hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী বিধান ও আধুনিক বিজ্ঞান (প্রথম খন্ড)

লেখকঃ মুহাম্মাদ ওসমান গনি

৩১
কুকুরের লালাযুক্ত পাত্র মাটি দিয়ে পরিস্কার করতে হবে কেন?
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

إذا وَلَغَ الكَلْبُ فى إنَاء أحَدِكُمْ فَلْيَغْتَسِلْهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ وَ إحْديهُنَّ بِالتُّرابِ ( رواه ابن ماجة )

অর্থঃ যদি তোমাদের কারো পাত্রে কুকুর মুখ দেয় সে যেন উক্ত পাত্রটি সাতবার ধৌত করে, তার মধ্যে একবার মাটি দিয়ে। (ইবনে মাজাহ)।

প্রশ্ন হচ্ছেঃ কেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুকুরের লালাযুক্ত পাত্র পরিস্কার করার জন্য মাটির শর্ত সংযুক্ত করলেন? এই হাদীসকে সামনে রেখে লন্ডনের এক ব্যক্তি কিছু দিন পূর্বে পরীক্ষা চালিয়েছেন। তার কল্পনা ছিল, এই হাদীস থেকে কিছু ত্রুটি বের করবেন। বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ। এ যুগে অত্যাধুনিক কিছু কিছু জিনিস রয়েছে যা দিয়ে পরিস্কার করলে হয়ত মাটির প্রয়োজন হবে না। তিনি একটি পাত্রে কিছু খাদ্য রেখে তা কুকুরকে দিলেন। কুকুরটি তা খাওয়ার পর অনুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখেন যে, উক্ত পাত্রটির মধ্যে অসংখ্য বিষাক্ত জীবানু রয়েছে। তারপর সাবানসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ভাল করে পরিস্কার করার পর আবার উক্ত যন্ত্র দিয়ে দেখেন যে, তাতে জীবানু রয়েই গেছে। এমনি ভাবে বহু বার পরিস্কার করার পরও উক্ত পাত্রটি জীবানু মুক্ত হয়নি। অবশেষে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাতলে দেয়া পদ্ধতি অনুযায়ী মাটি দিয়ে পরিস্কার করার পর দেখেন যে, উক্ত পাত্রটি সম্পূর্ণ ভাবে জীবানু মুক্ত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তার হৃদয় প্রশস্ত হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ এই তত্ত্ব একজন লেখা পড়া না জানা ব্যক্তি থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে প্রকাশ পাওয়া এটাই প্রমাণ করে যে, তিনি তার নিজের জ্ঞানলব্ধ বিবেক থেকে বর্ণনা করেননি, বরং মহান করুণাময় সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে অহীর মাধ্যমে তাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এই দ্বীন সত্য দ্বীন, তাতে কোন সন্দেহ নেই। তিনি স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন।

প্রকাশ থাকে যে, মাটির মাঝে এমন একটি পদার্থ রয়েছে যা কুকুরের লালার বিষাক্ত ক্ষুদ্র জীবানুকে সমূলে ধ্বংস করতে পারে। কুকুরের লালায় মানব জাতির জন্য ক্ষতিকারক জীবানু রয়েছে। এই মাটি সেই জীবানুও ধ্বংস করতে সক্ষম। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিলেনঃ

فَلْيَغْتَسِلْهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ وَ إحْديهُنَّ بِالتُّرابِ

অর্থঃ যে পাত্রে কুকুর মুখ দিয়েছে অথবা খেয়েছে অথবা লালা লেগেছে সেই পাত্রটি যেন মাটি দিয়ে একবারসহ সর্বমোট সাতবার পরিস্কার করা হয়। কুকুর মানুষের মাঝে সব চেয়ে বেশী রোগ জীবানু ছড়ায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

لا تُدْخِلُوْا الْكِلابَ الْبُيُوْتَ

অর্থঃ তোমরা কুকুরকে বাড়ীতে প্রবেশ করাবে না।

এমন ধরনের নিষেধ থকা সত্বেও অনেক লোককে আমরা দেখতে পাই, যারা পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রেমে অন্ধ হয়ে নিজেদের দয়াশীল মনে করে এই বলে যে, এমন বুদ্ধিমান বন্ধুসুলভ ও বিশ্বস্ত জন্তু থেকে বিরত থাকতে বলা হলো কি করে? এ ধরনের লোকদের গোচরে আমরা এক জার্মান মনীষীর লিখিত ও জার্মান এক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রচনা পেশ করতে চাই এই রচনায় কুকুর পালন করা ও কুকুরের সংস্পর্শে আসার কারণে যে সমস্ত বিপদ অবশ্যম্ভাবী তা ব্যক্ত করা হয়েছে। রচনাটি এইঃ

বিগত কয়েক বছরে লোকদের কুকুর পালনের আগ্রহ খুব বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে এর পরিণামে কি বিপদ ঘটতে পারে সেদিকে আলোকপাত করছি। লোকেরা শুধু কুকুর পালন করেই ক্ষান্ত হয় না। তার সাথে খেলা করে, তাকে চুম্বন করে। উপরন্তু কুকুরকে এমন ভাবে মুক্ত করে দেয়া হয় যে, ছোট বড় সকলেরই হাত চাটে। অনেক সময় উদ্বৃত্ত খাবার নিজেদের পাত্রে বা থালায় করেই কুকুরের সামনে তুলে দেয়া হয়। এ অভ্যাস এতই খারাপ যে, সুস্থ বিবেক ও সুরুচি সম্পন্ন ব্যক্তি তা গ্রহণ করতে প্রস্ত্তত হয় না। তা পরিচ্ছন্নতার নিয়ম কানুনেরও পরিপন্থী। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বিচার করলে কুকুর পালন করা এবং তার সাথে খেলাধুলার কারণে যে বিপদ মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনের উপর ঘনীভূত হয়ে আসতে পারে তাকে সামান্য ও নগন্য মনে করা কিছুতেই উচিত হতে পারে না। অনেক লোক নিজের অজ্ঞতার জন্য চরম মাশুল দিতে বাধ্য হয়। তার কারণ এই যে, কুকুরের দেহে এমন জীবানু রয়েছে যা এমন রোগ সৃষ্টি করতে পারে, যা স্থায়ী এবং যা চিকিৎসা করে নিরাময় করা যায় না। কত লোক যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন দিতে বাধ্য হয় তা গণনা করে শেষ করা যায় না। এক ধরনের জীবানুর আকৃতি ফিতার ন্যায়। তা মানব দেহে খোঁস পাঁচড়ার ন্যায় রোগ সৃষ্টি করে। এ ধরনের জীবানু গৃহপালিত পশু ও বিশেষ করে শুকরের দেহেও পাওয়া যায়। কিন্তু লালিত পালিত হয়ে বড় হওয়ার প্রবণতা কেবল কুকুরের দেহের জীবানুর মধ্যেই রয়েছে। [ইসলামে হালাল হারামের বিধান।]

এসব জীবানু মানুষের কলিজায় প্রবেশ করে। আর তথায় নানা ভাবে আত্মপ্রকাশ করে। তা অনেক সময় ফুসফুস, ডিম্ব, গুর্দা ও মস্তকে প্রবেশ করে। তখন সেগুলোর আকৃতি অনেকটা পরিবর্তিত হয়ে যায়। এমন অবস্থা দেখা দেয় যে, বিশেষজ্ঞগণও তা চি ‎‎ হ্নত করতে অক্ষম হয়ে পড়েন। সে যাই হোক, এ জীবানুর কারণে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তা দেহের যে কোন অংশেই হোক না কেন স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর ও মারাত্মক। এ সব জীবানুর কোন চিকিৎসা আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। জার্মান চিকিৎসাবিদ নুল্লর বলেছেনঃ কুকুরের জীবানুর কারণে মানব দেহে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তার সংখা শতকরা একের কম নয়। আর কোন কোন দেশে শতকরা বারো পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ রোগ প্রতিরোধ করার সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে, এ জীবানুগুলোকে কুকুরের দেহ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ করে রাখা, তাকে ছড়িয়ে পড়তে না দেয়া।

বিধর্মী চিন্তাবিদদের গবেষণামূলক বর্ণনা সম্মুখে রেখে বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে যে, নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কুকুরের সাথে ঘনিষ্ট মেলামেশা করতে নিষেধ করেছেন তা বাস্তব ও যুক্তি ভিত্তিক এবং একান্তই বিজ্ঞান সম্মত। এ বিধানে বিশ্ব মানবতার জন্য যে কি বিরাট কল্যাণ নিহিত রয়েছে তা স্পষ্ট অনুধাবন করা যায়।

বস্ত্তত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন একজন উম্মী। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর উপস্থাপিত শিক্ষা বর্তমানে এই চৌদ্দ শত বছর পরের অতি আধুনিক বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও তথ্যের সাথে যে কতখানি সামঞ্জস্যপূর্ণ তা দেখলে বিস্ময়াভিভূত হতে হয়। এ সত্য দেখার সাথে সাথে আমাদের কন্ঠে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কুরআন মাজীদের এ ঘোষণা ধ্বনিত হয়ে উঠেঃ

وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى ﴿3﴾ إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى ﴿سورة النجم 4﴾

অর্থঃ রাসূল নিজের ইচ্ছামত কিছুই বলেন না, যা বলেন তা অহী ভিন্ন আর কিছু নয়। (সূরা নজম, ৫৩ঃ ৩ ও ৪ আয়াত)।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন