর যদি প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়, আর এ খবর যদি কেউ পায় তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে উক্ত শহরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ সেও সেই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু প্লেগ রোগে আক্রান্ত যে শহরটিতে শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে এমতাবস্থায় সেই শহরের সুস্থ ব্যক্তিরা কেন সেই শহর থেকে বের হবে না? কেন তারা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিবে না? কেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন ধ্বংস ও ক্ষতির কারণ থেকে মুক্ত হতে ও রক্ষা পেতে নিষেধ করলেন? তা হলে ইসলাম মানুষকে কখনও ক্ষতি ও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে চায়? না, ইসলাম মানুষকে কখনও ক্ষতি ও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় না, বরং ইসলাম মানুষের সার্বিক কল্যাণ চায়। ইসলামে রয়েছে সর্বস্তরে, সর্বাবস্থায় চিরন্তন সফলতা।

ডেনমার্কের জনৈক ডাক্তারকে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ আপনি যদি এমন শহরের শাসক হয়ে থাকেন যে শহর প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়েছে তখন আপনি কি করবেন? তিনি উত্তরে বললেনঃ আমি ঐ শহরের দরজা জানালা সব বন্ধ করে দিব এবং সেই শহরের সীমান্তে পুলিশ নেয়োগের মাধ্যমে যারা ঐ শহরে প্রবেশ করতে চায় তাদেরকে নিশেধ করব এবং যারা উক্ত শহর থেকে বের হতে চায় তাদেরকেও নিষেধ করব। প্রশ্ন করা হলোঃ কেন এমন করবেন? প্রবেশকারীকে প্রবেশ করতে না দেয়াটা সবার কাছে স্পষ্ট। কিন্তু যে বের হতে চায় তাকে কেন আপনি বাধা দিবেন? তিনি জবাব দিলেনঃ বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রকাশ, প্লেগ রোগের জীবানুর নাম ইয়ারসিনা পেষ্টি। যে এলাকায় এই প্লেগ রোগ দেখা দেয় সেই এলাকায় এতো ব্যাপক ভাবে অল্প সময়ে এই জীবানু বিস্তার লাভ করে যে, কোন কোন সময় এই রোগ শতকরা ৯৫% ভাগ মানুষের শরীরে পৌঁছে যায়। কিন্তু কিছু মানুষ রয়েছে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। তাই তাদের শরীরে এই রোগ প্রাধান্য লাভ করে তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়, তারা মৃত্যুর কোলে পতিত হয়। আর কিছু লোক রয়েছে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে এই জীবানু যুদ্ধ করতে থাকে। তাদের শরীরে কিছুটা জ্বর অনুভূত হয়। এর অর্থ হচ্ছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটি উক্ত জীবানুর উপর প্রাধান্য লাভ করেছে।

আরও কিছু ব্যক্তি রয়েছে যাদের শরীরে রোগের কোন চিহ্ন বা আলামত প্রকাশ পায় না। এর অর্থ হচ্ছে, উক্ত মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ যন্ত্রটি শরীরের মধ্যে এমন জিনিস উৎপন্ন করতে থাকে যা উক্ত জীবানুগুলোকে ধ্বংস করতে থাকে। অতএব এই ধরনের ব্যক্তির প্লেগ আক্রান্ত এলাকায় অবস্থান করায় ভয়ের কোন কারণ নেই। জীবানু শরীরে প্রবেশের পরও যে সুস্থ রয়েছে আসলেই তার ভয়ের কিছুই নেই। কেননা তার শরীর জীবানুনাশক শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম। ইনশাআল্লাহ সেখানেও সে সুস্থ থাকবেই।

কিন্তু এই সমস্ত সুস্থ ব্যক্তিদের মাঝে কাউকে যদি বের হওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। হ্যাঁ, আমাদের খালি চোখে সে রোগী না, বরং সুস্থ। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সে এই জীবানু বহন করছে। তার শরীর এই জীবানুর উপর প্রধান্য বিস্তার করছে। যদি উক্ত ব্যক্তিকে বের হওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয় তাহলে সে নতুন শহরে গমন করবে। অতঃপর এই জীবানু দুর্বল শরীরে স্থানান্তরিত হবে। তারপর বৃদ্ধি পাবে এবং দুর্বল শরীর কে নিঃশেষ করবে। তারপর ব্যাপক ভাবে রোগ বিস্তার লাভ করবে। মাত্র একটি মানুষের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ধ্বংস হবে।

উল্লেখ থাকে যে, ছয়/সাত বছর পূর্বে ভারতে প্লেগ রোগ দেখা দিয়েছিল। তাই আন্তর্জাতিক ভাবে সকল ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছিল এ জন্য যে, সেখানে যাতে কোন লোক প্রবেশ করতে না পারে এবং সেখান থেকেও কোন লোক বাহিরে আসতে না পারে। শুধু তাই নয়, এমনকি জিনিস পত্র আদান প্রদান পর্যন্ত বন্ধ ছিল। ডাক্তারী পরিভাষায় এটাকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা বলা হয়। অথচ ১৪০০ চৌদ্দ শত বছর পূর্বে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিলেনঃ

إذا سَمِعْتُمْ باِالطَّاعُوْنِ بِأرْضٍ فَلا تَدْخُلُوْهَا وَإذَا كُنْتُمْ فِيْهَا فَلا تَخْرُجُوْا مِنْهَا ( رواه البخاري )

যদি কোন এলাকায় তোমরা প্লেগ রোগের খবর শোন তাহলে সেই এলাকায় তোমরা প্রবেশ করবে না এবং তোমরা যদি সেই এলাকায় থেকে থাক তাহলে সেখান থেকে বের হবে না। (বুখারী)।

কে মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই খবর দিলেন? অথচ তিনি লেখা পড়া জানতেন না। সে সময় অনুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিস্কার হয়নি না, হয়েছিল দূরবীক্ষণ যন্ত্রের আবিস্কার। বস্ত্ত সম্পর্কে সূক্ষ্ম ও বিশেষ জ্ঞান ছাড়া কেউ এ বিষয়ে জানতে পারে না। মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বর্ণনা এটাই প্রমাণ করে যে, তিনি সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে চিরন্তন শাশ্বত শান্তির বাণী নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন মানব জাতির সার্বিক কল্যাণের জন্য। তাই তার পদাংক অনুসরণেই রয়েছে সফলতা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন