মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আমার উম্মতের মধ্যে যখন পাঁচটি জিনিস আরম্ভ হবে তখন তাদেরকে নানা প্রকার রোগ ব্যাধি ও আযাবের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয়া হবে। তন্মধ্যে একটি হল নর নারীর মধ্যে সমমৈথুন প্রচলিত হওয়া। (আহমদ)।
একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিকক্রমে তিন বার বলেছেন, যে ব্যক্তি কওমে লুতের মত সমকামী কাজ করে আল্লাহ তার প্রতি লানত বর্ষণ করেন। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
এই আয়াত ও হাদীসগুলোর মাধ্যমে চৌদ্দ শত বছর আগে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে বাণী প্রচার করে গেছেন, আজ একবিংশ শতাব্দীর প্রথম প্রান্তে এসে পবিত্র ধর্মের বিধানের মাঝে বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন সত্যের সন্ধান ও আশ্রয়। বর্তমান বিশ্বের প্রতি আমরা যদি নজর দেই তাহলে দেখতে পাই যে, আমেরিকা, ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে মাত্র কয়েক বছর পূর্বে এমন রোগ দেখা দিয়েছে এবং তারপর তা বিভিন্ন দেশে দ্রুত প্রসার লাভ করে অল্প সময়ে হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই ভয়ঙ্কর রোগটির সংক্ষিপ্ত নাম ( AIDS) ইংরেজীতে AIDS এর পুরা বাক্য হচ্ছে Accrued Immune Deficiency Syndrome (একোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রম) আরবীতে বলা হয় انهيار وسائل الدفاع الطبيعية فى الجسم
অর্থঃ শরীরের অর্জন করা সুরক্ষিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অব্যহতি বা বিলুপ্ত হওয়া।
বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টিকারী মরণ ব্যাধি এই এইডস, যার পরিণাম নিশ্চিত মৃত্যু। ১৯৮১ সালের দিকে বিজ্ঞানীরা এ রোগের খবর পেলেন। বিজ্ঞানীরা এ রোগের কারণ নির্ণয় করতে গিয়ে বলেন যে, এটি একটি বদমায়েশী রোগ যা শুধু মাত্র বদমায়েশদেরকে আক্রমণ করে।
ডাঃ রবার্ট রেডিফিল্ড বলেন, AIDS is a sexully transmitted disease. অর্থাৎ এইডস হচ্ছে যৌন অনাচার থেকে সৃষ্ট রোগ।
রেডফিল্ড বলেনঃ আমাদের সমাজের (মার্কিন সমাজের) অধিকাংশ নারী-পুরুষের নৈতিক চরিত্র বলতে কিছুই নেই। কম বেশী আমরা সকলেই ইতর রতিঃপ্রবণ মানুষ হয়ে গেছি। এইডস হচ্ছে স্রষ্টার তরফ থেকে আমাদের উপর শাস্তি ও অন্যদের জন্য শিক্ষাও বটে।
আমেরিকার প্রখ্যাত গবেষক চিকিৎসক ডনডেস সারলাইস বলেনঃ বিভিন্ন ধরনের পতিতা আর তাদের পুরুষ সঙ্গীরা এইডস রোগ সৃষ্টি, লালন পালন করে এবং ছড়ায়। ডাঃ জেমস চীন বলেন, দু’হাজার সালের আগেই শিল্পোন্নত দেশগুলোতে ইতর রতিঃপ্রবণতা প্রাধান্য লাভ করবে। পেশাদার পতিতা ও সৌখিন পতিতাদের সংস্পর্শে যারা যায় এবং ড্রাগ গ্রহণ করে তারাই এইডস জীবানু সৃষ্টি করে এবং তা ছড়ায়। এক কথায় অবাধ যৌনাচার, পতিতাদের সংস্পর্শ, সমকামিতার কু-অভ্যাস ও ড্রাগ গ্রহণকেই এইডসের জন্য দায়ী করা হয়।
ডঃ নজরুল ইসলাম বলেনঃ এইডস সংক্রমণের প্রধান পন্থা যৌন মিলন। শতকরা ৭০-৭৫ ভাগ আক্রান্ত ব্যক্তিই এ পদ্ধতিতে আক্রান্ত হয়েছে। সারা বিশ্বের সমাজ বিজ্ঞানীসহ বিশ্বে মানবাধিকারের প্রবর্তকরা ঐ সমস্ত ভয়াবহ যৌন সংক্রামক ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়া এবং তা দ্রুত ছড়াবার প্রধান কারণ হিসাবে সমকামিতা, বহুগামিতা এবং অবাধ যৌনচারকে চি হ্নত করেছেন। যৌন সংক্রামক রোগগুলি যেমন এইডস, সিফিসিল, গনোরিয়া, শ্যাংক্রয়েড, লিম্ফোগ্র্যানুলোমা, ভেনেরিয়াম, ডানোভেনোসিস ও অন্যান্য। এর মধ্যে এইডস সবচেয়ে ভয়াবহ। এই রোগগুলিতে আক্রান্ত রোগীর সাথে মেলামেশা বা যৌন মিলনের মাধ্যমে সুস্থ লোক আক্রান্ত হয়। অত্যন্ত আতঙ্ক ও হতাশা সৃষ্টিকারী মরণ ব্যাধি এইডস আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে ১৯৭৯ ইং সালে সমকামী এক ব্যক্তির কাছে প্রকাশ পায়। তারপর এই ভয়াবহ রোগে যারা আক্রান্ত হতে থাকে তাদের অধিকাংশ লোকই সমকামী।
ডাঃ মুহাম্মাদ মনসুর আলী বলেন, বর্তমান কালের সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাধি এইচ, আই, ভি। এইডস এমনই এক সময়ে সমগ্র বিশ্বে চরম আতঙ্ক এবং নিরতিশয় হতাশা সৃষ্টি করেছে যখন চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নতির অত্যুঙ্গ শিখরে অবস্থান করছে। এই মরণ ব্যাধির উৎপত্তি এবং বিস্তারের কারণ হিসাবে দেখা গেছে চরম অশ্লীলতা, যৌন বিকৃতি ও কুরুচিপূর্ণ সমকাম ও বহুগামীতার মত পশু সুলভ যৌন আচরণের উপস্থিতি। শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ সমকামী এবং বহুগামী পুরুষ ও মহিলাদের মাধ্যমে এইডস সমগ্র বিশ্বে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে এবং দিন দিন এইচ, আই, ভি/ এইডস এ আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। জাপানের বাৎসরিক বিশ্ব প্রচার সংস্থা উল্লেখ করেছে যে, সেখানে অনেকের অভিমত, বিশ্বে এইডস রোগ ছড়ানোর পিছনে রয়েছে আমেরিকা।
তারা আরও উল্লেখ করেছে যে, বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় এইডস রোগ বিস্তার করেছে আমেরিকাবাসী। সদা সর্বদা দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪০ হাজার আমেরিকান সৈন্য রয়েছে। রদবদল ও তাদের সাথে সাক্ষাত করার জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার আমেরিকান ওখানে গমন করে।
আল উম্মাহ মাসিক পত্রিকায় প্রকাশ, এই রোগ বহনকারী লোকের সংখ্যা ১৪০৬ হিজরীর পরিসংখান অনুযায়ীঃ *যুক্তরাষ্ট্রে ছিল প্রায় ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ)।
* পশ্চিম জার্মানে ছিল এক লক্ষ, আর শতকারা ৯৮% জন এই রোগে আক্রান্ত রোগী অজানা অবস্থায় ছিল।
এই এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর শতকরা ৪৮ জন রোগী সাধারণতঃ ১ বছরের মধ্যে মারা যায়। [আল উম্মাহ পত্রিকা, রবিউল আখের ১৪০৬ হিজরী।]
বিশ্বব্যাপী এই ব্যাধি শুরু থেকে ব্যাপক আকারে দেখা দেয়া পর্যন্ত প্রায় ১৩ মিলিয়ন নারী, পুরুষ ও শিশু এইচ, আই, ভি, তে আক্রান্ত হয়েছে যা এইডস রোগের কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী ২০০০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ মিলিয়ন এবং এইডস রোগীর সংখ্যা ১২ থেকে ১৮ মিলিয়ন হতে পারে। প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার লোক এইচ আই ভি, তে আক্রান্ত হচ্ছে। [ভয়ংকর মৃত্যু এইডস, পৃষ্ঠা ২০।]
এই ভয়ংকর ব্যাধি আল্লাহর দেয়া বিধি নিষেধ অমান্যকারীদের উপর গযব হিসাবে দেখা দিয়েছে। বর্তমান বিশ্বে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ৭০ লাখের বেশী লোক এইডস এ আক্রান্ত হয়েছে বলে বিশ্ব সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশী বিদেশী পত্র পত্রিকায় খবর পাওয়া গেছে। জুন ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ প্রাপ্ত বয়স্ক লোক এইচ, আই, ভি, সংক্রমিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সের দুই কোটি দশ লক্ষ এ পর্যন্ত এইচ, আই, ভি, সংক্রমিত রয়েছে এবং ৪৫ লক্ষ লোক এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে।
অর্থঃ তাদের দুস্কর্ম তাদেরকে বিপদে ফেলেছে, এদের মধ্যে যারা পাপী তাদেরকেও অতি সত্ত্বর তাদের দুস্কর্ম বিপদে ফেলবে। তারা তা প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। (সূরা জুমার, ৩৯ঃ ৫১ আয়াত)।
অর্থঃ আপনি বলুন, তিনি (আল্লাহ) তোমাদের উপর দিক থেকে এবং তোমাদের পদতল থেকে তোমাদের উপর আজাব পাঠিয়ে দিতে সক্ষম। (সূরা আনআম, ৬ঃ ৬৫ আয়াত)।
নিশ্চয়ই এই এইডস নামক শাস্তি যা বর্তমান বিশ্বকে ঘিরে রেখেছে তাতে শারীরিক ও মানসিক যে শাস্তি ও বেদনা রয়েছে তা আক্রান্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুর পূর্বেই হাজার বার হত্যা করে থাকে। জিম শ্যালী এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৭ সালে ৭ই মার্চ মারা যায়। মৃত্যুর পূর্বে সে বলেছেঃ আমার শরীরে একটা ভাইরাস আছে, সেটা আমার সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ খেয়ে ফেলছে। মাঝে মাঝে আমি জেগে উঠি। তখন আমি ওর অস্তিত্ব টের পাই, আমাকে কুরে কুরে খেয়ে ফেলেছে।
এমন কি পূরো সমাজই সব সময় ভীত সন্ত্রস্ত, অশান্তি ও অস্থিরতার মধ্যে অবস্থান করছে। কি জানি কোন সময় এই এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। আল্লাহপাক বলেনঃ
অর্থঃ স্থলে ও পানিতে মানুষের কৃতকর্মের জন্য বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে, আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান যাতে তারা ফিরে আসে। (সূরা রুম, ৩০ঃ ৪১ আয়াত)।
অর্থঃ পৃথিবীতে যখন অশ্লীল কাজ প্রকাশ পায় তখন আল্লাহ দুনিয়ার অধিবাসীর প্রতি দুঃখ দুর্দশা ও হতাশা নাযিল করেন। (তাবরানী)।
১৯৮৫ ইংরেজী অপর এক পরিসংখানে বলা হয়েছেঃ ১৪,৭৩৯ জন এইডস রোগে আক্রান্ত রুগীর মধ্যে ১০৬৫৩ জন রুগীই পুরুষ সমকামী অর্থাৎ লূত আঃ এর সম্প্রদায় যে ব্যভিচার করেছিল, মহিলা বাদ দিয়ে পুরুষে-পুরুষে অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল। সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
অর্থঃ আমি লূতকে প্রেরণ করেছি, যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ যা তোমাদের পূর্বে বিশ্বের কেউ করেনি। তোমরা তো নারীদের ছেড়ে কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ। (সূরা আরাফ, ৭ঃ ৮০-৮১ আয়াত)।
অর্থঃ সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরুষদের সাথে কুকর্ম কর? আর তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য যে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে বর্জন কর। বরং তোমরা সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায়। (সূরা আশশুয়ারা, ২৬ঃ ১৬৫-১৬৬ আয়াত)।
এমনি ভাবে অন্যান্য আয়াতে তাদের সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তারা বর্বর সম্প্রদায়, সীমা অতিক্রমকারী, ফাছাদ সৃষ্টিকারী, পাপিষ্ঠ ও অত্যাচারী সম্প্রদায়। এগুলোর যে কোন একটি বৈশিষ্ট্যই একটি সমাজ ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট।
আমেরিকার মত উচ্চ শিক্ষিত সূসভ্য এবং সর্বদিক থেকে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার হয়ে সমকামীতার মত নিকৃষ্ট ঘৃণিত মানবতা বিরোধী অশ্লীলতাকে যদি আইন করে বৈধ করে তাহলে কি ভাবে সম্ভব অশ্লীলতাসহ মানব সভ্যতা ধ্বংসের সকল ধরণের কর্মকান্ডগুলো প্রতিরোধ প্রতিহত করে বিশ্ব সমাজে মানব সভ্যতা পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা? কাম প্রবৃত্তি ও লোভ-লালসার জালে আবদ্ধ হয়ে লজ্জা-শরম ও ভাল-মন্দের স্বভাবজাত পার্থক্য বিসর্জন দিয়ে পার্লামেন্টে সমকামিতা বিল পাশ করে রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রকাশ্যে বৈধ ঘোষণা করেছে। ব্যভিচার যখন পার্লামেন্টে বৈধ ঘোষণা করা হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই তা সমাজে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। আর তখনই সেই সমাজ আল্লাহর গজবের উপযুক্ত হয়ে যায়। তারা এমন প্রকৃতির বিরুদ্ধে নির্লজ্জতায় লিপ্ত হয় যা হারাম ও গোনাহ তো বটেই, সুস্থ স্বভাবের কাছে ঘৃণ্য হওয়ার কারণে সাধারণ জন্তু জানোয়ারও এর নিকটবর্তী হয় না। মানুষের পাশবিক ও লজ্জাকর অশোভন আচরণ যে কত দ্রুত সমাজ সভ্যতাকে ধ্বংসের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়, আধুনিক শিক্ষিত পাশ্চাত্য সমাজ ব্যবস্থা কিভাবে ভয়াবহ ধ্বংসের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে তা সমস্ত বিশ্ববাসী আজ হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করতে পারছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
অর্থঃ যারা নিকৃষ্ট বস্ত্ত অর্জন করেছে তার বদলাও সেই পরিমাণ নিকৃষ্ট এবং অপমান তাদের চেহারাকে আবৃত করে ফেলবে। তাদেরকে আল্লাহর হাত থেকে বাঁচাতে পারবে এমন কেউ নেই। (সূরা ইউনুস, ১০ঃ ২৭ আয়াত)।
আজ এইডস আতংকে সমগ্র বিশ্ব প্রকম্পিত, সমস্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত, সারা বিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ এই ভয়াবহ মরণব্যধি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই মহামারী এইডস থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে এবং করছে। কিন্তু সকল প্রচেষ্টা সমূলে ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা বলছে, এইডস রোগের কোন চিকিৎসা নেই। কুরআনে বর্ণিত রয়েছেঃ
অর্থঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে অবশ্যম্ভাবী দিবস আসার পূর্বে তোমরা তেমাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য কর। সেদিন তোমাদের কোন আশ্রয় স্থল থাকবে না এবং তা নিরোধকারী কেউ থাকবে না। (সূরা শুরা, ৪২ঃ ৪৭ আয়াত)।
বর্তমান দুনিয়ায় পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয়, এমন কি আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে যে অশান্তি বিরাজমান রয়েছে তার কারণ হলো পবিত্র কুরআনের শিক্ষা মেনে না চলা এবং প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহান আদর্শ অনুসরণ না করা। তাই আজকের অশাস্ত পৃথিবীতে শান্তি এবং বিভিন্ন জটিল, দুরারোগ্য ও ধ্বংসাত্মক ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভের একমাত্র উপায় হল পবিত্র কুরআনের মহান শিক্ষা গ্রহণ এবং যাবতীয় বিধি নিষেধ যথাযথ ভাবে পালন। আর শান্তির দূত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহান আর্দশের বাস্তবায়ন।
বিশ্বের এই মহা দূর্যোগের সময় ইসলামের এই ধ্রুব সত্য ও হুশিয়ারী বাণী উপলদ্ধি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এইডস প্রতিরোধে ধর্মীয় অনুশাসনের গুরুত্ব অনুধাবন করতে বাধ্য হয়েছে। তাই WHO এ মর্মে ঘোষণা করেছেঃ
Nothing can be more helful in this preventive effort than religious teachings and the adoption of proper and decent behavior as advocated and urged by all divine religions (The role of Religion and ethics in the prevention and control of AIDS. ( Page 3, Para 9, Published by WHO)
অর্থঃ ‘‘এইডস প্রতিরোধ প্রচেষ্টায় ধর্মীয় শিক্ষাদান এবং যথাযথ নির্মল আচরণ প্রবর্তনের চেয়ে আর কোন কিছুই অধিক সহায়ক হতে পারে না যার প্রতি সকল ঐশ্বরিক ধর্মে সমর্থন প্রদান ও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।’’ (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত দি রোল অফ রিলিজিয়ন এন্ড এথিক্স ইন দ্যা প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল অফ এইডস নামক পুস্তিকার তৃতীয় পৃষ্ঠার নবম অনুচ্ছেদে উদ্ধৃত)।
ডাঃ মোঃ মনসুর আলী বলেনঃ ‘‘এখন পর্যন্ত এইডস ভাইরাস প্রতিরোধ বা প্রতিহত করার কোন ওষধ বা টিকা আবিস্কৃত হয়নি। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির নিরাময়েরও কোন সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ এইডস এর পরিণাম নিশ্চিত মৃত্যু। এই ভয়াবহ মরণ ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে হলে, বাঁচতে হলে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন এবং পবিত্র বৈবাহিক জীবন যাপন করাই একমাত্র উপায়। এর জন্য সত্যিকার ভাবে যা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হল ধর্মীয় অনুশাসন কড়াকড়ি ভাবে মেনে চলা।’’
জনাব কবির উদ্দীন আহমদ এর লেখা ‘‘ভয়ঙ্কর মৃত্যু এইডস’’ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় শীর্ষক গ্রন্থতে তিনি উল্লেখ করেছেনঃ ‘‘সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠতম এবং সর্বাধুনিক বিজ্ঞান সম্মত ধর্ম ইসলামের অনুশাসন, আচার আচরণ, বিধিনিষেধ মেনে চলার দরুন মানব জাতির ধ্যান-ধারণা, চিন্তা চেতনা, দৈনন্দিন কার্য প্রণালী ও মানবিক গুণাবলীর এমনই উৎকর্ষ সাধন করে যা জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যে কোন ব্যক্তির মধ্যে একটা প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস ও আত্মশক্তি সৃষ্টি করে নৈতিক মূল্যবোধের জন্ম দেয়, যার বলে বলীয়ান হয়ে সে সকল প্রকার লোভ লালসা, প্রলোভন, যৌন অপরাধ মূলক নানা ধরনের রিপুর তাড়না, বিভিন্ন রকমের পাশবিক আচার আচরণসহ সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার, অনুরাগ বা বিরাগের উর্ধ্বে উঠতে পারে, হতে পারে আত্ম সচেতন ও দৃঢ় সংযমী। মরণ ব্যাধি এইডস যেহেতু সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিকার ও প্রতিরোধ বিহীন এবং যেহেতু দৃঢ় আত্ম সংযমই এখন পর্যন্ত এ রোগ থেকে পরিত্রানের একমাত্র রক্ষা কবচ, সেহেতু ইসলাম-সম্মত জীবন যাপন ব্যতীত এ ধ্বংসাত্মক সংক্রমণ ঠেকাবার আর কোন উপায় নেই।’’
এ থেকে মুক্তি পাবার জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা জাগিয়ে অবাধ যৌনাচার থেকে বিরত রাখার মধ্যেই রয়েছে প্রতিবিধান। চরিত্রের উত্তম গুণাবলী দিয়ে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে এইডস প্রতিরোধ করার আজকের দাবী প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর বাণী ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের প্রতিধ্বনি মাত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
অর্থঃ যারা ঈমান আনে এবং স্বীয় বিশ্বাসকে শিরকের সাথে মিশ্রিত করেনা, তাদের জন্যই শান্তি ও নিরাপত্তা এবং তারাই সুপথগামী। (সূরা আনআম, ৬ঃ ৮২ আয়াত)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/484/20
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।